দেবপ্রয়াগ
দেবপ্রযাগ, অলকানন্দা (উত্স-শতপন্থ ও ভাগীরথীখরক হিমবাহ)ও ভাগীরথী (উত্স- গঙ্গোত্রী হিমবাহ) নদীর সঙ্গমস্থল। এইখান থেকেই এই মিলিত জলধারা গঙ্গা নামে প্রবাহিত। সেইদিক থেকে এই জায়গা কেই গঙ্গানদীর জন্মস্থান বলা যায়। ডানদিক থেকে ভাগীরথী সোজা এসেছে আর বাঁদিক থেকে অলকানন্দা একটা বাঁকের মুখে ভাগীরথীর সাথে মিলিত হয়েছে। ভাগীরথীর জল একটু ঘোলাটে। অলকানন্দার জল টলটলে সবজে। সঙ্গমে উভয়েরই রঙ্গের স্বতন্ত্রতা বিদ্যমান, সেইকারণেই স্পস্টভাবে বোঝা যায় দুটি নদীকে। ভাগীরথী যেন খালিকটা উগ্রভাবে নেমে আসছে। আর অলকানন্দা বিপুল জলরাশি নিয়ে ধীর স্থির প্রবাহিত।আমরা সঙ্গমের জল নিয়ে মাথায় ছেটালাম। অল্প একটু জলে নামলাম, প্রচন্ড ঠান্ডা জল,বেশিক্ষন দাঁড়িয়ে থাকা যায় না জলের মধ্যে। বেশ কিছুক্ষন সেখানে কাটিয়ে আমরা ওপরে উঠে আসতে লাগলাম। কারন আমাদের গাড়ী যেখানে আমাদের নামিয়ে দিয়েছে সেখান থেকে আসার সময় সরু অলি গলি রাস্তা দিয়ে আমাদের বেশ অনেকটা নীচে নামতে হয়েছে। ওপরে এসে গাড়ীতে উঠলাম। এবার ফেরার পালা রিষিকেশ এ। রিষিকেশ থেকে দেবপ্রয়াগের দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিমি, সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘন্টা। রাস্তা খুব একটা ভালো নয়। প্রথমবার প্রয়াগ দর্শনের ভালোলাগা নিয়ে আমরা ফিরতে লাগলাম!
0 Comments
বেথুয়াডহরী ।। অরণ্যের মাঝে একটা দিন।
_____________________________ নদীয়া জেলার অন্যতম একটি অভয়ারণ্য হলো বেথুয়াডহরী। একসময় নাকি এখানে বেথো (বেথুয়া) শাকের জলাভূমি (ডহরী) ছিলো। সেই থেকেই এর নামকরণ। শুধুমাত্র গেটটা পেরোলেই আপনি বুঝতে পারবেন, বাইরের কোলাহলটাকে কতটা পিছনে ফেলে এসেছেন। অনেকগুলো শালিক, আর ফিঙে, মাছরাঙা, দোয়েল, টুনটুনি, নীলটুনি, মোহনচূড়া, বাঁশপাতি, কোকিল মিলে এখানে অভ্যর্থনার সুর অনবদ্য! শাল, সেগুন, মেহগনি, ওক, ইউক্যালিপটাস এর সাথে জীবনানন্দের আম জাম হিজল বট এর মতো অনেককেই এখানে দেখতে পাবেন। তা ছাড়া জানা অজানা অনেক গাছের সাথে মিলে মিশে রয়েছে নাগকেশর, পিয়াশাল এর মতো গাছেরাও। ইঁট বিছানো পথ ধরে বেশ কিছুটা এগোলেই বা হাতে একটি রাস্তা সোজা হরিনের খাবার জায়গায় পৌঁছেছে। হরিনের এখানে অবাধ বিচরণ (অভয়ারণ্য)। তাই ওদের দেখা নামমাত্রই মেলে এখন। যদিও ওরা যে আমাদের ওপরে নজর রাখে, সে কথা বলাই বাহুল্য! (আগে শুনেছি অনেক হরিণ ঘুরে বেড়াতো চারিদিকে)। হরিনের দেখা পেলাম না বটে। কিন্তু গুটিকতক ছাতারে পাখি সেখানে আড্ডা জমিয়েছে। সঙ্গে একটি দোয়েল। বাঁদিকের পথ ধরে সোজা এগোলে ঘড়িয়ালদের বাসস্থান। একটি চারকোনা পুকুরে প্রায় 8টির মতো ঘড়িয়াল (মেছো কুমির) রয়েছে। আমরা শেষ দুপুরে গিয়েছিলাম। সেসময় তারা জলের নিচেই ছিল। মাঝে মাঝে তারই মধ্যে দু একজন শিকারে বেরিয়েছিল। সারা রাস্তা জুড়েই হাজার রঙের প্রজাপতির দেখা মেলে। শান্ত নিরিবিলি রাস্তার দুধারে ঘন জঙ্গলের মাঝখান থেকে অস্পষ্ট রোদ ঠিকড়ে পরে মাটিতে, গাছের ডালে। জঙ্গলের ভিতরখানা তখন আলো ছায়ার খেলায় মত্ত। মাঝখানে শ্যাওলা মেশানো সবুজ পথে আমরা আর পাশ থেকে উড়ে যাওয়া প্রজাপতির দল। দূর থেকে ভেসে আসা কত না জানি পাখির ডাক। আপনার শহুরে অভ্যাস গুলো এক নিমেষে বদলে যেতে পারে এইখানে পা রাখলে। শহরের ইঁট পাথরের জঙ্গলের থেকে এই জঙ্গল অনেক বেশি শান্তির, অনেক বেশি সুন্দর। সেখান থেকে ফেরার পথে পাখির খাঁচার পথে পা বাড়ালাম। রাস্তায় অনেক নাম না জানা পাখির ডাকে শুধু খুঁজে বেরিয়েছি, কিন্তু পাখি চোখে পড়েনি। হয়তো আরো কিছুটা সময় কাটালে নিশ্চয়ই দেখতে পেতাম। পাখির খাঁচাটাকে ঠিক খাঁচা বলা যায় না। বেশ বড়ো একটা অঞ্চল জুড়ে জাল দিয়ে ঘেরা। তবু পাখিদের জন্য ওটা খাঁচাই। আমাদেরকে আনন্দ দেওয়ার জন্য তাদের জীবন এই খাঁচাতেই সীমাবদ্ধ। পাখিদের মধ্যে 4-5 টি ময়ূর, একটি সাদা ময়ূর, তিতির, সারস, টিয়া, মুনিয়া, কাকাতুয়া, আরো অন্যান্য অনেক পাখি রয়েছে। সবগুলোই বেশ সতেজ! ফাউ হিসাবে সেই খাঁচায় রয়েছে একদল বুনো খরগোশ। তারা তখন নিজেদের মধ্যেই ব্যস্ত। আপনি কি করছেন, তা দেখতে তাদের বয়েই গেছে!! এর ঠিক পিছনেই একটি ঘেরা জায়গায় একটি নীলগাই রয়েছে। একাই, তবে বেশ খোশ মেজাজে। গেট থেকে ঢুকলেই বা দিকে একটি মিউজিয়াম রয়েছে। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নামে নামাঙ্কিত। সময়ের অভাবে যেতে পারিনি। এটি প্রাণী সংরক্ষণের উপরে তথ্য সমৃদ্ধ। একটি কচ্ছপের পুকুর ও রয়েছে এই অরণ্যে। সেটিও দেখার সময় মেলেনি। বেথুয়া ডহরী সত্যিই খুব বড়ো অরণ্য। যদিও তার বেশির ভাগ জায়গাই প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে অসামাজিক কাজ রোধ করবার জন্য। হয়তো বা আরো অনেক কিছু আমরা খুঁজে পেতে পারতাম, উপভোগ করতে পারতাম, যদি সব কিছু স্বাভাবিক থাকতো। যাই হোক, একদিন ঘোরার জন্য এখানে আপনি অনেক কিছু পেয়ে যাবেন। শুনেছি, এখানে মেছো বিড়াল, বন বিড়াল, ভাম, বেজি, সজারু, অনেক ধরণের সাপ, মনিটর, শেয়াল দেখতে পাওয়া যায়। যদিও মাত্র দেড় ঘন্টা সময়ে এত কিছু দেখার সৌভাগ্য হবে না। সারাদিন থাকলে দেখা পাওয়ার সৌভাগ্য হতেও পারে আপনার! নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকে 25 কিমির পথ। ট্রেনে সরাসরি বেথুয়া স্টেশন এ নেমে রিকশা / টোটো পাওয়া যায়। গাড়িতে গেলে NH 34 হয়ে কৃষ্ণনগর থেকে বহরমপুর এর রাস্তায় 25 কিমি। গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা ভিতরেই রয়েছে। অভয়ারণ্যের ভিতরেই কটেজ রয়েছে। তাছাড়া বেথুয়া বাজারে আপনি থাকার জায়গা পেয়ে যাবেন। ক্যামেরায় Amit Kumar Shaw সঙ্গে Amit Das & Koushik Das Canon 750D (4:3) & Redmi Note 5 Pro (16:9) Unedited
ইতিহাসে উপেক্ষিত কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ী।।
আজ আপনাদের নিয়ে যাব এক উপেক্ষিত রাজবাড়ীর অন্দরমহলে যেখানে তার ইতিহাস বাঙলার বহু অজানা বা স্বল্প পরিচিত ইতিহাসের ঝুলি সযত্নে আপন গরিমায় লালিত করে চলেছে আপনাদেরই স্বীকৃতির আশায়। মুশকিল হল ইতিহাস আশ্রিত লেখা খুব বেশি ছোট করতে গেলে ইতিহাস মাহাত্ম্য হারায়। তবু যতটা সংক্ষিপ্ত পারা যায় করতে গিয়ে যদি কিছু বাদ দিয়ে থাকি তো ক্ষমাপ্রার্থী। ভ্রমণ পিপাসু পাঠক যদি ধৈর্য নিয়ে একটু পড়েন তো এই প্রয়াস সার্থক হবে। বহরমপুরের অনতিদূরেই বহু গৌরবময় ঐতিহ্যের সাক্ষী এই রাজবাড়ীর ইতিহাস জানতে চলুন পিছিয়ে যাই ২৬৫ বছর আগে। পলাশীর যুদ্ধ তখনো হয় নি। ভাগরথীর তীরে তখন দুই বর্ধিষ্ণু বন্দর ভগবানগোলা আর কাশিমবাজার। বানিজ্যিক সুত্রে ডাচ, পর্তুগিজ, আর্মেনীয়, ফরাসী বিভিন্ন জাতির জলযান আর মানুষ ভীড় জমাত এই বন্দর ও সংলগ্ন এলাকায় - রেশম, নীল, নানাবিধ মশলা দ্রব্যের বিকিকিনির হাট জমাতে। অবিভক্ত বাংলার সুবেদার ঔরঙ্গজেবের পৌত্র আজিম উনসানের সাথে মতবিরোধের কারণে দেওয়ান মুর্শিদকুলি খাঁ মোঘলসম্রাটের অনুমতিক্রমে জাহাঙ্গীরনগর (অধুনা ঢাকা) ত্যাগ করে ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদাবাদের প্রতিষ্ঠা করেন বাংলা বিহার উড়িষ্যার রাজধানী হিসাবে, আর সাথে মাত্র তিন মাইল ব্যবধানে থাকা কাশিমবাজার অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে । বিজয় রামসেনের তীর্থমঙ্গল, হলওয়েল সাহেবের 'Interesting historical events', আরো অনেক গ্রন্থে এই বানিজ্যপদের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেই যুগে উচ্চবংশীয় ব্রাহ্মণ হয়েও সংস্কার মনষ্ক কৃষ্ণানন্দ চট্টোপাধ্যায় নিম্নশ্রেণীতে বিবাহ করেন। পরবর্তী কালে সামাজিক ক্ষেত্রে অবদান হেতু তাঁর প্রপৌত্র জয়গোপাল মোগল শাসকের থেকে 'রায়' উপাধি প্রাপ্ত হন। এই বংশেরই সুযোগ্য অযোধ্যারাম রায়ের হাত ধরে কাশিমবাজার রায় বংশের গুরুত্বপূর্ণ গোড়াপত্তন বলে ধরা যায়। ১৭৪২ এর বর্গীহানা, ১৭৫৭র পলাশীর যুদ্ধে পটপরিবর্তণ, ৭৬এর মন্বন্তরের ধাক্কা সামলে জগবন্ধু রায়, নৃসিংহপ্রসাদ রায়ের সুযোগ্য তত্বাবধানে কাশিমবাজার রাজবাড়ী প্রজাবৎসল বংশের সম্মানরক্ষা করে চলে। দানশীল স্বল্পায়ু অন্নদাপ্রসাদ রায় ও তাঁর অবর্তমানে বিদগ্ধা পত্নী রানী আন্নাকালীর কথা না বললেই নয়। রানীর পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠে জুবিলী চতুষ্পাঠী মহাবিদ্যালয়, স্ত্রীধন তহবিল, জেনানা হাসপাতাল, বহু মন্দির যথা দশশিববাড়ী ইত্যাদি। অন্যান্য জমিদার পরিবারের মত শুধু ইংরেজের পৃষ্ঠপোষকতা করে ক্ষান্ত হননি এই রায় পরিবার। জুবিলী টোলবাড়ীটি সেযুগের সশস্ত্র বিপ্লবীদের গোপন আস্তানা ছিল। বর্তমানে এই সুপ্রাচীন রাজবাড়ীটি সাধারণের দর্শন, এমনকি গেস্ট হাউস হিসাবে থাকার জন্যও খুলে দেয়া হয়েছে। দ্বিশয্যা ও চার শয্যা বিশিষ্ট সাতটি ঘর (ভাড়া ৩০০০ থেকে ৭০০০), প্রাতঃরাশ থেকে রাত্রিকালীন খাবার (মূল্য অর্ডার অনুযায়ী)। প্রতিটি ঘর অসম্ভব সুচারু শিল্পমন্ডিত প্রাচীন সামগ্রী দিয়ে সাজানো এবং সর্বপ্রকার আধুনিক সুবিধাযুক্ত। প্রাচীন রাজবাড়ীর সুসজ্জিত রাধাকৃষ্ণের মন্দির, ঝাড় বাতির সারি ঝোলানো দালান, বারান্দা, বিশাল ডাইনিং হল, সুবৃহৎ টেরেস, বাগান, টেনিস লন, একাধিক পুষ্করিনী আর অন্তহীন ঐতিহ্যের মাঝে দিনদুয়েক দিব্যি কেটে যেতে পারে শান্তিতে, সাথে মুর্শিদাবাদের অজস্র ঐতিহাসিক দ্রষ্টব্য। গাড়ীর ব্যবস্থা এখান থেকেও হতেই পারে। পরিশেষে বলি বর্তমান রাজামশাই শ্রী পল্লব রায়, রানীমা আর তাঁদের একমাত্র পুত্র সৌরভের আন্তরিকতা, আতিথেয়তা আর অমায়িক ব্যবহার হবে বাড়তি পাওনা। ব্যাক্তিগত উদ্যোগে কোনো সরকারী বা অন্য সাহায্য ছাড়া যেভাবে এই বিশাল রাজবাড়ী, প্রাচীন তথ্যাদি, আসবাব, বহিঃপ্রাঙ্গন রক্ষনাবেক্ষনের প্রয়াস ওনারা চালাচ্ছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। দূরভাষ- ৮৫৮৪০৩৫৬৬৩ (এস্টেট ম্যানেজার নিশীথ ঘোষ)। দ্রষ্টব্যের কিছু চালচিত্র আর রাজামশায়ের সাথে আমার আলাপচারিতার একটা ছবি দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না । ইতিহাসের সংকলনে শ্রীযুক্ত পল্লব রায় (বর্তমান বংশধর) এবং আশীষ কুমার মন্ডল প্রনীত "কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ীর ইতিহাস" (যে বইটি রাজামশাই আমায় উপহার দিয়েছেন) বইটির কাছে ঋণ স্বীকার করি।
---------রাজার দেশ--------
সে এক ভারি আজব দেশ/রাজা মন্ত্রী আছেন বেশ। সত্যিই রাজার দেশ। আজব দেশ কিনা জানিনা,তবে অপূর্ব সুন্দর এ দেশ। ভুটান। ট্রেনে প্রথমে হাসিমারা। ওখান থেকে জয়গাঁ। এখান থেকেই দেখা যায় ভুটানের বিশাল প্রবেশদ্বার । ওপারে ফুন্টশোলিং। ভুটানে থাকার জন্য এখান থেকেই অনুমতি পত্র নিতে হয়। অনুমতি পত্র হাতে নিয়ে কিছুটা সময় থাকায় কাছেই একটা বৌদ্ধ গুম্ফা ঘুরে নিলাম।রাতটা জয়গাঁতে কাটিয়ে পরদিন পারো যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলাম। চলার পথের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে চোখ জুরিয়েযায়|রাস্তা গুলো এত পরিষ্কার যে একটা পাতাও পরে থাকতে দেখা যায়না|প্রায় বিকেল বেলায় গিয়ে পৌছালাম পারোতে। ছবির মত সুন্দর শহর। মনে হচ্ছিল ভগবান অনেক সময় নিয়ে সযত্নে এই শহর সৃষ্টি করেছেন।দূষণমুক্ত শহর।চারদিকে অক্সিজেনের সম্ভার। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে পারো ছু। ছু কথার অর্থ নদী। সন্ধ্যাবেলা পায়ে হেটে চারপাশে ঘোরা যায়। কমলালেবু গাছ,আপেল বাগান দেখলাম। আর দেখলাম National Museum,Paro Taktsang,Paro Dzong,Paro International Airport,Chele la pass.চেলেলা তে খুব ঠান্ডা হাওয়া বয়|এখানে দুদিন প্রাণ ভরে বাতাস নিয়ে চললাম রাজধানী থিম্পুর দিকে। খুব Decipline মেনে চলে এরা। কোথাও ট্রাফিক সিগন্যাল নেই তবু গাড়ি গুলি নিয়ম মেনে চলে। কাওকে রাস্তা পার হতে দেখলে গাড়ি-চালক নিজেই গাড়ি থমিয়ে দেয়।এখানে দেখলাম Chorthen Monestry,Buddha Monestry,point view,Buddha point,Thimpu Dzong,National Library,Takin preserve,Dochula.Takin ভুটানের জাতীয় পশু| আমারা স্হানীয় পোশাক পরে স্হানীয় নৃত্য শিল্পীদের সাথে আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। স্হানীয় বাজারে বেশ সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়। তবে দরদাম করে নিতে হয়। এককথায় রাজার দেশ ভুটান অবর্ণনীয় । একটুকরো রাজস্হান-- জয়পুর এবার পুজোতে golden triangle tour এ গেছিলাম,দিল্লী-আগ্রা-জয়পুর। প্রথমবার রাজস্হানের রাজধানী শহরে প্রবেশ করতে গিয়েই মুগ্ধ হলাম দূর থেকে আমের বা অম্বর ফোর্টের দীর্ঘ প্রাচীর দেখে। মনে হল যেন মুহূর্তে কোনো ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়লাম,রাজকীয়তা,গল্পে শোনা রাজপুত কাহিনীর অন্দরমহলে। আমের দ্বারের ফটক দিয়ে জয়পুর শহরে ঢুকতেই সেই বিখ্যাত গোলাপী রঙা পুরোনো পুরোনো প্রাসাদ, তার গায়ে নানা রকম রাজস্হানী পসরা সাজানো দোকান--- কেমন যেন হাতছানি দিয়ে ডাক দিলো। হোটেলে পৌঁছেই অম্বর ফোর্টের বিখ্যাত light n sound show দেখতে সন্ধ্যায় বেড়িয়ে পড়েছিলাম।কিন্তু ওখানে গিয়ে শুনলাম যে দিনটা নবরাত্রি,তাই স্হানীয় প্রচুর লোকের ভীড় হওয়ায় 6.30 ও 7.30 টার দুটো শো বাতিল। অগত্যা মন খারাপ নিয়ে ফিরে আসা,তবে রাতের আমের দুর্গের শোভাও অতুলনীয়। ফেরার পথে জলমহলের লেকের ধারে বসে স্হানীয় মেলার মত হাটের মজা নিলাম কিছুক্ষণ। পরের দিন একজন বাঙালি গাইড দাদাকে সঙ্গে নিয়ে ইতিহাসের সরনী ধরে রওনা দিলাম। কতটা সত্য,কতটা মিথ্যা জানি না,তবু এক এক জায়গার গল্প শুনছি আর শিহরিত হচ্ছিলাম ভেবে যে রাজকীয়তা - আত্মমর্যাদাবোধ রাজপুতদের থেকে শিখতে হয়। হাওয়ামহল দেখে শুনলাম যে রাজবাড়ির মহিলারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতেন ওখানে। যন্তর মন্তর - আমার দেখা বিস্ময়ের একটা জায়গা। রাজা জয় সিংহ২ কতটা বিজ্ঞান সচেতন এবং সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন তার প্রমাণ ওখানে। ঘড়ি ছাড়া সূর্যের আলো দেখে সময়ের হিসেব,রাশিচক্র,দ্রাঘিমা- অক্ষাংশের হিসাব,যেকোনো দিনের লগ্নের অবস্হান... সব কিছু নিয়ে ওঁনার গবেষণা নজিরবিহীন। তারপর এলাম আমরা জয়পুরের রাজপ্রসাদে,সিটি প্যালেসে। রাজবাড়ির সংগ্রহশালা ঘুরে দেখলাম। শুনলাম বর্তমান রাজার বয়স ১৯ বছর,যিনি বিদেশে পড়াশুনা করছেন,রাজার অবর্তমানে রাজবাড়ির একটি পতাকা নামানো থাকে। ঘুরে ঘুরে দেখলাম রাজবংশের লোকেদের যুদ্ধের সরঞ্জাম,রাজপোষাক,তৈলচিত্র ইত্যাদি।আর আছেন রাণী গায়ত্রীদেবী,যাঁর ছবি- বই সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে। কিছুজায়গায় ছবি তোলা নিষিদ্ধ। বাইরে দেখলাম কোনো ফিল্মের শুটিং চলছে,এখানের এটি নাকি রোজকার ব্যাপার। কথিত আছে যে রাজা মাধব সিংহ বড় বড় দুই ঘড়া গঙ্গার জল নিয়ে বিদেশ যাত্রা করেছিলেন,সেই ঘড়াগুলো সংগৃহীত আছে।রাজা রাম সিংহের চিন্তাধারা থেকেই জয়পুর শহরকে পিংক সিটি রূপে সাজানো হয়। এরপর আমরা আমের ফোর্ট দেখার উদ্দেশ্যে যেতে আরেক জগতে ঢুকে পড়ি। শহর থেকে বেড়িয়ে পাহাড়ে ঘেরা রাজা মান সিংহের রাজত্ব। পথবিস্তৃত প্রাচীর শহরকে ঘিরে আছে। বেশ অনেকটা সিঁড়ি বেয়ে গিয়ে পৌঁছালাম রূপকথার রাজ্যে। কি অসাধারণ কারুকার্য প্রতিটি কোণায়। রাজার ১২ জন রাণীর আলাদা মহল। তাদের রান্নাঘর,বাগান,স্নানঘর,রাজার মহল... সব দেখে মুগ্ধতায় ভরে ফেরার পালা।এখানে হাতির পিঠে চড়ে ঘোরার ব্যবস্হাও আছে। ফেরার পথে জলমহল দেখে ফিরলাম।আমাদের সাথে বয়স্ক মানুষরা থাকায় নাহারগড়-জয়গড় দুর্গ দেখা সম্ভব হয় নি। তবু আশা নিয়ে থাকলাম যে অদুরভবিষ্যতে রাজস্হান সফরে এসে অসম্পূর্ণ জায়গাগুলো দেখে নেবো। সন্ধ্যাবেলা জয়পুরের মেট্রোরেল চেপে হাওয়ামহলে এসে স্হানীয় টুকিটাকি হাতের কাজের জিনিস কেনা হল। এখানের মেট্রোর সঙ্গে আমাদের কলকাতার তফাত অনেক,এত ফাঁকা কামরা,লোকে ব্যবহার কমই করে। আর আছে জয়পুর জুড়ে শুধু বিদেশীদের আনাগোনা,নানা দেশের এত মানুষের সমাগম অন্য কোনো জায়গায় কম দেখা যায়। তবে জয়পুর শহরের রাস্তার জ্যাম আমাদের মত কলকাতাবাসীকেও অধৈর্য করে তুলেছিলো। হয়ত দশেরার সময় বলে একটু বেশি ছিল। এই প্রথম ওখানে রাবণদহনও চাক্ষুষ করলাম। সব মিলিয়ে দুটো দিন বেশ কাটলো রাজকীয় প্রাসাদ-রাজস্হানী পোষাক- জয়পুরী সাজার জিনিস- রাজস্হানী থালি- রাজকাহিনীর স্বাদ নিয়ে Post By-Bidisha Basu
রৌদ্র বেলার গান ....
মনের মধ্যে আকুতি শুরু হলে, তাকে থামায় কার সাধ্যি ! বছরের দিন কার্তিক মাস ছুঁই ছুঁই তবু রোদের তেজ কমে না এতটুকু । মায়ের আগমনী গাইছে আকাশ -বাতাস, তার সাথে সব ফেলে মন ছুটছে । সকলে সকাল সকাল অর্ঘ্য সাজিয়ে সুবেশে চলেছে মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিতে । আমি আজকাল অঞ্জলি দিই না, তেমনভাবে পুজো দিই না মাকে । আমার পুজো অন্যরকম , সে কথা পরে কখনো হবে। ছেলেদের মঙ্গল-কথা চিন্তা করে কোনরকমে মায়ের পুজো পাঠিয়েই দে ছুট । কু-ঝিক্ রেলের গাড়ি চড়ে গুপ্তিপাড়া, ৪০০ বছরের পুরোনো পুজো দেখতে সেন বাড়ি । মাঠঘাট ডিঙিয়ে ছুটে চলেছে ট্রেন , তাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে আমার মন ; সে আগেভাগে পৌঁছে যাচ্ছে পরের গন্তব্যে, এতটাই অস্থির সে । দিগন্ত ছোঁয়া ঘন সবুজ ধানজমি ছোটবেলার আঁকার খাতা থেকে উঠে আমার রেলগাড়ির জানলা ছুঁয়ে ফেলেছে । আমিও মনে মনে তার আশ্চর্য মসৃণ বুকে শুয়ে শুয়ে আকাশ দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম গুপ্তিপাড়া । ট্রেন থেকে নেমে টোটো-ভাইদের সাথে হিসেবের বোঝাপড়া শেষ করে পাড়ি দিলাম গন্তব্যে। আজ সঙ্গে আছেন আমার ঘরের মানুষটিও; দুজনে মিলে এদিক-ওদিক নিরীক্ষণ করতে করতে চলতে লাগলাম । টোটো দাদা আমাদের অর্বাচীন পেয়ে গুপ্তিপাড়া সম্পর্কে নানা কথা বলতে লাগলেন । বেশ শহুরে মৌতাতে এক গ্রামীণ জীবনের ছবি প্রত্যেক বাড়ির আঙিনায় , তাতে অরণ্যের ঘ্রাণ টের পেলাম । রাতের বেলা শেয়াল ভাকে মনে হয় । জায়গাটার মাঝে মাঝেই ঘন জঙ্গল । নিবিড় বাঁশবন শ্লোক বলা কাজলা দিদির কথা মনে পড়িয়ে দিল । এ কিন্তু কোন মফস্বল নয় ; পুরোপুরি ধোপদুরস্ত একখানা গ্রামের গন্ধ না মুছতে পারা শহর। এখানে ওখানে বাঁশ পুঁতে তার ওপরে আরেকটা বাঁশ রেখে অনেকটা ধোপাদের জামা-কাপড় মেলার দড়ির মতো করে তাতে পাট শুকাতে দেওয়া হয়েছে, চুড়ো করে চুল বঁধার মতো করে পাশে পাটের কাঠিরাও ঠায় রোদে দাঁড়িয়ে । দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম গুপ্তিপাড়ার একমাত্র জমিদার বাড়ি, সেন-বাড়ি । বাড়ির সামনের মাঠে জোড়া শিব মন্দির পেরিয়ে দেখি বহুকাল আগের এক পেল্লায় লোহার দরজা হাট করে খোলা , হয়তো দুর্গা পুজো বলে । আমরা সে দরজা দেখতে দেখতে ঢুকে পড়লাম ঠাকুর দালানে কেউ এলো না বাধা দিতে । অঞ্জলি সবেমাত্র শেষ হয়েছে । সাবেকী ঠাকুর দালান, সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় , সুন্দর একচালা মূর্তি । চারদিকে রঙীন ফুলে সাজানো । পুজোর আবেশে মুগ্ধ মানুষজন আভিজাত্যের গন্ধ মেখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমন সুন্দর পরিবেশ যে ভক্তি আপনা থেকেই জেগে উঠবে । আমারও মা কে প্রণাম জানালাম । আমার মনে এইসব পুরনো বাড়ির দুর্গাপুজো দেখার আনন্দ জাগানো এক ফেসবুকতুতো ভাইয়ের সাথে দেখা । তার আসার কথা জানতাম, অনেকক্ষণ এসেছে সে । তার চেহারা সম্পর্কে মনে অন্যরকম ধারণা ছিল, সব ভেঙে গেল তাকে দেখে । সাধারণ চেহারার একজন মানুষ সে, গলায় একটা নিকনের দামী ক্যামেরা ঝুলছে । শুধু তার চোখ দুটিতে অসাধারণ কিছু কুড়িয়ে নেবার দৃষ্টি , অনেকটা তার ক্যামেরার মতো । এই যে কলকাতার পুজোর জাঁকজমক ছেড়ে এমন অল্পবয়সী একটা ছেলে গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে গ্রাম বাংলার পথে পথে, আমার ঘরের লোকটি বলেন, এ এক ধরণের পাগলামি; যা সেই ভাইটি আমার মাঝে চারিয়ে দিয়েছে। আমার কর্তার মধ্যেও সে পাগলামি কিছুটা হলেও ছেয়েছে তা কে শোনে ! এমনি আরও কত ফেসবুকীয় বন্ধুর মধ্যেও এই পাগলামি ছেয়ে যাচ্ছে রোজ রোজ, সেসব জেনেছি, খুব ভালো লাগছে । এক বয়জেষ্ঠ্য ব্যক্তির মুখে শুনলাম এই পুজোটা বল্লাল সেনের বাড়ির পুজো, প্রায় ৪০০ বছরের পুরানো ; মাটির বেদীতে বসানো হয়েছে মাকে । ওনারা সেই বেদীকে শ্বেতপাথর দিয়ে বাঁধাতে চেয়েও পারেন নি, স্বপ্নাদেশ পেয়ে থেমে গেছেন । মাটির ওই বেদীর নীচে পঞ্চ মুণ্ডির আসন আছে । তাঁদের কোন একএকজন পূর্বপুরুষ সেখানে কখনো তন্ত্র সাধনা করতেন বলে কথিত আছে । মায়ের মূর্তিটিও লম্বায় অদ্ভুতভাবে প্রতিবছর একই আকারের হয় ; আশ্চর্যজনকভাবে প্রতি বছর একই বংশ পরম্পরাগত মানুষজন ঠিক হাজির হয়ে যান মূর্তি গড়ার প্রাক্কালে । আর এই একচালার মূর্তিতে প্রত্যেক দেবতার বাহন থাকলেও মা-লক্ষ্মীর কোন বাহন কখনো বানানো হয় না । কোথাথেকে ঠিকসময়ে সাদা প্যাঁচা উড়ে আসে, যদিও পুজো চলাকালীন তার দর্শন আমরা পাই নি , কিন্তু বাড়ির মানুষের বিশ্বাসের হস্তক্ষেপ করতে মন সায় দেয় নি । অন্যরকম আবেগে সাময়িক বিভোর হয়ে গেলাম আমরাও। তাঁদের সেই পুরোনো দিনের জমিদারীর ঠাকুর দালানে দাঁড়িয়ে আমাদের অবিশ্বাসী শহুরে মন কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হল না পুজোর গল্প শুনে । চোখ বুজে তাঁর কথাই মেনে নিতে কেউ যেন বাধ্য করল। (ক্রমশ ) --- উপহার আমার মধ্যে ইচ্ছা-চারিয়ে দেওয়া সেই ভাইটি কে Subhajit Dutta # পথ নির্দেশ : হাওড়া কাটোয়া লাইনের ট্রেন ধরে গুপ্তিপাড়া স্টেশনে নেমে টোটো ধরে যাওয়া যায় । হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে প্রায় পৌনে দু'ঘন্টা গুপ্তিপাড়া ।
Post By-Sen Mithu Sen
Post By-Prasun Nandy
Post By-Sumon Dasgupta
অনেকদিন আগে একবার এক নাগাল্যান্ডবাসীর সাথে আলাপ হয়েছিল কথায় কথায় সে একবার বলেছিল কি একটা valley আছে ওখানে । ব্যাস মাথায় ঢুকে গেলো । ক্যাপ্টেন কে আবদার বাবয়স্থা করো। হঠাৎ জুনে মাসে ফোনে ক্যাপ্টেন এর আদেশ হলো 19 অগাস্ট ticket কেটে ফেল dimapur এর । ক্যাপ্টেন এর আদেশ কেটে ফেললাম। গন্তব্য dzouku valley। 19 তারিখ air india র ফ্লাইট সকালবেলা । ঠিক দেড় ঘন্টা পরে dimapure এ নামলাম। lagguge নিয়ে বেরিয়ে গাড়ি দরদাম । সেটা এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা গুগলে বলছে 70 km কিন্তু ওদের ভাড়া খুব বেশি অনেক দামাদামির পর সাড়ে চার হাজার এ রফা। গাড়ি ছাড়ল উদ্দেশ্য kohima। এবার বুঝলাম কেন এত ভাড়া সময় লাগলো প্রায় চার ঘণ্টা না থেমে গিয়ে। মানে রাস্তার অবস্থা কোহতব্য নয়। যাক গে কোহিমা নাইট halt। কিন্তু সেও অদ্ভুত জায়গা বিকেল সাড়ে পাঁচ টার পর সমস্ত দোকান বন্ধ। আগে থেকে বুক করা orchid homestay যে উঠলাম। কেও কোথাও নেই ফোনে ফোনে চাবি এলো ব্যাস আর কারো পাত্তা নেই। একটা হোটেল এ বলে কোনো ক্রমে 12 জনের রাতের খাবার দিলো তাও 1 ঘন্টা পরে কারণ রান্না করে দিলো। পরের দিন সকালে রওনা visyama র দিকে ঐখান থেকে আমাদের ট্রেক suru. ওই রাস্তা মোটামুটি ভালো। visyama পৌঁছলাম 11টার দিকে। এবার পায়ে হাঁটা। প্রথম এক ঘন্টা তেই অবস্থা খারাপ টানা খাড়া চড়াই । তারপর প্রায় সমান। সামান্য ওঠা নামা কিন্তু ভালো লাগলো। ট্রেকার hut এ পৌঁছুতে পৌঁছুতে বিকেল 4 টা। কিন্তু মন প্রাণ ভরে গেল এত সবুজ এত নির্জন অকল্পনীয়। মনে হচ্ছে পাহাড়ের উপর সবুজ গালিচা বেছান। একটা নদী বয়ে চলেছে । এতটাই নির্জন যে নিজের শাসপ্রশ্বাসের শব্দ নিজে শোনা যাচ্ছে।পাখির কলতান নদীর শব্দ সব মিলে মিশে এক অসম্ভব সুন্দর সুর ছন্দ লয়। দু রাত ছিলাম। খাবার ঐখানেই বললে বানিয়ে দেয় কিন্তু দামটা বেশ চড়া। ফোনের tower নেই current নেই টিভি নেই কোলাহল নেই আছে শুধু প্রকৃতি । একই পথে ফেরা। তবে ফেরার দিন আমি একটু আগে বেরিয়ে পড়লাম যাতে এক চলা যায়। তিন ঘন্টা না কথা বলে শুধু নদীর শব্দ শুনতে শুনতে পাখির গান মাখতে মাখতে চলেছি এক অপার্থিব আনন্দ র মধ্যে দিয়ে। ওইদিন কোহিমা ঘোরা । কিছু অদ্ভুত বাজার দেখলাম খাদ্য হিসেবে যা বিক্রি হচ্ছে তা আমরা শুনলেও বমি আসবে কিন্তু এটাই ওখানের খাদ্য। এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা।লোকজন খুবই বন্ধু সুলভ এবং প্রচন্ড helpfull। পর দিন মানে 24 তারিখ ভোরে বেরিয়ে dimapur হয়ে বিকেলে কলকাতা। ঘুরে আসতে পারেন শুধু আগে থেকে iner line permit টা করিয়ে নেবেন নাগাল্যান্ড হাউস থেকে কেটে রাস্তায় চেক না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।আর যাবার কয়েক দিন আগে একটু হাঁটাহাঁটি করে নেবেন। সঙ্গে ড্রাই fruits রাখবেন র অবশ্যই চকোলেট। নুন নিয়ে গেছিলাম জোকের জন্য লাগেনি। আগস্টে গেলে dzouku লিলি পাবেন আর পাবেন সবুজ। শীতে সবুজ পাবেন না। রেইনকোট রাখবেন ,আমাদের কিন্তু লাগেনি। কোহিমা তে dogmeat বা frog meat try করতে পারেন। আসার সময় নিয়ে আসবেন নাগা ঝোলাকিয়া লংকা , bamboo shoot। প্রথম পোস্ট লিখলাম ভুলচুক মার্জনীও।
|
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |