সংক্ষিপ্ত সফরে প্রাচীন রেশম পথ
এটা যদিও ঠিক weekend tour নয়, তবুও কেউ চাইলে পাঁচ দিনের মধ্যে ঘুরে আসা যায় আমাদের পাশের রাজ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিকিম এর পূর্ব দিকের এই সুন্দর জায়গাটি থেকে। এখন খুবই জনপ্রিয় একটি বেড়ানোর জায়গা এই silk route. রাতের কোনো ট্রেন এ চেপে সকালে পৌঁছে যান NJP station. সেখান থেকে কোনো গাড়ী ভাড়া করে দুপুরের মধ্যে সিলারিগাঁও পৌঁছে বিশ্রাম নিন। পরের দিন সকালে ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে মেঘমুক্ত আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ সুন্দর view দেখতে পারেন পেতে পারেন। ওখান তেজে breakfast করে বেরিয়ে পড়ুন রিশিখোলা, রংলি হয়ে জুলুক এর উদ্দেশ্যে। silk route এ ভ্রমণ এর জন্যে permit রংলি থেকেই করাতে হয়, এর জন্যে লাগবে 2 copy voter card এর photocopy আর 1 copy photo. গাড়ীতে করে ঘুরতে ঘুরতে বিকালে পৌঁছে যান জুলুক। জুলুক হচ্ছে মেঘে দের রাজ্য, হটাৎ করে কখন যে মেঘ এসে আপনাকে ঘিরে ধরবে টের এ পাবেন না। ওই রাত টা জুলুকে কাটিয়ে পরের দিন সকালে বেরিয়ে পড়ুন silk route বলতে যে জায়গা তা আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই zigzag way দেখতে। যদি পরিষ্কার আকাশ থাকে তো সব সময় আপনাকে সঙ্গ দেবে সুন্দর নীল আকাশে বরফাবৃত কাঞ্চনজংঘা। এই zigzag way দেখার সব থেকে সুন্দর জায়গা হলো Thambi view point। এখান থেকে আপনি দেখতে পাবেন three layer zigzag way. তার পর চলে যান Gnathang valley হয়ে পুরোনো বাবা মন্দির দেখে kupup lake বা elephant lake. এই পথে যাওয়ার সময় দূর থেকে দেখতে পাবেন ভারত চীন সীমান্তের দোকালম। সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণের kupup lake এর একদম কাছে যাওয়া যায় না। দূর থেকেই দেখে নিতে হবে elephant আকৃতির এই নীল জলের হ্রদ টিকে। kupup দেখে এবার এগিয়ে যান ওই রাস্তা ধরেই ছ্যাঙ্গু lake এর দিকে। এই রাস্তায় আপনার চোখে পড়বে memencho lake, দূর থেকে দেখে মনে হবে পাইন বনে ঘেরা নীলকান্ত মণি। তার পর আরো এগিয়ে গিয়ে পাবেন নতুন বাবা মন্দির ও ছ্যাঙ্গু lake. হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন nathula pass ও। ছ্যাঙ্গু দেখে ওই রাস্তা তেই ফিরে আসতে পারেন জুলুক হয়ে podomchen বা কেউ gangtok ও চলে যেতে পারেন। পদমচেন বা gangtok থেকে পরের দিন গাড়ী করে NjP ফিরে রাতের train এ ফিরে আসুন কলকাতা। এই route বরফ পড়লে তার সৌন্দর্য অতুলনীয়, তবে তখন পুরোপুরি silk route complete করা সম্ভব নাও হতে পারে। যাদের হাতে সময় আরো কম তারা চাইলে njp থেকে ওই দিন podomchen চলে যান পরের দিন সিল্ক route ঘুরে পদমচেন এই রাত কাটিয়ে পরের দিন NJP ফিরে রাতের কোনো train ধরতে পারেন। সব ছবি ক্যামেরা বন্দী করে আনা সম্ভব নয়, কিছু জিনিস শুধু চোখে আর মনেই থেকে যায়।
0 Comments
2018 এর পূজায় ঘুরে এলাম পাহাড় আর সমুদ্রের সুন্দর মিশ্রনের শহর বিশাখাপত্তম থেকে .. খুব পরিষ্কার পরিছন্ন শহর ..
আমি ঘুরতে বেরোবো আর কোনো বিপত্তি থাকবে না এটা সম্ভব নয়.. জীবনে প্রথম বার দক্ষিণ ভারত যাবো ..একটা উত্তেজনা কাজ করছিলো .. চার মাসে আগে টিকেট কেটে তৈরি হতে থাকলাম ... ঠিক ছিল 6 জন যাবো .. পূজার আগে দয়ে হটাৎ তিতলি সাইক্লোন এ চার জন যাওয়া বাতিল করে দিলো..আমি বললাম যদি রেল ট্রেন বাতিল না করে তো যাবো ... দেখি কি হয় .. অবশেষে আমি আর আমার স্ত্রী গেলাম ... হাওড়া থেকে দুপুর 2.55 র ট্রেন ধরলাম ...বিশাখাপত্তনম গিয়ে পৌছালাম পরদিন ভোর 4 টের সময় .. ট্রেনটি খুব ভালো ট্রেন .. মোটামুটি ঠিক সময়েই পৌঁছায় .. স্টেশন থেকে অটো নিয়ে পৌঁছে গেলাম আমাদের হোটেল এ ..যেটা শ্রী কৃষ্ণা মন্দির র কাছে অবস্থিত ছিল ... একটু ফ্রেশ হয়ে রামকৃষ্ণ সমুদ্র তটে চলে গেলাম সকাল 5.30 এ.. খুব সুন্দর পরিষ্কার পরিছন্ন .. প্রায় 8 তা পর্যন্ত সমুদ্রে কাছে থাকলাম ..এর পর ধোসা খেয়ে জল খাবার শেষ করে হোটেল এ চলে এলাম .. এর পর স্নান করে বের হলাম .. প্রথম দিন ::: একটি অটো ধরে সাইড সীন দেখতে বেরিয়ে পড়লাম প্রায় 9.30 এ .. গন্তব্য yarada বিচ - light house-viskha port-visakha maritime musueam- kailash giri.. Yarada বিচ খুব পাথুরে বিচ সাধারণত কেউ স্নান করে না কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ ..যাওয়ার রাস্তাটাও অসাধারণ ..দুটো পাহাড় পেরিয়ে যেতে হয় এই বিচ এ..( এই প্লান এ যদি কেউ যান সময় তা একটু পিছিয়ে করবেন মোটামুটি 12.30 এ বেরোবেন কারণ light house খোলা থাকে 3 pm থেকে 5 pm. সে কারণে আমরা দেখতে পাইনি light house.. আমরা পৌঁছে ছিলাম 1.30 তে ..)..এর পর চলে যাই বিশাখা বন্দর ..এটা একটি সামুদ্রিক মৎস বন্দর ..প্রায় 2-3 km জায়গা জুড়ে শুটকি মাছ পরে থাকে ..প্রচন্ড দুর্গন্ধ- অনেকেই সাহায্য করতে পারেন না ....একদিকে শুটকি মাছ আর একদিকে শয়ে শয়ে troller দাঁড়িয়ে থাকে .. এখানে যখনি আসবেন এখানে একটা ট্রলারে করে সমুদ্র যাত্রা করানোর ব্যবস্থা আছে ...ওটা অবশ্যই চড়বেন ..4 জনের কমে ওটা করানো হয় ..আমাদের দুর্ভাগ্য 30 মিট অপেক্ষা করেও কেউ না জোটায় আমাদের চড়া হয়নি ...এর পর রাস্তায় lunch করে বেরিয়ে পড়ি বিশাখা museam র উদ্দেশ্যে ..সুন্দর সাজানো গোছানো...এটা হলো একটি সামুদ্রিক সংগ্রহশালা... এর পর গেলাম কৈলাশ গিরি.. রোপওয়ে কওপরে উঠা ..টয় ট্রেনে যখন ওপর থেকে বিশাখাপত্তনম শহরটাকে দেখা যায় অপূর্ব লাগে ..এরপর হোটেলে ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম ...সন্ধ্যার সময় একটু সমুদ্রে গেলাম আর ফেরার সময় রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে ফিরলাম ..
দ্বিতীয় দিন ::
সকালে সমুদ্র থেকে ঘুরে আসার সময় জল খাবার খেয়ে আবার অটো ধরে বেরিয়ে পড়লাম..এবারের গন্তব্য ...bheemi beach- thotlakonda- ramanaidu film studio- rishikonda beach- indira gandhi zoological garden.. Bhee বিচ শহর থকে অনেকটাই দূরে অনেক অটোওলাই যেতে চান না ..কিন্তু গিয়ে প্রাণ জুড়িয়ে গেলো ..কোনো কোলাহল নেই খুব সুন্দর ..এর পর গেলাম thotlakonda.. এটা পাহাড়ের ওপর একটি বৌদ্ধ স্তুপ ..ওপর থেকে vizag শহরকে খুব সুন্দর লাগে ..এর পর গেলাম ramanaidu film studio .. যদিও এটা বন্ধ ..এটি এখন tourist spot .. Shooting studio বিভিন্ন সেট মুভি ক্যামেরা ঘুরে দেখলাম ..এটিও পাহাড়ের ওপরে ..ভিউ পয়েন্ট থেকে শহর কে অসাধারণ লাগলো ..এর পর ঋষিকোন্ডা বিচ ..এটি এই একমাত্র বিচ যেখানে স্নান করা যায়..আমরা যখন গিয়ে পৌঁছলাম তখন প্রায় 1.30 বাজে .. পুরো মনে হচ্ছিলো দিঘা বিচ এ দাঁড়িয়ে আছি...প্রচুর ভিড় ...ওখানে কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে ..ওখানে lunch করে চললাম zoo দেখতে ..টিকেট কেটে টোটো ভাড়া করে নিন ..পুরো zoo ঘুরিয়ে দেবে 200 টাকা নেবে ..ওখান থেকে রামকৃষ্ণ বিচ এ এসে অটো ছেড়ে দিলাম .. এখানে submarine musueam, aircraft musueam আর matsodarshini দেখে হোটেল এ ফিরলাম..সময়ের অভাবে VUDA পার্ক দেখা হলো না .. রাতের খাবার খেলাম কালী মন্দির এর কাছে নিরালা সৈকত বাঙ্গালী রেস্টুরেন্ট এ মাছ ভাত সহযোগে.. তৃতীয় দিন :: আরাকু: আগে থেকেই টিকেট করা ছিল ..(গ্লাস কোচ র টিকেট পাইনি তাই 2s সিট reserve (40/-) করেছিলাম )..kirandul passenger এ 6.55 এ চেপে বসলাম,আরাকু যেতে হলে চেষ্টা করবেন ট্রেন এ যেতে ... ট্রেন ছাড়া 70 তা tunnel আর 52 তা রিজ এর ওপর দিয়ে ট্রেন এর ছুটে চলার মাদকতা অনুভব করতে পারবেন না ..আরাকু ট্রেন ছাড়া প্রাইভেট গাড়ী আর বাসে করে যাওয়া যায়..আমরা আরাকু তে নামিনি ,নেমেছিলাম bora ghilu স্টেশন এ প্রায় 10 তা নাগাদ .ওখান থেকে অটো নিয়ে bora cave-ananthagiri water falls- anathagiri coffee plantation -galikonda view point- tribal museam- botanical garden ঘুরেছিলাম ..borah cave দারুন ...(1807 সালে geological survey of india r william king george এটি আবিষ্কার করেন ..এটি একটি প্রাকৃতিক গুহা , গোষ্ঠনি নদীর বয়ে যায় এই গুহা দিয়ে, এই গুহা ওই নদীর বয়ার পথে যেসব স্থানে চুনাপাথর ছিল সেখানে তৈরি হয়েছে )খুব ভালো করে সংরক্ষন করা হয়..এই tour এ আপনাকে দুটো জিনিস খেয়ে দেখতেই হবে একটি হলো bamboo chiken আর একটি হলো stick chiken. এছাড়া এখানকার সেদ্ধ ভুট্টাও খুব ভালো .. আসার পথে আর ট্রেন নয় ..কারণ যদিও সঠিক সময় 3.40 pm .. প্রতিদিন ওই ট্রেন আরাকু ঢোকে প্রায় 1.30 থেকে 2 ঘন্টা দেরিতে .আমাদের আরাকু ভ্রমণ শেষ হলো 3 তে নাগাদ . লাঞ্চ করে 4 তে নাগাদ aptdc r বাস এ করে 8.30 নাগাদ হোটেল পৌছালাম ..
চতুর্থ দিন ::
সকালে জিলা পরিষদের সামনে থেকে 28H বাসে করে seemacholom mondir দর্শন করে( 11 তার আগে যাবেন.. 11-2 পর্যন্ত মন্দির বন্ধ থাকে) রামকৃষ্ণ বিচ এ স্নান করে হোটেল এ এসে রেস্ট করলাম ..সন্ধ্যায় বেরোলাম ..শুনলাম জগদম্বা মার্কেট ওখানকার বড়ো মার্কেট ..আগে শুনেছিলাম বিশাখাপত্তনম এর স্টিলের বাসন খুব ভালো ..কিছু মার্কেটিং করলাম ..দাসপাল্লার হোটেল র বিরিয়ানি দিয়ে রাতের খাবার করে হোটেল ফিরলাম .. পঞ্চম দিন : সকাল 8.30 র অমরাবতী এক্সপ্রেস ধরে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম রাত 11 তা নাগাদ বাড়ি পৌঁছে গেলাম ..
রেকংপিও থেকে কল্পা আসার পথে গাছপালা ও বাড়ি ঘরের ফাঁক ফোকর দিয়ে দেখা যায় কিন্নর কৈলাস, কল্পায় এসে ধরা দেয় একদম হাতের মুঠোয়।বরফে মোড়া পাহাড়ের সারি অন্যদিকে চোখ সরাতে দেয় না, চারপাশের তুষার মোড়া পর্বত শৃঙ্গের মাঝে মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছয় হাজার পঞ্চাশ মিটারের কিন্নর কৈলাস শৃঙ্গ।
হিমালয়ের গভীরে বেশ কয়েকটি কৈলাস রয়েছে। তারমধ্যে তিব্বতের মানস সরোবরের উপরে যে কৈলাস রয়েছে - তার নামডাক ও খ্যা তি সর্বাধিক। তবে সেটা তো আমরা হাত বাড়ালেই পাইনা তাই ভারতে স্হিত ত্রি কৈলাস কে নিয়ে আমরা বেশির ভাগ সন্তুষ্ট থাকি। ভারতে স্হিত ত্রি কৈলাস হলো - মনি কৈলাস, মিনি কৈলাস ও কিন্নর কৈলাস। এদের মধ্যে কিন্নর কৈলাস সব থেকে জনপ্রিয়। কিন্নর কৈলাস পর্বত শ্রেণীর নামটিও সুন্দর - রুলডুং ( Ruldung) পর্বত শ্রেনী। কথিত আছে আঠেরো হাজার ফুট উচ্চতা সন্পন্ন কিন্নর কৈলাসের পাহাড় চূড়ায় প্রহ্লাদ পৌত্র বলিমহারাজের জ্যে ষ্টপুত্র বানাসুর দীর্ঘ তপস্যার পর এই পাহাড়ের উপর মহাদেবের সাক্ষাৎ পান। তিনি এরপর সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতে কৈলাসের শিখরে একটি ৭৩ ফুট উচ্চতা সন্পন্ন বিশালাকার শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করে পূজা সমাপন করেন। চারপাশে তুষার মোড়া পর্বত শৃঙ্গের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে কিন্নর কৈলাসের শৃঙ্গের ডানদিকে খানিকটা নীচেই বিখ্যাত শিবলিঙ্গ টি দেখা যায়। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে কল্পনার সমস্ত অঞ্চল থেকে দেবাদিদেব কে দেখা যায়। শিবলিঙ্গটি তে সূর্য কিরন সারা দিন বিচ্ছুরিত হয়ে নানা রঙের প্রতিফলন সৃষ্টি করে নিত্যর নতুন মায়াজাল বিস্তার করে আমাদের তার দিকে আকর্ষিত করে। মানস কৈলাসের মত কিন্নর কৈলাসকেও পরিক্রমার নিয়ম আছে।অত্যেন্ত বিপদ সঙ্কুল পথ। হিমালয়ে পরিভ্রমণে অভ্যস্ত সাধুসন্ত এবং দুঃসাহসী ট্রেকাররা এই পরিক্রমায় অংশ নেন। তবে আমরা যারা সেই পরিক্রমায় অংশ নিতে পারিনা তারা দূর থেকে তৃষিত নয়নে এবং বিস্ময়াবিষ্ট হৃদয় নিয়ে দেখি নীল আকাশের বুক চিরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাজাধিরাজ কৈলাস গিরি শিখর। চারিদিকে পুঞ্জীভূত মেঘের আনাগোনা। কুন্ডলীকৃত মেঘ যেন আমাদের মনের বেদিতে ডালি দেওয়া ষোড়শ উপাচারে পূজা সহ ধূপধুনার কুন্ডলীকৃত সৌগন্ধটুকু পরমেশ্বরের চরণে উৎসর্গ করছে।দেখে দেখে আশা মিটতে চায় না। সারা দিন তাকিয়ে বসে থাকি, আর সূর্য কিরনের খেলা দেখি কিন্নর কৈলাস জুড়ে। |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |