শাক্তরাস নবদ্বীপের প্রধান উৎসব। শরৎকালে শারদোৎসবের পরেই উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয় উৎসবের প্রস্তুতি এবং কার্তিকীপূর্ণিমায় নবদ্বীপের এই লোকায়ত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শাক্তদেবীদের বিশাল মৃন্ময়ী মূর্তি নির্মাণ করে শক্তি আরাধনাই নবদ্বীপের রাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
রাস মূলত কৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব। তবে নবদ্বীপের রাস প্রধানত শাক্ত রসাশ্রিত। তবে নবদ্বীপে এই একই দিনে মন্দির অভ্যন্তরে রাধাকৃষ্ণের চক্ররাস হয়, তবে তার জাঁকজমকপূর্ণতা শাক্তরাসের পাশে ম্রিয়মান। জনশ্রুতি প্রচলিত আছে, নবদ্বীপে চৈতন্যদেব রাধাকৃষ্ণের রাস উৎসবের সূচনা করেছিলেন। সেই হিসাবে ষোড়শ শতাব্দীর প্রারম্ভেই রাসের সূচনা হয়েছিল। তবে চৈতন্যদেবের সন্ন্যাস গ্রহণের পর নবদ্বীপের বৈষ্ণব আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। গৌরাঙ্গ-পরিজনেরা বাধ্য হয়ে নবদ্বীপ ত্যাগ করে স্থানান্তরে গমন করেন। ফলে বৈষ্ণবীয় উৎসব অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নবদ্বীপে যে রাস উৎসবের সূচনা হয় তা অভিনব এবং বাংলার ধর্মীয় ইতিহাসে তা অদ্বিতীয়।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের (১৭২৮-১৭৮২ খ্রী) পৃষ্ঠপোষকতায় নবদ্বীপের শাক্ত রাসের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল, সেই সময় রাজ পোষকতায় নানা পূজা হয় এবং রাজার নাম সংকল্প করা হত। সেই পুজোগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বড় শ্যামা, চারিচারাপাড়ায় ভদ্রকালী ইত্যাদি৷ এছাড়াও এই বছরে রয়েল ক্লাব, ইয়ং ব্লাড ক্লাব, মুক্তিসূর্য্য ক্লাব ইত্যাদি পূজো মন্ডপ বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমার নবদ্বীপ রাসযাত্রা ভ্রমনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম।
0 Comments
একদিকে বয়ে চলেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। অন্যদিকে তার মাটি ছুঁয়ে যাচ্ছে লোহিত নদী, খেরকোটিয়া নদী ও সুবনসিরি নদী। এর মাঝেই অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম নদী দ্বীপ - মাজুলী দ্বীপ।
এই মাজুলী দ্বীপেই প্ৰাচীন উপজাতি, মিসিং দের বাস। আদতে তাঁরা ছিলেন মিরি উপজাতি। "মিসিং" উপাধিটা ইংরেজদের থেকে পাওয়া। এক মিসিং উপজাতির যুবকের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম - এনাদের আদি বসবাস ছিল তিব্বতে। সেখান থেকে ওনারা আসেন অরুনাচল প্রদেশ। তারপর এই মাজুলী দ্বীপে। কিন্তু ব্রহ্মপুত্রর রোষে প্রতি বছরই একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছে মাজুলী। এই মিসিংরাও একই সাথে বারবার হয়েছেন ভিটে মাটি ছাড়া...এর থেকেই তাঁদের নামকরণ মিসিং ( Missing ) as they are missing their lands every time. মাটি থেকে বেশ খানিকটা উঁচুতে বাঁশের ঘর বাঁধেন এই মিসিংরা বন্যার থেকে রক্ষা পেতে। মাজুলীর পাথুরিচক গ্রামে এমনই এক মিসিং পরিবারের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর সৌভাগ্য আমার হলো। বাঁশের বানানো সিঁড়ি ( মই বলাই ভালো) বেয়ে ঘরে ঢুকতেই অভ্যর্থনা পেলাম বাটিতে তাঁদের রাইস বিয়ার দিয়ে। অসাধারণ সেই স্বাদ। মিসিং ভাষায় এর নাম 'আপঙ'। এই আপঙ কিন্তু তাঁদের জীবনে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে - যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠান, এমনকি মৃত্যুর পর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও এই 'আপঙ' নিয়ে যাওয়ার প্রচলন আছে।
আমিষ নিরামিষ সবই খান তারা, তবে পুরোটাই সেদ্ধর উপর - তেল, মশলা বা হলুদের ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে।
মিসিং উপজাতিদের ভাষা আছে কিন্তু লিখিত কোন বর্ন নেই। বাঁশের তৈরি ঘরের মেঝের উপর বসানো মাটির চৌকোনা উনন। গৃহকর্ত্রী তখন ব্যস্ত রান্নায় - মাছের ঝোল রান্না হচ্ছে। এই উনন ওনাদের খুবই পবিত্র স্থান। তাঁদের বিশ্বাস তাঁদের পূর্বপুরুষের আত্মা উনুনের মাটির কাঠামোতে বিরাজিত। ঘুম থেকে উঠে সকালে তাই সর্ব প্রথম কাজ হলো এই উনুনকে পরিষ্কার করে নিকানো। আবার রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও এটাই শেষ কাজ। একই ঘরে পরিবারের সকলে মিলে রান্না, খাওয়া, শোয়া এবং থাকা। বিবাহের পরই শুধুমাত্র আলাদা ঘর বানানো হয় পারটিশন দিয়ে। ১) কিভাবে যাবেন? ২) কোথায় থাকবেন? ৩) কত খরচা?
এই সমস্ত এবং আরো অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন আমার এই ডিডিওটিতে:
|
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |