DAY-TRIP to Chandipur, Odisha by CAR form HOWRAH …. এক সপ্তাহ খুব শরীর খারাপ হওয়াতে, মনটাও কেমন পালাই পালাই করছিল মানে আরো বেশি করে claustrophobic লাগছিল। এরপর হঠাৎ করে পেট্রোলের গন্ধটা খুব বেশী করে নাকে আসতে লাগলো। সটান করে ওড়িশার ম্যাপ টা খুলে বসে গেলাম। অনেক দিন ধরে ইচ্ছা হচ্ছিল ওড়িশার আনাচে কানাচে , মানে, কলকাতা শহর থেকে একটু দূরে চাঁদিপুরে বেড়াতে গেলে কেমন হয় ? বিস্তৃত, শান্ত ,নির্জন সমুদ্র সৈকত, আর জোয়ার ভাটার খেলায় আপনি মুগ্ধ হবেনই। আর যারা লোকজন এর ভীড় এড়াতে চান তাদের জন্য এ এক উত্তম জায়গা। এছাড়া পার্শ্ববর্তী স্থান হিসাবে আছে গোপীনাথ মন্দির, পুরীর আদলে তৈরি জগন্নাথ মন্দির, নীলগিরি তে রাজার বাড়ি, বুড়িবালাম নদীর তীর, পঞ্চলিঙ্গেশ্বরের মন্দির ,সর্বোপরি নীলগিরি র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য । ১৪-৭-২০১৮ আজ সকাল ৫টা নাগাদ, শিবপুর মন্দিরতলা থেকে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে ৮-৮;৩০টা নাগাদ বেলদার একটু আগে ব্রেকফাস্ট খেয়ে বালেশ্বর টাউনে গিয়ে প্রথমে দেখলাম গোপীনাথ মন্দির, তারপর আর একটু গিয়ে দেখলাম ইমামি জগন্নাথ মন্দির, সেখানে তখন উতসবের মেজাজ, রথ সাজানো হয়ে গেছে, সুধু মন্দির থেকে ঠাকুরের আসা বাকি, কিছুখন সেখানে থেকে আমরা দুপুর ১২টা নাগাদ এলাম চাদিপুর, আসার পথে দেখলাম প্রচুর রথ সেজে আছে বিকেল হবার অপেক্ষা। চাদিপুরে শুভম হটেলে ৪ঘন্টার জন্য একটা রুম নিয়ে বাবা মা কে রেখে মেয়েকে নিয়ে গেলাম Sea Beach. তে চান করতে!!! আমার ৬বছরের মেয়ে জানে, সমুদ্র মানে তাতে চান করা জায়, যেমন দীঘা, পুরী, গোপালপুরে হয়, কিন্তু Not always, everything happens as per your expected line... এই lesson টা দেবার জন্য আমরা বলি নি যে ওখানে জল থাকে কেবল জোয়ার এর সময়, এরপর আমরা লাঞ্চ করে একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেল ৪টানাগদ বুড়িবালাম হয়ে বাড়ি ফেরার পথ ধরলাম। এরপর ৭টা নাগাদ খরগপুরের একটু আগে টিফিন করে নিয়ে, বাগনান থেকে রাতের খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরলাম রাত১১টা নাগাদ, এত সময় লাগল কারন, আমার মতে, Monday প্রধানমন্ত্রি আসবে তাইরাস্তার প্রতি ১০মিনিট অন্তর পুলিশ চেকিং করছ, parsonal গাড়ি নয়, ভাড়ার গাড়ি আর ট্রাক, কিন্তু তার জন্য প্রচুর জ্যাম। Toral Km Travelled in a single day=619km. Pos By:- Sukanta Banerjee
0 Comments
কালাপাথর, সাদায় মোড়া ** কালা পাথর, বা কালা পাহাড় , উত্তর সিকিমে অবস্থিত একটি অতি উত্তম স্থান, (হলফ করে বলতে পারি), কিন্তু বেশিরভাগ ট্যুরিস্ট রাই জানেন না, ইন ফ্যাক্ট, যারা "গুগুলোচিত হননা" তাদের না জানাটাই স্বাভাবিক। তবে আমার গিন্নি জেনেছিল, জুকারবার্গ এর থেকে, "ফেসবুকিত" হয়ে, বেড়াতে যাওয়ার আগে। আমাকে অনেকবার বলেছিল, "ওগো, ইয়ামথাং, গুরুদংমার এর সাথে কালাপাথর/কালাপাহাড় ও নিয়ে যেও। খুব ভাল স্পট, আমি FB তে দেখেছি। আমাকে সিকিম বেড়াতে যাওয়ার আগে অনেকবার বলেছিল।কিন্তু বাজার যাওয়ার সময়, পাঠার মাংস, পানতুয়ার সাথে 50 gm পোস্ত আনতে ভুলে যাই, তেমনি, পথের গ্লানি, আর আমার পাহাড় ও বরফ প্রিয়তার মধ্যে, ওই পোস্ত, sorry, "কালাপাহাড়" ও ভুলে গিয়েছিলাম। সুভাষগ্রাম এ সুভাষচন্দ্র বসুর পৈতৃক বাড়ির কাছেই আমার বাড়ি। একই পাড়াতে আমার থেকে জুনিয়র একটি মেয়ে থাকে। তার সবে মাত্র বিয়ে হয়েছে। ঘটনা চক্রে, তার সাথে, গুরুদংমার লেক এ দেখা। আমার সাথে তার কলেজ সূত্রে আলাপ, কিন্তু এক পাড়ার। আমার নির্দয় প্রশ্ন, "বোন, তুমি এখানে?" বেচারির, ওই ঠান্ডায়, গ্লাভস খোলা হাতের থেকেও বেশি লাল হয়ে যাওয়া মুখে বলল, "হ্যাঁ দাদা, হনিমুন এ এসেছি"। আমার আবার সেই "নির্দয় প্রশ্ন", দুজন এসেছো, না আর কেউ? অবাক করে দিয়ে, নিজের মা, আর বোন কেও নিয়ে এসে দেখিয়ে গেল। আর খুব লজ্জিত হয়ে বলছিল, আসলে, মায়ের বয়স হয়েছে, বোন ও আসতে চাইল.... আমি বললাম, ধুস, এতে এত কিন্তু কিন্তুর কিছু নেই, "ওরম হয়, সবার ক্ষেত্রে". ছাড়ো, লেক তো ঘোরা হল, এবার কি লাচেন/লাচুং? বলল, না। এবার কালাপাহাড়...... আমার তো শোনার পরই, মাথার ভিতর আইনস্টাইন, নিউটন অঙ্ক/ফিজিক্স, ইত্যাদি ঘুরতে লেগে গেছে। এই সেই কালাপাহাড়, যার কথা আমি "50 gm পোস্তর মতোই" ভুলে গিয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে প্রোগ্রামে chanege। ড্রাইভার কে বললাম, ভাই, কালাপাহাড় লে জাওগে? ও বলল, হ্যা, লেকিন 3500 রুপিয়া লাগেগা। আপ share মে, 10 আদমি লগ হ্যে। এখানে, আমার গিন্নির একটা দুর্বলতার কথা না বললেই নয়, উনি, আমার সাথে 12 বছর প্রেম করে, এবং 10 বছর ঘর করে নাকি এটাই বুঝেছেন, আমার burgaining এর quality এর কাছে, আমার অন্য এর quality নাকি "তুচ্ছ"। অগত্যা.... বাকি গাড়ির share মেম্বার্স দের সেই অর্থে চিনিনা। একটি ফ্যামিলি, বর্ধমানের, দুই ছেলে, স্বামী স্ত্রী, খুব familiar, helpful। বাকি একটি couple, কলেজে tracher এবং স্ত্রী নার্স, খুব মিশুকে, ও ভদ্র। তবে, ওনাদের মতো "ভদ্র" ফ্যামিলি, share tour এ পাবো, ভাবিনি। infact আমার 4 & 8 বছরের বাচ্ছাদের innocent behavior ওনাদের বা ওনাদের বাচ্ছাদের ব্যবহারের কাছে, "নিতান্ত অভদ্র" বলেই মনে হচ্ছিল। বরফ দেখলে আমার মত হয়ত "পাগল" হয়ে গিয়েছিল। actually ফ্রিজের বরফ cube, আর পাহাড়ের গায়ে হাত দিয়ে তোলা বরফ তো আর এক নয়, পাগলামি quite natural. যাই হোক, ওনাদের বললাম, ড্রাইভার 3500 টাকা চাইছে, আপনারা কি বলেন? ওনারাও লাচেন, লাচুং এ আমার/আমাদের সাথে থেকেছেন, জানেন, আমার burgaining এর ক্ষমতা। তাই এক কথায় বললেন, আপনি যা করবেন, সেটাই ফাইনাল। কিন্তু, গুরুদংমার এ ATM নেই। আর পকেট খালি। এটা মনে রাখবেন। অগত্যা burgaining। "পেম্বা" আমাদের গাড়ির ড্রাইভার, কিন্তু শুধু ড্রাইভার নয়, "লাচেন"এ আমাদের "প্রাণ বাঁচানেওলা" (গুরুদঙ্গমার পর্বে বলেছি)। পেম্বার মাথা, অনেকবার white wash করে, 1500 এ রাজি। সারা রাস্তা একটাই কথা বলে গিয়েছে, (যখন আমরা হাসাহাসি করছিলাম) সাড়ে 3 কা জায়গা 1.5 মে দ্বিখনে পর, ইতনাই হাসি আয়েগা। আগ্রহীদের জন্য একটি ভিডিও লিঙ্ক দিলাম। Post By:- Santanu Basu
আমার ভালোলাগা একটি ছোট্ট সফর ---- মংপং - ইট,কাঠ, পাথরের কৃত্রিম জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এক/দুদিনের জন্য প্রকৃতির মাঝে নিজেকে খুঁজে পেতে এক আইডিয়াল ডেষ্টিনেশন -- মংপং। অবশ্যই যারা নৈঃশব্দ্য পছন্দ করে। এখানে নেই কোনো মানুষের কোলাহল, নেই কোনো যানবাহনের আওয়াজ ,শুধু উপভোগ করতে পারা যায় শালপাতার শিরশিরানি আর তিস্তা নদীর কুলকুল বয়ে চলা। এইভাবে প্রকৃতির মাঝে কাটিয়ে দেওয়া যায় এক/দুদিন। এখানে আসাটা খুব সহজ শিলিগুড়ি থেকে মাত্র 30 কিলোমিটার, সেবক করোনেশন ব্রিজ পেরিয়ে কিছুটা রাস্তা অতিক্রম করলেই মংপং পৌঁছে যাওয়া যায়।এখানে থাকার জন্য ফরেষ্ট নেচার কটেজ আছে, যেখানে প্রকৃতিকে একান্তে উপলব্ধি করা আর জঙ্গলের বুনো, সো়ঁদা গন্ধের অনুভবে শিহরিত হওয়ার জন্য এক কথায় অনবদ্য,যার রেশ মনের কোঠায় রয়ে যায় অনেক দিন পর্যন্ত ----------- Post By:- Subrata Bapi Biswas
দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে বেড়িয়ে পরলাম কলকাতা র কাছে ডায়মন্ড হারবার এ । গিয়েছিলাম , পূর্ন লক্ষী রিসোর্ট এ। সকাল ৬.৩০মিনিটে বেড়িয়ে পরলাম , পৌছালাম ৯.৩০মিনিটে। আমরা সাতজন বন্ধু ছিলাম। গাড়িতেই যাওয়া।যেতে যেতে কলকাতা র রাস্তার আশেপাশের দৃশ্য দেখা ছাড়া আর কিছুই উপায় নেই।যাইহোক অবশেষে পৌছালাম রিসোর্ট এ। রিসোর্ট ঢুকতে গিয়ে যে লাল রঙের কাঁচা রাস্তাটির উপর দিয়ে যেতে হয়,যে রাস্তাটির শেষে ,একটি প্রকৃতিক সৌন্দোর্যে ঘেরা , পাশে গঙ্গা, চারিদিকে মোনোরম দৃশ্য সমেত একটি রিসোর্ট আছে এটা ভাবাই যায় না। প্যকেজ সিস্টেম এ গিয়েছিলাম। একটি রুম, ব্রেকফাস্ট থেকে সন্ধ্যার স্ন্যাক্স পর্যন্ত বুকিং। অপূর্ব খাওয়া দাওয়া। খেয়ে বেড়িয়ে পরলাম রের্সটের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে। চারিদিকের দৃশ্য অপূর্ব ,বসার জন্য সুন্দর বেঞ্চের ব্যবস্থা ।বসে বসে যতক্ষণ মন চায় , আপনি গঙ্গা উপভোগ করতে পারবেন।রের্সটের চারিদিক ঘুরে বেড়িয়ে , তার সাথে সুইমিং পুলে সাঁতার কেটে কখন যে সময় পেরিয়ে যাবে বুঝতেই পারবেন না। এপ্রসঙ্গে বলি ট্রেনে যাওয়াই ভালো। সকালের ট্রেন ধরে সারাদিন ঘুরে আবার সন্ধ্যের ট্রেনে ফিরে আসাই যায়। রাস্তার অবস্থা ভালো না থাকায়, অত্যাধিক জামজট এর ফলে গাড়ীতে আসতে একটু সময় লাগে। আপনার মনে হলে একদিন থেকে যেতেই পারেন।একটু costly হলে ও সৌন্দর্য এর কোন খামতি নেই।প্যকেজে আমাদের জনপ্রতি ১৫৭৫টাকা লেগেছিল।এই জায়গাটি কে সঙ্গম স্থল বলে,কারন গঙ্গা এখানে সাগরের সাথে মিলিত হয়েছে। Post by:- Madhumita Pal
আজ ২য় পর্ব অর্থাৎ 2nd দিনের ভ্রমন আজ আমাদের গন্তব্য হোলো দারিংবারি, এই নিয়ে দু একটা কথা বোলে নি যেটা না বোল্লে বোধহয় কিছু টা বাকি থেকে যাবে, মোটামুটি পুরী ঘোরা নেই এইরকম বাঙ্গালী খুব কম পাওয়া যাবে, আমিও গোটা ৬/৭ বার ঘুরেছি কিন্তু শেষের বছর তিনেক ধরে আমার ওয়াইফ এর বায়না হলো দারিংবারি যাবে, তাই আমার বন্ধু,দাদা,ভাই সবার সঙ্গে মানে আমার গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা শুরু হলো, সবার ই দেখলাম খুব আগ্রহ, তাই আমিও গররাজি হওয়ার কোনো কারণ দেখলাম না, আসলে দারিংবারি নামে একটা আলাদা টান আছে,তার উপর গাড়ি চালিয়ে পাহাড়ে যাওয়া- সেটার তো একটা আলাদা আকর্ষন তো আছেই, এর আগে আমার অযোধ্যা পাহাড়ে গাড়ি চালিয়েছি আর সমতলের মানুষ তো আমরা তাই ওই কথা আর বোললাম না, এর মধ্যে আমার এক দাদা দীপক দা, তার প্রচুর অভিজ্ঞতা, এর আগে লে, লাদাক ছোটো গাড়ি নিয়ে ঘুরে এসেছেন তাই উনি আমাদের এই যাত্রায় লিডার, তাই ওনাকে ভরসা করে আর বাদবাকি ৪টে গাড়ি রাজি হলাম, সেই মতো সবাই রেডিও হোচ্ছিলাম কিন্তু দীপক দা হটাৎ বোললেন 'যে ভাই তোমাদের সঙ্গে আমার যাওয়া হবে না,আমি বোললাম কেন দাদা কি হোলো?' দীপক দা বোললেন, 'তোমরা যা দিন ঠিক করেছো তাতেকোরে এতো কম সময় এতোগুলো জায়গা হবে না, তাই আমি তোমার বৌদিকে নিয়ে একাই চোলেযাব ঠিক কোরলাম।' আসলে আমার ছেলেদের স্কুল, আর এক দাদার অফিস এই সব ব্যাপার নানান ঝামেলায় সময় টা ম্যাচ করল না, তাই অগোত্যা আমাকেই লিডারশীপ নিতে হলো, পাহাড়ে গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা কারোর ই নেই তাই, আমি বোল্লাম ওকে; বেড়িয়ে তো পরি, তারপর দেখা যাবে। কোলাঘাট থেকে আমাদের যাত্রা শুরু করে আগের দিন দাসপাল্লায় রাত্রি যাপন করি, যেহেতু দারিংবারি তে আমরা হোটেল পাইনি তাই তার কাছাকাছি থাকা, সেইমত দাসপাল্লা থেকে পরের দিন সকালে উঠে আমাদের গন্তব্য দারিংবারির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম, দাসপাল্লা বাজার পেরিয়ে ডান দিকের রাস্তা ধরলাম, এই শুরু হোলো ছোটো পাহাড়ি রাস্তায় চলা, আমি সবার আগে, দারুন সিনিক বিউটি ছোটো ছোটো পাহাড় কত অজানা পাখির ডাক সে এক স্বর্গীয় ব্যাপার আর তার সঙ্গে পাহাড়ে গাড়ি চালানোর রোমাঞ্চ, এখানে খুব একটা চরাই উৎরাই নেই তাই কারোর ই সেরকম কোনো অসুবিধা হোলো না, এবার আমরা একটা ছোটো শহরে এসে পরলাম, ভঞ্জনাগর: এবার ওই শহরের ঘিঞ্জি পেরিয়ে আমরা আমাদের মূল গন্তব্য দারিংবারি পাহাড়ি রাস্তায় পড়লাম এবার কিন্তু ভালোই চরাই উৎরাই পেলাম, কিন্তু আমি আমার অভিজ্ঞতা কে সঞ্চয় করে এগিয়ে চোল্লাম, কিন্তু আমার বাকি তিনটে গাড়ি গেল কই! কারোর তো দেখা নেই! দাড়াতেও পারছি না একে তো সরু রাস্তা তার উপর বিশাল ঢাল, বেশ চিন্তায় পরে গেলাম, মাম মানে আমার ওয়াইফ বোলেই যাচ্ছে তোমাকে দাড়াতে বোলছি তুমি দাড়াচ্ছ না কেন! ওকে বোঝাবো কি করে যে দাড়ানোর সেরকম সুইটেবেল যায়গা না পেলে দাড় করাবো কি করে গাড়ি গড়িয়ে যাবে নীচের দিকে, অগোত্যা একটা যায়গা পেলাম যাতে একটা গাড়ি অনায়াসে পেরোতে পাড়ে, মিনিট ১৫/২০ পর একেক কোরে এসে হাজির হোলো ৩টে গাড়ি, এবার নিশ্চিন্ত হোলাম, আর ওদের সঙ্গে কথা বোলে বুঝলাম প্রথমটায় একটু অসুবিধা হচ্ছিলো এখন ঠিক হয়ে গেছে, আসলে আমরা যারা সমতলে গাড়ি চালাই তাদের কাছে ১নং / ২ন নং গিয়ারের তেমন ভুমিকা ঠিক নেই,পাহাড়ে ছোটো গাড়ির ক্ষেত্রে যেটার বিশেষ প্রয়োজন। যাক এবার আর আমি কাউকে ছাড়ছি না,আমি বোললাম আমি আস্তে চালাচ্ছি, সবাই ঠিক আমার পিছনেই থাকবে, ওই মত সবাই আমার সাথে সাথেই চলতে শুরু করলো আর এই ভাবেই আমাদের দারিংবারির প্রথম দ্রষ্টব্য হিলভিউপার্ক পৌছে গেলাম, দারিংবারির এই পার্ক আমরা কোলকাতার মানুষ যারা তাদের কাছে বিশেষ কোনো মানে রাখে না, তবে এই পার্ক থেকে দাড়িয়ে পূর্বঘাট পর্বতের যে মনোরোম দৃশ্য, সত্যি মনকে ভাল করে দেয়, এর পর আমাদের গন্তব্য এমুর্পাক,সেটাও ওই একি ব্যাপার, সেরকম কিছু না, আর রাস্তায় ওখানকার মানুষের সহজ সরল কথা আর চাউনি এটাও বাড়তি পাওনা, এর পর আমাদের গন্তব্য লার্ভাস পয়েন্ট, পৌছে গেলাম, কিন্তু একটা প্রবলেম হোলো, মেন রোড থেকে কিছুটা ভিতরে ঢুকতে হবে, কিছু মানুষ বোল্লো যে ছোটো গাড়ি ভিতরে যাবে না, এদিকে বোর্ডে দেখাচ্ছে ৫ কি.মি. আমাদের আর ৩টে গাড়ি বোল্লো আমরা কেউ যাব না,কিন্তুএই ৫কি.মি. যদি হেটে যেতে হয়,ফিরে আসতে সন্ধ্যে হোয়ে যাবে, কিন্তু মাম মানে আমার ওয়াইফ বোল্লো এতদূর যখন এসেছি আমি যাব, মাম আমার দুই ছেলেকে আর আমার এক বন্ধু আর দাদার মেয়েকে নিয়ে হাটা শুরু করলো, আমি দেখলাম যদি ৫কিমি হেটে যায় আবার ফিরে আসে তাহোলে অনেক দেরী হয়ে যাবে, তাই আমি কিছুক্ষন দাড়িয়ে দেখলাম এস ইউ ভি গাড়ি গুলো দিব্যি যাচ্ছে আসচ্ছে, ওকে; আমিও রওনা দিলাম আমার হ্যাচব্যাক মানে ছোটো গাড়ি নিয়েই, কারন আমার গাড়ি,আর আমার অভিজ্ঞতার উপর আমার অঘাত বিশ্বাস আছে,তাই সেই বিশ্বাস কে ভর কোরেই এগিয়ে যাওয়া, কারণ আর আমাদের এই দারিংবারিতে কোনো হোটেল বুক করা নেই,মানে পাইনি, আজ আমাদের যেতে হবে ভবানিপাটনা কালাহান্ডির জঙ্গল পেরিয়ে, তাই আমার হাতে সময় খুবই কম,তাই লার্ভাস পয়েন্ট এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম একাই কারন ওদের ফিরিয়ে নিয়ে এসে আবার অনেকটা পথ আজ পাড়ি দিতে হবে, একটু এগিয়েই ওদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল, ওদের গাড়িতে তুলে লার্ভাস পয়েন্ট এ পৌছে গেলাম মাত্র ১.৫ কি.মি. রাস্তা মেন রোড থেকে। (,রাস্তায় যে বোর্ড এ ৫কি.মি. উল্লেখ আছে তা সম্পূর্ণ ভূল লেখা) অনেক ছবি তুল্লাম ফিরে আসলাম এরপর আমাদের আরেকটা গাড়ি আমাকে ভালভাবে ফিরে আসতে দেখে সে আবার গেল মাত্র ১.৫ কি.মি. রাস্তা তাই বোল্লাম দেখে এস, দেখে এসে বোল্লো খুব সুন্দর লাগলো এর পর আমাদের যাত্রা মন্দাসুরু, দারুন সুন্দর সিনিক বিউটি গাড়ি চালিয়ে খুবই খুশী হোলাম। এবার আমাদের আজকের রাত্রিযাপন ভবানিপাটনার উদ্দ্যেশে যাত্রা শুরু, সমতল রাস্তা গাড়ি ১০০/১২০ তে চলা শুরু। বাই বাই দারিংবারি, মাম আগেই দেখে রেখেছিল যে দারিংবারি তে সেরকম দেখার কিছু নেই, কিন্তু পূর্বঘাট পর্বত মালার সৌন্দর্য আমাদের মনের ভিতরে থেকে গেল। আমরা যারা এই বাংলায় থাকি সবারি প্রায় দর্জিলিং পাহাড় ঘোরা, তাই সবাই কে অনুরোধ করবো কেউ দার্জিলিং পাহাড়ের সংগে এই পাহাড়ের তুলনা কোরবেন না, কারণ ভুলে যাবেন না দার্জিলিং হলো হিমালয়া পাহাড়ের রানী আর দারিংবারি হলো পূর্বঘাট পাহাড়ের আদিবাসী মেয়ে,তাই সেই মানসিকতা নিয়েই এই ভ্রমন করবেন, কারণ রানীর সংগে আদিবাসী মেয়ের কোনো তুলনাই হয় না। Post By:- Chakraborty Sukhendu
Bangriposi. Come back to nature. Thakurani hills, Buribalam river, tribal haat, dokra village, the forest, the waterfall and many more.... Post By-Subhrangshu Bhandary
কোলকাতা কে বাই বাই জানিয়ে বেরিয়ে পোরলাম দারিংবারির উদ্দ্যেশে, বন্ধুদের নিয়ে আর নিজের সেই দুধ সাদা পঙ্ক্ষীরাজ কে সাথী কোরে,সবার সাথে দেখা হোলো সেই আমাদের চিরপরিচিত কোলাঘাট এর সেই শেরিপাঞ্জাবের লনে, তারপর আমাদের প্রথমদিনের গন্তব্য দাসপাল্লা, সেই মত আমাদের ৪টে গাড়ি ছুটতে শুরু কোরলো আর তার সাথে শুরু হোলো আমাদের ছোটো ছোটো পিকনিক আর আর পথ চলতি আড্ডা, সত্তি এ এক স্বর্গিও সুখ। কাল দারিংবারির ছবি সহ আপডেট। এবারে আমরা ৩০০০ কিমি ৪টে গাড়ি নিয়ে ঘুরবো, আমাদের সদস্য সংখ্যা হোলো ১৮ জোন। আমাদের ঘোরার তালিকায় আছে দারিংবারি,চিত্রকুট,আরাকু,ভাইজাগ, গোপালপুর,আর পুরী, আমি আগে কোনোদিন ভ্রমন কাহিনী লিখিনি, তাই হয়তো সেরকম রসবোধ আমার লেখায় পাবেন না, তবে কিছু তথ্য দিতে পারব এই আশাকরি। Post By-Chakraborty Sukhendu
চলনা দীঘার সৈকত ছেড়ে ….. ------------------------------------------ হঠাৎ সেদিন । হ্যাঁ হঠাৎই । পয়লা আগষ্ট । আমার বন্ধুক্লাব দু-তিনটি । সেদিন হঠাৎই ডাক দিলো চিত্রাঙ্গদা প্রমিলা বাহিনী । খুব বোর লাগছে - একটা কিছু করো - ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে শুনি অতল জলের আহ্বান ! ! ব্যস্ পাড়ার ট্রান্সপোর্ট এজেন্টেকে ফোন, ফোর সিটার নিয়ে হাজির পুচকে সারথী গোপাল । চলো বন্ধু বেলঘড়িয়া… না না বেলঘড়িয়া নয়, পুরুষোত্তমপুর … মন্দারমণি থেকে মাত্র চার কিলোমিটার । সকাল সাতটায় রথে চড়লাম । নিবেদিতা সেতু দিয়ে হাওয়ার বেগে ছুটলো রথ । বারবার সারথীকে সাবধান করছি “বাছা আমরা ট্রেন ধরবো না, অফিসে যাবোনা ...একটু আস্তে বাবা … “ একসময়ে থামালাম তাকে । রাস্তার ধাবায় পুরি সব্জি, চা হলো । আবার ছুট । কন্টাই, কাঁথি পার হয়ে চাউল পট্টি মোড় । মন্দারমণির রাস্তা সারথীর চেনা । কিন্তু পুরুষোত্তমপুর রামকৃষ্ণ মিশন ? হ্যাঁ ওটিই আমাদের একদিনের রাত্রিযাপনের হট্টমন্দির । রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অন্ততঃ চারজন আমাদের চারভাবে দিকনির্দেশ দিলো । আমরা কখোনো পৌঁছে গেলাম অনাথ আশ্রম, কখোনো বন্ধ কারখানার গেটে, কখোনো বা অজানা দিগন্তের মুখোমুখি । শেষে এমন জায়গায় পৌঁছে গেলাম যেখান থেকে কোন রূপকথা শুরু হতে পারে …”সে এক গভীর অরণ্য, চারিদিকে অদ্ভুত নৈশব্দ, দূরাগত সমুদ্রের শোঁ শোঁ শব্দ ...জন মনিষ্যির চিহ্ন মাত্র নাই …” তো সেই উবড় খাবড় জংলা পথ দিয়ে যেতে চোখে পড়লো দূরে গেরুয়া রঙের মিশনের দেওয়াল ….ইউরেকা ...ইউরেকা.. যেন প্রাণ আসলো ধরে !! মহারাজের উষ্ণ অভ্যর্থনায় ঠাঁই হলো দোতলার বেশ বড় ঘরে - দুটি বড় বড় বেড চারজনের জন্য যথেষ্ট । মুখ হাত ধুয়ে বসেছি । খাওয়ার ডাক পড়লো । খুব ভালো ব্যবস্থা । ভাত,ডাল,ভাজা,দু রকমের তরকারি, মাছ, চাটনি, পাঁপড় ! মনে হয় কিচেনের কর্মীদের কিছু ভুল আছে, কেননা দুপুরে মুড়ির চালে ভাত রান্না হয়েছিল আর সন্ধ্যের জলখাবারের সরু সরু মুড়ি - নিশ্চই তা ভাত রান্নার চালে ভাজা । খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে টই টই । মহারাজ হাঁ হাঁ করে উঠলেন - একি একটু বিশ্রাম করুন … বিশ্রাম করুন … কে শোনে কার কথা । আমাদের পালে তখন লেগেছে হাওয়া - বাইরে এলেই দেখেছি মন কেমন ছন্নছাড়া হয়ে যায় - " আমরা চঞ্চল, আমরা অদ্ভুত ….!! আশ্রমের উল্টো দিকেই সমুদ্র । নিস্তব্ধ শুনশান সমুদ্রতীর । এখন ভাঁটা চলছে । তীরে লাল কাঁকড়ারা পলাশ ফুলের পাপড়ির মতো ছড়িয়ে আছে - আমাদের পায়ের শব্দে সুরসুর করে গর্তে ঢুকে পড়ছে । তীরে স্টার ফিসের ছাপ, মরা শঙ্কর মাছের বাচ্চা । একটু দূরে দুজন স্থানীয় মহিলা সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে স্থির, সমুদ্রের কোমর জলে দাঁড়িয়ে একটি অল্প বয়সী ছেলে জাল টানছে । পায়ে পায়ে মহিলাদের কাছে এলাম । মহিলাদের একজন তো একদম বাচ্চা মেয়ে - সে বালির মধ্যে পা ঢুকিয়ে, তার উপর অনেকখানি বালি চাপিয়ে আস্তে করে পা টেনে বার করলো, হয়ে গেলো বালির দুর্গ । ছোট বেলার কথা মনে পড়লো । বয়স্ক মহিলার হাতে বালতি - সমুদ্রের মাছ ধরা ছেলেটির দিকে তাকিয়ে । জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম ছেলেটি বাগদা চিংড়ির বিন্ (মীন - সদ্যজাত বাগদার বাচ্চা - খুব সরু সুতোর মতো দেখতে) ধরছে । মা সমুদ্রের দিকে এগিয়ে গেলো, ছেলে তীরের দিকে কিছুটা এলো । ছেলে জাল ঝেড়ে ঐ মায়ের বালতিতে সমুদ্রের জলশুদ্ধু বিন্ ঢেলে দিলো । মা বালতি নিয়ে বালুচর ছেড়ে ঘাস জমিতে উঠলো । কৌতুহলে চললাম সঙ্গে সঙ্গে । সবুজ ঘাস জমিতে চারকোণা একটা গর্তের মধ্যে পলিথিন বিছিয়ে মীন শুদ্ধু সমুদ্রের জল বালতি থেকে ওখানে ঢালা হচ্ছে । একটা ঝিনুক দিয়ে ঐ সরু সুতোর মতো মীন মা তুলে তুলে একটা বাটিতে রাখছে । জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম দেড়শ টাকা হাজার হিসাবে ভেরীর মালিকরা কেনে এই মীন । জিজ্ঞেস করলাম “আজ কতো তুললেন ?” “সকাল দশটা থেকে এই অব্দি দুশ হবে !” আ্যঁ ...মানে এতো পরিশ্রমে হাজার হিসাবে উপার্জন হলো মাত্র তিরিশ টাকা ! উঃ কী নির্মম এই বেঁচে থাকা । মনটা খারাপ হয়ে গেলো । সন্ধ্যার সময় আবাসিক ছাত্ররা প্রার্থনা সঙ্গীত গাইলো । পিছনে বসা বাচ্চাদের লুকিয়ে লুকিয়ে খুনশুটি খুব উপভোগ করলাম “আমরা লক্ষ্মীছাড়ার দল, ভবের পদ্মপত্রে জল, সদা করছি টলমল …. নাহি জানি করণ-কারণ, নাহি জানি ধরণ ধারণ …নাহি মানি শাসন-বারণ গো …” সন্ধ্যেবেলায় মুড়ি ছোলা চা সহযোগে সান্ধ্য নাস্তা । দোতলায় রাস্তার দিকে মুখ করা একটা বেশ বড় বারান্দা । বসলাম সেখানে । যাদপুরের পিএইচডি ছাত্রী আর তার মা, দিদির সঙ্গে আড্ডা হলো, গান গাইলাম । রাতে ভয়ে আর ভাতের দিকে এগোইনি - ডিম রুটি ডিনার । পরদিন সকালে বিচিত্রপুর অভিযান । দীঘা ছাড়িয়ে, উড়িষ্যার বালাসোর জেলায় । এখানেও পথ বিভ্রাট । রাস্তার দুই প্রবীণ আর নবীনের ঝগড়া লেগে গেলো আমাদের দিকনির্দেশকে কেন্দ্র করে । বিচিত্রপুর সম্বন্ধে আমাদের জানাটা একটু কম ছিলো, তাই হই হই করে কুড়ি টাকার টিকিট কেটে উঠে বসলাম ফেরী নৌকায় বিচিত্রপুর দ্বীপের উদ্দেশ্যে । এমন জায়গায় নৌকা ভেড়ালো যেখান থেকে লাফিয়ে স্থলে নামতে হবে । আমাদের দুই বন্ধু পারলোনা । জানা থাকলে প্রাইভেট নৌকা নিতাম - তারা খুব ভালো মতো ঘোরায়, এমন জায়গায় নৌকা ভেড়ায় যেখানে লাফ দিতে হয়না এবং দ্বীপটা সম্পূর্ণ ঘোরা যায় । মন খুব খারাপ ।গোপাল বললো উদয়পুর যাবেন ? অবশ্যই - দেখি মনের ভার কমে কিনা ! উদয়পুর !! উঃ কী হাওয়া ...ঝোড়ো হাওয়া বইছে সোঁ...সোঁ...মাঝেমাঝে ঝেঁপে বৃষ্টি ...সমুদ্র উত্তাল । কংক্রিটের বোল্ডারে সমুদ্রঢেউ লাফিয়ে লাফিয়ে আছাড়ি পিছাড়ি খাচ্ছে ! চারিদিকে মাছ, কাঁকড়া ভাজা আর ভাল্লুকের গন্ধে ম ম করছে । ঐ সব রসে আমরা বঞ্চিত । কিন্তু এত কাছে এসে সমুদ্রের আলিঙ্গন স্পর্শ নেবোনা ...আমি ? তা কি হয় ! তা কি হয় ! দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দস্যু ঢেউয়ের জন্য অপেক্ষা করলাম ...দু দু বার এসে ভিজিয়ে দিলো … পুরো স্নান । জুবজুবে ভিজে । এক বন্ধুও সামান্য ভিজেছে । দীঘায় এলাম । ঘড়ি বলছে একটা বাজে । খুব খিদে পেয়েছে । বন্ধুদের পাহারায় পোষাক পরিবর্তন - গাড়িতেই । খাওয়ার হোটেলে এলাম । দীঘায় প্রতিদিন টন টন ইলিশ উঠছে । তাই রসনা লকলক । রসনাকে নিয়ন্ত্রণ করলাম - দাম শুনে ! দু পিস্ - পাঁচশ টাকা । খাবার টাবার, পানটান খেয়ে চারজনে সুন্দর করে বাঁধানো গার্ড ওয়ালে বসে আড্ডা দিলাম কিছুক্ষণ । এবার ফেরার পালা । সারথী প্রস্তুত । চলো ! অলবিদা……..অলবিদা … লেকিন … চলতে চলতে কভী অলবিদা ন কহনা.. তো ? অন্য কোন দিন, অন্য কোথাও !!! Post By:- Minati Ghosh
গ্র্য়ান্ড ক্য়ানিয়ন যেতে কার না মন চায়,আর তাও যদি বিনা পাসপোর্টে,বিপুল খরচা এড়িয়ে দিনদুয়েক,এমনকি একটা দিন হাতে পেলেও ঘুড়ে আসা যায় তাহলে সেই সুযোগ কেইবা হাতছাড়া করে বলুন! (check the link for experience the full journey: https://youtu.be/PHHwoHOO9q8).. নানা এ কলোরাডো নদীর ক্য়ানিয়ন নয়,এ হল আমাদের শীলাবতী নদীর গ্র্য়ান্ড ক্য়ানিয়ন গনগনি.আকারে অতোটা গ্র্য়ান্ড না হলেও সৌন্দর্য্য়ের বিচারে গনগনি নিরাশ করবে না.বিশেষতঃ বলতে চাই যাঁরা লঙ ড্রাইভ বা রাইড-এ যেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য় আদর্শ জায়গা. কলকাতা থেকে কোলাঘাট,খড়গপুর,শালবনী- গোদাপিয়াশালের জঙ্গলভেদী রাস্তা পেড়িয়ে গনগনি পৌঁছতে ৩-৩.৫ ঘন্টা মতোন লাগে.গনগনির ক্য়ানিয়নে যাওয়ার রাস্তার দুপাশে কাজুবাদামের গাছ,রীতিমতোন ঘন জঙ্গলের আকার ধারণ করেছে.গনগনি আমরা আগেও এসেছি কিন্তু বর্ষার গনগনির সে এক অন্য় রূপ.লালমাটির বুকে নদীর নিঁখুত ভাস্কর্য্য়,আর বর্ষার উপরি পাওনা লাল মাটিতে গাঢ় সবুজের আধিপত্য়.আর সেই সিনারীতে পরিপূর্নতা দান করেছে.উপরে দাঁড়িয়ে সৌন্দর্য্য় উপভোগ করুন অথবা একটু বেশী কিছু পাওয়ার লোভ হলে খাদের বুক চিড়ে নেমে যাওয়া পথ ধরে নেমে আসুন গিরিখাতের গভীরে আর নিজেকে কিছু মূহূর্তের জন্য় হারিয়ে ফেলুন প্রকৃতির মাঝে.এ আমাদের রূপসী বাংলার একান্ত আপন সম্পদ.দেশবিদেশে হারিয়ে যাওয়ার আগে একবার নিজের ঘরে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন,গনগনি আপনাকে হতাশ করবে না.
Post By:- Sumandrita Moitra
একদিনের বাইক রাইডে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আমাদের টিম,সকাল ৫ টায় বেরিয়েছিলাম।৫৫০ কিমি বাইকে ভ্রমন করে ফেরার সময় পানাগড়ে এক ধাবায় যখন ডিনার করে শক্তিগড়ে পৌঁছালাম ঘড়িতে তখন রাত ১২ টা। আমরা কোলকাতা থেকে সকাল ৫ টায় বেরিয়ে ৬;৩০ টায় শক্তিগড়, তারপর ৭;৩০ শক্তিগড় থেকে বেরিয়ে, সোনামুখিতে প্রাতঃরাশ করে কোরোপাহাড় এ পৌছালাম ১১টার কিছু আগে, দারুন জায়গা দেখে মন ভোরে গেল,এরপর গাংদুয়া ড্যাম,কিছুটা সময় ওখানে কাটিয়ে,ওখান থেকে সোজা পুরুলিয়া , রঘুনাথপুরে দুপুরে লাঞ্চ করে জয়চন্ডী পাহাড়, ওখানে পথের সাথীতে দুপুরে একটু রেষ্ট নিয়ে বিকালে জয়চন্ডীপাহাড়ে উঠলাম, ওখান থেকে ৭ টায় বেরিয়ে প্রথমে রানীগঞ্জ চা,তারপর কোটায় রাতের ডিনার ১১টায় ,তারপর রাত ১২টায় শক্তিগড়ে ল্যাংচা খেয়ে, ১;৩০ কোলকাতা বেহালার বাড়িতে।খুব সুন্দর রাস্তা।সবাই একবার ঘুরে আসতে পারেন। Post By:- Chakraborty Sukhendu
|
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |