মনটা বিদ্রোহ হয়ে উঠেছিল ছুটির জন্য। অনেক অনুনয় করেও সময় কে রাজী করানো যাচ্ছিলো না। অবশেষে সময় রাজি হওয়াতে আমরা চললাম মন্দারমণি-তাজপুর। ঘর হ'তে দু পা দূরে কোণা এক্সপ্রেস ধরে যাত্রা শুরু ।
যাত্রা শুরু সকাল সাতটা। পথে কোলাঘাটে প্রাতঃরাশ এবং এগিয়ে চলা গন্তব্যে র উদ্দেশ্যে। সকাল থেকেই অভিমানী আকাশে র মুখ ভার। নন্দকুমারের কাছাকাছি পৌঁছোনো মাত্র শুরু হ'ল হালকা বৃষ্টি। শহুরে লোক তো.. কংক্রীটের জঙ্গলে থাকা প্রকৃতি র কাঙাল। চারদিকে দূষণহীন এতো সবুজে র বৈভবে বিভোর। তাই, গাড়ী চালাতে একটু অসুবিধা হ'লেও এগিয়ে যাওয়ার লোভ টা সামলানো গেলো না। নির্ধারিত হোটেল এ পৌঁছতে প্রায় ১টা বেজে গেলো, মধ্যাণ্ণভোজন সেরে সোজা সমুদ্র। আকাশ তখন অনেক সংযত। মেঘ- সূর্যর লুকোচুরির মাঝে ঢেউয়ের বুকে আত্মসমর্পণ। নোণা জলের আদরে দূর হয়ে গেলো শহুরে ক্লেদ। ঘড়িতে তখন সন্ধে ছ টা। মেঘের আড়ালে সূয্যি গেছে পাটে। অতএব চা পানের উদ্দেশ্যে হোটেল এ প্রত্যাবর্তন, সঙ্গে টা হিসেবেছিল পমফ্রেট । এবার হলো না, তবে বড়ো লোভ পরের বার এসে সূর্যোদয় দেখবো। শহুরে আকাশ এতো নীল শেষ কবে দেখেছি, মনে পড়েনা যে...... Copyright © Tanmoy Das. All rights reserved.
2 Comments
সাগর সঙ্গমে (মন্দারমণি,সমুদ্র সৈকত আর আমরা) অনেক তিয়াসে করেছি ভ্রমণ, জীবন কেবলই খোঁজা! অনেক বচন করেছি রচন, জমেছে অনেক বোঝা। বেঁচু গিরির জীবন মশাই আমাদের। মাসের পর মাস, প্রথম দিনেই স্থির হয়ে যায় আমাদের লক্ষ্য, আর বাকি ঊনত্রিশ দিন ধরে সেই লক্ষ্যভেদের উদ্দেশ্যে ছুটে চলা। আমরা সেলসম্যান। আর সারা মাসের এই কঠোর পরিশ্রমের পর অন্তিম দিনে যখন লক্ষ্য পূরণ হয়, তখন হয় তার উদযাপন। সঙ্গে যদি একটা দিন অতিরিক্ত ছুটি পাওয়া যায় তবে তো আর কোন কথাই নেই। তাই এবার ঠিক হল, উদযাপন টা হবে মন্দারমণির সমুদ্র তটে। সঙ্গী, আমরা নয় জন। কথাতেই তো আছে "যদি হয় সুজন, তেঁতুল পাতায় নয় জন"। তাই দুই বন্ধুর গাড়ি নিয়ে শনিবার সকাল সকাল শুরু হল যাত্রা। চলন্ত গাড়ির ঠান্ডা কেবিনে তখন বাজছে "Party sharty karenge karenge... Long drive pe chaal"। এইভাবে চলতে চলতে সোজা কোলাঘাট। কোলাঘাটে পৌঁছে তেল চপচপে আলুর পরোটা, আচার আর চা দিয়ে হল প্রাতরাশ। কিছু সময় পরেই আবার শুরু হল যাত্রা। নন্দকুমার পেরোনোর পর থেকেই শুরু হল বৃষ্টি। বুঝলাম, প্রকৃতি আজ নিজেকে উজাড় করে দিতে প্রস্তুত। মাঝে কাঁথিতে সামান্য একটু বিশ্রাম নিয়ে সোজা চাউল খোলা। আরও দশ কিলোমিটার চলার পরেই দেখতে পেলাম নীল জলরাশি, আর কানে এল তার গর্জন। অনুভব করলাম গাড়িতে আর এক বিন্দুও বসে থাকতে ইচ্ছে করছে না। সমুদ্রের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা হোটেলে পৌঁছেই সবাই মিলে তড়িঘড়ি করে গিয়ে নামলাম সমুদ্রে। মনে হল যেন "দিল তো বাচ্চা হেয় জী"। এক একটা ঢেউ তৈরি হচ্ছে তারপর ভাঙ্গছে আবারও তৈরি হচ্ছে। আর আমরা একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে তার তালে তাল মেলাচ্ছি। যেন শৈশব কে আবার ফিরে পাওয়া। সমুদ্র স্নানের পর হোটেলে ফিরে পার্শ্বে আর পমফ্রেট মাছ দিয়ে ভুরি ভোজনের পর, আবারো বেরিয়ে পরা। এবার সামান্য ঘোরাঘুরি করে যখন ফিরছি, বন্ধুর গাড়িতে তখন বাজছে "আভী তো পার্টি শুরু হুই হে"। সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে সমুদ্রের ধারে বসে, শুরু হল চিকেন পকোরা আর কাতলা মাছ ভাজা সহযোগে বাঙালির চিরাচরিত আড্ডা আর গান। দুরে, ওই অনেক দুরে গাঢ় কালো অন্ধকার সমুদ্রের মাঝে তখন ছোট ছোট প্রদীপের শিখা যেন জ্বলজ্বল করছে। জেলে ভাইয়েরা ব্যাস্ত তাদের দৈনন্দিন জীবন সংগ্রামে। সমুদ্রে তখন জোয়ার এসেছে সঙ্গে চলেছে তীব্র হাওয়ার দাপট। আর তার গর্জন যেন আমাদের শিহরিত করছে, এলোমেলো করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ। সমুদ্রের ধারে এই সামুদ্রিক হাওয়ার যেন এক আশ্চর্য মাদকতা আছে। তাতে আসক্ত না হয়ে উপায় কি। মনে পরে গেল বিখ্যাত সেই গানের লাইন "মেজাজটাই তো আসল রাজা আমি রাজা নয়"। রাতে মুরগির কষা মাংস আর সঙ্গে গরম গরম রুটি দিয়ে উদর পূর্তি করে যখন শুতে গেলাম, ঠিক হল পরের দিন সূর্যোদয় দেখব। কিন্তু বেয়াড়া ঘুম যখন ভাঙ্গলো, ঘড়িতে তখন সকাল ছটা। কাজেই এই যাত্রায় সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখার স্বাদ আমার মনেই থেকে গেল। সকাল সকাল বেড়িয়ে, সমুদ্রের পাড়ে বালির উপর দিয়ে খালি পায়ে হাটতে হাটতে সমুদ্র দর্শন যেন চোখের শান্তি, সঙ্গে মনেরো। বেশ কিছুটা সময় সমুদ্রের জলে পা ভিজিয়ে হাঁটলাম। তারপর আবার হোটেলে ফিরে গরম গরম লুচি আর আলুর তরকারি দিয়ে প্রাতরাশ সেরে নিলাম। এইবার ফেরবার পালা। সমুদ্রের তীরে বাঁশ আর চাটাই এর দ্বারা নির্মিত একটি সস্তার হোটেলে অপূর্ব দেশী মুরগির মাংস আর গরম গরম বাসমতি চালের ভাত খেয়ে শুরু হল ফেরার পথ চলা। আগামী কাল থেকেই শুরু হবে আরও একটি নতুন মাস আর তার নতুন লক্ষ্য। আর এই সেই লক্ষ্য ভেদ করলেই হবে পুনরুযাপন, হবে হুল্লোড় হবে উল্লাস। সঙ্গী: Shrinjoy Saha, Subhankar Barman, Amit Saha, Ishan Banerjee, Gourav Halder, Mithun Chakraborty, Saikat Das, and Me Post By:- Debapriya Roy
প্রথমেই বলে রাখি আমি সুন্দর করে লিখতে টিখতে পারিনা...শুধু নিজের ভালো লাগা টাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম.... সময় সুযোগ পেলে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়া আমাদের নেশা...তাই বাস এ যাব ঠিক করেও বর্ষার ভ্রুকুটি কে মাথায় রেখেই রথ যাত্রার দিন জয় জগন্নাথ বলে বেরিয়ে পড়লাম বাইক নিয়েই...গন্তব্য লাল কাঁকড়া বীচ...অনেকেই জায়গা টার সাথে অল্প বিস্তর পরিচিত...তবু বলি এটি মন্দারমনির 4 কিমির মধ্যেই... ওখানে আমরা বিধু মহারাজের আশ্রম এ গিয়ে উঠেছিলাম...এটি রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন এর মন্দারমনি শাখা...শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ...গেলেই মন টা ভালো হয়ে যায়...আর সমুদ্র একেবারেই কাছে...যাই হোক আমরা পৌঁছেই আগে সমুদ্রে...বিচ একেবারেই ফাঁকা...আমরা 3 জন ছাড়া আর কাউকে স্নান করতেই দেখলাম না...তার সাথেই দেখা পেলাম মাত্র কয়েকটি লাল কাঁকড়ার ..কারন তখন জোয়ার থাকায় তারা সব বালির নিচে ঢুকে ছিল... স্নান করতে করতেই বৃষ্টি এল...এত সুন্দর আকাশ ছিল না দেখলে বোঝানো মুশকিল...কখনো মেঘ তো কখনো পেঁজা তুলোর নীলচে আকাশ...অপূর্ব... যাই হোক স্নান সেরে এসে খেয়ে নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়ার পালা...গন্তব্য তাজপুর, দীঘা....বলে রাখা ভালো মিশন এ মাছ রোজ ই হয় তবে সেদিন রথ থাকায় নিরামিষ হয়েছিল যদিও রাতে মাছ ছিল...খাওয়া দাওয়া ও বেশ ভালো... প্রথমে আমরা গেলাম নিউ দীঘা সেখানে বেশ কিছুক্ষন কাটিয়ে ছবি টবি তুলে গেলাম ওল্ড দীঘা...ওখানেও কাটালাম বেশ কিছুটা সময়...ফিরতে বেশ দেরি ই হয়ে গেল..মিস করে গেলাম আশ্রমের সন্ধ্যা আরতি...খুব ই ইচ্ছা ছিল দেখার...আর কী করা !! সন্ধ্যে বেলা মুড়ি চানাচুর চা দিয়ে জলখাবার সেরে বারান্দায় বসে সমুদ্র দেখতে দেখতেই 9:45 নাগাদ খেতে যাওয়ার ডাক এলো নিচ থেকে...দেখলাম আশ্রমের ছেলে রা কেমন সুন্দর প্রার্থনা করে খেতে বসল...অত ছোট ছোট ছেলে রা কিন্তু কোন হই হট্টগোল নেই...আমরাও খেয়ে নিয়ে শুতে গেলাম পর দিন ভোর ভোর উঠে সান রাইস দেখার পালা... সূর্যোদয় দেখায় বাধ সাধলো তুমুল বৃষ্টি!!একটু পরে বৃষ্টি ছাড়লে গেলাম সি বিচ এ...দেখলাম প্রচুর লাল কাঁকড়া...বড়ই লাজুক তারা...ভালো করে ছবি তুলতেই পারিনি... আশ্রমে ফিরে দেখলাম ছেলেরা কেমন সুন্দর প্রার্থনা গৃহে বসে নিজেরাই প্রার্থনা করছে... স্নান করে লুচি ঘুগনি দিয়ে টিফিন সেরে বেরোনোর পালা...মহারাজের সাথে দেখা করলাম...অমায়িক ব্যবহার...বারবার জানতে চাইলেন কোনো অসুবিধা হয়েছে কিনা...আবার যেন আসি... দুপুরে খেয়ে আসতেও অনুরোধ করলেন...তবে দেরি হয়ে যাওয়ায় অনুরোধ রাখতে পারলাম না...বাড়ি পৌঁছে খবর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেরিয়ে এলাম আশ্রম ছেড়ে... বাড়ি ফেরার পথে গেলাম বগুড়ান জলপাই আর জুনপুট....বগুড়ান জলপাই দারুন লাগলো...অন্যরকম সমুদ্র...পাইন গাছের জঙ্গল...খুব সুন্দর জায়গা....আর জুনপুট এ দেখলাম শুঁটকি মাছ প্রকল্প...কত যে মাছ তা বলে বোঝানো যাবেনা... এবার একেবারেই বাড়ি ফেরার পালা...আবার আসার ইচ্ছা নিয়ে চললাম বাড়ির পথে... আপনাদের সুবিধার্থে আশ্রমের Information দিলাম.... Post By:- Payel Chakraborty
তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস থেকে নামতেই একরাশ বৃষ্টিভেজা ঠান্ডা হওয়া লাগলো, চোখে "দীঘা" নামের সাইনবোর্ড পরতেই মনে একটা আনন্দের ঢেউ খেলে গেল। হাওড়া স্টেশনে ভিড় দেখে মনে ভাবলাম ভাগগিস reservation করেছি। চারঘন্টার সফর। কখনো ফুলচাষীদের মাঠের ফুল কখনো রূপনারায়ন এর ব্রিজ পেরিয়ে ট্রেন ছুটে চললো। সকাল 10.30, তখুন দীঘা তে। স্টেশন থেকে নিউ দীঘা সমুদ্র সৈকত 15 মিনিট হাঁটা। হোটেল অনেক। আমার পছন্দের সাগরপ্রিয়া হোটেল। হোটেলের সামনে থেকে অটো, টোটো, 4 wheeler সব পাওয়া যায়। হোটেলের নিজস্ব রেস্টুরেন্ট আছে। একটা 1200 টাকা দিয়ে গাড়ী করে নিলে তালসারি,উদয়পুর, তাজপুর, শঙ্করপুর এসব ঘুরতে একদিন লাগে। আর সবশেষে সন্ধ্যার নক্ষত্রখচিত কালো আকাশের সাথে হারিয়ে যাওয়া কালো সমুদ্রের ঢেউ। হওয়াতে চুলের এলোমেলো ওরা আর হেডফোনে বাজা রবীন্দ্র সংঙ্গীত। Post By:- Arpan Nandi
হঠাৎ ক্যালেন্ডারে চোখ রেখে দেখলাম শনিবার রথের ছুটি।ব্যস,একটা ক্যাজুয়াল লিভ নিলেই দুদিন ঘোরা যাবে। কাছাকাছি ঘোরার কথা হলে সবার আগে দীঘার কথাই মনে পরে,তার ওপর বৃষ্টিতে সমুদ্র স্নানের লোভ আর সামলাতে পারলাম না।আমরা সাত জন বন্ধু(সহকর্মী হলেও এখন আমরা যেন একই পরিবারের সদস্যরা) মিলে ঠিক করলাম তাহলে দীঘাই হোক রথের ছুটির গন্তব্য।একমাস আগে ট্রেনের টিকিট, হোটেল বুকিং করে ফেললাম।তারপর কতো কি পরিকল্পনা।শেষপর্যন্ত চলে এলো সেই শুভদিন Friday13th। তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস করে আমাদের কচিকাঁচাদের সাথে নিয়ে পৌঁছে গেলাম দীঘায়।আমরা ওল্ড দীঘার হোটেল পূর্ণিমাতে ছিলাম। পৌঁছেই লাগেজ রেখেই সমুদ্রের কাছে।অমাবস্যা থাকায় সমুদ্র উত্তাল।তবে স্নান করা যাচ্ছে।কিন্তু বৃষ্টির কোনো লক্ষণ নেই।চড়া রোদ মাথার ওপর।স্নান সেরে বিকেলের পড়ন্ত রোদে সমুদ্রের কি অপরূপ শোভা দেখলাম তা ভোলার নয়,কি উত্তাল ঢেউ।পাড়ের বোল্ডারে আছড়ে পড়ছে রুপোলি ঢেউয়ের ছটা।দুধসাদা জল আছড়ে পড়ছে পাড়ে।অনেক রাত পর্যন্ত সেই গর্জন সহ উত্তাল সমুদ্র দেখে হোটেলে ফিরতে মন না চাইলেও উঠতে হলো।পরদিন সকালে স্নান করতে গিয়ে শুনি জোয়ার চলছে এখন সমুদ্রে নামা যাবেনা।ভাঁটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।তাই অপেক্ষা করলাম।কি অপরূপ সেই সৌন্দর্য সমুদ্রের।ভয়ঙ্কর হলেও অপরূপ।ঢেউ আছড়ে বোল্ডার পেড়িয়ে রাস্তায় এসে পড়ছে।একটা ছাউনি তে বসে ডাব খেতে খেতে সেই দৃশ্য উপভোগ করলাম আমরা সবাই।ধীরে ধীরে শান্ত হলো অর্থাৎ ভাঁটা শুরু হলো।সমুদ্রের ধারের ক্যামেরাম্যানরা বললেন যে ,একটু পরেই স্নান করা যাবে।ঠিক তাই।প্রাণ ভরে আমরা সকলে খুব স্নান করলাম।কিন্তু বৃষ্টি হলোনা ছিটেফোঁটাও।এরপর লাঞ্চ করে একটা গাড়ি বুক করে গেলাম তালসারি।সেখানেও ভাঁটা থাকায় এক নতুন অভিজ্ঞতা। এক একটা বাইকে দুজন করে বীচের কাছে মোহনায় যাওয়া হলো।আর যেখানে লাল কাঁকড়া আছে সেখানে।দারুন অভিজ্ঞতা হলো এটা।এর আগেও অনেকবার তালসারি গিয়েছি এই বাইক চড়া হয়নি।জোয়ার থাকলে নৌকো নাহলে হেঁটে যেতে হতো।তারপর উদয়পুর।উদয়পুর বীচ আমাদের খানিকটা নিরাশ করলো।আগে ওখানে একটা নির্জনতা ছিল।এখন শুধু মাছভাজা দিয়ে বিয়ার আর হুক্কা খাবার যেন আস্তানা হয়েছে দেখলাম।তাই খানিক থেকেই দীঘায় ফিরলাম।রথের বিকেল, সুন্দর সুন্দর রথ সাজিয়ে দাঁড় করানো আছে রাস্তার পাশে।তবে কোথাও জিলিপি আর পাঁপড় ভাজার দোকান নেই।অগত্যা কিছু স্ন্যাক্স খেয়ে আবার সমুদ্র দেখা।ঘরে ফিরতে মন না চাইলেও ফিরতে হলো।পরদিন সকাল সাড়ে দশটায় ট্রেন।তাই সকালে ঠিক করলাম শুধু সমুদ্র দেখবো প্রাণ ভরে।হোটেলে ফেরার সময় বৃষ্টি দেখা দিল।স্নানের বৃষ্টি অধরা রেখে সমুদ্রকে বিদায় জানিয়ে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস ধরে বাড়ি ফিরলাম।তবে এই ট্যুরের উপরি পাওনা ছিল বর্ষার ইলিশ, সেটা আমাদের নিরাশ করেনি। Post By:-Suneeta Saha
মন্দারমনি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার আর নেই। বাঙালির প্রিয় জায়গা দীঘার পর কাছাকাছি যদি কিছু থাকে তাহলে সেটা মন্দারমনি। হঠাৎ করে ঝটিকা সফরে সমুদ্রর বিকল্প আর কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।তাই আমরাও বেরিয়ে পড়লাম নিজেদের গাড়ি নিয়ে। গিয়েছিলাম বৃষ্টির আশায় কিন্তু নিরাশ হতে হল। খটখটে রোদ নিজের তেজ ভালো মতন জানান দিচ্ছিল। আর একটা ব্যাপার এবারের সফরে দেখলাম যেটা ভালো এবং খারাপ দুইই লাগল সেটা হল প্রশাসনিক অতি তৎপরতা। এটা আমরা সবাই জানি যে গত এক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটে গেছে দীঘা এবং মন্দারমনিতে যৌথ ভাবে। তাই প্রশাসন পর্যটকদের সুমতি ফেরার আশায় না থেকে নিজেরাই মাইক বাজিয়ে সতর্কীকরন করছিল। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু........ যখন ভাঁটা চলছে তখনও যদি কেউ হাতে মাইক নিয়ে চিৎকার করতে থাকে সর্বখন সেটা সমর্থন করি না। এমনকি তারা বীচে নেমে এসে জলে পা পর্যন্ত ভেজাতে দিচ্ছেন না। দীঘা, মন্দারমনি, তাজপুর, শংকরপুর - সব জায়গায় এক ছবি। তাই আমি শুরুতেই লিখলাম যে এই তৎপরতা আমার ভালো আর খারাপ দুই লেগেছে। সবশেষে বলি... আমরা ছিলাম ARYA BEACH RESORT এ। 2500 তে double bed sea facing room এ ছিলাম। খুব ভালো হোটেল ম্যানেজমেন্ট। খাওয়ার ব্যবস্থা দারুণ। প্রতিটি কর্মচারীর মুখে হাসি দেখে মন ভরে যায়। আবেদন করি সবাই একবার থেকে দেখতেই পারেন। ভালো লাগবে। Post By:- Madhura Hore
অনেক এর নানান ব্যাধি হয়, আমার ব্যাধি টা হল ভ্রমনব্যাধি। দু তিন মাস অন্তর অন্তর কোথাও না গেলে দম বন্ধ হয়ে আসে। কলকাতার রোজকার ব্যস্ত দমবন্ধ জীবন থেকে রীতিমত পালিয়েই বলতে পারেন চললাম নিরিবিলি মন্দারমনির পথে, শনিবার সকাল সকাল বেরিয়ে পরলাম পৌঁছে গেলাম ওই ১১ টা নাগাদ, ইকো ভিলা রিসর্ট বুকিং করেছিলাম।হোটেল টি হয়তো উঁচু ইটের বাড়ি না, কিন্তু বাঁশের ফার্নিচার আর খড়ের ছাউনির একটা আলাদা অনুভূতি।হোটেলে এসে দুপুরের খাবার সারলাম পাবদা চিংড়ি আর পার্শের সাথে। খেয়ে বেরোলাম সমুদ্রে চান করতে , চান সেরে চা আর কাঁকড়া খেয়ে ফিরলাম রিসর্টে। আমাদের হোটেল টা একদম সমুদ্রের ধারে, বলতে পারেন ঘরের দোরগোড়ায় । রাতে পূনিমার চাঁদের আলোতে আর ঢেউ এর গর্জনের আওয়াজে সমুদ্র কে অন্য রুপে দেখলাম। রাতে ডিনার করতে করতে পর দিন বিচিএপুর যাওয়া ঠিক হল, অনেক শুনেছি এই জায়গার কথা। মন্দারমনি থেকে 48 কিমি। সে এক অপরুপ জায়গা, অনেকটা সুন্দরবনের মত অনেক ছোটবড় খাঁড়ী সৃষ্টি হয়ে এক সুন্দর ম্যানগ্রোভ অরণ্য তৈরী হয়েছে। বোটে করে সেইসব পার হয়ে পৌঁছে গেলাম বিচিএপুর ইকো আইল্যান্ডএ । ওখান থেকে ফিরে দুপুর এর খাওয়া দিঘাতে সেরে রওনা দিলাম মন্দারমনির পথে। পর দিন সকাল সকাল বেরিয়ে পরলাম কোলকাতা র পথে , কিছু মূহুর্ত ক্যামেরা বন্দী করে ফিরে চললাম রোজকার থোর বড়ি খাড়া,খাড়া বড়ি থোর জীবনে..... Post By:- Arnab Chakraborty
"এক আকাশ জঙ্গল,নাকি সাগরের নিভে আসা আলো,কে তোকে সিঁদুর পড়ালো? দিঘাকে প্রশ্ন করে ভীতু তালসারি,আমি কি তোকে একবার চুমু খেতে পারি? মেঘলা দুপুর বেলা দিঘা ছিল নিরালা ঝিনুক বিছানো পথে হেঁটে গেছি তুমি আর আমি সকালবেলা। যত দূরে তুই গেলি আমি গেছি ততদূর ততদূরে ভাটা গেল শংকরপুর। জোয়ার এলো ডুবে গেল মন দূরত্ব জানে দূরের ঘন ঝাউবন। যত দূর চোখ যায় চেয়ে দেখি বালি আর বালি এমন সাগর তীরে মেয়ে তুই আগুণপোহালি? মোহনার কাছে পথ হারিয়েছে সূর্যের ইশারায় মাঝিদের ঘুম ভাঙছে রুপালি মাছের আশে লেগেছিল আদরের ঘ্রান সারারাত জেগেছিল কবিতারা আর কিছু এলোমেলো গান।" দিঘা নিয়ে কিছু লিখতে একটু কুন্ঠাবোধ করছি।কারণ দিঘা নিয়ে খুব ভালো ভালো লেখা গ্রুপে আছে।আর দিঘা নিয়ে কিছু বলা মানে মায়ের কাছে মাসির গল্প বলার মতো।বাঙালির কাছে দিঘা মনেহয় একমাত্ৰ জায়গা যেখানে যাওয়ার জন্য চারমাস আগে থেকে টিকিট কেটে রাখতে হয় না।এবার মে মাসে ভোটের জন্য আগে থেকে কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করিনি।পকেটের অবস্থাও ভালো নয়।তবুও ছুটি মানেই কোথাও একটা ঘুরতে যাওয়া প্রত্যেক বাঙালির অবশ্য পালনীয় কর্তব্যের মধ্যেই পরে যায়।অগত্যা ছেলের আবদার মেটাতে দিঘা।এই এক জায়গা যা কখনোই পুরোনো হবে না।এখন দিঘাকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে।সন্ধেবেলায় বিশ্ববাংলা পার্কের সামনের ভিড় দুর্গাপূজার ভিড়ের কথা মনে করিয়ে দেবে।অনেকবার দিঘা এসেছি।কিন্তু এরকম মারাত্মক ভিড় কোনোবার দেখিনি।সমুদ্রস্নানের সময় ছেলের চোখেমুখে উচ্ছাস দেখে আমার নিজের প্রথম দিঘা বেড়াতে আসার কথা মনে পড়ছিল।সেই বাবার হাত ধরে সমূদ্র স্নান,দুরুদুরু ভয় নিয়ে ঘোড়ায় চড়া, ডাব হাতে করে ছবি তোলা সবই।আসলে কিছু দৃশ্য মনে হয় চিরকালীন।দৃশ্য পট একই থাকে।মানুষ গুলো শুধু বদলে যায়।শংকরপুর থেকে তাজপুর পর্যন্ত রাস্তা বাঁধাই চলছে।এটা নাকি পুরো দিঘা পর্যন্তই হবে।ভালো উদ্যোগ।কিন্তু এখন থেকেই চুড়ান্ত অব্যবস্থা শুরু হয়ে গেছে।toto র জন্যও পার্কিং ফী নিচ্ছে।ভারতের আরো ভালো ভালো সমূদ্রটতের সাথে পাল্লা দিতে হলে আরো অনেক উন্নত infrastucture দরকার।দিঘার beacher icecream, জল সবই 5 টাকা করে বেশি নিচ্ছে।কোনোদিন এরকম দেখিনি।বললে বলছে এটাই দিতে হবে।তবে যত যাই হোক অনেক সমুদ্র পারেই গেছি দিঘার মতো এমন আপন আর কেউ নয়।পরের বার আবার আসবো এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে আর বুকভর্তি একরাশ অক্সিজেন নিয়ে হাওড়া গামী ট্রেনে চড়ে বসলাম।মনের প্রজেক্টরে তখনও চলছে সাগরপারের বিভিন্ন দৃশ্যের স্লাইডিং শো। Post By:- Nandita Mitra
Digha aar Talsaari, aaha bitokto hoben na, jani ei niye onek post hoyeche😁Ami tobe ektu onno kotha bolte chai. Recently okhane ghurte giye amar mone holo kichu Does and Don't share kora uchit. Apnader kaaje lagle sarthok hobe ei post 😚 1 Prothome asi posak er kotha boli.Jehetu eta sea beach, weather sokaal e besh gorom, tai light cotton porai banchoniyo. Onek kei dekhlam besh jobbor salwaar suit ba full pant shirt porechen, ebong ghame bhijchen. 2. Somudre r kache giye jole nambe na erokom manush birol. Tai quater ba half pant, leggings porai bhalo. Meye der sea beach er jonno halka kaftaan paoya jai, knee length ( shiffon er) top er upor porte paren. Dheu asle orna khub ekta kaje dai na. Joriye giye bipod hote pare. 3. Paye slippers porai bhalo. Besi r bhag traveller leather shoes porechilen. Stylish slippers beach er jonno perfect. Bali ebong chorer upor shoes pore chole😱hoiraani !!! 4 Digha te jinish pahara dite hoe beach er dhare. Dheu ebong chor dui sommoshar haath theke bachte. 5 Daam jigesh na kore kichu kinben na pleaseeee. Jhal murio na. 6. Sorbo jaigai MRP theke besi charge korchilo. Protibaad korai naini. 7. Sunglass ebong cap ba hat must. Rodh er haath theke bachte 8 Talsaari te nijer vehicle na thakle ektu chaap ache. 9. Ohetuk thuthu (spit) kora theke biroto thakun. Amader desh ke poriskaar rakhar daiyotto amader e. 10. Plastic bottle onekei Mangroove forest e phele dicchen, bacchader o bolchen phelte. Old Digha beach e dustbin ache tao beach nogra korche. Eder thaman aar nijerao ektu sotorko thakun. Sob je sesh hoye jabe nahole. 11 Digha r fish fry gulo te prochur harmful food colour mix kore. Talsaari r gulo besi tasty , no colour added aar fresh. Eto gyaan debar jonno marjona chailam. Ebar kichu photo dekhai. Post By:- Ushasi Dutta
দীঘার কাছে উদয়পুর এখন খুব পরিচিত নাম। এখানে থাকার একটাই জায়গা WBSFDC এর Tourist complex. যারা দীঘা গেছেন সবাই হয়ত এই beach টায় গেছেন ঘুরতে বা স্নান করতে। আমি জায়গা বা beach এর details না লিখে থাকার জায়গাটার একটা point to point review লেখার চেষ্টা করি। Ambience & Location: সম্ভবত এটাই সব থেকে বড় জায়গা নিয়ে। 2 টো আলাদা complex এ ভাগ করা। ২-৩ খানা মাঝারি পুকুর, বেশ সুন্দর সাজানো বাগান, দোলনা, boating এর ব্যাবস্থা আছে। Location টা একটু remote - toto, auto বা motor van পাওয়াটা একটু difficult. Public transport পেতে গেলে normally ৫-৭ min হেঁটে beach এর সামনে stand এ যেতে হয়। অনেক সময় সামনে থেকেও পাওয়া যায়, তবে কম খুব। এছাড়া এদের নিজেদের একটা toto আছে, বলে রাখলে সেটা পাওয়া যায়। Old digha or new digha থেকে share কিছু যায় না। ভাড়া ১৫০ / ১০০ toto তে। এবার আসি beach এ যাবার কথায়। Complex থেকে বেড়িয়ে বেশ কিছু সিঁড়ি ভাঙলে beach এ যাওয়া যায়। তবে এখানে স্নান করা যায় না। স্নানের জায়গায় যেতে গেলে ঝাউ বন বা রাস্তা দিয়ে আরো ৫-৭মি হাঁটতে হবে। Beach এর ধারে বসার জায়গা আছে। Room & Service: Deluxe room 1400/- + GST. ২ টো একদম সাধারন লোহার খাট গায়ে লাগানো। খুব সাধারন মানের হোটেলে যেমন থাকে। ঘরে একটা plywood এর প্রায় ভগ্ন আলমারি, ২ টো plastic এর chair আর একটা শাজাহানের আমলের ১৪" সাদা কালো ধরনের রঙিন টিভি। তবে ঘরের size খারাপ না। Bathroom টা মোটামুটি। Shower থেকে জল পরতেও পারে নাও পারে। Room service ব্যাপার টা নাম এই। সরকারী service একদম ই। সন্ধ্যেবেলার snacks ছাড়া ঘরে কিছু দেয় না। Food: খাবার menu limited. Breakfast এ লুচি তরকারী বা butter toast সঙ্গে poach/omelette/boil. বলে বটে order অনুযায়ী মাছ পাওয়া যাবে, কিন্তু আমার ধারনা public demand এর উপর বেশী dependent। Pomfret, chingri, vetki টাই পাওয়া যায়। খাবার আগে থেকে বলে দিতে হয়। Lunch এর সময় evening snacks আর dinner এর সময় breakfast আর lunch বলে দিতে হয়। খাবার আহামরি কিছু না, তবে হাল্কার ওপর ভালো। তেল মশলা কম দিয়ে করা। দাম এও সস্তা। সন্ধ্যাবেলা পাকোড়া, মাছ ভাজা, fish finger, french fries পাবেন। রাতে মাছ/ডিম/chicken এর সঙ্গে রুটি বা ভাত। Overall দীঘার ভীড় এড়িয়ে নিরিবিলি তে কিছু compromise করে ভালো জায়গা থাকার। Post By:- Rituparno Bhattacharya
|
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |