আমি আর আমার বউ গত 4-11-2020 থেকে 6-11-2020 পর্যন্ত নিউ দীঘা থেকে ঘুরে এলাম। গিয়েছিলাম প্রাইভেট বাসে হাওড়া থেকে ( আপনারা পারলে এটা এড়িয়ে যাবেন। কারণ, খুব আস্তে চলে)। ছিলাম নিউ দীঘা এর একটি হোটেলে (পোস্ট এর শেষে ফোটো দেওয়া আছে)।
যাইহোক, আমি এখানে কিছু কথা বলতে চাই, * *যদি কেউ দীঘা থেকে তাজপুর বা শঙ্করপুর ঘুরে আসতে চান কম খরচে (অটো 800/- মিনিমাম চাইবে সে 2-3 জন হলেও আর এই সময়ে তেও) তাহলে বলি,
সকালে দীঘা থেকে কাঁথী গামী যেকোনো বাসে চেপে বসুন। যদি শঙ্করপুর এ যেতে চান তাহলে নামুন 'চোদ্দ মাইল' বাস স্টোপ এ (15/- জন প্রতি)। সেখান থেকে অটো করে চলে যান 'শঙ্করপুর সি বিচ' (10/- জন প্রতি)। শঙ্করপুর এমনিতে খুব ছোট জায়গা। সাধারণ খাবার দোকান সব পাবেন। যদি জলখাবার না খেয়ে আসেন তাহলে খেয়ে নিন এখানে। কিছুক্ষণ ঘুরুন। ছবি তুলুন। তার পর আবার একই ভাবে উল্টো পথে ফিরে আসুন দীঘা তে।
** যদি তাজপুর যেতে চান, তাহলে বাস থেকে নামবেন 'বালিসাই' তে (20/- জন প্রতি)। সেখান থেকে অটো নিয়ে চলে যান তাজপুর আর উপভোগ করুন সমুদ্র আর প্রকৃতি (10/- জন প্রতি)। মনে রাখবেন, এখনো অবধি তাজপুর এ কোনো কৃত্রিম ভাবে সমুদ্র এর পাড় বাঁধানো হয়নি। এখানেও খাবার এর দোকান আছে। তাই চিন্তা করবেন না। * যদি কেউ একইসাথে এই দুই জায়গায় ঘুরতে চান (মানে আমাদের মতো) তাহলে আগে তাজপুর এ তারপর 'বালিসাই' থেকে ফেরার বাস ধরে 'চোদ্দ মাইল' এ এসে শঙ্করপুর।
0 Comments
"দীঘা ভ্রমণ"
আমার নিবেদন,,,,, রিজু পেল চাকরি ,তার ইচ্ছা পরিবারের সকলকে নিয়ে যাবে একটা ভ্রমণে ,সমস্ত খরচ তার। পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৮ জন সকলের আলাদা আলাদা কর্মক্ষেত্র ।সেই কর্মক্ষেত্রকে মানিয়ে গুছিয়ে ছুটি বার করা খুবই সমস্যা কর ব্যাপার ।এর হয়তো ওর হয় না ,ওর হয়তো তার হয় না ,তার হয়তো এর হয় না ।এইরকমই সবকিছুর মাঝে ঠিক হল ৬ ও ৭জুন এই দুই দিন আমরা কাটাবো দিঘাতে। দায়িত্ব সম্পূর্ণ ঋজু তার সাথে ফুচু আছে ।দুজন মিলে হোটেল ভাড়া বাসের টিকিট কাটা সবকিছু ঠিক করে ফেলল ।৬ জুন সকাল বেলা ডানলপ থেকে দীঘা গামী বাসে চেপে বসলাম ১৮জন মিলে। সেখানে আমাদের জায়গায় আগেই বসে আছে অন্য জন ।ব্যাস সেই নিয়ে তো মামা আর পাপা কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে ফেললো বাসের কন্ডাকটারের সাথে । যাই হোক অবশেষে পৌঁছালাম দীঘা ।দিঘায় স্নান সবাই মিলে ,আপনাদের বলে রাখি আমার সহধর্মিনী কিন্তু জল দেখলে প্রচন্ড ভয় পায় এই জন্য সে নৌকা পারাপার হতে চায় না। ওর কেবলই মনে হয় জল মানে ও ডুবে যাবে। যাইহোক সবাই তাকে মানিয়ে নিয়ে আমরা সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত হলাম সঙ্গে ছিল বুজল ও। সন্ধ্যাবেলা সেই দিন একটু ঘুরে বেড়ালাম বিচের ধারে । আমি মাছ খেতে প্রচন্ড ভালবাসি মাছের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা অনেকদিন ধরেই আছে সেটা সকলেই জানে তাই সকলের আবদারে অল্প ,অল্প করতে করতে প্রায় বারোটা পিস্ মাছ খাওয়া হয়ে গিয়েছিল। পরের দিন অনেক সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই আমরা পৌঁছে গেলাম সূর্যোদয় দেখবো বলে সমুদ্রের কাছে। কিন্তু আমাদের আরো ভোরে যাওয়া উচিত ছিল। সমুদ্রের ধারে কাছে লোকজন খুব কম প্রায় নেই বললেই চলে, আমরা অনেক সকালে সেখানে ঝিনুক কুড়ানো , মাছ ধরা দেখা, কাকড়া খোঁজা এইসব নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। তবে সকাল ৭ টা বাজতে না বাজতেই রোদের উত্তাপে থাকা দায় ছাতা এবং ভাড়া করা তাঁবু তে সময় কাটিয়ে টিফিন করে আবার হোটেলে ফেরত ।আবার স্নানে যাওয়া পরিশেষে ৮তারিখ সকাল বেলা সবাই মিলে আবার বাড়ি ফেরা। মনে সমুদ্রের ঢেউ আর সমুদ্রের মাছের অনাবিল আনন্দ নিয়ে ফেরা। এটা ছিল আমাদের পরিবারের সঙ্গে প্রথম ভ্রমণ সকলে মিলে বেশ ভালো লাগলো। তাই সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নিলাম
টপিক টা নতুন কিছু নয়,
আমাদের সেই পরিচিত দীঘা।। হঠাৎ করেই বেরিয়ে পড়েছিলাম দুই বন্ধুতে ৪/৮/১৮ শনিবার অফিস ছুটির পর। কলকাতা থেকে wbtc বাস ধরলাম, ৪টা১৫মিনিটে নির্ধারিত সময় বাস ছাড়লো, দিঘায় যখন পৌছালাম তখন 9টা বেজে গেছে, খুব বিরক্ত হচ্ছিলাম এত লেট হয়ে যাওয়ার জন্যে। বৃষ্টি ধুয়ে দিচ্ছিল রাস্তাঘাট, একটা চেনা হোটেল এ আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলাম তাও চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম হোটেল রুম নিয়ে। যাই হোক হোটেল এ গিয়ে মনের মতো রুম টাই পেয়ে গেলাম। হোটেল ম্যানেজার এর কথা মতো ডকুমেন্টস জমা করে এলাম, সেদিন রাত্রে আর কোথাও বেরোনো হয়নি। রবিবার সকাল সকাল বেরিয়ে একটু ঘুরে নিলাম, নিউ দীঘা, উদয়পুর, তালসারি এবং ঐ সংলগ্ন দ্বীপ টিও।। কপাল করে আমি রবিবার সকালে উদয়পুর বিচ এ মাছ ধরে আনার সেই দৃশ্য দেখতে পেলাম। কিছু ছবি এবং ভিডিও দিলাম। এডমিন মহাশয় কে আগাম ধন্যবাদ । লিখতে ভালো পারিনা তবে চেষ্টা করলাম। ভুলভ্রান্তি হলে একটু ধরিয়ে দেবেন প্লিজ। ভিডিও টি শুধুমাত্র তালসারি বিচ থেকে তোলা এবং মাছ এর ছবি টি নিউ দীঘা থেকে। বাকি সব ছবি উদয়পুর থেকে নেওয়া।
কম বাজেটের বেড়ানোর কথা বলতে প্রথমেই মনে পড়ে দীঘা ।তবে দীঘা বহুবার ঘোরা বলে কেউ যেন নাক সিঁটকাবেন না । একে কেন্দ্র করে যেমন বাংলার বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে বা স্পটে যাওয়া যায় তেমন উড়িষ্যা র ও বহু জায়গায় যাওয়া যায়। সবটাই নির্ভর করছে হাতে কটা দিন আছে তার ওপর।
তবে দীঘা র কাছে নতুন দুটো বেড়ানোর স্থান হোল (১)দক্ষিণ পুরুষোত্ত্ম বীচ, (২)বিচিত্র পুর (উড়িষ্যা) । প্রথম টা মন্দারমনি থেকে ৪/৫ কিলোমিটার দূরে ফাঁকা শান্ত নিরিবিলি তট, দ্বিতীয় টা দীঘা থেকে ২০/২২ কিলোমিটার দূরে। পাহাড় যেভাবে কাছে টেনেছে আমায়.. সমুদ্র কোনদিনই টানেনি। তবে এবার সত্যিই সমুদ্রের এক অন্য রূপ দেখে তার ভালোবাসায় পড়তে বাধ্য হলাম।দীঘা-মন্দারমনি তো অনেক হল।আজ এক অন্যরকম সমুদ্রের সংস্পর্শে এলাম... এখানে সমুদ্র খুব খেয়ালী... চাইলেই আপনার পায়ের কাছে চলে আসবেনা..বরং আপনিই মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার দিকে এগিয়ে চলবেন। যাই হোক আসল বর্ণনায় আসি। আমার দেশের বাড়ি কাঁথি , তাই এবার এখানে এসে পেটুয়াঘাট, মসনদি আল্লাহ এর দরগা, বাঁকিপুট, বগুরান জলপাই যাওয়ার plan করলাম। সেই মতই আজ সকাল ১১ টা নাগাদ আমরা (আমি,মা,বাবা) বেরিয়ে পড়লাম একটি গাড়ি নিয়ে (ভাড়া করে নিয়েছিলাম)। তারপর একে একে ঘুরলাম কপালকুণ্ডলা মন্দির,পেটুয়াঘাট, মসনদি আল্লাহ এর দরগা,বাঁকিপুট,বগুরান জলপাই। এক্ষেত্রে বলে রাখি পেটুয়াঘাটে ভেসেলে পারাপার হয়ে তারপর কিছুক্ষণ টোটো করে গেলে পাবেন দারিয়াপুর বেলাভূমি ও মসনদি আল্লাহ এর দরগা... যারা শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে দুদণ্ড শান্তি চান আর প্রকৃতিকে খুব অন্যভাবে উপভোগ করতে চান তাঁরা ঘুরে আসতে পারেন। বগুরান জলপাই তে সুন্দর রিসর্ট আছে। আমার কাছে contact no নেই তবে অবশ্যই কারোর কাছে পেয়ে যাবেন। সবকিছু দেখে আমরা ৩:৪৫ নাগাদ কাঁথি ফিরে এলাম। Post By:- Samiksha Misra
চলনা দীঘার সৈকত ছেড়ে ….. ------------------------------------------ হঠাৎ সেদিন । হ্যাঁ হঠাৎই । পয়লা আগষ্ট । আমার বন্ধুক্লাব দু-তিনটি । সেদিন হঠাৎই ডাক দিলো চিত্রাঙ্গদা প্রমিলা বাহিনী । খুব বোর লাগছে - একটা কিছু করো - ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে শুনি অতল জলের আহ্বান ! ! ব্যস্ পাড়ার ট্রান্সপোর্ট এজেন্টেকে ফোন, ফোর সিটার নিয়ে হাজির পুচকে সারথী গোপাল । চলো বন্ধু বেলঘড়িয়া… না না বেলঘড়িয়া নয়, পুরুষোত্তমপুর … মন্দারমণি থেকে মাত্র চার কিলোমিটার । সকাল সাতটায় রথে চড়লাম । নিবেদিতা সেতু দিয়ে হাওয়ার বেগে ছুটলো রথ । বারবার সারথীকে সাবধান করছি “বাছা আমরা ট্রেন ধরবো না, অফিসে যাবোনা ...একটু আস্তে বাবা … “ একসময়ে থামালাম তাকে । রাস্তার ধাবায় পুরি সব্জি, চা হলো । আবার ছুট । কন্টাই, কাঁথি পার হয়ে চাউল পট্টি মোড় । মন্দারমণির রাস্তা সারথীর চেনা । কিন্তু পুরুষোত্তমপুর রামকৃষ্ণ মিশন ? হ্যাঁ ওটিই আমাদের একদিনের রাত্রিযাপনের হট্টমন্দির । রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অন্ততঃ চারজন আমাদের চারভাবে দিকনির্দেশ দিলো । আমরা কখোনো পৌঁছে গেলাম অনাথ আশ্রম, কখোনো বন্ধ কারখানার গেটে, কখোনো বা অজানা দিগন্তের মুখোমুখি । শেষে এমন জায়গায় পৌঁছে গেলাম যেখান থেকে কোন রূপকথা শুরু হতে পারে …”সে এক গভীর অরণ্য, চারিদিকে অদ্ভুত নৈশব্দ, দূরাগত সমুদ্রের শোঁ শোঁ শব্দ ...জন মনিষ্যির চিহ্ন মাত্র নাই …” তো সেই উবড় খাবড় জংলা পথ দিয়ে যেতে চোখে পড়লো দূরে গেরুয়া রঙের মিশনের দেওয়াল ….ইউরেকা ...ইউরেকা.. যেন প্রাণ আসলো ধরে !! মহারাজের উষ্ণ অভ্যর্থনায় ঠাঁই হলো দোতলার বেশ বড় ঘরে - দুটি বড় বড় বেড চারজনের জন্য যথেষ্ট । মুখ হাত ধুয়ে বসেছি । খাওয়ার ডাক পড়লো । খুব ভালো ব্যবস্থা । ভাত,ডাল,ভাজা,দু রকমের তরকারি, মাছ, চাটনি, পাঁপড় ! মনে হয় কিচেনের কর্মীদের কিছু ভুল আছে, কেননা দুপুরে মুড়ির চালে ভাত রান্না হয়েছিল আর সন্ধ্যের জলখাবারের সরু সরু মুড়ি - নিশ্চই তা ভাত রান্নার চালে ভাজা । খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে টই টই । মহারাজ হাঁ হাঁ করে উঠলেন - একি একটু বিশ্রাম করুন … বিশ্রাম করুন … কে শোনে কার কথা । আমাদের পালে তখন লেগেছে হাওয়া - বাইরে এলেই দেখেছি মন কেমন ছন্নছাড়া হয়ে যায় - " আমরা চঞ্চল, আমরা অদ্ভুত ….!! আশ্রমের উল্টো দিকেই সমুদ্র । নিস্তব্ধ শুনশান সমুদ্রতীর । এখন ভাঁটা চলছে । তীরে লাল কাঁকড়ারা পলাশ ফুলের পাপড়ির মতো ছড়িয়ে আছে - আমাদের পায়ের শব্দে সুরসুর করে গর্তে ঢুকে পড়ছে । তীরে স্টার ফিসের ছাপ, মরা শঙ্কর মাছের বাচ্চা । একটু দূরে দুজন স্থানীয় মহিলা সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে স্থির, সমুদ্রের কোমর জলে দাঁড়িয়ে একটি অল্প বয়সী ছেলে জাল টানছে । পায়ে পায়ে মহিলাদের কাছে এলাম । মহিলাদের একজন তো একদম বাচ্চা মেয়ে - সে বালির মধ্যে পা ঢুকিয়ে, তার উপর অনেকখানি বালি চাপিয়ে আস্তে করে পা টেনে বার করলো, হয়ে গেলো বালির দুর্গ । ছোট বেলার কথা মনে পড়লো । বয়স্ক মহিলার হাতে বালতি - সমুদ্রের মাছ ধরা ছেলেটির দিকে তাকিয়ে । জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম ছেলেটি বাগদা চিংড়ির বিন্ (মীন - সদ্যজাত বাগদার বাচ্চা - খুব সরু সুতোর মতো দেখতে) ধরছে । মা সমুদ্রের দিকে এগিয়ে গেলো, ছেলে তীরের দিকে কিছুটা এলো । ছেলে জাল ঝেড়ে ঐ মায়ের বালতিতে সমুদ্রের জলশুদ্ধু বিন্ ঢেলে দিলো । মা বালতি নিয়ে বালুচর ছেড়ে ঘাস জমিতে উঠলো । কৌতুহলে চললাম সঙ্গে সঙ্গে । সবুজ ঘাস জমিতে চারকোণা একটা গর্তের মধ্যে পলিথিন বিছিয়ে মীন শুদ্ধু সমুদ্রের জল বালতি থেকে ওখানে ঢালা হচ্ছে । একটা ঝিনুক দিয়ে ঐ সরু সুতোর মতো মীন মা তুলে তুলে একটা বাটিতে রাখছে । জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম দেড়শ টাকা হাজার হিসাবে ভেরীর মালিকরা কেনে এই মীন । জিজ্ঞেস করলাম “আজ কতো তুললেন ?” “সকাল দশটা থেকে এই অব্দি দুশ হবে !” আ্যঁ ...মানে এতো পরিশ্রমে হাজার হিসাবে উপার্জন হলো মাত্র তিরিশ টাকা ! উঃ কী নির্মম এই বেঁচে থাকা । মনটা খারাপ হয়ে গেলো । সন্ধ্যার সময় আবাসিক ছাত্ররা প্রার্থনা সঙ্গীত গাইলো । পিছনে বসা বাচ্চাদের লুকিয়ে লুকিয়ে খুনশুটি খুব উপভোগ করলাম “আমরা লক্ষ্মীছাড়ার দল, ভবের পদ্মপত্রে জল, সদা করছি টলমল …. নাহি জানি করণ-কারণ, নাহি জানি ধরণ ধারণ …নাহি মানি শাসন-বারণ গো …” সন্ধ্যেবেলায় মুড়ি ছোলা চা সহযোগে সান্ধ্য নাস্তা । দোতলায় রাস্তার দিকে মুখ করা একটা বেশ বড় বারান্দা । বসলাম সেখানে । যাদপুরের পিএইচডি ছাত্রী আর তার মা, দিদির সঙ্গে আড্ডা হলো, গান গাইলাম । রাতে ভয়ে আর ভাতের দিকে এগোইনি - ডিম রুটি ডিনার । পরদিন সকালে বিচিত্রপুর অভিযান । দীঘা ছাড়িয়ে, উড়িষ্যার বালাসোর জেলায় । এখানেও পথ বিভ্রাট । রাস্তার দুই প্রবীণ আর নবীনের ঝগড়া লেগে গেলো আমাদের দিকনির্দেশকে কেন্দ্র করে । বিচিত্রপুর সম্বন্ধে আমাদের জানাটা একটু কম ছিলো, তাই হই হই করে কুড়ি টাকার টিকিট কেটে উঠে বসলাম ফেরী নৌকায় বিচিত্রপুর দ্বীপের উদ্দেশ্যে । এমন জায়গায় নৌকা ভেড়ালো যেখান থেকে লাফিয়ে স্থলে নামতে হবে । আমাদের দুই বন্ধু পারলোনা । জানা থাকলে প্রাইভেট নৌকা নিতাম - তারা খুব ভালো মতো ঘোরায়, এমন জায়গায় নৌকা ভেড়ায় যেখানে লাফ দিতে হয়না এবং দ্বীপটা সম্পূর্ণ ঘোরা যায় । মন খুব খারাপ ।গোপাল বললো উদয়পুর যাবেন ? অবশ্যই - দেখি মনের ভার কমে কিনা ! উদয়পুর !! উঃ কী হাওয়া ...ঝোড়ো হাওয়া বইছে সোঁ...সোঁ...মাঝেমাঝে ঝেঁপে বৃষ্টি ...সমুদ্র উত্তাল । কংক্রিটের বোল্ডারে সমুদ্রঢেউ লাফিয়ে লাফিয়ে আছাড়ি পিছাড়ি খাচ্ছে ! চারিদিকে মাছ, কাঁকড়া ভাজা আর ভাল্লুকের গন্ধে ম ম করছে । ঐ সব রসে আমরা বঞ্চিত । কিন্তু এত কাছে এসে সমুদ্রের আলিঙ্গন স্পর্শ নেবোনা ...আমি ? তা কি হয় ! তা কি হয় ! দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দস্যু ঢেউয়ের জন্য অপেক্ষা করলাম ...দু দু বার এসে ভিজিয়ে দিলো … পুরো স্নান । জুবজুবে ভিজে । এক বন্ধুও সামান্য ভিজেছে । দীঘায় এলাম । ঘড়ি বলছে একটা বাজে । খুব খিদে পেয়েছে । বন্ধুদের পাহারায় পোষাক পরিবর্তন - গাড়িতেই । খাওয়ার হোটেলে এলাম । দীঘায় প্রতিদিন টন টন ইলিশ উঠছে । তাই রসনা লকলক । রসনাকে নিয়ন্ত্রণ করলাম - দাম শুনে ! দু পিস্ - পাঁচশ টাকা । খাবার টাবার, পানটান খেয়ে চারজনে সুন্দর করে বাঁধানো গার্ড ওয়ালে বসে আড্ডা দিলাম কিছুক্ষণ । এবার ফেরার পালা । সারথী প্রস্তুত । চলো ! অলবিদা……..অলবিদা … লেকিন … চলতে চলতে কভী অলবিদা ন কহনা.. তো ? অন্য কোন দিন, অন্য কোথাও !!! Post By:- Minati Ghosh
** দুর্ভাগ্যের দীঘা **
প্রথমত, কিছু অসুবিধার জন্য এই পোষ্ট লিখতে একটু দেরী হয়ে গেল। সেজন্য আমি দুঃখিত। যাই হোক, আজ সেই দীঘা পর্ব, যা লেখার জন্য অনেকেই অনুরোধ করেছিলেন। ঘটনাটা অনেক পুরনো। 2010 সালের। তখন আমার ছোট ছেলে হয় নি, আর বড় ছেলের বয়স 8/9 মাস। আজ স্মৃতি রোমন্থন। কয়েকদিন ধরে আমার গিন্নিমা আবদার করছিল, "চলোনা, শনি-রবি ছুটি আছে, দীঘা ঘুরে আসি।" আমার একটাই পয়েন্ট ছিল, ছেলে খুব ছোট। ওকে নিয়ে এই অবস্থায় যাওয়া অসম্ভব। পরে হবে। কিন্তু গিন্নিমা নাছোড়বান্দা। এই টানাপোড়েন নিয়ে সপ্তাহখানেক চলে যাচ্ছিল। একদিন কলেজ থেকে সবে বাড়ি ফিরেছি, সারাদিন কাজের একটু বেশি চাপ ছিল, মাথাটাও ধরে ছিল। দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকতে পারিনি, সবে জুতোটা খুলেছি, আবার সেই ঘ্যানঘ্যানানি। "দীঘা নিয়ে যাবেনা তো?", "তাহলে বাপের বাড়ি ই চলে যাই, ছুটি আছে।" গেল মাথাটা গরম হয়ে। কিছুটা বাকবিতণ্ডার পরে, জামাকাপড় না ছেড়েই ব্যাগ গুছতে শুরু করলাম। বাবা, মা বোঝাতে লাগল, "এই রাতে (তখন সন্ধ্যা 6 টা) 8 মাসের বাচ্ছা নিয়ে জাসনা।" আমার একটাই বক্তব্য, "প্রতিদিন ঘ্যানঘ্যানানি শোনার থেকে, বেড়িয়ে আসাই ভালো।" তখন বাচ্ছা দেখার জন্য, 18/19 বছরের একটি মেয়ে ছিল। বৌ, বাচ্ছা, আর মেয়েটিকে নিয়ে একপ্রকার জোর করে বেরিয়ে পড়লাম। বাড়ি থেকে অটো করে গড়িয়া বাস স্ট্যান্ড। সেখানে শুনলাম রাতে দীঘা যাওয়ার কোনো বাস নেই। অগত্যা হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এবার গিন্নিমার "বোধোদয়" হয়েছে। হাতটা চেপে ধরে শুধু বলছে, "ওগো চলো, বাড়ি ফিরে যাই"। আমার আবার একটা ব্যামো আছে। মাথাটা গরম হয় তাড়াতাড়ি, ঠান্ডা হয় দেরি করে। তখনও ঠান্ডা হয়নি, তাই যাবতীয় অনুরোধ উপেক্ষা করে, হাওড়াগামী হলাম। রাত 8/8.30 নাগাদ হাওড়া পৌছালাম। সরকারি বাস নেই, প্রাইভেট বাস, রাত 9.30 এ ছাড়বে। ছেলেকে দুধ খাইয়ে, নিজেরা খাওয়া দাওয়া করে, কিছু কেক, বিস্কুট, জলের বোতল ও Huggies নিয়ে বাসে চেপে বসলাম। রাতের বাস, থামাথামির প্রশ্ন ই নেই। ঝড়ের গতিতে ছুটল। রাত 1.30 নাগাদ ওল্ড দীঘা পৌছালাম। বাসে তখন 2/4 জন লোক। বাকিরা কোলাঘাট, মেছেদা য় নেমে গেছে। আমাদের নামিয়ে দিয়ে, বাস ছুটল নিউ দিঘার দিকে। বাস থেকে নেমে মনে হল, বুকের ভিতরটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে, শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বয়ে যাচ্ছে। গিন্নিমা তো কেঁদে অস্থির। আমি "কিংকর্তব্যবিমূঢ়"। এতক্ষনে মাথাটা ঠান্ডা হয়েছে। এতক্ষনে উপলব্ধি করলাম, দুই যুবতী ও এক বাচ্চাকে নিয়ে আমি একা এখানে এসে মস্ত বড় ভুল করেছি। রাত 1.30। বাসের তীব্র আলো চলে যাওয়ার পর উপলব্ধি করলাম, ঘুটঘুটে অন্ধকারে শুনশান রাস্তার উপরে আমরা 4 জন ছাড়া আর কেউ নেই। থাকার কথাও নয়। থাকবো কোথায়, খাবো কি???? এক অজানা ভয়ে, শরীরে ঠান্ডা ও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম অনুভব করছি। কিছুক্ষন অন্ধকার সয়ে যাওয়ার পর অনেক দূরে একটা ক্ষীণ আলো দেখতে পেলাম। আলোর উদ্দেশ্যে আমরা রওনা দিলাম। দেখলাম, একটা চায়ের দোকান থেকে আলোটা আসছে। 4/5 জন মানুষ টলোমলো পায়ে ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছে। আরও ঘাবড়ে গেলাম। দোকানদার কে জিজ্ঞাসা করলাম, দাদা, ঘর পাওয়া যাবে? উত্তর দেওয়ার আগেই বাকি লোকেরা ছেঁকে ধরলেন। দুজন দালাল, আর দুজন "এক গ্লাসের" কাকা ভাইপো বলে নিজেদের পরিচয় দিলেন। দালাল দের বক্তব্য, 1200 টাকার কমে ঘর পাবেন না। সকাল 10 টায় check out। আমি বললাম, এখন তো রাত 2 টো বাজতে যায়। 2010 সালে, 1200 টাকা অনেক বেশি ই মনে হল। কিন্তু তেনারা অনড়। কাকা ভাইপো খুব হেল্পফুল। নিজেরা এগিয়ে এলেন, আমাদের করুন অবস্থা দেখে। বললেন, আমরা গভর্মেন্টের হলিডে হোমে আছি। 50 টাকা ভাড়া। তবে গভর্মেন্ট এমপ্লয়ী না হলে ঘর পাওয়া যাবেনা। আমি i card দেখাতে, টলোমলো পায়ে নিয়ে গেলেন। কাছেই হলিডে হোম টা। অনেক ডাকাডাকি, হাকাহাকি, টর্চের আলো ফেলা, কড়া নাড়া.... সব বৃথা হল, কেয়ারটেকার এর "জেগে ঘুমানোর জন্য"। একটা নোটিশ দেখলাম। রাত 10 টার পর main gate বন্ধ হবে, এবং সকাল 7 টার সময় খুলবে। বুঝলাম, সব চেষ্টা বৃথা। কাকা ভাইপোকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাত 10 টায় গেট বন্ধ হয়, আপনারা বাইরে এলেন কিভাবে আর ঢুকবেন ই বা কিভাবে? খ্যাক খ্যাক করে হেঁসে বললেন, "পাঁচিল ডিঙিয়ে"। অগত্যা দালাল বাবুদের শরণাপন্ন হলাম। অনেক দরদাম করে, 800 টাকায় রাজি করানো গেল। হোটেল এ উঠলাম। আগে বাচ্ছার দুধ দরকার, তাই ম্যানেজারকে ঘুম থেকে তুলে, একটু গরম জল দিতে অনুরোধ করলাম। এক বাটি গরম জল, 2010 সালে গরম করতে নিলো 25 টাকা। চায়ের দোকান থেকে egg tost নিয়ে এলাম 3 টে। খেয়ে দেয়ে double bed এ আড়াআড়ি ভাবে 4 জন ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন সকাল হতেই সেই হলিডে হোম। i card দেখাতে কেয়ারটেকার এক কথায় ঘর দিলেন। ওল্ড দিঘায় ঢেউ বেশি, ভিড় কম। কিন্তু বিচ টা ছোট। তাই, বারমুডা পরে, ভ্যানে ওল্ড দীঘা। কিন্তু জলের থেকে মাথার ছড়াছড়ি বেশি। তিল ধারণের জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে ওল্ড দিঘায় স্নান সারলাম। দুটো শয়তানের চাকা নিয়ে 2016 এর 24শে ডিসেম্বর চার বন্ধু বেরিয়েছিলাম কোলাঘাটের সের এ পাঞ্জাবে চা খাবো বলে কিন্তু মনটা একটু বেশিই চেয়েছিল চলে গেলাম দীঘা। সেদিন পৌঁছাতে সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ায় শুধু পার্কেই ঘুরলাম। পরের দিন সকালে চার জনে বেরিয়ে পড়লাম। সেখানে যদিও বা কিছুই বাকি রাখিনি তাজপুর, মন্দারমনি, মোহনা সবই ঘুরে আরেকটু সাহস করে উরিশ্যা ঢুকে গেলাম, চন্দনেস্বর থেকে up down 50km. গেলাম ভূষণ্দেস্বর শিব মন্দির। সুবর্ণরেখার গা দিয়ে রাস্তাতে বাইক চালাতে বেশ ভালোই লাগছিল। সব শেষে বিকেলে বাড়ি ফেরা। কিছু স্মৃতির ছবি দিলাম। Post By:- Biswajit Dey
Sokale cha e chumukh dite dite hothati thik Kore fellam, ebar er gantobbo chaulkhola, Mandarmoni jabar Jonno j pothe amra jai sei eki poth kintu Mandarmoni dokar pother sesh er dike dan dike na gea soja, jele der Gramer modhe dea dandike baliari, jhau gach, etoshtoto rakha jeleder nouka, tar porei digonto choa somudro. Eta 100% bola jae j ekhaner soundorjo, nirjonota, ekta Santi ja apnar mon valo na hoe parbei na.
Sathe upri paona beache lal kakrar jhak, Chena sei vir ja Digha ba Mandarmoni er theke purotai alada, nirjon nirala, ekta oporisim santi upovog kora emon poribesh chara paoa jabe na. Ramakrishna mission er ashram r Bidhu Maharaj er osadharon athiteotae weekend ta ekta Alada Matra peache. Chena gantobbo chere ektu ochena er khoje r tar ekta aladai Gandho jeno onuvob Kora jae. Jara ochena k chinte Valobashen, Jara somudro k ektu Onno vabe dekhte chan tader Jonno eta ekta anobodho weekend spot. ETA Amar prothom post ei group e, kichu vul vranti hole marjona prarthoneo. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |