"দীঘা ভ্রমণ"
আমার নিবেদন,,,,, রিজু পেল চাকরি ,তার ইচ্ছা পরিবারের সকলকে নিয়ে যাবে একটা ভ্রমণে ,সমস্ত খরচ তার। পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৮ জন সকলের আলাদা আলাদা কর্মক্ষেত্র ।সেই কর্মক্ষেত্রকে মানিয়ে গুছিয়ে ছুটি বার করা খুবই সমস্যা কর ব্যাপার ।এর হয়তো ওর হয় না ,ওর হয়তো তার হয় না ,তার হয়তো এর হয় না ।এইরকমই সবকিছুর মাঝে ঠিক হল ৬ ও ৭জুন এই দুই দিন আমরা কাটাবো দিঘাতে। দায়িত্ব সম্পূর্ণ ঋজু তার সাথে ফুচু আছে ।দুজন মিলে হোটেল ভাড়া বাসের টিকিট কাটা সবকিছু ঠিক করে ফেলল ।৬ জুন সকাল বেলা ডানলপ থেকে দীঘা গামী বাসে চেপে বসলাম ১৮জন মিলে। সেখানে আমাদের জায়গায় আগেই বসে আছে অন্য জন ।ব্যাস সেই নিয়ে তো মামা আর পাপা কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে ফেললো বাসের কন্ডাকটারের সাথে । যাই হোক অবশেষে পৌঁছালাম দীঘা ।দিঘায় স্নান সবাই মিলে ,আপনাদের বলে রাখি আমার সহধর্মিনী কিন্তু জল দেখলে প্রচন্ড ভয় পায় এই জন্য সে নৌকা পারাপার হতে চায় না। ওর কেবলই মনে হয় জল মানে ও ডুবে যাবে। যাইহোক সবাই তাকে মানিয়ে নিয়ে আমরা সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত হলাম সঙ্গে ছিল বুজল ও। সন্ধ্যাবেলা সেই দিন একটু ঘুরে বেড়ালাম বিচের ধারে । আমি মাছ খেতে প্রচন্ড ভালবাসি মাছের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা অনেকদিন ধরেই আছে সেটা সকলেই জানে তাই সকলের আবদারে অল্প ,অল্প করতে করতে প্রায় বারোটা পিস্ মাছ খাওয়া হয়ে গিয়েছিল। পরের দিন অনেক সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই আমরা পৌঁছে গেলাম সূর্যোদয় দেখবো বলে সমুদ্রের কাছে। কিন্তু আমাদের আরো ভোরে যাওয়া উচিত ছিল। সমুদ্রের ধারে কাছে লোকজন খুব কম প্রায় নেই বললেই চলে, আমরা অনেক সকালে সেখানে ঝিনুক কুড়ানো , মাছ ধরা দেখা, কাকড়া খোঁজা এইসব নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। তবে সকাল ৭ টা বাজতে না বাজতেই রোদের উত্তাপে থাকা দায় ছাতা এবং ভাড়া করা তাঁবু তে সময় কাটিয়ে টিফিন করে আবার হোটেলে ফেরত ।আবার স্নানে যাওয়া পরিশেষে ৮তারিখ সকাল বেলা সবাই মিলে আবার বাড়ি ফেরা। মনে সমুদ্রের ঢেউ আর সমুদ্রের মাছের অনাবিল আনন্দ নিয়ে ফেরা। এটা ছিল আমাদের পরিবারের সঙ্গে প্রথম ভ্রমণ সকলে মিলে বেশ ভালো লাগলো। তাই সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নিলাম
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |