জলদাপাড়ার অন্দরে.. ©অরিন্দম "জঙ্গল এর নাম জঙ্গল, জানোয়ার আছে এক দঙ্গল.." আজ থেকে দু'বছর আগের ডুয়ার্স ভ্রমণের কথা বলব।চাপড়ামারি-গোরুমারা সেরে এসেছি জলদাপাড়া।উঠলাম জলদাপাড়ার সরকারি টুরিস্ট লজে। বিকেল নাগাদ শুরু হল আমাদের সাফারি।যথাসময়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করলাম জঙ্গলের ভেতর।উত্তেজনায় ফুটছিলাম আমরা সবাই।গোরুমারায় মেধলা টাওয়ারে খুব কাছ থেকে গণ্ডার দেখা গিয়েছিল!সেই স্মৃতি তখনো টাটকা।তাই খুব উৎসাহভরেই প্রবেশ করলাম জঙ্গলে। ওই সময় অর্থাৎ বিকেল নাগাদ জিপ সাফারিই হয়,হাতি সাফারি সাধারণত সকালের দিকে হয় শুনলাম।আমাদের ও হাতির পিঠে চাপার কোন শখ ছিল না।তাই হুডখোলা জিপেই সওয়ার হলাম।মোট ৫ জন সওয়ার হলাম আমরা,,,আমরা ৩ জন আর সাথে আমাদের সহযাত্রী সমীর দা আর সোনালী বৌদি। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে ধুলো উড়িয়ে চলল জিপ।কৌতূহলী ৫ জোড়া চোখ সদাসন্ধানী হয়ে ইতিউতি দেখতে থাকল।আর মনে মনে গোনা শুরু হল....ওই তো হরিণ ১টা,২টো,,,,,,আরে ওই তো ময়ূর!এভাবেই চলতে চলতে এসে গেলাম জঙ্গলের ভেতর ওয়াচটাওয়ারের তলায়।এইবারে কিছুক্ষণ রেস্ট।ওয়াচটাওয়ারে উঠে জানোয়ার দেখার চেষ্টা চলল। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পথে তখন।আমাদের ড্রাইভার তাড়া দিল,,,শুরু হল আমাদের যাত্রা হলং বাংলোর উদ্দেশ্যে। হলং বাংলো চত্বরে পৌঁছলাম যখন তখন আলো বেশ কমে এসেছে।খুব সুন্দর সাজানো গোছানো বাংলো।চারপাশের পরিবেশ ও খুব সুন্দর।সামনেই বাগান,আর বাগান পেরিয়ে একটা ছোট্ট নালা পেরিয়ে জঙ্গল!জঙ্গল থেকে জন্তুজানোয়ার বেরিয়ে আসে ওই নালায় জল খাওয়ার জন্য। আমরাও অপেক্ষায় বসে রইলাম ওই নালার পাশেই বাগানে চুপচাপ।আমাদের কপাল ভাল!কিছুক্ষণ পরেই জল খেতে এল একটা বুনো বাইসন বা ইন্ডিয়ান গৌর!সে কিছুক্ষণ ওই নালার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করল জল খাওয়ার পরে।আমাদের ক্যামেরা তখন বিনা ফ্ল্যাশে ক্লিক করা শুরু করে দিয়েছে।সাথে ওয়াইল্ড লাইফের জন্য প্রয়োজনীয় টেলিফোটো লেন্স ছিল না!পাতি ১৮-৫৫ মিমি লেন্সে কিছু ছবি তুললাম,,,,সেগুলোই ক্রপ করে আজ পোস্ট করছি।পছন্দ হবে না আপনাদের হয়তো..! ©অরিন্দম Post By:-Arindam Patra
0 Comments
|
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |