পুরী তো ?
গেলেই হলো। না । হয় নি । দীর্ঘ সময় বেড়াতে যাওয়াই হয়ে ওঠেনি। অবসরের দিন এক শুভানুধ্যায়ী বললেন একবার পুরী ঘুরে আসুন দিকি! জগন্নাথ দর্শন দিয়ে শুরু করুন বেড়ানো ~ সেই সূত্রপাত। সংশয়ের সমুদ্র পার করে পুরীর সমুদ্রে পৌঁছবো শেষ পর্যন্ত? দেখা যাক। আগের post এ অনেকে থাকার , খাওয়ার , ঘোরার খোঁজ দিয়েছেন। সেই খবরের পুঁটুলি সম্বল করে ১৭ তারিখে চেপে বসলাম ধৌলি expressএ। জীবনের প্রথম senior citizen concession পাওয়া seat এ বছর তিরিশের একজন চললো পুরী ~ রেল কোম্পানি জানতেই পারে নি। পর্দা সরিয়ে ঘষা কাঁচের ওপারে ছুটন্ত জনপদ , প্রান্তর বা নদী যাইই পেরোক ভালো লাগছে। কখনও seat এগুপেছু করার খেলায়, কখনও যা খাবার জিনিস আসছে স্বাদ নিতে নিতে সময় কাটতে লাগলো। সঠিক সময় পুরী পৌঁছে অটো ধরে সোজা থাকার জায়গায়। Bag নাবিয়েই একটা ছবি তোলা হয়ে গেলো। নেহাতই আবেগে। ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হব একটু রেস্ট নিতে হবে। কিছু সময় পরেই unrest এর উচ্ছিংড়ে লাফালাফি শুরু করলো। ছবি তুললাম। না। জানলা পাইনি। বারান্দার গ্রীলে সমুদ্র আটকে ছবি নিলাম। বাঁদিকে একটু ঠেলা দিয়ে বললাম , বসবে না বেরোবে? = এই তোমার শুরু হলো তো? আঠাশ বছর ধরে যা শুনেছি তাই আবার.... সাড়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা মন্দিরের দিকে রওনা হলাম । এ ভাবেই শুরু হলো আমাদের পুরী ভ্রমণ .......... থেকেছি ~ বালা নন্দ তির্থাশ্রম এ খেয়েছি ~ নিরামিষ সিংহভাগ সময় চলে গেছে শ্রী জগন্নাথ দেব দর্শনে আর সমুদ্র দেখে। কোনারক ছাড়া আর কোথাও যাই নি। কেনাকাটা করেছি কলিংগ থেকে। খাজা কিনেছি নৃসিংহ থেকে। মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় পুরী হোটেলের পাশের গলিতে চা ও snacks এর দোকান থেকে বড়া চপ ছানাভাজা , যা খুশী নিয়েছি। সমুদ্র বর্ডার দেওয়া নিচু পাঁচিলে বসে পা দোলাতে দোলাতে এন্তার খেয়েছি । সমুদ্র বারণ করেছে ~শুনিনি । তাই সমুদ্রও দুষ্টুমি করে দুরন্ত হাওয়ার বেগে পার করেছে সময়। খুব তাড়াতাড়ি এসে গিয়েছে ফেরার দিন। যাবার দিন dhauli exp ধরার আগে আর একবার মন্দির দেখার সুযোগ পেলাম। আর একটা জিনিস অদেখা থেকে যাচ্ছিল। আমার office এর পুরী শাখা। এ কদিন যাকে জিগ্গেস করেছি কেউ বলতে পারেনি। যে রিকশায় চেপেছিলাম সে দেখলাম চেনে। পুরো হলো বাকি থাকা ইচ্ছা টা। মনে হলো মন্দিরে না ঢুকেও সেই স্নেহমাখা হাসিমুখের স্পর্শ পেলাম যেন। ফিরতি ট্রেনে ধীরে বাইরের আলো কমে যায়। চলমান দৃশ্য বিসর্জিত হয় ঘনায়মান অন্ধকারে.... ট্রেন গন্তব্যে ছুটে চলার আওয়াজের সাথে মনের পর্দায় চলতে থাকে ফেলে আশা দৃশ্যের মিছিল। ~ বলে যে সমুদ্র ফিরিয়ে দেয় .... সত্যিই ফিরে পেলাম অনেক আনন্দ আবার। ~ আর যা কিছু পেলাম না? যেমন সেই অনেক আগে মন্দির চত্বরে এক সন্ধ্যায় এক শীর্ণ বৃদ্ধার আবেদন " গুঠে দিয়া নিয় বাবা" = বাবাকে লুকিয়ে মা টপ করে কিনে নিল গোটা কয়েক । বৃদ্ধার ফোগলা হাসিতে মন্দির চত্বরে দীপাবলি হয়ে উঠেছিল ..... জানি ফিরে পাওয়া যাবে না ! তবু চাইতে যাবো সমুদ্রের কাছে আবার ........ যে কোনও সময়েই যেতে পারি আবার কারণ চা দোকানের " টুটু " তো বলেই দিয়েছে ~ মু অছি না! জয় জগন্নাথ ।
0 Comments
বকখালির বালুকাবেলার নির্জনতা...
এত সুন্দর ভ্রমণ গ্রুপের সাথে পরিচয় হয়ে বেশ ভালো লাগছে। ছোট্ট একটি ভ্রমণকথা বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি,জানি না কেমন লাগবে... মে মাসে ৩-৪ দিনের টানা লম্বা ছুটি,তাই কোথাও কিছু খুঁজে পাওয়া গেল না hotel। হঠাৎ মনে হলো,দীঘা পুরী তো অনেক গেলাম,এবার না হয় স্বাদ বদল হোক। তাই হঠাৎ করে এক রাতে সব গুছিয়ে বাচ্চা নিয়ে পরের দিন ভোরে বেরিয়ে পরা। Diamond harbour পর্যন্ত বেশ সুন্দর রাস্তা,গঙ্গা দেখা,পথে এক অতি সাধারণ চাচার দোকান থেকে চা,ওমলেট খাওয়া। তারপর নামখানাতে পৌঁছালাম সকাল ১১ টা নাগাদ। দীর্ঘদিন চাকরীসূত্রে নদীপথে যাতায়াত থাকায় এই নদী দর্শন আমার কাছে নতুন কিছু নয়। হাতানিয়া-দোহানিয়া নদীর পারে এসে এবার অপেক্ষা, দুটো vessel চলে,কিন্তু একটা বন্ধ ছিল সেদিন।তাই চললো দীর্ঘ অপেক্ষা। নদী দেখে পুরোনো বহু কথা মনে পড়লো,৭ বছর চাকরী জীবনের কথা। ৩ ঘন্টা পরে আমাদের ভাগ্য খুললো,আমরা নদী পাড় করলাম।তবে এও আরেক experience... vessel এ গাড়িতে বসে গাড়ি না চলেও কেমন দিব্বি নদী পাড় করলাম। সব শেষে ৩ টে নাগাদ আমরা পৌঁছালাম আমাদের booking করা hotel এ। কোনো মতে স্নান সেরে খিদে পেটে মাছ ভাতকে অমৃত ভেবে পেট ভরালাম। ভরা পেটে মনখুশ করা মেজাজে সমুদ্র দর্শনে বেরিয়ে পড়লাম। নতুন বাঁধানো রাস্তা,বেশ ফাঁকা চারদিক।আসলে চোখ তো দীঘা পুরী দেখে অভ্যাস। কিন্তু এ কি সমুদ্র তো কত কত দূরে,সাদা বালি আর পাগলপারা হাওয়া। ছোট্ট মেয়েটা পাগলের মত খুশিতে বালি ঘাটতে বসলো।আমিও photo তোলায় মত্ত হলাম আর বেচারা বর মেয়ে-বৌ সামলাতে ব্যস্ত। হাটতে হাটতে গেলাম সমুদ্রের পাড়ে ঝাউবনের মধ্যে থাকা বনবিবির মন্দির দেখতে। কি নিরিবিলি চুপচাপ জায়গা,বসে বসে গল্প,ছবি তোলা,মেয়ের আবদার মেটানো-এ সবের মাঝে বেরিয়ে আসছি হঠাৎ ওখানের সেবায়েত বললেন যে দেবী কে দিলেন না কিছু,কি আর বলি যে দেবী তো এই মন্দিরে নেই,এই প্রকৃতিতে আনন্দ মনে তিনি ঘুরছেন। এটা নেহাত আমার ব্যক্তিগত ধারণা।তবু ঐ লোকের হাতে কিছু দিয়ে এলাম,এত সুন্দর জায়গাটা তো উনি দেখভাল করছেন। সন্ধ্যা নামলো পাড়ে,এক রুগ্ন অতি মিষ্ঠভাষী মহিলা এসে chair এ বসতে বললেন- ঘন্টায় ১০ টাকা। বসে বসে সূর্যাস্ত,বুদ্ধ পূর্ণিমার চাঁদ দেখা,চা ice cream খাওয়া চললো। অন্ধকার চারিপাশ,তার মাঝে আমরা কিছু tourist, সামনে দূর সমুদ্র,আপাত নিরীহ মানুষের কথা- আহা কি সুখ। কোনো phone call নেই,জটিলতা নেই,বড় সুন্দর ছিলো সেদিনের নিরবতা,চুপ করে বসে থাকা। উঠতেই হলো ৭.৩০ নাগাদ,কিন্ত ঐ chair ভাড়া দিদি কখন আপন হয়ে গেছে। পরের দিন আসার অঙ্গীকার করে আসলাম পূর্ণিমাদির কাছে। ফেরার রাস্তায় চোখে পড়লো ৪-৫ টা ভাজা মাছের দোকান,নোলা সামলাতে না পেরে line দিলাম খেতে। চিংড়ি ভাজা খেয়ে বেশ জিভের স্বাদও মিটলো। রাতের নির্জন পথে ফিরতে ফিরতে বেশ ভালবেসে ফেললাম বকখালিকে। সভ্য জগতের ছোঁয়া কম এসেছে,তাই মনে হয় এখনও এত শান্তি।
"দীঘা ভ্রমণ"
আমার নিবেদন,,,,, রিজু পেল চাকরি ,তার ইচ্ছা পরিবারের সকলকে নিয়ে যাবে একটা ভ্রমণে ,সমস্ত খরচ তার। পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৮ জন সকলের আলাদা আলাদা কর্মক্ষেত্র ।সেই কর্মক্ষেত্রকে মানিয়ে গুছিয়ে ছুটি বার করা খুবই সমস্যা কর ব্যাপার ।এর হয়তো ওর হয় না ,ওর হয়তো তার হয় না ,তার হয়তো এর হয় না ।এইরকমই সবকিছুর মাঝে ঠিক হল ৬ ও ৭জুন এই দুই দিন আমরা কাটাবো দিঘাতে। দায়িত্ব সম্পূর্ণ ঋজু তার সাথে ফুচু আছে ।দুজন মিলে হোটেল ভাড়া বাসের টিকিট কাটা সবকিছু ঠিক করে ফেলল ।৬ জুন সকাল বেলা ডানলপ থেকে দীঘা গামী বাসে চেপে বসলাম ১৮জন মিলে। সেখানে আমাদের জায়গায় আগেই বসে আছে অন্য জন ।ব্যাস সেই নিয়ে তো মামা আর পাপা কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে ফেললো বাসের কন্ডাকটারের সাথে । যাই হোক অবশেষে পৌঁছালাম দীঘা ।দিঘায় স্নান সবাই মিলে ,আপনাদের বলে রাখি আমার সহধর্মিনী কিন্তু জল দেখলে প্রচন্ড ভয় পায় এই জন্য সে নৌকা পারাপার হতে চায় না। ওর কেবলই মনে হয় জল মানে ও ডুবে যাবে। যাইহোক সবাই তাকে মানিয়ে নিয়ে আমরা সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত হলাম সঙ্গে ছিল বুজল ও। সন্ধ্যাবেলা সেই দিন একটু ঘুরে বেড়ালাম বিচের ধারে । আমি মাছ খেতে প্রচন্ড ভালবাসি মাছের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা অনেকদিন ধরেই আছে সেটা সকলেই জানে তাই সকলের আবদারে অল্প ,অল্প করতে করতে প্রায় বারোটা পিস্ মাছ খাওয়া হয়ে গিয়েছিল। পরের দিন অনেক সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই আমরা পৌঁছে গেলাম সূর্যোদয় দেখবো বলে সমুদ্রের কাছে। কিন্তু আমাদের আরো ভোরে যাওয়া উচিত ছিল। সমুদ্রের ধারে কাছে লোকজন খুব কম প্রায় নেই বললেই চলে, আমরা অনেক সকালে সেখানে ঝিনুক কুড়ানো , মাছ ধরা দেখা, কাকড়া খোঁজা এইসব নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। তবে সকাল ৭ টা বাজতে না বাজতেই রোদের উত্তাপে থাকা দায় ছাতা এবং ভাড়া করা তাঁবু তে সময় কাটিয়ে টিফিন করে আবার হোটেলে ফেরত ।আবার স্নানে যাওয়া পরিশেষে ৮তারিখ সকাল বেলা সবাই মিলে আবার বাড়ি ফেরা। মনে সমুদ্রের ঢেউ আর সমুদ্রের মাছের অনাবিল আনন্দ নিয়ে ফেরা। এটা ছিল আমাদের পরিবারের সঙ্গে প্রথম ভ্রমণ সকলে মিলে বেশ ভালো লাগলো। তাই সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নিলাম
টপিক টা নতুন কিছু নয়,
আমাদের সেই পরিচিত দীঘা।। হঠাৎ করেই বেরিয়ে পড়েছিলাম দুই বন্ধুতে ৪/৮/১৮ শনিবার অফিস ছুটির পর। কলকাতা থেকে wbtc বাস ধরলাম, ৪টা১৫মিনিটে নির্ধারিত সময় বাস ছাড়লো, দিঘায় যখন পৌছালাম তখন 9টা বেজে গেছে, খুব বিরক্ত হচ্ছিলাম এত লেট হয়ে যাওয়ার জন্যে। বৃষ্টি ধুয়ে দিচ্ছিল রাস্তাঘাট, একটা চেনা হোটেল এ আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলাম তাও চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম হোটেল রুম নিয়ে। যাই হোক হোটেল এ গিয়ে মনের মতো রুম টাই পেয়ে গেলাম। হোটেল ম্যানেজার এর কথা মতো ডকুমেন্টস জমা করে এলাম, সেদিন রাত্রে আর কোথাও বেরোনো হয়নি। রবিবার সকাল সকাল বেরিয়ে একটু ঘুরে নিলাম, নিউ দীঘা, উদয়পুর, তালসারি এবং ঐ সংলগ্ন দ্বীপ টিও।। কপাল করে আমি রবিবার সকালে উদয়পুর বিচ এ মাছ ধরে আনার সেই দৃশ্য দেখতে পেলাম। কিছু ছবি এবং ভিডিও দিলাম। এডমিন মহাশয় কে আগাম ধন্যবাদ । লিখতে ভালো পারিনা তবে চেষ্টা করলাম। ভুলভ্রান্তি হলে একটু ধরিয়ে দেবেন প্লিজ। ভিডিও টি শুধুমাত্র তালসারি বিচ থেকে তোলা এবং মাছ এর ছবি টি নিউ দীঘা থেকে। বাকি সব ছবি উদয়পুর থেকে নেওয়া।
কম বাজেটের বেড়ানোর কথা বলতে প্রথমেই মনে পড়ে দীঘা ।তবে দীঘা বহুবার ঘোরা বলে কেউ যেন নাক সিঁটকাবেন না । একে কেন্দ্র করে যেমন বাংলার বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে বা স্পটে যাওয়া যায় তেমন উড়িষ্যা র ও বহু জায়গায় যাওয়া যায়। সবটাই নির্ভর করছে হাতে কটা দিন আছে তার ওপর।
তবে দীঘা র কাছে নতুন দুটো বেড়ানোর স্থান হোল (১)দক্ষিণ পুরুষোত্ত্ম বীচ, (২)বিচিত্র পুর (উড়িষ্যা) । প্রথম টা মন্দারমনি থেকে ৪/৫ কিলোমিটার দূরে ফাঁকা শান্ত নিরিবিলি তট, দ্বিতীয় টা দীঘা থেকে ২০/২২ কিলোমিটার দূরে।
কামাখ্যা, বিভিন্ন সতীপীঠের মধ্যে একটি। অসমের রাজধানী গুয়াহাটি শহর থেকে মাত্র দশ কিমি দূরে নীলাচল পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই বিশ্ব বিখ্যাত ও সিদ্ধ মন্দির 'কামাখ্যা'।
মূল মন্দিরটি ষোড়শ শতকে মুসলিম আক্রমনে বিনষ্ট হয়ে গেলেও , বর্তমানে মন্দির টি 1665 সালে কোচবিহারের রাজা নরনারায়ন তৈরি করেন।মৌচাকের ঢঙে শিখর- প্রাচীন অহোম স্থাপত্যের নিদর্শন এই মন্দির। গর্বগৃহে দেবী এখানে 'কামাখ্যা' অর্থাৎ কালী রূপে পূজিতা। 51 সতীপীঠের একপীঠ এই মন্দির।অম্বুবাচীতে এর বাৎসরিক উৎসব। তবে তখন তিন দিন বন্ধ থাকে মন্দিরের দরজা। বর্তমানে প্রাচীন গর্বগৃহ টিকে তেমন রেখেই মন্দিরটিকে নতুন ভাবে সাজানো হচ্ছে। মন্দিরের আর একটি বিশেষ আর্কষন এর ভোগ। প্রতিদিন দুপুরে এখানে সকল কেই ভোগ খাওয়ানো হয়ে থাকে, এর জন্য কোনোই মূল্য নেওয়া হয় না। তবে দানপাত্রে যে যা পারে দিয়ে সাহায্য করে থাকে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি আমি আজ পর্যন্ত যতো স্থানে ভোগ প্রসাদ গ্রহন করেছি সব থেকে আলাদা এখানের ভোগ। অবশ্যই এখানে গিয়ে একদিন ভোগ গ্রহনের চেষ্টা করবেন। কামাখ্যা মন্দির থেকে কিছু দূরেই পাহাড়ের শৃঙ্গে অবস্থিত ' ভুবনেশ্বরী মাতা'। রাতের দিকে এখান থেকে কামাখ্যা শহর টিকে দেখা এক অতিরিক্ত আকর্ষন। মনে হয় যেন হাজার তারার মালায় সাজানো কোনো শহর। এই দৃশ্য সত্যিই অপূর্ব ও চিরস্থায়ী। যাত্রাপথ: আমরা 35 জনের একটি ছোটো দল লক্ষ্মীপূজার দিন ' সরাইঘাট এক্সপ্রেস ' যেটি হাওড়া থেকে 3:50 ছেড়ে পরের দিন সকাল দশটার মধ্যেই পৌছে দিয়েছিল গুয়াহাটি। সেখান থেকে লোকাল বাসেই আমরা পৌছাই 'কাছারী' নামক একটি স্থানে। গুয়াহাটির কোর্ট অবস্থিত বলেই হয়তো স্থানটির নাম কাছারী। সেখান থেকে আবার একটি লোকাল বাস ধরেই পৌছে যাই কামাখ্যা মন্দির।
গুয়াহাটি শহরের প্রানকেন্দ্র নেহেরু পার্কের বিপরীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত কাছারী প্রাঙ্গন। আর এই কাছারী অর্থাৎ আদালতের বিপরীতেই ব্রহ্মপুত্রের মাঝে গড়ে উঠেছে 'উমানন্দ পাহাড়' বা ' পীকক আইল্যান্ড'।
1664 সালে তৈরি হওয়া এই মন্দিরের উপাস্য দেবতা হলেন 'মহাদেব শিব' যিনি এখানে 'উমানন্দ' নামে অধিষ্ঠিত। প্রতি শিবরাত্রি তে এখানে খুব ধূমধাম করে পূজা ও উৎসব পালিত হয়ে থাকে। উমানন্দ ছাড়াও বর্তমানে এখানে আরো কিছু দেবতা স্থান পেয়েছেন , যেমন - সিদ্ধিদাতা গনেশ, হনুমান ও মাতা অন্নপূর্না। কাছারী ঘাট থেকে নৌকা দ্বারা যেতে হয় উমানন্দ পাহাড়ে। যাত্রী প্রতি ভাড়া 20 /-। ব্রহ্মপুত্র এখানে বিশাল ভাবে বিস্তার লাভ করেছে আর তার গর্ব থেকে ছোটো বড়ো নানান দ্বীপ জাগ্রত। তবে এর প্রাকৃতিক দৃশ্য অতীব সুন্দর। এখান থেকে আমাদের গন্তব্য ছিল 'নবগ্রহ মন্দির'। চিত্রাচল পাহাড়ের উপর এই মন্দিরে অতীতে নাকি জ্যোতিষশাস্ত্রের চর্চা হতো। আর এই জ্যোতিষ্যশাষ্ত্র থেকেই অতীতে এর নাম হয়েছিল প্রাগ্ জ্যোতিষপুর। তবে বর্তমানে এখানে শ'য়ে শ'য়ে হনুমান আর বাঁদরের বাস। এদের অতীষ্টে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও বিরক্ত। আমরা যখন পৌছাই দেখে কিছু পুরোহিত ডান্ডা হাতে এদের তারাতেই ব্যস্ত। মন্দিরের নীচে থাকা দোকানদার দের সঙ্গে কথা বলেও জানতে পারি এখানে এদের ই দাদাগিরি চলছে। তবে বস দোকানদার ই এদের জন্য একটা করে শক্ত ডান্ডা মজুত রেখেছেন দোকানের সামনেই। এরপরেই আমাদের দ্রষ্টব্য স্থান ' বশিষ্ঠ মুনীর আশ্রম'। শহর থেকে মাতূর 12 কিমি দক্ষিনে অবস্থিত । লোকশ্রুতি মতে মহর্ষি বশিষ্ঠ দেবের তপোবন ছিল এখানে। আশ্রমের পাশ থেকেই বয়ে চলেছে সন্ধ্যা, ললিতা আর কান্তা এই তিন পাহাড়ী নদী।আর এই তিন নদী মিলিত হয়েছে এই আশ্রমে আর সুন্ধর এক প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে এই আশ্রম টিকেও আরো সুন্দর করে গড়ে তোলার কাজ চলছে। সূর্য প্রায় অস্তাগামী, শরীর চাইছে বিশ্রাম আর পেট চাইছে গরম ভাত। কিন্তু আমাদের গাড়ির চালকের অনুরোধে আমরা এসে পৌচ্ছালাম গুয়াহাটির 'বালাজী মন্দির'। সত্যিই মন্দির আমাদের ক্লান্তি, ক্ষিধে কোথায় দূর করে দিল জানি না। অপূর্ব মন্দির, সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা একটি মন্দির ও তাকে কেন্দ্র করে একটি সুন্দর পার্ক। তবে সব থেকে আকর্ষিত যদি কিছু থাকে তবে এখানে গর্বগৃহে সাজিয় রাখা 'বালাজী' দেবের মূর্তি। আহা মনে হয় যেন ঘন্টার পর ঘন্টা তার দিকেই তাকিয়ে থাকি। কী অপূর্ব তার শোভা, আর তার থেকে বেড়িয়ে আসা এক দ্রুতি। selfi এর জামানায় এমন একটি জায়গায় 'নিজস্ব চিত্র' না নিলে বালাজী প্রভুও হয়তো পাপ দেবেন। তাই আমরা সকলেই পথের ক্লান্তি ভুলে আবার নতুন উদ্যোমে লেগে গেলাম 'নিজস্ব' খিঁচনে। এরপর আবার গাড়ি, আর আজকের মতো শেষ, এবার হোটেলের উদ্দেশ্যে যাত্রা। কাল আবার লক্ষ্য ' মেঘালয়'।
অসম - মেঘালয়।
তৃতীয় পর্ব........ শিলং:- মেঘেদের আলয়= মেঘালয়। মেঘেদের স্বর্গরাজ্য ও এই মেঘালয়। সত্যিই অতীব সুন্দর একটি দেশ এই মেঘালয়। আমাদের 35 জনের একটি ছোট দলের ভ্রমনের তৃতীয় দিনের যাত্রা ছিল 'শিলং' এর উদ্দেশ্যে। অসম ছেড়ে মেঘালয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় এর প্রাকৃত শোভা আমাদের সকলকেই মুগ্ধ করে। তবে চতুর্থ দিনে আমাদের যাত্রা ছিল শিলং এর বিভিন্ন আঞ্চলিক সৌন্দর্য কে উপভোগ করার দিন। তাই চতুর্থ দিনে আমরা খুব ভোর ভোর থাকতেই বেড়িয়ে পরেছিলাম শিলং এর সৌন্দর্য কে উপভোগ করতে। সত্যি বলতে ' পাহাড় আর তার কখনো মাথায় কখনো বা তার গায়ের থেকে ভেসে বেড়ানো সৌন্দর্য আমাদের সকলকেই মুগ্ধ করে তোলে। সবুজ সবুজ পাহাড়, পাহাড়ের কোলে ব্যাসল্ট বা গ্রানাইটের ধাপ আর আকাশে ভেসে বেড়াছে শ্বেত শুভ্র তুলোর মতো মেঘ। গৃহদেবতা সাইলং থেকে সাইলং পীক কালে কালে নাম নিয়েছে শিলং। ভারতের শৈল শহর গুলির মধ্যে শিলং পাহাড়ের আকর্ষন আজ অন্যতম। 1496 মিটার উচুঁতে অবস্থিত এই পার্বত্য শহর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মতোই মনোরম এর জলবায়ু। বরফ না পরলেও গ্রীষ্মেও গরমের তেমন আধিক্য থাকে না। তবে বেড়াবার শ্রেষ্ট সময় মার্চ থেকে অক্টোবর। আমরা তো বাঙালী, যার পায়ের তলায় সর্ষে। তাই ইচ্ছা করলেই বেড়িয়ে পরতেন পারেন। শিলং এ আমাদের তৃতীয় দিনের প্রথম দর্শনীয় স্থান ছিল 1. ' living root brige'. গ্রামবাসীদের দ্বারাই তৈরি এই ব্রীজটি। গ্রামবাসীরাই এর রক্ষনাবেক্ষন করছে, তাই এরজন্য জন প্রতি 10 টাকা দর্শনীয় দিতে হয়। বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের নীচে না নামাটাই শ্রেয়। কারন এবড়ো খেবড়ো অনেকখানি পাথর দ্বারা নির্মিত পথ দ্বারা অনেকখানি নীচে নামতে হয়। তার উপরে পথটি বেশ পিচ্ছিল। নামা টা সহজ হলেও ব্রীজ দেখে আবার ফিরে আসতে যুবকদের ও বেশ কষ্ট হয়ে যায়। ব্রীজের নীচ থেকে পাথরের উপর থেকে বয়ে গেছে একটি ক্ষীনস্রোতা নদী। বেশ সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। 2. Mawphlong Village. গ্রাম বলতে আমাদের হয়তো চোখের সামনে ভেসে উঠবে 'মাটির বাড়ি, চাষের ক্ষেত, কাঁচা রাস্তা আর হয়তো গরুর গাড়ি , গোয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা গরু। কিন্তু এই গ্রাম সব থেকে ব্যতিক্রম। সুন্দর, সুন্দর অতীব সুন্দর। কী ভাবে বর্ননা করব এই গ্রেমের সৌন্দর্য কে সেটা আমি ভাষায় বর্নন করতে পারছি না। এক কথায় অনবদ্য। যেমন সুন্দর প্রতিটি বাড়ি, প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে একটি করে সুন্দর বাগান, আহা আর সেই সব বাগানে কতো যে নাম না জানা বা জীবনে আমার না দেখা কতোই না ফুলের গাছ। উফস, স্বপ্ন যেন । নাম না জানা এতো সুন্দর সুন্দর ফুল ফলের গাছ দ্বারা সাজানো এই গ্রামখানি যে গ্রাম ভেবে যারা একবার শিলং এসেও এখানে আসে না তারা কেমন মূর্খামি করে ( যেমন হয়তো আমিও প্রথমটা ভেবেছিলাম)। সব থেকে আশ্চর্য হবেন এখানের পথঘাট দেখে। এতো পরিস্কার, আর এতো ভদ্র এখানকার মানুষজন। এখানে এসে আমরা বন্ধুরা বারবার বলছিলাম কলকাতা বাসী এক সপ্তাহ থাকলে কি বানিয়ে চলে যাবে এইগ্রামটিকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যারা সত্যিই মন ভরে উপভোগ করতে চান, শিলং গেলে একবার এখান থেকে নিশ্চয়ই ঘুরে আসবেন। 3. Nohkalikai Falls... শিলং এ ঘোরার পথে অনেকই প্রস্রবন পরবে। তাই আলাদা করে বলার কিছুই নেই। মন ভরে উপভোগ করুন। পাহাড়ের কোল থেকে লাফিয়ে পরা প্রস্রবন, চারিদিকে নিরক্ষীয় অরন্য আর আকাশে মেঘের ঘনঘটা। একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো দৃশ্যটি কেমন? অপূর্ব। সুন্দর। যেন শিল্পীর আঁকা কোন চিত্রের মতো। 4.Umiam Lake. শিলং এর আর একটি বিশেষ দর্শনীয় স্থান হলো এই লেক। সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, জলে মাছেদের জলকেলি আর বিশেষ আর্কষন বোটিং এর ব্যবস্থা। লেকের চারপাশ থেকে ঘন জঙ্গল। আর আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা।
অসম- মেঘালয়
অন্তিম পর্ব..... আজ 30 অক্টোবর। আমাদের অসম- মেঘালয় ভ্রমনের আজ অন্তিম পর্ব। শিলং ছেড়ে আজ আমরা চলেছি চেরাপুঞ্জীর পথে। চেরাপুঞ্জী তে থাকা আর কিছু দর্শনীয় স্থান দেখে আমরা এবারের মতো পাহাড় কে 'good bye' জানিয়ে সমতলের উদ্দেশ্যে নিচে নেমে আসব। শিলং থেকে 54 কিমি দূরে 1300 মিটার উচুঁতে চেরাপুঞ্জী ---- শিলং ভ্রমনার্থীদের এক দিনের ভ্রমন তালিকায় উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে। চেরা বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বসতি। শিলং থেকে আধাআধি পথ পেরুতেই সবুজের গালচে মোড়া পাহাড় চুড়ো মরালের ন্যায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে।বাস চলবে এই পাহাড়ের কাধেঁই ভর দিয়ে। চলার পথের নয়নাভিরাম নৈসর্গিক দৃশ্যের তুলনা হয় না। আকাশ ও আপনাকে নিরাস করবে না তার অপরূপ সৌন্দর্য কে উপভোগ করা থেকে। সূর্যের আলো আর মেঘ সর্বদাই যেন এখানে লুকোচুরি খেলে চলেছে। পৃথিবীর সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয় এই চেরাপুঞ্জীতেই। ঐতিহাসিক রেকর্ড রয়েছে এর। কমলালেবু যেমন প্রচুর ফলে তেমনই পর্যাপ্ত পরিমানে রয়েছে কয়লা ও চুনাপাথর। চেরাপুঞ্জীর প্রধান কেন্দ্র চেরা বাজারের এক কিমি আগেই রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম। ভ্রমনার্থীরা একবার ঘুরে আসতেই পারেন এখান থেকে। 1924 সালে সেলাতে এটি প্রতিষ্ঠিত হলেও 1931 সালে এটি চেরাপুঞ্জীতে স্থানান্তরিত করা হয়। পাঁচ শতাধিকের ও অধিক পড়ুয়া পাঠ নিচ্ছে এই আশ্রমের বিদ্যালয়ে। এছাড়া রয়েছে পল কালিকাই ফলস ( এর ছবি আমি আগের পর্বেই পোষ্ট করেছিলাম)। চেরাপুঞ্জী কে আরো আকর্ষনীয় করতে বর্তমানে একটি Eco park তৈরি করা হচ্ছে। অনেকখানি বিস্তার এই পার্কের। মাথাপিছু কুড়ি টাকা দর্শনী দিয়ে এর মধ্যে প্রবেশ করলে আপনি আপনার ছোটোবেলা কিছুক্ষনের জন্য হলেও খুঁজে পাবেন। এছাড়া এখান থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনাতীত। পথেই পরবে 'seven sister falls'. সাতটি প্রস্রবন এক সঙ্গে ঝড়ে পরছে, সাত বোনের মতোই। এর থেকেই এরূপ নাম দেওয়া হয়েছে । তবে এই সময় আমরা কেবল দুই বোনের ই দর্শন পেয়েছিলাম। শুনলাম সেখানকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে বর্ষাকালে সাতটি ধারাই বইতে দেখা যায় পাহাড়ের চুড়া থেকে উপত্যকার উপর। এর পরেই ছিলো আমাদের আর এক অপূর্ব দর্শনীয় স্থান। 'Elephanta Falls'. পাহাড়ের উপর থেকে তিনটি ধাপে নেমে এসেছে এই বিশাল প্রস্রবন। বর্তমান প্রধান মন্ত্রী মহাশয় ও এখানে এসে দর্শন করে গেছেন এই প্রশিদ্ধ প্রস্রবনটিকে। হাতির শুড়ের মতো দেখতে ছিলো বলে এই ঝরনার নাম ইংরেজ রা দিয়েছিলো ' elephanta falls'.।তবে আপনি এখন আর একে হাতির শুড়ের সঙ্গে মেলাতে যাবেন না। বারংবার ভূমিকম্পের ফলে এর ভূ-প্রকৃতির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।
ঘুরে এলাম মৌসুনি দ্বীপ,
শিয়ালদহ থেকে সাতটা দশ নামখানা লোকাল ধরে নামখানা নামলাম দশটা কুড়িতে ,টোটো করে গেলাম নারায়নপুর ফেরিঘাট, ফেরি পারহতে লাগল দুটাকা ,ওখান থেকে টোটোকরে বকখালি য়াবার বাস যেখান থেকে ছাড়ে সেখান, আমরা ছোটো গাড়ি ভাড়া করে চললাম দূগাপুর ফেরিঘাট ,৩৫০টাকা গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিলো ,আবার নৌকো করে পার হলাম ,নদির নাম চিনাই নদি ,নদির ওপারে বাঘডাংগা সেখানথেকে চললাম মৌসুনি ,টোটোতে মোটামুটিি ৩০ মিনিট লাগে ,পৌঁছেগেলাম মৌসুনিতে ,
The allotted work-load was over after a hectic week. So, me and my family planned for a long-awaited weekend trip to Ghatshila. It was long-awaited as it is one of the easiest and nearest tourist destinations from Kolkata. Finally, I along with one of my friend and his family: atlast we have started our journey to Ghatshila on last Saturday morning.
By 6 o’clock in the morning from Howrah, We started off Ispat Express and it took about 3.5 hours to reach Ghatshila. Soon after finishing the journey formalities, we retired at our house. Sitting back on a couch, I was enjoying the rural beauty of the neighboring places as rain started by. After a fresh shower and early lunch, we hired a car for the day’s trip. Day 1: We started the first day’s trip by 1 pm. The first destination was:Phuldungri, a small hillock just outside the town. We hiked all the way to the top in about 20 minutes. From the peak, one can partially skyview the town. We climbed down soon to move towards our next destination: Burudih lake. The route to the lake was through numbers of villages and canals.It is an artificial lake located beside a ridge of hills. Due to the presence of these hills full of lush greenery, Burudih seems more beautiful to me.By peak-seasons (Puja or Christmas), boating rides are available in this lake. We missed that but, spent quite some time there roaming by the lake-perimeters.From Buridih, we went to Gouri kunja, the former residence of famous Bengali author Bibhutibhusan Bandyopadhyaya. The great author wrote some of his best writings while staying there. From Gouri kunja, we moved to HCL (Hindustan Copper Limited) on the bank of Subarnarekha river. They do allow inside only on certain occasions or with special permits. Hence, we stayed on the banks of the river.We spent quality time by the southern bank of the river while shooting grass-hoppers, a rusty and desolated factory, a small falls meeting with the river and people around. Later, we started moving towards town. On our way-back, we visited Pancha pandav hill. After hiking for 20 minutes, we reached the top. The view from the top was ecstatic. We were getting late as we planned to visit sunset at Ratmohona. It is located at the bank of Subarnarekha. After visiting Ratmohona, we returned to the town. The cab driver charged us of Rs. 900 for the whole trip. After the trip, we had snacks and by 7 pm, we reached the home. Uncle and aunty asked us to return to home after dinner as soon as possible due to recent Maoist chaos. Hence, we had our dinner and slept early. Day 2: After a tiring trip on the first day, we waked up late in the morning. We had our breakfast, roamed near the market-area and finally got ready for the day’s trip by 11 am after bathe. We hired an car again for second day’s trip. We planned to visit Galudih dam, Rankini temple and Narwa forest near Jadugara. Galudih dam is about 10 Kms distant from the town. The dam along with surrounding hills makes a pristine beauty. We spent about 10 minutes there before leaving for lunch at a roadside dhaba. After lunch, we moved towards Jadugora. Then, we visited Rankini temple and moved on.With another pleasant drive through a forested area, we reached Narwa forest. We hiked up the top of Jadugora hill for about 1 hour. The route to the top was adventurous and picturesque. we spotted a few snakes, lizards and colorful butterflies on our way. It has a temple on the peak. All our tiredness was gone when we saw the surrounding hills from the peak. With the end of the daylight, our journey ended and rushed back to our friend’s house.
মাত্র দিন তিনেকের জন্য মন ভালো করার জায়গা মায়াপুর। এর আগেও গেছি, তবুও আবার মায়ার টানে ঘুরে এলুম মায়াপুর। যেতে গেলে নামবেন নবদ্বীপের বিষ্ণুপ্রিয়া স্টেশনে, সেখান থেকে টোটো করে ফেরিঘাট, এখানে বলা ভালো, ফেরি ঘাটের কাছেই আছে জলখাবারের ভালো কয়েকটি দোকান। লুচি, ছোলার ডাল আর অবশ্যই নবদ্বীপের ভাঁড়ের মিষ্টি দই। লঞ্চ/নৌকায় গঙ্গা পার করে আবার টোটোয় করে একেবারে ইসকন। থাকার জন্য আছে ইসকনের নিজস্ব ভবনগুলি, আগে থেকে বুক করলে বেশি ভালো। ইসকনের ভিতরে পার্ক, অন্যান্য মন্দির, গোশালা ইত্যাদি পায়ে হেঁটে/ টোটো করে ঘুরে দেখার ব্যবস্থা আছে। নব নির্মীয়মান মন্দিরটি দেখার মতো। প্রসাদ খাওয়ার জন্য অবশ্যই আগে থেকে কুপন কেটে রাখবেন। সকাল সকাল ঘুরে নেবেন পুরো মায়াপুর এবং নবদ্বীপ টাউন। তবে হ্যাঁ, দরদাম করে নেবেন না হলে মুশকিলে পড়বেন।
Dawki lake, osadharon ek jayga, google a dekhechilama sei lake r jol crystal water r moto. Dur theke dekhe mone hocchilo boat gulo vasche, ek muhurter jonno vableo darun lage, tar porei jokhon takalam seta jol chara kichui na. Kintu seta kichutei mante parchilam na j boat gulo jole ache, dekhei mone hocche vasche... Ultimately jokhon boat a kore egia porlam sob jayga ta ghure dekhar jonno, sotti osadharon laglo.
Joler tolay sob kichu ato clear j bar bar vulei jacchi je joler opor dia cholche boat ta. Besi valo bojha jacche jokhon amader 2nd boat ta ami dekhchi. Sese dekha ses holo. Apnarao dekhun ..... |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |