জয় মা শ্রী শ্রী হরবোলা কালী দেবীর জয়।।
মাঘ মাসের বসন্ত পঞ্চমী উৎসব উপলক্ষে আজ আরো একটা অখ্যাত কিন্তু জাগ্রত কালী মন্দিরের খোঁজ নিয়ে চলে এলাম।। তাহলে যাত্রা শুরু করা যাক?? দীঘা ঘুরতে যায়নি,, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল।। দীঘা হলো মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের প্রথম ও আদর্শ ট্যুরিস্ট স্পট।। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা দীঘা দিয়েই তাদের গ্রুপ ট্যুরের হাতে খড়ি দিয়ে থাকে।। দীঘা হলো সমুদ্র প্রিয় বাঙালির প্রথম পছন্দ।। বর্তমানে দীঘা কে ভারতবর্ষের রেল মানচিত্রের সাথে যুক্ত করা হয়েছে বলে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ভ্রমণ পিপাসু লোকেদের কাছে দীঘা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।। এই দীঘায় দুটো অংশ আছে,, নিউ দীঘা ও ওল্ড দীঘা।। দীঘা রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে নিউ দীঘায়,, এবং বাস টার্মিনাস রয়েছে ওল্ড দীঘায়।। এই ওল্ড দীঘায় রয়েছে মাতৃ সাধক ভবা পাগলার প্রতিষ্ঠিত অপুর্ব শ্রী শ্রী দেবী হরবোলা কালী মায়ের মন্দির।। দীঘার সাইট সিনের মধ্যে হরবোলা কালী মন্দির অবশ্যই রাখা প্রয়োজন।। পাঁচিল দিয়ে ঘেরা মন্দির চত্বর।। লাল রঙের গেট খুলে ভেতরে ঢুকতে হয়।। ছোট হলেও পরিস্কার মন্দির।। সমতলছাদ বিশিষ্ট একটি দালান মন্দির।। মন্দিরের সামনে রয়েছে একটি ছোট তুলসী মঞ্চ।। নাটমন্দির সংলগ্ন গর্ভমন্দির।। গর্ভগৃহের মধ্যে একটি টাইলস দিয়ে বাঁধানো বেদীর উপর অবস্থান করছে শ্রী শ্রী মাতা হরবোলা কালী দেবী।। মায়ের গায়ের রং আকাশী নীল রঙের।। শায়িত মহাদেবের নাভি থেকে নির্গত শতদল পদ্ম ফুলের উপর মা হরবোলা বিরাজমান।। মায়ের চারটি হাতে রয়েছে তলোয়ার, (খাঁড়ার পরিবর্তে মায়ের হাতে তলোয়ার রয়েছে) নরমুন্ড, বরমুদ্রা ও অভয়মুদ্রা। মায়ের গায়ে লাল রঙের শাড়ি,, মাথায় মুকুট,, ও গায়ে গহনা রয়েছে। মহাদেবের মাথার উপর একটি সাপ ফণা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।। মায়ের দুই দিকে রয়েছে সাধক ভবা পাগলার বাঁধানো ছবি।। নাটমন্দির বেশ পরিচ্ছন্ন টাইলস দিয়ে বাঁধানো রয়েছে।। এবং শেষে একটি ছোট হাঁড়িকাঠ পোঁতা আছে।। প্রধান মন্দিরের পাশেই রয়েছে তিনটি ছোট ছোট সাদা রঙের মন্দির।। একটি মন্দিরে রয়েছে একটি কালো কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ।। অন্যটায় রয়েছে ভবা পাগলার মুর্তি ও তার ব্যবহৃত পাদুকা।। এবং আরেকটিতে রয়েছে শ্বেতপাথরের সিংহাসনে আসীন রাধাকৃষ্ণ ও গোপাল মুর্তি।। মুর্তির একদিকে একটি বেদীতে রয়েছেন জগন্নাথ,, বলভদ্র,, ও সুভদ্রার মুর্তি,, অন্যদিকে রয়েছে গৌর নিতাই এর মুর্তি।। প্রতিটি মুর্তি বেশ সুন্দর ও প্রাণবন্ত।। বেশ চুপচাপ পরিবেশ।। মন্দিরের চারিদিকে বেশ কিছু ফুলের গাছ রয়েছে।। মায়ের পূজো দিয়ে শরীর ও মন পুরো শান্ত হয়ে উঠবে।।
0 Comments
জয় মা রঙ্কিনী দেবীর জয়।।
আজকে এসেছি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড রাজ্যের ঘাটশিলায় অবস্থিত বিখ্যাত ও জাগ্রত শ্রী রঙ্কিনী দেবী মায়ের মন্দিরের খোঁজ নিয়ে।। হাওড়া অথবা শালিমার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে চলে আসুন ঘাটশিলা রেলওয়ে স্টেশন।। স্টেশন থেকে রিক্সা ধরে সরাসরি চলে আসুন রঙ্কিনী দেবীর মন্দির।। দুরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার।। রাস্তার ডানদিকে রয়েছে মায়ের মন্দিরের তোরণ।। দুইটি স্তম্ভের কাছে দুটি সিংহ মুর্তি রয়েছে।। সমতলছাদ বিশিষ্ট লাল রঙের দালান মন্দির।। নাটমন্দির সংলগ্ন মায়ের গর্ভমন্দির।। নাটমন্দিরে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব,, সারদা দেবী ও যুগপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দ ও মহাদেবের ছবি লাগানো আছে।। গর্ভমন্দির বেশ বড়সড়।। এখানে পাথরের উপর ধাতুর চোখ, নাক, কান, জিহ্বা, ইত্যাদি বসিয়ে মা কালীর রূপ সৃষ্টি করা হয়েছে।। মায়ের নাকে সোনার নথ,, মাথায় মুকুট ও ছাতা আছে।। মায়ের শিলা মুর্তিটি টালি দিয়ে বাঁধানো একটি ছোট সিংহাসনে গাঁথা রয়েছে।। মায়ের মুর্তির পাশেই রয়েছে একটি শিবলিঙ্গ।। মহাদেব তার অস্ত্র ত্রিশূল ও বাহন নন্দী ষাঁড়কে সঙ্গে নিয়ে আছেন।। মন্দিরের সামনে বলি দেওয়ার স্থান আছে,, বিশেষ উৎসবে এখানে বলি দেওয়ার নিষ্ঠুর প্রথা রয়েছে।। মন্দির চত্বরে বিভিন্ন ধরনের ফুলের ও অন্যান্য গাছ আছে।। মন্দির চত্বরে একটি ফনিমনসা গাছ আছে,, সেখানে মা মনসা দেবীর পূজাও হয়।। মন্দির চত্বর খুব সুন্দর ও শান্ত, পরিস্কার, পরিছন্ন।। ধুপ, মোমবাতি, প্রদীপ ইত্যাদি জ্বালিয়ে রাখার জন্য একটি আলাদা স্থান মন্দিরের বাইরে নির্দিষ্ট করা রয়েছে।। শ্রী রঙ্কিনী দেবী মায়ের মন্দির লাল মার্বেল পাথর দিয়ে বাঁধানো।।
জয় শ্রী শ্রী মাতা ভদ্রকালী দেবীর জয়।।
আজকে আরো এক অখ্যাত কিন্তু জাগ্রত কালী মায়ের মন্দিরের খোঁজ খবর নিয়ে চলে এলাম। যাওয়া যাক?? হুগলী জেলার উত্তরপাড়ার কোতরং পৌরসভার অন্তর্গত ভদ্রকালী দেবী মায়ের মন্দির অবস্থিত।। মায়ের নাম অনুসারে স্থানটির নামও ভদ্রকালী।। শিয়ালদহ -- ডানকুনি জংশন শাখার বালি ঘাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে অটো,, টোটো,, বাস,, রিক্সা ধরে নামতে হবে দোলতলার অন্তর্গত রামসীতা ঘাটে।। জি.টি. রোডের পাশে বয়ে যাচ্ছে সূরাধনী ভাগীরথী হুগলী নদী।। ঘাটটি খুব সুন্দর ও পরিস্কার।। কয়েকটি ছোট ছোট মন্দির আছে এই ঘাটে।। এই ঘাটের ঠিক বিপরীত দিকে একটি রাস্তা চলে গেছে।। এই গলির শেষ প্রান্তে একটি পুকুরের পাশে রয়েছে মায়ের মন্দির।। এই মন্দিরের বয়স আনুমানিক তিনশ বছরের মতো।। মন্দিরের দেয়ালের ফলক থেকে জানা যায় যে, ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দে শেওড়াফুলির রাজা মনোহর রায় এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।। এই এলাকা আগে ছিল ঘন জঙ্গল দ্বারা পরিপূর্ণ,, হিংস্র প্রাণীদের অবাধ বিচরণ।। এই ঘনজঙ্গলে এক সন্ন্যাসী বসবাস করতেন।। মন্দিরের পাশের পুকুর থেকে মায়ের মুর্তি উদ্ধার করে একটি ছোট পর্ণকুটিরে মায়ের সেবা করতেন এই সন্ন্যাসী।। সেই সন্ন্যাসীর দেহাবসানের পর মন্দিরের যাবতীয় পূজার ব্যয় ভার গ্রহণ করেন রাজা মনোহর রায়।। প্রাচীন মন্দির এখন আর নেই,, তার জায়গায় দালান শ্রেণীর পাথরের মন্দির গড়া হয়েছে।। দক্ষিণমুখী গর্ভগৃহের তিনদিক বারান্দা দিয়ে ঘেরা।। ত্রিকোণ গম্বুজবিশিষ্ট মন্দিরের ছাদ।। লোহার গ্রিল দিয়ে ঘেরা।। গর্ভমন্দিরের তিনথাক উঁচু বেদীর উপর অত্যন্ত ছোট পাথরের মাতৃ বিগ্রহ।। মাথায় মুকুট যুক্ত দেবী বসে আছেন শিবের উপর।। ছোট মুর্তি হলেও দেবী মায়ের মুখমন্ডল অত্যন্ত সুন্দর।। সুচারু চার হাতে রয়েছে নানা প্রহরণ।। মায়ের গলায় রয়েছে পাথরের নরমুন্ডুমালা।। অনেক স্থানীয় লোকেরা মন্দিরের সঠিক পথ কিন্তু বলতে পারবেনা।। দেবী মায়ের বাৎসরিক প্রধান পূজা উদযাপন হয় দোল পূর্ণিমার দিন।। তখন মেলায় বসে।। মায়ের মন্দিরের পিছনে রয়েছে আরো কিছু মন্দির।। এই মন্দিরে সন্ধ্যারতি দেখার জন্য ভক্তসমাগম হয়।।
জয় মাতা শ্রী শ্রী কৃষ্ণকালী মায়ের জয়।।
আজকে নিয়ে এলাম আরো একটি অখ্যাত কিন্তু জাগ্রত কালীমন্দিরের খোঁজ খবর নিয়ে।। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মালঞ্চ পঞ্চবটী এলাকায় অবস্থিত এই কৃষ্ণকালী / বিমলা কালী মায়ের সুন্দর মন্দির।। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার মল্লিকপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাওয়া যায় এই মন্দির।। সাইকেল রিক্সা অথবা টোটো করে সরাসরি চলে যাওয়া যায় মালঞ্চ পঞ্চবটী বাসস্ট্যান্ড,, উল্টো দিকে রয়েছে ' মিষ্টি মধু ' দোকান।। রাস্তার বামদিকে রয়েছে একটি লাল রঙের ছোট অন্নপূর্ণা দেবীর মন্দির ও সাদা রঙের পঞ্চশিব মন্দির।। অন্নপূর্ণা দেবীর মন্দিরের পাশ দিয়ে সরু রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলেই ডানদিকে পড়বে মন্দির।। চারিদিকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা মায়ের মন্দির চত্বর।। লোহার গেট খুলে ভেতরে ঢুকতে হবে।। সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো রাস্তা সোজা মায়ের মন্দিরের সামনে চলে গেছে।। একটা ছোট টিনের চালের নাটমন্দির আছে।। মায়ের মন্দির লাল রঙের আটচালা মন্দির।। মন্দিরের মাথায় তিনটি সোনার কলস ও ত্রিশূল প্রোথিত আছে।। মায়ের মন্দিরের মেঝে শ্বেতপাথর দিয়ে বাঁধানো।। গর্ভগৃহের মধ্যে কাঠের সিংহাসনে অধিষ্ঠান করছেন দেবী কৃষ্ণকালী মাতা।। মায়ের গায়ের রং উজ্জল কালো।। মায়ের চারটি হাতে নারায়ণের মতো শঙ্খ, চক্র, গদা, আছে।। মায়ের গায়ে গোলাপী রঙের শাড়ি আছে।। মায়ের মন্দিরের দুই দিকে রয়েছে শিবমন্দির ও রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব ও সারদা দেবীর মন্দির।। এই মন্দিরে গুলোর গঠন মাতৃ মন্দিরের মতোই।। শুধুমাত্র আকারে তুলনামূলক ভাবে একটু ছোট।। শিবমন্দিরের ভিতরে শ্বেতপাথরের বেদীতে কালো কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ রয়েছে ও অন্য মন্দিরে শ্বেতপাথরের রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব ও সারদা দেবীর মুর্তি আছে।। এই মন্দির চত্বরে রয়েছে অনেক ধরনের ফুল, ফল, ও বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহারের গাছ।। মন্দিরের পিছনে রয়েছে একটি পুকুর ও ঘন জঙ্গল।। এই এলাকায় রয়েছে এক গোসাপ,, এই জন্তুটি মানুষের সঙ্গেই বসবাস করছে।।
চেরাপুঞ্জি:-
বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের স্থান চেরাপুঞ্জি।৪২৬৭ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত চেরাপুন্জির স্হানীয় নাম ‘সোহরা’। চেরাবাজার ঘিরেই চেরাপুন্জি।খাসি সাহিত্য ও সংস্কৃতির পীঠস্থান চেরাপুঞ্জি।ডাউকি থেকে চেরাপুন্জির দূরত্ব ৮৪ কিমি।ট্যাক্সি রিজার্ভ করলে পরিস্হিতি অনুযায়ী ভাড়া পড়বে ২৩০০-২৮০০ রুপি।ট্যাক্সি শেয়ারে গেলে জনপ্রতি ৩০০-৪০০ রুপি।ভাড়ার বিষয়টা পরিস্হিতির উপর নির্ভর করে।আর শিলং থেকে চেরাপুন্জির দূরত্ব ৫৪ কিমি।উচুঁ পাহাড়ের বুক চিরে মসৃণ রাস্তা। ডাউকি থেকে চেরাপুন্জি যাওয়ার পথে আপনার চলার পথের সঙ্গী হবে ছোট ছোট গ্রাম, সবুজ উপত্যকা, খণ্ড খণ্ড কৃষিজমি, পাইন গাছের ছায়া,নাসপাতি ও মেঘ।এ ছাড়া আছে কয়লার খনি। চেরাপুন্জিতে যা যা দেখবেন:- ১। সেভেন সিস্টার্স ফলস। ২। নোহকালীখাই ফলস। ৩। মোসমাই কেভ।(Mawsmai Cave). ৪। মকদক ভিউ পয়েন্ট। ৫। ওয়াকাবা ফলস। ৬। ডাইন্থলেন ফলস। ৭। মোসামাই ফলস। ৮। নংগিথিয়াং ফলস। ৯। ইকো পার্ক। ১০। আরওয়া কেভ। ১১। থাংখারাং। এছাড়াও নংরিয়েত ভিলেজ ট্রেক করে ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ,ন্যাচারাল সুইমিং পুল এবং রেইনবো ফলস দেখে আসতে পারেন।নংরিয়েত ভিলেজ ট্রেকে ৩টা সাসপেনশন ব্রিজ আর প্রচুর গাছের শেঁকড়ের ব্রিজ পাবেন।পরবর্তী অ্যালবামে ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ,ন্যাচারাল সুইমিং পুল এবং রেইনবো ফলস যাওয়া আসার বিস্তারিত রুট প্লান নিয়ে লিখবো। কিভাবে যাবেন:- ডাউকি থেকে চেরাপুন্জির দূরত্ব ৮৪ কিমি।যেতে সময় লাগবে ২.৩০ মিনিটের মতো।ডাউকি থেকে ট্যাক্সি পাবেন।ট্যাক্সি রিজার্ভ করেও যেতে পারেন আবার শেয়ার করেও যেতে পারেন।আবার শিলং থেকেও চেরাপুন্জি যেতে পারেন।শিলং থেকে চেরাপুন্জির দূরত্ব ৫৪ কিমি। কোথায় থাকবেন:- ডাউকি/ শিলং থেকে সরাসরি চেরাবাজার চলে আসবেন।চেরাবাজারে প্রচুর হোমস্টে আছে।ভালো মানের ডাবল রুম পেয়ে যাবেন ১৫০০-১৮০০ রুপির মধ্যে। চেরাপুন্জি কিভাবে ঘুরবেন:- চেরাপুন্জির সবগুলো জায়গা দেখার জন্য সারাদিনের জন্য একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে নিতে পারেন।সেটাই সবচেয়ে ভালো হবে।সবগুলো জায়গা দেখার জন্য ওরা রিজার্ভ ১০ সিটের টাটা সুমো ভাড়া নিবে ১৮০০-২০০০ রুপি।আর ৪ সিটের ট্যাক্সি ১৪০০-১৬০০ রুপি।প্রথমে থাংখারাং থেকে শুরু করতে পারেন।থাংখারাং থেকে সেভেন সিস্টার্স ফলস।সেখান থেকে মোসমাই কেভ,মোসমাই ফলস,নংগিথিয়াং ফলস,ইকো পার্ক,আরওয়া কেভ,ডাইন্হলেন ফলস হয়ে নোহকালীখাই ফলস।নোহকালীখাই ফলসের কাছেই আছে বাংলাদেশ ভিউ পয়েন্ট।পরিষ্কার আবহাওয়া থাকলে দেখা যায় বাংলাদেশ।আর ওয়াকাবা ফলস আর মকদক ভিউ পয়েন্ট ডাউকি থেকে চেরাপুন্জি আসার সময় দেখে আসতে পারেন।আবার এসেও দেখতে পারেন। চেরাপুন্জির জায়গাগুলো ঠিক মতো দেখতে পারাটা পুরোটাই ভাগ্যের ব্যাপার।প্রায় সবসময় বৃস্টি হয়।আবহাওয়া খারাপ থাকলে ফলসগুলো মেঘে ঢাকা থাকে।সেভেন সিস্টার্স ফলস আর নোহকালীখাই ফলস দেখার জন্য ভাগ্যের সহায়তা খুব বেশী প্রয়োজন।এই জন্য চেরাপুন্জি দেখার জন্য একদিন রিজার্ভ ডে রাখলে ভালো হবে। ভ্রমনে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।আসুন ভ্রমনে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকি।
ডোকরা শিল্প
আসানসোল থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দুরে রাণীগন্ঞ্জ হয়ে বাঁকুড়া যাওয়ার পথে পড়ে বিকনা গ্রাম। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের সিল্ক, টেরাকোটা ও মন্দিরের সাথে সাথে বিকনার ডোকরা শিল্পের খ্যাতিও আজ জগৎজোড়া। একাধিকবার বিষ্ণুপুর যাওয়া মন্দির ও টেরাকোটা শিল্প দর্শন এবং বিষ্ণুপুর সিল্কের সঙ্গে পরিচিতি বাড়লেও ডোকরা শিল্প প্রায় অধরাই থেকে গেছিল। তাই এবার মনস্থির করেই গেছিলাম বিষ্ণুপুর যাওয়ার পথে ডোকরা শিল্পের গ্রাম বিকনায় কিছুটা সময় কাটিয়ে এই শিল্পের কারিগরী সম্বন্ধে কিছুটা জ্ঞান সঞ্চয় করে যাব। নির্দিষ্ট জায়গার কাছাকাছি এসে একজনকে জিজ্ঞেস করে সেই বাঞ্ছিত স্থানে পৌঁছে গেলাম। একের পর এক আটচালায় ডোকরার পসরা নিয়ে শিল্পী ও তার পরিবার বসে আছে।একদম ঘরোয়া পরিবেশের মধ্যে শিল্পীরা নিপুণ হাতে তাদের শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলছে। আর এই কাজে ১০ বছরের ছেলেমেয়ে থেকে ৭০ বছরের বয়স্করাও সমানভাবে হাত লাগিয়েছে। ডোকরা বা ঢোকরা হলো হারানো মোম ঢালাই পদ্ধতিতে এক শিল্পকর্ম যা প্রায় ৪৫০০বছরের পুরনো বলে জানা যায়। সিন্ধু সভ্যতার সময় মহেঞ্জোদরতে ডোকরা শিল্পের অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রাচীন এই ধাতুজ শিল্প এক উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। কথিত আছে ৩০০০ বছরেরও আগে বস্তারের রাজা তাঁর স্ত্রীকে ডোকরার তৈরী গয়না উপহার দিয়েছিলেন। ভারত ছাড়াও চীন,মালয়েশিয়া,জাপান প্রভৃতি দেশে এই শিল্প কর্মের খোঁজ পাওয়া যায়। পূর্বে এই ডোকরা শব্দটা যাযাবর গোষ্ঠীর কিছু মানুষ যারা নানারকম হাতের কাজে ব্যস্ত থাকতো তাদের সম্বন্ধেই ব্যবহৃত হতো। এই যাযাবর গোষ্ঠীই ধীরে ধীরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চল তথা বাংলা,ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশে, ঝাড়খণ্ড ও বিহার-এ ছড়িয়ে পড়ে। মনে করা হয় মধ্যপ্রদেশ এর বস্তার ও ছত্তিসগড়ে এই শিল্পের উদ্ভব হয়। পরে ঝাড়খণ্ড ও বিহার-এ ছড়িয়ে পড়ে। আরও পরে পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে এর প্রসার ঘটে। বর্তমানে ডোকরা শিল্পে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম নাম। বিভিন্ন রকম হিন্দু ও আদিম দেব দেবী, বিভন্ন মানুষের প্রতিকৃতি, নানারকম বাসনপত্র, দৈত্য দানব ,হাতি ঘোড়া ইত্যাদি বিভিন্ন জন্তু জানোয়ার ও পশুপক্ষী এই ধাতব ঢালাই পদ্ধতির ঐতিহ্যময় বিষয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা যেমন বাঁকুড়া ,পুরুলিয়া, মেদিনিপুর, বীরভুম ও বর্ধমানে ডোকরার কাজ জানা এই বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ (কর্মকার) এর বসবাস করতে দেখা গেলেও বাঁকুড়া জেলার বিকনা গ্রাম এই ডোকরা শিল্পের জন্য এক বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছে।মূলত এই অঞ্চলই ডোকরা শিল্পের ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে চলেছে বললে অতুক্তি হয়না। ভারতবর্ষে তথা বিদেশেও এখানকার ডোকরা শিল্পের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁকুড়ার বিকনা গ্রামের অধিবাসীরা সবাই ডোকরা শিল্পী। এদের মধ্যে অনেকেই তাদের নিপুণ কলাকুশলীর জন্য রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যস্তরে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। National Institute for Science, Technology and Development Studies NISTADS ডোকরা শিল্পের প্রসার ও শিল্পিদের নিয়ে নানারকম গবেষণা মূলক কাজকর্ম করে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও এই শিল্পের উন্নতিকল্পে নানারকম পদক্ষেপ গ্রহন করছে। এখানকার দুই প্রবীন শিল্পী বলরাম কর্মকার ও সুবল কর্মকার দের সঙ্গে কথা বলে ডোকরা তৈরীর প্রক্রিয়া সম্বন্ধে অনেকটাই জানা গেল। প্রায় পাঁচ ছয়টি ধাপে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের হাতে তৈরী হয় ডোকরার বিভিন্ন সামগ্রী। এরজন্য মূল উপাদানগুলি হল মিহি করে গুঁড়ো করা মাটি, ধুনো ও তেল মেশানো আঁটা বা মন্ড, মৌচাক থেকে ভেঙ্গে আনা মোম, পেতল, কাঠকয়লা ইত্যাদি। (১) প্রথম ধাপে মাটিকে গুঁড়ো করে চালুনি দিয়ে খুব মিহি করে চেলে নেওয়া হয়। এরপর ধানের তুষ ও পরিমান মতো বালি মিশিয়ে মন্ড করা হয়। যে মুর্ত্তি বা বস্তু তৈরী করা হবে ঐ মাটির মন্ড দিয়ে তেমন আকৃতির আদলে একটা প্রাথমিক রুপ দেওয়া হয়। তার ওপরে গুঁড়ো মাটির সঙ্গে গোবর মিশিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয় যাতে আগুনে গরম করার সময় ফেটে না যায়। পরে সেগুলিকে ভাল করে শুকনো করা হয়। (২) দ্বিতীয় ধাপে মৌচাকে মোমগুলিকে একটি পাত্রে গরম করে গলিয়ে তার সঙ্গে কিছুটা ধুপের গুঁড়ো ও তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে চিটচিটে আঁঠার মত হলে শুকনো মুর্ত্তির ওপর ভরাট করে প্রলেপ দেওয়া হয়। (৩) এরপর ঐ গলানো মোমের কিছুটা অংশ একটু ঠান্ডা করে সরু সরু লেচি কাটার মতো কেটে বিভিন্ন মুর্ত্তির হাত পা তৈরী হয়। আরও সরু সুতোর মত লম্বা আকৃতির টুকরো করে নানারকম সাজসজ্জা ও কারুকার্য তৈরীর কাজে লাগে। (৪) এইভাবে মুর্ত্তিগুলির অঙ্গ প্রতঙ্গ ও সাজসজ্জা তৈরীর পর পাতলা মাটি ,ধানের তুষ ও বালি একসঙ্গে মেখে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেওয়া হয়। (৫) মাটির প্রলেপ দিয়ে ঢাকার পর বড় ছুঁচ বা ছুরি দিয়ে মুর্ত্তিগুলির গায়ে চ্যানেল তৈরী করা হয় যার মধ্য দিয়ে গলানো পেতল প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। (৬) মুর্ত্তিগুলিকে আগুনে পোড়ানর সময় মোমের প্রলেপ গলে বেড়িয়ে গিয়ে শুন্যতার সৃষ্টি হয় এবং গলানো পেতল সেই স্থান গুলো ভরাট করে। সম্পূর্ণরুপে ভরাট হয়ে গেলে একটি পাত্রে জলের মধ্যে ডুবিয়ে রেখে ঠান্ডা করে যত্ন সহকারে একটু একটু করে মাটির প্রলেপ গুলো ছাড়ানো হয়। (৭) এরপর চলে ফিনিশিংএর কাজ যা এইসব শিল্পীরা নিজেদের দক্ষতা ও পারদর্শীতায় ফুটিয়ে তোলে। এতগুলো ধাপ পেরিয়ে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের হাতে অপূর্ব শিল্প কলার সাহায্যে তৈরী হয়ে থাকে এই ডোকরা। এত পরিশ্রম করে বানানো মুর্ত্তিগুলির দেশবিদেশে যতই আকর্ষণ থাকনা কেন এর বাজার কিন্তু খুব একটা লাভজনক নয়। এইসব শিল্পীদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা দেখলেই তা বোঝা যায়। এর প্রধান কারন কাঁচামালের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি। এতরকম কাঁচামাল ও পরিশ্রম দিয়ে তৈরী হওয়া মুর্ত্তিগুলির যা দাম ধার্য্য করা হয় ঠিক ততদামে তা বিক্রি করা কষ্টসাপেক্ষ হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে কম দামেও তা ছেড়ে দিতে হয়। এর ফলস্বরুপ এদের পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই তাদের পূর্বপুরুষের শিল্পকলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। আমরা গিয়ে একটু একটু করে তাদের ঘরের মধ্যে গিয়ে অনেক সুখ দুঃখের গল্পের অংশীদার হলাম। পুতুল কর্মকার নামে এক মহিলা শিল্পী খুবই আনন্দ সহকারে আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে এলেন। সম্প্রতি তার ইনটারভিউ টিভিতে প্রচারিত হয়েছে । এ ছাড়াও সে টিভি শোতে অংশগ্রহনের অভিজ্ঞতাও আমাদের শোনাল। এইরকম ভাবে উৎসাহ পেলে তারা মানসিক ভাবে বলিষ্ঠ হয়। তারই ফাঁকে এক এক করে ডোকরার পসরা নিয়ে আমাদের সামনে হাজির করলো। ছোটবড় নানারকম জিনিষ যেমন একচালার মধ্যে দূর্গা প্রতিমা, বিভিন্ন আকৃতির গনেশ, আদিবাসী মুর্ত্তি , প্যাঁচা, ঘোড়া ও তার সাথে আধুনিক ফ্যাশন অনুযায়ী দুল, বালা, গলার মালা ও বিভিন্ন গয়না প্রত্যেকটি জিনিষই আকর্ষণীয় তথা লোভনীয়। অনেক কিছুই নেওয়ার আগ্রহ হলেও দামের জন্য নিজেদের সংযত করে কিছু কেনাকাটা করতেই হল। আর বেশিক্ষণ সময় দেওয়া সম্ভব হলনা এগিয়ে যেতে হবে আর শিল্পকর্মের পীঠস্থান বিষ্ণুপুর। কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ 1)Wikipedia 2)The Dhokra Artisans of Bankura and Dariapur, West Bengal: A Case Study and Knowledge Archive of Technological Change in Progress David Smith, Newport, UK Rajesh Kochhar, New Delhi, India 3)Chitrolekha International Magazine on Art and Design,
দাদা guide লাগবে।
না দাদা লাগবে না। আরে দাদা ভিতরে কিছু বুঝতে পারবেন না guide ছারা। আমি বললাম, না দাদা লাগবে না। তবুও ছিনে জোঁকের মত পিছনে পরে রয়েছে দেখে অগত্যা জিজ্ঞেস করলাম দাদা চেহেলসুতুন টা কোথায় ছিল একটু বলবেন। আর তার প্রধান কে ছিলেন। এটুকু বলে দিলেই হবে। ভদ্রলোক টি বললেন জানি না। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম আচ্ছা সিরাজ উদ দৌল্লা কি এখানেই থাকতেন। এবার লোকটি দেখলাম বলল না। বলেই উল্টোদিকে হাটা লাগালো। আর আমরাও ধীর পায়ে ঢুকলাম হাজারদুয়ারীতে। ঘটনা টা হল আমি আর আমার স্ত্রী ঝটিতি সফরে গেছি মুর্শিদাবাদ। আমার বার দুই তিন ঘোরা হলেও আমার স্ত্রীর এই প্রথম মুর্শিদাবাদ ভ্রমন। হাজারদুয়ারী হল ব্রিটিশ যুগের বাংলার এক ঐতিহাসিক নিদর্শন বিশালাকার এই প্রাসাদে প্রত্যেকটি হলঘর অনন্য সৌন্দর্যের আলোকে সজ্জিত। বাংলার নবাবি আমলে স্থাপত্যকলার এক উজ্জল প্রতিফলন হল এই হাজারদুয়ারী প্রাসাদ । ১৭শ শতাব্দী থেকে ইংরেজ শাসনের আগে পর্যন্ত সুবা বাংলা, বিহার ও ওড়িষার রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ শহর ৷ এখানে রাজত্ব করতেন নবাবরা ৷ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের স্মৃতি বিজড়িত মুর্শিদাবাদ মুর্শিদকুলি খাঁর নাম থেকেই জেলার নাম হয় মুর্শিদাবাদ, আবার কেউ বলেন মুর্শিদাবাদের নামকরণ হয়েছে নানকপন্থী সাধু মুকসূদন দাসের নাম থেকে।
মুর্শিদাবাদ শহরের সেরা আকর্ষণ হাজারদুয়ারি । ১৮৩৭ সালে নবাব নাজিম হুমায়ুন ঝায়ের জন্য ৮০ ফুট উঁচু তিনতলা গম্বুজওয়ালা এই প্রাসাদটি নির্মিত হয়। আদপে ৯০০টি দরজা হলেও আরও ১০০টি কৃত্রিম দরজা রয়েছে প্রাসাদে। তাই নাম হাজারদুয়ারি। প্রাচীন মুর্শিদাবাদের স্মৃতি নিয়ে অপরূপ গথিকশৈলীর এই প্রাসাদ এখন মিউজিয়াম। আক্ষরিক অর্থেই এ এক ঐতিহাসিক জাদুঘর। নীচের তলায় রয়েছে তৎকালীন নবাবদের ব্যবহৃত প্রায় ২৭০০টি অস্ত্রশস্ত্র। যার মধ্যে আলিবর্দি ও সিরাজের তলোয়ার এমনকী যে ছুরিটি দিয়ে মহম্মদি বেগ সিরাজকে খুন করেছিল তা পর্যন্ত রক্ষিত আছে এই সংগ্রহশালায়। এই বিশাল রাজপ্রাসাদের দ্বিতলে দেখা যায় একটি রুপোর সিংহাসন যেটি ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী মহারানি ভিক্টোরিয়ার দেওয়া উপহার। ১৬১টি ঝাড়যুক্ত বিশাল ঝাড়বাতির নীচে সিংহাসনে বসে নবাব দরবার পরিচালনা করতেন। মন্ত্রণাকক্ষের লুকোচুরি আয়না, দেশ-বিদেশ থেকে সংগৃহীত বিশ্ববিখ্যাত সব ঘড়ি, মার্শাল, টিশিয়ান, রাফায়েল, ভ্যান ডাইক প্রমুখ ইউরোপীয় শিল্পীদের অয়েল পেন্টিং, প্রাচীন সব পাথরের মূর্তি হাজারদুয়ারিকে আরও বিখ্যাত করে তুলেছে। তিনতলায় আছে নবাবী আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন সোনা দিয়ে মোড়া কোরাণ শরিফ, অমূল্য পুঁথিপত্র, আইন-ই-আকবরির পান্ডুলিপি সহ অসংখ্য বইয়ের সম্ভার। ভারতের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ইতিহাসেরও কিছু বিশিষ্ট নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে এই মিউজিয়ামে। হাজারদুয়ারির চত্বরে রয়েছে ১৬৪৭ খ্রিস্টাব্দে জনার্দন কর্মকারের তৈরি ১৮ ফুট লম্বা, আট টন ওজনের কামান। একবার তোপ দাগতে ৩০ কেজি বারুদ লাগত বলে জানা যায়। এটি বাচ্চেওয়ালি তোপনামেও পরিচিত।
অনেকে ভাবে এই প্রাসাদ বুঝি নবাব সিরাজউদ্দৌলার তৈরি। আসলে এই প্রাসাদ তৈরী হয় সিরাজ জমানার পরে। সিরাজের প্রাসাদের নাম ছিল হীরাঝিল প্রাসাদ ৷ সেটা এখন ভাগীরথী নদীতে তলিয়ে গেছে ৷ ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার জেনারেল ম্যাকলাউডের তত্ত্বাবধানে 29 শে আগস্ট 1829 সালে নবাব হুমায়ুন ঝা এই প্রসাদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। 1837 সালের ডিসেম্বরের নির্মাণকার্য শেষ হয়। সমগ্র প্রসাদটি 424 ফুট দৈর্ঘ্য, 200 ফুট চওড়া, 80 ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট। তৈরি করতে খরচ হয়েছিল সেই সময় সাড়ে প্রায় সাড়ে 18 লক্ষ টাকা।
হাজারদুয়ারি প্রাসাদের উল্টোদিকে বড়া ইমামবারা। এইটি একটি মুসলমান ধর্মস্থান, মূলতঃ শিয়া মুসলমানদের জন্য। ইমামবরার দৈর্ঘ্য ৬৮০ ফুট। মহরমের সময় এখানে প্রচুর জনসমাগম এবং পরব পালন হয়। যদিও মুসলমান ধর্মস্থান, মহরমের সময়ে এই স্থান সকল ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। বছরের অন্যান্য সময়ে এই ইমামবড়া বন্ধ থাকে।
এখানে ঘুরতে লাগলো প্রায় ঘন্টা চারেক এরপরের গন্তব্য খোসবাগ তার জন্য একটা টুকটুক book করে গেলাম সদরঘাট। সেখান থেকে ভাগীরথী নদীতে নৌকা চড়ে খোশবাগ। খোশবাগে আলিবর্দি খান, সিরাজ, সিরাজপত্নী লুৎফউন্নিসা, এবং সিরাজের পরিবার পরিজনের কবর রয়েছে। পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে গেলাম বাকি জায়গা গুলো দেখতে। যেমন কাটরা মসজিদ: নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ ১৭২৩ সালে এই মসজিদ নির্মাণ করান। এই মসজিদের ৫টি গম্বুজ ছিল, কিন্তু ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে দুটি গম্বুজ ভেঙ্গে পড়ে। এই মসজিদে একসময়ে একসাথে ২,০০০ ব্যাক্তি নামাজ করতে পারেন। কাটরা মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আগে একটি তোপখানা ছিল। এই স্থানে এখনো জাহান কোষা (জাহান কোষা শব্দের অর্থ বিশ্বের ধ্বংসকারী) নামে একটি বড় কামান আছে। জনশ্রুতি অনুসারে মুর্শিদ কুলি ঢাকা থেকে রাজধানী স্থানান্তরের সময় এই কামানটি সঙ্গে নিয়ে আসেন। এখান থেকে গেলাম নসিপুর প্রাসাদ: রাজা কীর্তিচন্দ্র বাহাদুর ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এই প্রাসাদ নির্মাণ করান। প্রাসাদের উদ্যানে রাম ও লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির রয়েছে। কাছেই মোহনদাসের আশ্রম এবং জাফরগঞ্জ দেউড়ি রয়েছে। জগৎ শেঠের কুঠি এই স্থানের কাছেই।এটিও এখন সংগ্রহসালা। এরপরের গন্তব্য কাঠগোলা বা কাঠগোলা বাগানবাড়ী: রাজা ধনপত সিং দুগর এবং রাজা লক্ষ্মীপৎ সিং দুগরের বাগানবাড়ী শতাব্দীপ্রাচীন। এখানকার আদিনাথ মন্দিরটি ১৮৭৩ সালে হেরেক চাঁদ নির্মাণ করেন। এই মন্দিরের দেওয়ালের কারুকার্য অতি সুন্দর। কাঠগোলা দেখার পর গেলাম মোতিঝিল: এইটি একটি ঝিল এবং তৎসনলগ্ন বাগান যা সিরাজের পিসি ঘসেটি বেগমের পতি নওয়াজেশ মহম্মদ নির্মাণ করান। এই স্থান কোম্পানি বাগ নামেও পরিচিত। এই ঝিলটি দেখতে ঘোড়ান নালের মত। এর তৎসংলগ্ন স্থানে রবার্ট ক্লাইভ সুবে বাংলার (বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা) দেওয়ানিপ্রাপ্তি উদযাপন করেন (যদিও সেই উদযাপনস্থান এখন ধংসপ্রাপ্ত হয়েছে)। এই মোতিঝিলের প্রাসাদে ওয়ারেন হেস্টিংস কিছুদিন বসবাস করেন। ব্যাস ফুরিয়ে গেল ছুটি। আবার সেই রোজকার জীবনে ফেরা। সেই রোজ কাজ আর থোর বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোর। কাজেই নবাবের শহর থেকে আবার কাজের শহরে ফেরা। কিন্তু সাথে নবাবী স্মৃতি। ফেরার ট্রেনের নাম ও কিন্তু হাজারদুয়ারী express.
লিয়ে লিন, লিয়ে লিন, লিয়ে লিন, লেবু লজেন্স, লেবু লজেন্স। আমার এই লেবু লজেন্সে মন ভালো করার ওষুধ দেওয়া আছে, শুধু টপ করে মুখে ফেলুন আর মন ভালো। একটা পাঁচ তিনটে দশ, যত চুষবেন তত রস, না নিলে আপনার লস। লিয়ে লিন, লিয়ে লিন।
আহা যদি সত্যি এইরকম হতো। অথবা ধরুন আপনি কোনো ডাক্তারের কাছে গেলেন তিনি খস খস করে প্রেসকিপসান লিখে দিলেন Peace of mind 500 tablet দিনে একটা করে দুবেলা খাওয়ার পর। ব্যাস হয়ে গেল, আপনি পাঁচ দিনের একটা কোর্স কমপ্লিট করে নিন আর আপনার সমস্ত ক্লান্তি দূর। আবার ফুরফুরে মেজাজে। কিন্তু হায় ভগবান এই ওষুধ ও নেই আর এইরকম ডাক্তার ও নেই। সত্যিই কি নেই? আছে মশাই আছে, সে হলো প্রকৃতি ডাক্তার। এনার কাছে যদি নিজেকে সঁপে দিতে পারেন আর এনার দেওয়া ওষুধ শুদ্ধ বাতাস, সবুজের সমারোহ, বিস্তির্ণ রঙিন জলরাশি, নীল আকাশ যদি অনুভব করতে পারেন তবে আপনার মনের সমস্ত ক্লান্তি দূর হতে বাধ্য। যদিও এই ডাক্তারের কাছে পৌঁছাতে কখনো কম কখনো বেশি ফিজ দিতে হয়। কিন্তু কি করা যায় এতো কঠিন রোগের চিকিৎসা করতে গেলে একটু গাঁটের কড়ি তো খরচ করতেই হবে। আন্দামান ভ্রমণের প্রথম দিন অতি উচ্ছাসে যখন সেলুলার জেলে পৌছালাম, আমরা তখন নিজেদের মধ্যে হাসি ঠাট্টায় মত্ত। কিন্তু সন্ধ্যে নামতেই লাইট এন্ড সাউন্ড শো দেখার সময় বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের করুন পরিস্তিতির কথা শুনতে শুনতে একটু আগের হাসি ঠাট্টার জন্য নিজেদের ভীষণ অপরাধি বলে মনে হচ্ছিল। হ্যাভলক পোর্ট ব্লেয়ার থেকে গ্রীন ওসান ক্রুজে করে আমাদের যাত্রা শুরু হলো হ্যাভলক এর উদ্দেশ্যে। যাত্রা পথে ডেকের উপরেই চললো নাচ গানের পালা। ঘুরতে বেরোলে মনটা কেমন যেন বাচ্চা হয়ে যায়, এক আশি উর্ধ্ব দাদু ও সেই নাচের আসরে যোগ দিলেন। হোটেলে কোনো রকম লাগেজ রেখেই ছুটলাম জলের তলার দুনিয়া দেখতে। হ্যাভলকের স্কুবা ডাইভিং এর কথা অনেক আগে থেকেই শোনা ছিল কিন্তু জলে নামার পর যা শুনে ছিলাম তার থেকে অনেক বেশি পেলাম। আমি আগেও পাটায়া তে জলের তলার দুনিয়া দেখেছি কিন্তু এখানের অভিজ্ঞতা সম্পুর্ন অন্যরকম। বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী যখন আপনার শরীর স্পর্শ করে যাবে এই রঙিন দুনিয়া আপনাকে নস্টালজিক করে তুলবেই। লাঞ্চ করে আমাদের গন্তব্য কালা পাথর বিচ আর রাধানগর বিচ। জলের রঙের কত রকমফের হতে পারে তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবেনা। রাধানগর বিচে সূর্যাস্তের সময় স্নান করার এই অভিজ্ঞতা মনে হয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মনে থাকবে। আমাদের হোটেলের প্রাইভেট বিচে পুর্নিমার রাতে আমরা যখন গা এলিয়ে বসে আছি এক সদ্য বিবাহিত যুবক যুবতী ক্যান্ডেল লাইট ডিনার সারছে। সে এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। নীল সার্থক নাম করন। জেটি থেকে যেতে যেতেই বুঝতে পারলাম এর থেকে ভালো নাম বোধহয় আর হতে পারতো না। ভরতপুর বিচে গ্লাস বোটম বোটে ঘোরার পর আমরা চড়ে বসলাম প্লাস্টিকের তৈরি ভাসমান সেতুর উপর। এক একটা ঢেউ যখন সেতুটি দুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছিল সেই ছোট বেলার ঢেঁকি চড়ার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। লাঞ্চ সেরে আমাদের গন্তব্য হলো ন্যাচরাল কোরাল বিচ আর লক্ষনপুর বিচ। প্রকিতির আরেক অনবদ্য সৃষ্টি। রস এন্ড স্মিথ (ডিগলীপুর) কখনো রোমান্টিক সুরে কাউকে গালাগাল দিতে শুনেছেন? এ এক এমন জায়গা যেখানে খিটখিটে বুড়ো, দজ্জাল বউ, বেরসিক বর, অকালপক্ক ছেলে মেয়ে সবার মনে রোম্যান্স জাগবেই। এই বিস্তৃত রঙিন জলরাশির সাথে আকাশের মিলে যাওয়া দেখতে দেখতে চরম আন রোমান্টিক মনেও কুছ কুছ হোতা হ্যায় হতে বাধ্য। এমনকি গালাগালি টাও রোমান্টিক সুরে বেরোবে। আমার মতে আন্দামানের সেরা অভিজ্ঞতা স্মিথের সবুজ জলে স্নান করা। গলা জলে দাড়িয়ে আপনি নিজের পায়ের পাতা পরিস্কার দেখতে পারবেন এতটাই স্বচ্ছ এখানের জল। দুরত্ব, খরচ, সময় ইত্যাদি কারণে খুব বেশি লোক জন না আসায় এখানের বিচ আরও বেশি আকর্ষণীয় ও মোহময়। আর হ্যাঁ এখানে আসার আগে আপনাকে পেরোতে হবে বরাটাং এর জারোয়া দের জঙ্গল, লাইম স্টোন কেভ ইত্যাদি। জারোয়া বলতে আমরা যা বুঝি বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক তা নয়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় তারাও এখন সানগ্লাস, জিন্স এসব পড়তে শুরু করেছে। এখানের আরেকটি আকর্ষণ হলো ম্যানগ্রোভ ওয়াক ওয়ের মধ্যে দিয়ে হেঁটে ধনি নালা বিচে পৌঁছান। পোর্ট ব্লেয়ার যেখান থেকে আমরা যাত্রা শুরু করে ছিলাম আজ যাত্রার অন্তিম লগ্নে আমরা যখন নর্থ বে আর ভাইপার আইল্যান্ড যাওয়ার জন্য জেটিতে অপেক্ষা করছি এই ট্যুরের সবথেকে স্মরনীয় মূহুর্তটি ঘটে গেল। ছাব্বিশে জানুয়ারি হওয়ার জন্য জেটিতে প্রচুর ভিড় আমরা আমাদের বোটের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি হঠাৎ আমার এক বন্ধু জন গন মন অধিনায়ক জয় হে ... গাইতে শুরু করলো আমরা সবাই তার সাথে গলা মেলালাম। প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য সবার মনেই একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুনে সেখানে উপস্থিত আরো প্রায় একশো লোক আমাদের সাথে গলা মেলাতে শুরু করলো। গানের শেষে বন্দেমাতরম ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠলো চারিদিক। প্রথম দিন সেলুলার জেলে আমরা হাসি ঠাট্টা করে যে পাপ করে ছিলাম আজ মনেহয় তার প্রায়শ্চিত্ত করলাম। মনে একটা অদ্ভুত শান্তি অনুভব করছিলাম। নর্থ বে তে গিয়ে যে দুটি প্রধান আকর্ষণীয় জিনিস আমরা করলাম তার একটি সি ওয়াকিং আর অন্যটি সাবমেরিনে করে কোরাল সাফারি। যারা স্কুবা ডাইভিং অথবা সি ওয়াকিং করতে ভয় পান তারা অবশ্যই এই কোরাল সাফারি করবেন। পরের দিন সকালে আন্দামানকে বিদায় জানিয়ে বলে এলাম আর কিছু না হোক শুধু মাত্র স্মিথ আইল্যান্ডে স্নান করার জন্য আবার কোন দিন ঠিক ফিরে আসব। আসবই।
Khirai নামের মধ্যে একটা টান আছে, ফুল প্রেমি মানুষের জন্য আদর্শ । তাই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে 26 এ জানুয়ারী কল্যাণী থেকে khirai ঘুরে আসবো। তখনও বুঝিনি যে ফুল দেখতে এসে অন্য কিছুর অভিজ্ঞতা হবে। এবার যেটা দেখব সেটা অন্য কিছু।
মাঠের মাঝে স্টেশন টি খুব নিরিবিলি, মাঠের মাঝে khirai স্টেশন । যে দিকে চোখ যায় কেবল মাঠ আর মাঠ আর ফুলের বাগান। একঘেয়ে জীবনের এর মাঝে প্রকৃতির পরশ পেতে, কলকাতা থেকে একদিন যাওয়া যেতে পারে। শুনেছিলাম যে এখানে একটা মন্দির আছে গোস্বাই মন্দির। কি মনে হলো ভাবলাম যে ঘুরে আসি। যে মন্দির আছে যেটা খুব জাগ্রত স্থানীয় দের কাছে। স্থানীয় ভাষায় বলে এটিকে গোস্বাই মন্দির। এখানে লোকমুখে অনেক ইতিহাস প্রচলিত আছে। অনেক এ মনে করেন যে এই গোস্বাই বাবা গৌরাঙ্গ দেবের শিষ্য ছিলেন। তাই তার নাম এ এই মন্দির।এখন কার লোকেরা বলে যে বাবা সবার ইচ্ছা পূরণ করে। তবে এখনে যাদের ছেলে হয়না তারা এখানে মানত করে। এখানে অনেক ছেলে পুতুল কিনে পুজো দেওয়া হয়। Khirai স্টেশন থেকে নেমে হাউর স্টেশন এর দিকে হাঁটতে হবে রেল লাইন এর পাশ দিয়ে রাস্তা গেছে। লাল মোরামের রাস্তা ট্রেন লাইন বরাবর এগিয়ে গেছে। আর তার পাশে ফুলের বাগান। অপরূপ সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয় যখন পাশ দিয়ে ট্রেন গুলো বেরিয়ে যায় প্রচণ্ড স্পিড এ। এই মন্দির এর পুজো প্রতিদিন হয়। তবে এখানে পুজোর নিয়ম একটু অন্য রকম। মন্দির সংলগ্ন যে দোকান আছে ওখানে সব কিছু পাওয়া যায়। এখনে মিষ্টি বা চিড়ে দুই পুজো দেওয়া যায় । তবে বেশির ভাগ জন চিড়ে দিয়ে পূজা দেন। এখানে চিড়ে পুজো দিলে চিড়ের সঙ্গে অনেক কিছু পুজো দিতে হবে, যেমন চিড়ের সঙ্গে দুধ, চিনি, নারকেল, গোটা ফল, চিড়ের মশলা, এলাচ, আরো অনেক কিছু, আর দেবে বড়ো একটা মালসা , সব কিছু ওতে মাখানো হবে, সব e দোকানদার দক্ষতা তার সঙ্গে রেডি করে দেবেন। এবার যেতে হবে মন্দিরের এর ভেতর। মূল মন্দির এর পাশে একটা বড়ো হল রুম আছে, ওটাকে বলে আমিনার ঘর বলে, এখনে অনেক বটী রাখা আছে ফল কাটার জন্য, আর একটা ছোট্ট কাউন্টার আছে ওখানে সব টিকিট পাওয়া যায়, যেমন মিষ্টি পুজো দিলে 5 টাকার টিকিট নিতে হবে, আবার চিড়ে পুজো দিলে 10 টাকার টিকিট। আমরা চিড়ে পুজো দেবো তাই 10 টাকার টিকিট সংগ্রহ করলাম। এবার যেটা খুব মজার সেটা হল ওখানে অনেক নিয়ম আছে, যেমন আপনি চাইলে আমিনার ঘর এ নিজে ফল কাটতে পারেন কিন্তু তার জন্য অনেক নিয়ম আছে, সেই গুলো নিচে দেওয়া হল 1. মেঝের উপর একটা লাইন আছে ওই লাইন এর উপর বটী রাখতে হবে, 2. আর যখন কিছু পূজার সামগ্রী কাটা হবে তখন যেন হাত মাটিতে না লাগে, 3.বটীর উপর পা দিয়ে ফল কাটা যাবে না।. ওখানকার পুরোহিত মশাই কিন্তু সব নজর এ রেখেছেন।ফল কাটার সময় হাত যেনো মাটিতে না লাগে। মাটিতে লাগলে আবার হাত ধুয়ে আসতে হবে । 4. ওখানে অনেক কূলা আছে, ওই কূলা দিয়ে চিড়ে গুলো কে নাড়িয়ে নিয়ে হয় । 5. ওখানে হামাদিস্তা রাখা আছে, ওখানে এলাচ, আদা চাইলে বেটে নিতে পারেন। সব হয়ে গেলে ওখানকার ব্রাহ্মণ আছেন যিনি সব মাখিয়ে মন্দিরের ভিতর নিয়ে যান। মন্দিরে পুজো হলেই নাম ধরে ডাকলে প্রসাদ নিতে হবে। Howrah থেকে যেতে গেলে যে khargapur local, বা মেদিনীপুর লোকাল ধরে khirai স্টেশন এ নামতে হবে।
ক্ষীরাই তুমি অত সুন্দর কেন?
ক্ষীরাই ঘুরে আসা প্রত্যেকের মনে এ প্রশ্ন জেগেছে,এবং কতোটা সত্যি এ কথাটা, তা না ঘুরে এলে বোঝা যাবেনা। তাছাড়া এই শীতল মনে হয় সবথেকে বেশি মানুষ ক্ষীরাই এ গেছেন। সত্যি অ যেন বাংলার ফুল উপত্যকা। যেখানে তাকায় শুধু ফুল আর ফুল।গাঁদা,চন্দ্রমল্লিকা,করন,মোরগ ফুলের সৌন্দর্য্যের বাহারে চারিদিকটা সুসজ্জিত। তাদের রূপের মাধুরী এক নিমেষে আপনার মনকে ছুঁয়ে যাবে বোঝা যায় কত মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে এর পিছনে, তাঁদের রক্ত জল করা ঘামই যেন ফুলের রঙে ফুটে উঠেছে। আর কাঁসাই নদী উপরে রেলব্রীজে কি ঝিক ঝিকের যাওয়া যেন অপু দুর্গার ট্রেন দেখার ব্যাকুলতাকে মনে পড়ায়।কি সুন্দর সে দৃশ্য। **যাবার আদর্শ সময় কিন্তু ডিসেম্বর বা জানুয়ারী.. **যেতে গেলে মেদিনীপুর বা পাঁশকুড়া লোকাল ধরে পাঁশকুড়ায় মানুষ, সেখান থেকে টোটো করে ক্ষীরাই। টোটো ভাড়া প্রায় 400 টাকা। **খাবার নিয়ে যাবেন সঙ্গে, ওখানে কিছু খাবার পাওয়া যায়না। **বেলা করে গেলে রোদচশমা আর টুপি সঙ্গে রাখবেন। **জায়গাটা দয়া করে নোংরা করবেন না, খাবারের প্যাকেট ফেলবেন না। |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |