চেরাপুঞ্জি:-
বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের স্থান চেরাপুঞ্জি।৪২৬৭ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত চেরাপুন্জির স্হানীয় নাম ‘সোহরা’। চেরাবাজার ঘিরেই চেরাপুন্জি।খাসি সাহিত্য ও সংস্কৃতির পীঠস্থান চেরাপুঞ্জি।ডাউকি থেকে চেরাপুন্জির দূরত্ব ৮৪ কিমি।ট্যাক্সি রিজার্ভ করলে পরিস্হিতি অনুযায়ী ভাড়া পড়বে ২৩০০-২৮০০ রুপি।ট্যাক্সি শেয়ারে গেলে জনপ্রতি ৩০০-৪০০ রুপি।ভাড়ার বিষয়টা পরিস্হিতির উপর নির্ভর করে।আর শিলং থেকে চেরাপুন্জির দূরত্ব ৫৪ কিমি।উচুঁ পাহাড়ের বুক চিরে মসৃণ রাস্তা। ডাউকি থেকে চেরাপুন্জি যাওয়ার পথে আপনার চলার পথের সঙ্গী হবে ছোট ছোট গ্রাম, সবুজ উপত্যকা, খণ্ড খণ্ড কৃষিজমি, পাইন গাছের ছায়া,নাসপাতি ও মেঘ।এ ছাড়া আছে কয়লার খনি। চেরাপুন্জিতে যা যা দেখবেন:- ১। সেভেন সিস্টার্স ফলস। ২। নোহকালীখাই ফলস। ৩। মোসমাই কেভ।(Mawsmai Cave). ৪। মকদক ভিউ পয়েন্ট। ৫। ওয়াকাবা ফলস। ৬। ডাইন্থলেন ফলস। ৭। মোসামাই ফলস। ৮। নংগিথিয়াং ফলস। ৯। ইকো পার্ক। ১০। আরওয়া কেভ। ১১। থাংখারাং। এছাড়াও নংরিয়েত ভিলেজ ট্রেক করে ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ,ন্যাচারাল সুইমিং পুল এবং রেইনবো ফলস দেখে আসতে পারেন।নংরিয়েত ভিলেজ ট্রেকে ৩টা সাসপেনশন ব্রিজ আর প্রচুর গাছের শেঁকড়ের ব্রিজ পাবেন।পরবর্তী অ্যালবামে ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ,ন্যাচারাল সুইমিং পুল এবং রেইনবো ফলস যাওয়া আসার বিস্তারিত রুট প্লান নিয়ে লিখবো। কিভাবে যাবেন:- ডাউকি থেকে চেরাপুন্জির দূরত্ব ৮৪ কিমি।যেতে সময় লাগবে ২.৩০ মিনিটের মতো।ডাউকি থেকে ট্যাক্সি পাবেন।ট্যাক্সি রিজার্ভ করেও যেতে পারেন আবার শেয়ার করেও যেতে পারেন।আবার শিলং থেকেও চেরাপুন্জি যেতে পারেন।শিলং থেকে চেরাপুন্জির দূরত্ব ৫৪ কিমি। কোথায় থাকবেন:- ডাউকি/ শিলং থেকে সরাসরি চেরাবাজার চলে আসবেন।চেরাবাজারে প্রচুর হোমস্টে আছে।ভালো মানের ডাবল রুম পেয়ে যাবেন ১৫০০-১৮০০ রুপির মধ্যে। চেরাপুন্জি কিভাবে ঘুরবেন:- চেরাপুন্জির সবগুলো জায়গা দেখার জন্য সারাদিনের জন্য একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে নিতে পারেন।সেটাই সবচেয়ে ভালো হবে।সবগুলো জায়গা দেখার জন্য ওরা রিজার্ভ ১০ সিটের টাটা সুমো ভাড়া নিবে ১৮০০-২০০০ রুপি।আর ৪ সিটের ট্যাক্সি ১৪০০-১৬০০ রুপি।প্রথমে থাংখারাং থেকে শুরু করতে পারেন।থাংখারাং থেকে সেভেন সিস্টার্স ফলস।সেখান থেকে মোসমাই কেভ,মোসমাই ফলস,নংগিথিয়াং ফলস,ইকো পার্ক,আরওয়া কেভ,ডাইন্হলেন ফলস হয়ে নোহকালীখাই ফলস।নোহকালীখাই ফলসের কাছেই আছে বাংলাদেশ ভিউ পয়েন্ট।পরিষ্কার আবহাওয়া থাকলে দেখা যায় বাংলাদেশ।আর ওয়াকাবা ফলস আর মকদক ভিউ পয়েন্ট ডাউকি থেকে চেরাপুন্জি আসার সময় দেখে আসতে পারেন।আবার এসেও দেখতে পারেন। চেরাপুন্জির জায়গাগুলো ঠিক মতো দেখতে পারাটা পুরোটাই ভাগ্যের ব্যাপার।প্রায় সবসময় বৃস্টি হয়।আবহাওয়া খারাপ থাকলে ফলসগুলো মেঘে ঢাকা থাকে।সেভেন সিস্টার্স ফলস আর নোহকালীখাই ফলস দেখার জন্য ভাগ্যের সহায়তা খুব বেশী প্রয়োজন।এই জন্য চেরাপুন্জি দেখার জন্য একদিন রিজার্ভ ডে রাখলে ভালো হবে। ভ্রমনে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।আসুন ভ্রমনে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকি।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |