রঙ্গলিতেও পারমিট করাতে হয়। এখানে একটি বাজারে আমরা থেমেছিলাম। প্রায় ৩০ মিনিটের বেশি সময় লেগে গেল। এই সময়টা আশেপাশের ছবি তুলে সময় কাটালাম। প্রায় ৩ঃ৩০ নাগাদ আমরা আমাদের পরবর্তী গন্তব্য কিউ খোলা জলপ্রপাতে পউছালাম। এখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় কাটালাম। চারপাশের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করলাম। প্রায় ৪ টে নাগাদ আমরা পদমচেন ঢুকলাম, পরের দিনের গন্তব্যর জন্য। পদমচেনে আমরা যেখানে ছিলাম সেটির নাম ‘Newar Home Stay’. এখানে এসে আমরা নিজেদের ঘর ঠিক করে চললাম খেতে। ডাল, পাঁপড় ভাজা, আলু ভাজা ও ডিমের ঝোল দিয়ে ভাত খেলাম। এরপর কয়েক জন মিলে হাঁটতে বেরলাম। সন্ধ্যা ৭ঃ১৫ নাগাদ গরম চা সহ পাকোড়া এলো টিফিন হিসাবে। রাত ৯ঃ৩০ টা নাগাদ রুটি, ফুলকপি, আলুর তরকারি ও মুরগির মাংস সহযোগে খেয়ে শুয়ে পড়লাম ।
তৃতীয় দিন (০৩/০৩/২০১৮) ঃ আজ সকাল সাতটা নাগাদ চা দিয়ে দিন শুরু হল । ৮ঃ৩০ টা নাগাদ লুচি তরকারি দিয়ে টিফিন করে ১০ঃ৩০ টা নাগাদ সিল্ক রুট এর উদ্দেশে রওনা হলাম। সিল্ক রুট পৌঁছাতে আমাদের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াল রাস্তায় জমা হওয়া বরফ। আমরা পদামচেন থেকে জুলুক হয়ে যখন উপরের দিকে উঠছিলাম তখন থেকে দেখলাম রাস্তার দুই ধারে বরফ জমে আছে। তার থেকেও যেটা মনে ধরল সেটা হচ্ছে রাস্তার থেকে ধোঁয়া উঠছে। বরফের জন্য আমাদের গাড়ী আর উপরে উঠতে চাইছিল না। কিন্তু অল্প কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে ধীরে সুস্থে উপরে উঠতে থাকল। এই সময় আমরা কাঞ্ছনজঙ্ঘার অপূর্ব ভিউ দেখতে পেয়ে ক্যামেরা বন্দী করলাম। সিল্ক রুট ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য যাত্রা পথে একজায়গায় আমাদের গাড়ী দাঁড়াল। আমরা যেখানে দাঁড়ালাম সেখান থেকে সিল্করুট / জিগজাগ রুটের দৃশ্য দারুন ভাবে দেখা যায়। যাত্রা পথের পুরোটাই বরফের চাদরে মোড়া । আমরা যাত উপরে উঠতে লাগলাম ততই মেঘ এসে আমাদের ঘিরে ফেলতে লাগল। তাই গাড়ী ধীরে ধীরে উপরে উঠছিল, মাঝে চলাই দুস্কর হয়ে উঠছিল। আরও কিছুটা উঠে যাওয়ার পর হঠাথ রোদ উঠে পড়ল, সঙ্গে সামনের পথ স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিলো। আমরা এগিয়ে চললাম থাম্ভি ভিউ পয়েন্টএর দিকে। কিছুক্ষণ চলার পর আমরা পউছালাম থাম্ভি ভিউ পয়েন্টএ। এখানে কিছুক্ষণ থেকে চারপাশের দৃশ্য দেখে আমরা রওনা হলাম নাথাং ভ্যালির উদ্দেশে। যাত উপরে উঠতে লাগলাম তত বরফের চাদর আরও পুরু হতে লাগল। এখানে বরফ দিয়ে এগিয়ে যেতে গেলে পিছনের চাকায় চেন বেঁধে নিতে হয়। আমরা এগিয়ে যেতে যেতে রাস্তার এক ধারে কোন একটি জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পেলাম। নাথাং ভ্যালীতে পৌঁছে দেখলাম চারপাশ বরফে ঢাকা। আমি এর আগে কখনো এত বরফ দেখিনি। সেই জন্য আনন্দে মনটা নেচে উঠল। ট্যুরিস্ট নিয়ে যে সব গাড়িগুলো এসেছিলো সেইগুলি ছাড়া দুটি আর্মির ট্রাক ও একটি বরফ কাটার ট্রাক দেখতে পেলাম। এখানে প্রায় ২০-২৫ মিনিট কাটানোর পর আমদেরই একজনের হথাত শ্বাসকষ্ট শুরু হল, যার জন্য চলে আসতে বাধ্য হলাম। এখানে চারপাশে বরফের দৃশ্য এতটাই ভালো লাগছিল যে এত তাড়াতাড়ি ফিরে আসতেও ইচ্ছে করছিল না। আমাদের এই পথেই কুপুপ লেক যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বরফ কেটে এগোনো আর সম্ভব ছিল না। বাধ্য হয়েই আমরা জুলুকের home stay র দিকে এগিয়ে চললাম । ফেরার সময় দেখলাম বরফ গলা জল সারা রাস্তা ভিজিয়ে দিয়েছে আর মেঘের ঘন আস্তরন পুরো রাস্তাটাকেই যেন অদৃশ্য করে দিয়েছে। কাজেই গাড়ী ধীরে চলছিল।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |