Rocking Rabangla....
সকাল সকাল প্রাতরাশ সেরে রেডি হয়ে চলেছি পেলিং এর পথে,,,,গ্যাংটক থেকে।প্রায় সাড়ে পাঁচ-ছয় ঘন্টার জার্নি। আমাদের গ্রুপে রয়েছে ৫ টা বোলেরো ভর্তি তিরিশ জন টুরিস্ট।আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ বেয়ে চলল আমাদের গাড়ি,,,। বেশ কয়েক ঘন্টা চলার পরে চোদ্দ মাইল নামে একটা জায়গায় চা পানের বিরতি নেওয়া গেল।পথ পার্শ্বে একটি ছোট্ট ক্যাফেটেরিয়া বা রেস্তরাঁতে ঢুকলাম সবাই। চা-কফির পাশাপাশি গরম গরম মোমোর প্লেটও টেবিলে টেবিলে চলে এল!মনের আনন্দে তাই খেতে খেতে হঠাৎ চোখ চলে গেল ক্যাফেটেরিয়ার বারান্দা থেকে দূরে ডান দিকে!হাতের ক্যামেরার জুম বাড়িয়ে চোখ রেখে দেখা পেলাম সাক্ষাৎ ভগবানের!!! আমার ১৮-৫৫ কিট লেন্সের জুম মারাত্মক কিছুই নয়।তবু চিনতে অসুবিধে হল না রাবাংলার বিখ্যাত বুদ্ধ পার্কের বুদ্ধ মূর্তিকে! সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গেলাম টুর অপারেটর দাদার কাছে।উনি বল্লেন যে বুদ্ধ পার্ক এখান থেকে মাত্র ৩-৪ কিলোমিটার!যদিও আমাদের ট্র্যাভেল প্ল্যানে রাবাংলা ছিল না,,,,কিন্তু তিরিশ জনের একসাথে অনুরোধ উপরোধে শেষমেষ উনি গাড়ি ঘুরিয়ে রাবাংলা বুদ্ধ পার্ক যেতে রাজি হলেন! এর ফলে আমরা পেলিং এর হোটেলে ঢুকব ১ ঘন্টা দেরিতে কিন্তু তাতে কারুরই আপত্তি ছিল না।১৫ মিনিটেই চলে এলাম বুদ্ধ পার্ক। এরকম অনিন্দ্যসুন্দর,ভাবগম্ভীর পরিবেশ আর সত্যিই দুটি দেখিনি!যেরকম সুন্দর আর্কিটেকচার সেরকমই সুন্দর পরিবেশ পরিকল্পনা।মাত্র পঞ্চাশ টাকার টিকিট কেটে ঢুকতে হচ্ছে। অনেকগুলি সিঁড়ির ধাপ উঠে নেমে পেরিয়ে আসতে হবে বুদ্ধদেবের কাছে।মূর্তির ঠিক নীচ দিয়ে প্রবেশ করা যায় এক মিউজিয়ামে,,,,যেখানে সযত্নে দেওয়ালগাত্রে খোদিত রয়েছে বুদ্ধদেবের জীবন বৃত্তান্ত। তবে ভেতরে ছবি তোলা কঠোরভাবে নিষেধ।বাইরে থেকে পার্কের বেশ অনেক ছবি নিলাম,,,,তার মধ্যে পার্কের প্যানোরামিক ভিউ ও রয়েছে।তার মধ্যে গোটা তিনেক ছবি তুলে দিলাম আপনাদের সামনে। ©অরিন্দম. সৌজন্যে ফেসবুক হইতে- https://www.facebook.com/arindam.patra.90
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |