0 Comments
উঠলো বাই তো ঘুরতে যাই। যাই হোক গতকাল বেরিয়ে পরলাম গরচুমুক এর উদ্দেশে আমি আর আমার এক বন্ধু।। আমাদের যেতে বেশ খানিক দেরি হয়ে গেছিল কারন গতকাল আকাশ মুখ ভার করে খুব কাঁদছিল। যাই হোক আকাশ কি আর ভ্রমন পিপাসু মানুষদের আটকাতে পারে? সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে রওনা দিলাম। তারপর হাওড়া থেকে ১১.৩০ মিনিটের বালিচক লোকাল ধরে ১২.৩০ নাগাদ পৌঁছলাম উলুবেড়িয়া।। ট্রেনে এক লোকাল ভদ্রলোকের সাথে আলাপ পরিচয় হল। (আমি সবার সাথেই খুব তাড়াতাড়ি আলাপ জমিয়ে নি আর লোকে আমায় খুব তাড়াতাড়ি নিজের বলে মনে করে নেন)। তিনি আমায় গরচুমুক সম্বন্ধে অল্পবিস্তর ধারনা দেন আবার বলেও দেন যে লাইন পার হতে গেলে ওভারব্রিজ ব্যবহার করবে নাহলে পুলিস ধরবে। এবার যাত্রা শুরু হল উলুবেড়িয়া থেকে গরচুমুক এর দিকেঃ উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে নেমে সোজা মেইন রোড এর দিকে চলে যেতে হবে যা ৫ মিনিট এর হাঁটা পথ। তারপর দেখতে পাবেন বেশ কিছু অটো ৫৮ গেট ৫৮ গেট বলে হাঁকছে। তারপর সেই অটো তে উঠে বসলাম, ভাড়া মাত্র ১৫ টাকা এবং সময় লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা। ১.৪০ নাগাদ পৌঁছলাম গরচুমুক ডিয়ার পারক...১০ টাকা টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম পার্কের ভিতর। সুন্দর, শান্ত মনোরম পরিবেশ, পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে "বাংলার দুঃখ" দামোদর নদ। ;পার্কের ভিতর কিছুটা এগোতেই শুনতে পেলাম ময়ুরের ডাক, তাই সেদিকেই গেলাম।। ও মা!!! বিশ্বাস করবেন না ময়ুর গুলোকে যেন বলা আছে পর্যটকদের দেখলেই পেখম তুলে নাচবে। সামনে গেলেই ময়ূরগুলো পেখম তুলে নাচছে আর কর্কশ গলায় ডাকছে। ওর মধ্যেই আরও টিয়াপাখি আছে যারা খুব রোম্যান্টিক। তাদের ছবিও দেওয়া আছে। দেখে নেবেন। আর আছে সজারু, হরিন বিভিন্ন পাখি,কচ্ছপ,প্রজাপতি। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে আবার অটো করে গ্রামের আঁকা বাঁকা পথ ধরে, নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে করতে উলুবেড়িয়া স্টেশন পৌঁছলাম। সেখান থেকে খড়্গপুর লোকাল ধরে হাওড়া এবং সেখান থেকে আমার গৃহে। ১দিনের জন্য গরচুমুক অসাধারন। আপনারা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন। আশা করি নিরাস হবেন না। Post By:- Trishit Nandy
একই দিনে দেবী দর্শন ও সুদর্শন xxxxxxxxx এগুলো পরে মনে হবে যে লেখকের কাছে আর কিছু লেখার মতো নেই তাই এ সব আজেবাজে লিখছে l না আমি মনে করি কেন এতো দিন এই সুন্দর জায়গা গুলো নিয়ে লিখিনি l আমার কয়েকজন বন্ধু ও চলার পথের সাথীর দের অনুপ্রেরনা ও উৎসাহ আমায় এই স্থান গুলো নিয়ে ভাবতে ও লিখতে সাহস দিলো l আর দিলো প্রাণের ও মনের দেবতার সেই লেখনী খানি " বহু দিন ধ’রে বহু ক্রোশ দূরে বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশিরবিন্দু। " এবার সরাসরি চলে এলাম বাইপাসে l যাবো প্রথম তিন দেবী দর্শনে, বাঘাযতীন রেল ব্রিজ টপকে সোজা চলে এলাম গাড়িয়া মেট্রো রেল এর তলাদিয়ে কামালগাছি বাইপাস এ l এবার ডানহাতি কামালগাছি ব্রিজে না উঠে বাঁহাতি রাস্তা নেতাজি সুভাষ রোড ধরে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ছাড়িয়ে রাজপুর বাজার l এখন থেকে বাঁদিকে বেঁকে সোজা চন্ডিবাড়ি l বাঘাযতীন ব্রিজ থেকে ৯ কি মি পথ এই চন্ডিবাড়ি যার আর এক নাম বিপদতারিনী মন্দির l ভোর ৬ টা তে মন্দির খোলে, এখানে মাকে দর্শন করে মন্দির প্রাঙ্গনের বিশাল জায়গায় একটু জিরিয়ে নিলাম l মন্দিরের ঠিক বাইরেই বেশ ভালো একটা খাবার দোকান , কচুরি, জিলাপি চা দিয়ে বেশ জম্পেশ জলযোগ সারলাম, ঘড়িতে তখন সকাল ৭ টা l এবার ওখানথেকে আবার N S road ধরে এগিয়ে চললাম বারুইপুরের দিকে , সকালে রাস্তা ঘাট ফাঁকাই পেলাম l এবার পৌঁছালাম শিবানী পীঠ, গাড়ির দূরত্বের কাটা ২১ কি মি পৌঁছালো l মাকে দর্শন করে এবার ফিরতি পথে সকাল দশটায় পৌঁছলাম আজকের দেবী দর্শনের শেষ ঠিকানা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির ,তবে আসার সময় বারুইপুর বাইপাস ধরে এসে রাজপুর এর চিন্তামণি কর পাখিরালয় , একটু উঁকি দিলাম, সবুজ আর সবুজ, তবে এই নতুন নামকরণের আগে এর নাম ছিল কয়াল বাগান বাড়ি , ছোট্ট বয়সে অনেক বার চড়ুইভাতি করেছি এই বাগানে l জানিনা অতীতের দেখা সেই কেউটে,দাঁড়াশ, চন্দ্রবোড়া গুলো আছে কিনা, শীতকালে নানান পাখির আনাগোনা এখানে, প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা l গড়িয়ার হাটের মোর থেকে বাঁদিকের বড়াল মেইন রোড ধরে আরও ৫ কি মি গিয়ে বড়াল হাই স্কুলের মাঠের পাশ দিয়ে গিয়ে সোজা এই মন্দির প্রাঙ্গন l এখানে আমরা চারজনের জন্যে ভোগের ব্যবস্থা করবার আর্জি জানালাম এবং ওনারা সাদরে তার ব্যবস্থা করলেন l মন্দিরে পুজো দিয়ে এবার ওনাদের গেস্ট রুমে একটু জিরিয়ে নিলাম l দুপুরে ভোগের প্রসাদ তৃপ্তি সহকারে খেয়ে এবার মন্দিরের পেছন দিক এক বিশাল প্রায় ৩০ কি ৪০ একার জায়গা জুড়ে এক সুবিশাল দীঘি এর নাম সরল দীঘি, দীঘির পারে বসে অনেক্ষন আড্ডা হলো l আকাশ জুড়ে মেঘের ছোটাছুটি l এরই পাশে আপু দুর্গার বাড়ি l সত্যজিৎ রায়ের পথেরপাঁচালীর দৃশ্য গ্রহণ এখানেই হয় l এখানে পথেরপাঁচালীর নামে একটি সংগঠন আছে l এ ব্যাপারে অন্য সময় লিখবো কারণ এই বড়াল গ্রামের সমন্ধে লিখতে গেলে বেশ অনেকটা সময়ই লাখবে l শ্রী চৈতন্য দেব, চাঁদ সওদাগর সাবর্ণ চৌধুরী, বল্লাল সেন লক্ষণ সেন আমলের অনেক অনেক ইতিহাসের কথাই লিখতে হবে l তবে এটা বলতেই হবে যে এই ত্রিপুরা সুন্দরী মা এই সরল দীঘি বা সেন দীঘির থেকে উঠে এসে এখন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে. এবার ফেরার পালা l বিকেল তিনটের সময় রওনা হলাম পাটুলি চারমাথা পেরিয়ে একটু থামলাম এখানে তিন কোনে তিন রূপসী দাঁড়িয়ে আছেযে, একে কি ভাবে উপেক্ষা করি !! একটু গাড়ি রাখার সমস্যা l প্রথমে বিশাল ঝিলের পাশে গড়ে ওঠা বেণুবন ছায়া , এখানে বোটিং হয় ও খুবই সাজানো গোছানো এই পার্ক খাবার দাবার বেশ ভালো l তারই উল্টো দিকে আরেক রূপসী বিশ্ববাংলা পার্ক, বা সিনিয়র সিটিজেন পার্ক বিশাল ঝিলের উপর ঝুলন্ত মন কেড়ে হাওড়া রবীন্দ্র সেতুর অনুকরণ l সুন্দর সাজানো , পরিচ্ছন্ন ও আলোকের ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দেওয়া এক অদ্ভুত সুন্দর পার্ক l এরই দক্ষিণ পারে বাংলার প্রথম গড়ে ওঠা ভাসমান বাজার , এতো বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী নিয়ে বাংলা কেন ভারতবর্ষের আর কোথাও এমন ভাসমান বাজার নেই. কলকাতা কর্পোরেশন কে ধন্যবাদ তাদের এই উদ্যোগের জন্য , সাথে এর জনপ্রতিনিধিদের এই সৌন্দর্যের দৃষ্টি ভঙ্গির জন্য l বিভিন্ন ধরণের সুস্বাধু ও স্বাস্থসম্মত খাবারের মেলা l এই পথ ধরে বহুবার যাতায়াত করেছি এবং এই সুন্দর পার্ক গুলোকে আলোকসজ্জিত অবস্হায় দেখেছি কিন্তু একবারের জন্য নেমে এই বড় বড় ঝিলের পারে গড়ে ওঠা এই সৌন্দর্য্য কে দেখিনি কেন? ও যাদের উদ্যোগে এর চারপাশটাকে এমন সুন্দর রূপ দেওয়া হয়েছে তাদের রুচিকে সন্মান না করে থাকা যায়না l সত্যি,কেন বলুনতো আমরা ঘরের পাশের সৌন্দর্য্যতার দাম দিইনা ? খুব ভালো কাটলো আমার এই শ্রাবণ রবি সন্ধ্যা l সকাল থেকে যা শুরু হয়েছিল একপশলা বৃষ্টি দিয়ে l রাত্রি ৯ টা তে, তা সমাপ্ত হলো এই লেকেরই সন্নিকটে অবস্থিত এক সনামধন্য চীনl খাবারের রেস্তোরায় l Post By:- Parthamoy Chatterjee
আগেই জানানো হয়েছে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি থেকে সিমলা ধীরে ধীরে পরিণত হয় ব্রিটিশদের একটি অত্যন্ত প্রিয় শহরে আর সেই সঙ্গে একসময় ভারতের শীতকালীন রাজধানী হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর ঐতিহাসিক বা Heritage Building আছে এখানে । সেই গুলিকে ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য এখানে ব্যবস্থা আছে Heritage Walk এর। রিজে, ম্যাল রোডে, বা শহরের অন্যত্র পর্যটন বিভাগ থেকে বিভিন্ন বোর্ডে এই সব Heritage Walk এর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া আছে। অন্তত, তিনটি আলাদা আলাদা রুট ধরে, হাঁটার মাধ্যমে, এখানকার বহু পুরনো বাড়ী আর তাদের ইতিহাস সম্পর্কে সবাইকে পরিচয় করানো হয়। উৎসাহী মানুষরা পর্যটন বিভাগে যোগাযোগ করলে তাঁরা যোগাযোগ করিয়ে দেন কিছু এজেন্সির সঙ্গে, যাঁরা উৎসাহীদের এই সব বাড়ীগুলি ঘুরিয়ে দেখান, সরকারের পর্যটন বিভাগ থেকেও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। কোন শহরের ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে জানতে ও বুঝতে এইসব Walkএর মুল্য অপরিসীম। আমার নিজের ইচ্ছে ছিল, এই ধরণের কিছু Walkএ অংশ নেবার, কিন্তু সময়ের সংক্ষিপ্ততায় তা সম্ভব হয়নি। তবু, নিজের আগ্রহে, ম্যাল রোডের কাছে, এই ধরনের কিছু বাড়ী আমি বাইরে থেকে দেখার চেষ্টা করেছি। আজ সিমলা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে এইরকমই কয়েকটি বাড়ী দেখে নেব আমরা। তবে মনে রাখতে হবে আমাদের আগে দেখা সিমলা কালীবাড়ি, ক্রাইস্ট চার্চ, সিমলা নিউজিয়ামের বাড়ী Inverarm, IIAS, Gaiety Theatre, আশিয়ানা রেস্তোরাঁ – এগুলো সবই কিন্তু এক একটি হেরিটেজ স্থাপত্য। 𝐒𝐢𝐦𝐥𝐚 𝐒𝐭𝐚𝐭𝐞 𝐋𝐢𝐛𝐫𝐚𝐫𝐲 - রিজের ঠিক ওপরেই ক্রাইস্ট চার্চের পাশেই পাথর আর কাঠের মিশেলে তৈরি এই লাইব্রেরী। ১৮৬০ সালে তৈরি এই লাইব্রেরী দেড়শো বছর পেরিয়েও আজও জীবন্ত। 𝐒𝐢𝐦𝐥𝐚 𝐆 𝐏 𝐎 - রিজ থেকে কালী বাড়ির দিকে যেতে একেবার সামনেই পড়ে সিমলা G P O । Conny Cottage নামের এই বাড়িতে ১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের অন্যতম প্রাচীন পোস্ট অফিস। মূলতঃ কাঠের তৈরি এই চারতলা বাড়ীটি ইংল্যান্ডের পাহাড়ী স্থাপত্যের একটি সুন্দর নিদর্শন। ১৯৯২ সালে এটি দেশের একটি হেরিটেজ পোস্ট অফিস হিসেবে ঘোষিত হয়। 𝐁𝐚𝐧𝐭𝐨𝐧𝐲 𝐂𝐚𝐬𝐭𝐥𝐞 - সিমলার রিজ থেকে কালীবাড়ির দিকে যেতে গেলে ডানদিকে পড়ে দুটি দুর্গ আকৃতির বাড়ী, খুবই ভাঙাচোরা অবস্থায়। ১৮৮০ সালে তৈরি এই Bantony Castle ছিলো সিরমৌরের মহারাজার প্রাসাদ, পরে সেখানে তৈরি হয় ব্রিটিশ সরকারের মিলিটারি অফিস। রাস্তার পাশেই, নির্জনে পড়ে থাকা অদ্ভুত স্থাপত্যের এই বাড়ী দুটি, রাত্রিবেলার অন্ধকারে কেমন যেন এক ভৌতিক রূপ নেয়। বর্তমানে এই প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ক্যাসেলটি হিমাচল সরকার অধিগ্রহণ করেছেন এবং সরকারের তরফে এখানে একটি মিউজিয়াম আর পার্ক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে এখানকার চেহারা সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে। 𝐔𝐂𝐎 𝐁𝐚𝐧𝐤 - 𝐒𝐢𝐦𝐥𝐚 - ওই একই রাস্তায় ডানদিকে পড়ে ইউকো ব্যাঙ্ক। বাড়ীটি হয়তো ঐতিহাসিক নয়, তবু নজর কাড়লো এর প্রবেশ দ্বারটি। পাহাড়ের গায়ে একটা গুহার মতো করে তার মধ্যে দিয়ে প্রবেশের সিড়ি। বেশ নতুনত্ব । 𝐆𝐫𝐚𝐧𝐝 𝐇𝐨𝐭𝐞𝐥 - 𝐒𝐢𝐦𝐥𝐚 - রিজ থেকে কালীবাড়ি যেতে ডানদিকে পড়ে সিমলার এই পুরোনো হোটেল। ১৯২৯ সালে এখানেই ছিল ' Bentinck Castle ', যেটি ছিল গভর্নর জেনারেল William Bentinck এর বাসস্থান। পরে নানা হাত ঘুরে এটি ১৮৯২ সালে পেলিটি সাহেবের হাতে এসে নতুন ভাবে একটি হোটেলে রূপান্তরিত হয়। পরে এটি সরকারের নগরোন্নয়ন দফতরের হাতে আসে, এবং এখন এই ঐতিহাসিক হোটেলটি সরকারী কর্মচারীদের হলিডে হোম হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। 𝐂𝐨𝐟𝐟𝐞𝐞 𝐇𝐨𝐮𝐬𝐞 - 𝐒𝐢𝐦𝐥𝐚 - কলকাতার মতোই সিমলাতেও আছে কফি হাউস, রিজ থেকে নেমে ম্যাল রোড দিয়ে একটু হাঁটলেই। রিজ থেকে কালীবাড়ি যাওয়ার রাস্তায় ওপর থেকেই দেখা যায় । পুরোনো দিনের পাহাড়ী বাড়িতে এই কফিহাউসের স্থাপনা হয় ১৯৫৭ সালে। সন তারিখের হিসেবে খুব পুরনো না হলেও তার ষাট বছরের জীবনে এই কফি হাউস অতিথি হিসেবে পেয়েছে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে – যেমন ইন্দিরা গান্ধী, লালকৃষ্ণ আদবানী,, নরেন্দ্র মোদী (প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তো বটেই, এমনকি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও কিছুদিন আগে এখানে এসে তিনি তাঁর এখানে আসার সময়ের পুরনো দিনেগুলির স্মৃতিচারণা করেছেন ), প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই - প্রমুখ। রিজের কাছাকাছি মাত্র কয়েকটি বাড়ী নিয়েই বললাম। সারা সিমলায় এরকম অসংখ্য ঐতিহাসিক আর অসাধারণ স্থাপত্যের বাড়ী ছড়িয়ে আছে। তার কিছুই প্রায় বলা হল না। আগেই বলেছি, ইচ্ছে থাকলে ওইগুলি সব দেখা সম্ভব হয়নি। সিমলা শহর দর্শন আমার এখানেই শেষ।যদিও অনেক কিছু বাকি রয়ে গেল, তবুও এবারে বেরিয়ে পড়বো বাইরে। প্রথমে বলবো সিমলার কাছাকাছি কয়েকটি ছোট শহর আর দ্রষ্টব্যের কথা, যেগুলো সারাদিনের মধ্যে দেখে নিয়ে সেদিনই আবার ফিরে আসা যায় সিমলায়। সেগুলি শেষ করে পাড়ি জমাবো আরো দূরে - সারাহান হয়ে কল্পার দিকে। পরের পর্ব - কুফরির পথে। Post By:- Subrata Ghose
ভ্রমণ শুধু ভ্রমন ই নয়:- """"""""""""""""""""""""""""""""" এবারের ভ্রমণ সিকিম~~~~ পশ্চিম সিকিমের পেলিং শহর ভ্রমণ বিলাসী মানুষ দের অন্যতম আকর্ষণে র কেন্দ্রবিন্দু। সমুদ্র তলথেকে প্রায় ৭০০০ ফুট উচ্চতায় এই শহরের অবস্হান। ছবির মত সুন্দর শহর এই পেলিং। ভ্রমনার্থীরা মূলত দুটি জায়গা, ১ -আপার পেলিং ,২-লোয়ার পেলিং এ বিভিন্ন হোটেলে থাকেন,সিজিনে হোটেল আগে থেকে বুকিং করে রাখলে ই ভালো। আমার ভ্রমন জানুয়ারি মাসে,মানে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেই,যখন ভ্রমণ বিলাসী মানুষ দের আনাগোনা অনেক কম। পেলিং এর দুটি উল্লেখ যোগ্য জায়গা আজকে আমার লেখায় অন্তর্ভুক্ত করলাম। **১~খেচিপেরি লেক:-চারিধার "খেচোড পালড্রি হিল " নামে পাহাড় ঘেরা এক অদ্ভুত সুন্দর জলাশয়। খেচিপের গ্রামের নাম অনুসারে আমরা একে চিনি ঐ নামে।স্হানীয় ভাষায় এর নাম "শো-জো-শো"। বিস্তৃতি ১২কি.মি, গভীরতা গড়ে ২৪ফুট,প্রায় ৩লক্ষ কিউসেক জল ধারণ করে। চারধারে বনাঞ্চলের ঘেরাটোপে স্হির জলাশয়।এত যখন গাছ গাছালি তখন তার ডাল থেকে পাতাও নিশ্চয়ই ঝোরে পরে,এবং তা নিশ্চয় ঐ জলাশয়ের মধ্যে ই পরে, কিন্তু আপনি তা দেখতে পাবেন না। টলটলে জলে একটা পাতাও দেখতে পেলাম না। স্হানীয় ভাবে বলা হয় জলে পরা পাতা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাখিরা তুলে নেয়। খেচিপেরি লেক ও তার সংলগ্ন এলাকাটি "ভ্যালি অফ রাইস"নামেও পরিচিত। পেলিং শহর থেকে ৩৪কিলোমিটার দূরে খেচিপেরি লেক এক পুন্য ভূমি।মাঘী পূর্ণীমায়(মার্চ-এপ্রিল)বহু ধর্মপ্রাণ মানুষের আগমন(নেপাল,ভূটান,আমাদের দেশ)হয় এই খেচিপেরি লেকে। ধর্ম প্রান মানুষের বিশ্বাস ~"লর্ড শিবা এই লেকের গভীরে অবস্হান করে"।তাই এ হচ্ছে"ইচ্ছে পুরনের লেক"। """""""" ***সিংসোর ব্রীজ~ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় উচ্চতম "সাসপেনশন" ব্রীজ এই সিংসোর। প্রায়২০০ মিটার লম্বা ১০০ মিটার উচ্চতার এই ব্রীজের একধারে ডেনটাম অন্য ধারে উত্তর গ্রাম।মাঝে গভীর খাদের মধ্যে দিয়ে বলে চলেছে সিংসোর নদী বা খাল। দুধারে র পাহাড়ের গা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে এই অসাধারণ কারিগরী বিদ্যার নির্দশন।পেলিং শহর থেকে দুরত্ব মাত্র ৫কিলোমিটার। যখন আপনি এই সেতুর মাঝে,তখন অনন্য সাধারণ এক অনুভূতি আপনাকে আচ্ছন্ন করবেই করবে। দুধারে ঘন সবূজ বনানী,তার মাঝে পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে জমা মেঘের দেখা পেলে তো কথাই নেই, মধ্যে গভীর খাদের মধ্যে দিয়ে খরস্রোতা নদী,তার কলতান ,সব মিলিয়ে আপনাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যাবে। আর তার সাথে যদি যুক্ত হয় গতিশীল বাতাস তাহলে তো আহাঃ! আপনি বুঝতে পারবেন আপনি দুলছেন "তালে তালে"ব্রীজের সঙ্গে, আর সঙ্গতে বাতাস ও নদী।এক নৈসর্গিক অনুভূতি। """""""''''"'"""""""""" Post By:- Chandan Dutta Roy
লাসায় চারদিন জামাল ভড় লাসাভ্রমনের শুরুতেই বিপত্তি । কোলকাতা থেকে ইস্টার্ন চায়নার বিমান প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ায় কুনমিঙে পঞ্চাশ মিনিট পরে বিমান পৌঁছানয় কুনমিঙ থেকে লাসার সংযোগকারী বিমান কুনমিঙ ছেড়ে চলে । কুনমিঙে আমাদের দো-ভাষী লিউ জিঙ ইস্টার্ন চায়নার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বিকেলের উড়ানে আমাদের বাইশজনের ব্যবস্থা করে দেয় । ফলে অহেতুক ছঘণ্টা কুনমিঙে অলসভাবে সময়কাটানো ছাড়া গত্যন্তর ছিল না । স্থানীয় সময় বিকেল সাড়েচারটায় কুনমিঙে বিমানে চড়ে আড়াই ঘণ্টার উড়ানে লাসায় যখন নামলাম তখন চীনের ঘড়িতে ছটা । রোদ-ঝলমলে লাসার আকাশ তখনও । বিমানেই ঘোষণা করে দিয়েছিল বাইরের তাপমাত্রা আঠার । লাসার দো-ভাষী তথা গাইড সোনম ও তেনজিং বিমানবন্দরের লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিল । তিন-তারকা যুক্ত হোটেল লাসা কিচেনের অদূরে গাড়ি থামিয়ে আমাদের যার-যার ঘরে তুলে দেওয়ার আগেই তেনজিং বলে দিয়েছিল রাতে তাপমাত্রা এক বা দুইয়ে নামবে । ওদেশে আবহাওয়া দপ্তরের আগামবার্তা যা বলে তাই যে হয় সেটা ওদেশে তেরদিন অবস্থানকালে মিলে যেতে দেখেছিলাম । লাসায় দেরিতে পৌঁছানোর ফলে আবহাওয়ার সাথে খাপখাওয়ার সময় আমাদের কমে গেল । পৃথিবীর অন্যতম উঁচু শহর লাসায় শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কোন অসুবিধায় পড়ব না তো --এরকম একটা ভয় অনেকের মনে কাজ করছিল । আমাদের লাদাক ভ্রমনকালে আমার স্ত্রী এরকম একটা অসুবিধায় পড়েছিল । পৃথিবীর উচ্চতম সড়ক খার্দুঙলায় (১৮৩৬০ ফুট) আমার ভ্রমনসাথী শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কষ্টে পড়লে সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল । ওখানে ডায়ামক্স ট্যাবলেট দিয়েছিল । ফলে লাসায় যাওয়ার একদিন আগে থেকেই ঐ ট্যাবলেট খেতে শুরু করায় লাসায় নেমে কোন অসুবিধায় পড়েনি । আমাদের দলের উনাশি বছরের ভৌমিকবাবু প্রথমদিকে একটু অসুবিধায় পড়লেও ওষুধে পরে সামলে নিয়েছিলেন । তবে অশোকবাবুকে দেখলাম একটু কাহিল অবস্থায় । মুখে যদিও বলছিলেন ঠিক আছেন কিন্তু মন্থরগমন ও ঘনঘন বিশ্রামে সেটা বোঝা যাচ্ছিল । লাসা শব্দের অর্থ ভগবানের দেশ । অবশ্য তিব্বতীয় লিপিতে লাসাকে রা-সা বলা আছে । রা-সা মানে অজা-অবিদের স্থান । অর্থাৎ ভেড়াছাগলদের চারণভূমি । চতুর্দিকে পর্বতবেষ্টিত , মধ্যে সমতলভূমি --অজা-অবিদের উপযুক্ত চারণভূমি বটে । দেখলে মনে হবে প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত । লাসানদীর দক্ষিণতীরে শহরটি ছড়িয়ে আছে । পৃথিবীর ছাদ নামে পরিচিত পামির গ্রন্থিমালায় অবস্থিত । তিনহাজার ছশ পঞ্চাশ মিটার বা বারহাজার ফুট উচ্চতার শহর লাসা পৃথিবীর ছাদে অবস্থিত । তিব্বতের সবচেয়ে জনবহুল শহর শিনিঙয়ের পর এই লাসাতেই জনসংখ্যা বেশি । লাসায় গাছপালা খুবই কম । বর্তমানে যেসব শ্যামলিমার দেখা মেলে তা বিগত ত্রিশচল্লিশ বছরে সৃজিত । পরিকল্পিত শহর । প্রশস্ত সড়ক । সড়কের পাশে পুষ্পতরুবৃক্ষ । মনে হবে পুষ্পমেলা বসেছে । নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলী । লাসায় আমাদের প্রথম দ্রষ্টব্য ছিল পোটালা প্রাসাদ । সপ্তম শতকে নির্মিত এই প্রাসাদের নির্মানশৈলী এক বিস্ময় । একে তো লাসা উচ্চমালভূমিতে অবস্থিত তার উপর আবার এক উঁচু পাহাড়ের উপর দুর্গসম প্রাসাদটি অবস্থান । ফলে প্রাসাদের শীর্ষদেশ অবধি আরোহন এক দুরূহ কষ্টসাধ্য ব্যাপার । মনোবল ও হাঁটুর জোর দুটোরই দরকার । কথিত আছে তিব্বতীয় প্রাচীন রাজা সঙৎসেন গিয়ালপোর একাধিক স্ত্রীর মধ্যে দুজন ছিলেন নেপালী । সেই তাঙ বংশীয় দুই নেপালী স্ত্রীর জন্য রাজা এই প্রাসাদ নির্মান করেন । পরবর্তীকালে পঞ্চম দালাই লামার সময়ে এই দুর্গটি সংস্কৃত হয় । সংস্কারে সময় লেগেছিল তিন বছর । সপ্তম দালাই লামার আমল সতেরশ পঞ্চান্ন থেকে এখানেই ছিল শীতকালীন প্রাসাদ । চতুর্দশ দালাই লামা তেনজিঙ গিয়াসতো তিব্বত ছেড়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন ১৯৫৯ সালে । চীন তিব্বত ১৯৫০ সালে টিবেট অটোনমাস রিজিয়ন গঠন করে কিন্তু ১৯৫৯এ তিব্বতীরা আন্দোলন শুরু করলে দালাই লামা ভারতে চলে আসেন । কী নেই এই পোটালা প্রাসাদে ? বৌদ্ধমন্দির , রাজপ্রাসাদ , বহুজনের আবাসস্থল ও প্রশাসনিক করণ --সব মিলিয়ে প্রায় হাজারখানেক কক্ষ । সপ্তদশ শতক থেকে প্রত্যেক দালাই লামার কাছে এটাই তিব্বতের জ্ঞহোয়াইট হাউসঞ্চ । এটাই রাজনৈতিক ভবন । এখানে রক্ষিত আছে তিব্বতীয় অসংখ্য দুষপ্রাপ্য অমূল্য সম্পদ ।আর আছে এখানে প্রয়াত দালাই লামাদের সমাধি । তিব্বতের দ্বার বহির্বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার পর পর্যটকরসিকরা যে-হারে এখানে ভ্রমন করেছেন চীনের অন্যত্রে তেমন একটা করেননি । এই প্রাসাদের চতুর্দিকের পরিধিতে ধার্মিক বৌদ্ধরা শুয়ে পড়ে গণ্ডি কাটে । প্রাসাদকক্ষের অভ্যন্তরে ছবিতোলায় নিষেধ থাকলেও বাইরে কোন মানা নেই । প্রাসাদের সর্বোচ্চ স্থানে উঠলে লাসা শহরের সম্পূর্ন দৃশ্য অবলোকন করা যায় । পোটালা প্যালেসের এক কিলোমিটার পশ্চিমে নরবুঙলা সামার প্যালেস আপাতত সংস্কারের জন্য বন্ধ আছে বলে আমাদের দেখা হয়নি । বর্তমানে এখানে একটা মিনি চিড়িয়াখানা আছে । এছাড়া লাসা মিউজিয়াম অন্যতম দর্শনীয় । এই মিউজিয়ামে ত্রিপিটক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বৌদ্ধলিপি , তিব্বতীয় তৈজসপত্র ও প্রাচীন অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও বহু মূল্যবান জিনিস সংরক্ষিত আছে । পরের দিন আমরা গেলাম লাসার আর এক দর্শনীয় স্থান জোখাঙ মন্দির দেখতে । বিশাল চত্বর জুড়ে এই মন্দির । বৌদ্ধদের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান । বার্খোর স্কয়ারের মুখ করে এই মন্দিরটি অবস্থিত । এই পবিত্র মন্দিরটিও তেরশ বছরের পুরানো । চারতলাবিশিষ্ট এই মন্দিরটিতে শাক্যমনি বুদ্ধের মূর্তি আছে ও এটি উপাসিত হয় । বৌদ্ধরা এই মন্দিরের চারপাশে ঘড়ির কাঁটার মতো প্রদক্ষিণ করে । এই প্রদক্ষিণ করাকে জ্ঞকোরাঞ্চ বলা হয় । মন্দিরের বাইরে বার্খোর স্ট্রীটে বিশাল বাজার । সেই বাজারে পসরা সাজিয়ে বসে আছে তিব্বতীরা যাদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা । কী নেই সেই বাজারে ? তিব্বতীয় হস্তশিল্প থেকে সমগ্র চীন তথা বহির্বিশ্বের সব কিছুই পাওয়া যায় । তিব্বতীয় খাবার পরখ করার পক্ষে এটা খুবই উৎকৃষ্ট স্থান । সবসময় এই বাজার গমগম করছে লোকের ভিড়ে । লাসায় একদিন গাইডছাড়া যে প্রবল ভাষাসমস্যায় পড়েছিলাম সেটা না বলে পারছিনে । একদিন বৈকালিক প্রার্থনা সেরে লাসার প্রধান মসজিদ থেকে বেরিয়ে দেখি একদল লোক চা খাচ্ছে । কিন্তু চায়ের দোকানটা যে কোঠায় তা ঠাহরে এলো না । তাই পরিষ্কার ধীর উচ্চারনে ইংরাজিতে জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় চা পেতে পারি । বোঝা তো দূরের কথা আমি যেন ভিন গ্রহের ভিনভাষায় ওদের সাথে কথা বলছি এমন ভাবে তাকাতে লাগলো । চা-চিনি-চামচ চীনা শব্দ জানা ছিল বলে জ্ঞচাঞ্চ জ্ঞচায়েঞ্চ জ্ঞচিয়াঞ্চ সব বলেও যখন কোন কাজ হলো না তখন কল্পিত চায়ের কাপ হাতে ধরে ইশারায় চা-পান করার অভিনয় করতে লাগলাম । দেখলাম এতেই কাজ হলো । একজন ছুটে গিয়ে বড় এক গ্লাসে চা এনে হাতে ধরিয়ে দিল । মুখে দিলাম । দুধ-চিনি ছাড়া মাখন মিশ্রিত গ্রিনটি । সম্পূর্ন ভিন্নস্বাদের । দাম পরিশোধ করতে যেই একটা দশ ইউয়ানের নোট হাতে দিতে গেলাম অমনি দেখি আমার হাতটা ধরে আমার পকেটেই ঢুকিয়ে দিল । আমার লাসা ভ্রমনের অন্যতম কারন স্কাইট্রেন চড়া । বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে স্কাইট্রেন থাকলেও লাসা থেকে শিয়ান পর্যন্ত এই ট্রেনে চড়ার আনন্দই আলাদা । আমাদের গন্তব্যও তাই । আগে থেকেই জানতাম তেত্রিশ ঘন্টা এই স্কাইট্রেনে চড়ে আমরা টেরাকোটার শহর শিয়ান যাব । লাসা ট্রেনস্টেশানে যথাসময়ের পূর্বেই পৌঁছলাম । তেনজিংনাম্নী মহিলা গাইড আগেই বলে দিয়েছিল এই ট্রেনে লটবহর থেকে যাত্রীদের সম্পূর্ন পরীক্ষা করে দেখা হয় কোন অনিষ্টকর বস্তু সঙ্গে আছে কি না । আমাদের বাইশজনের দলের লোকের যাতে দেরি না হয় সেজন্য গাইড সোনম আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রেখেছিল । ফলে কোন বেগ পেতে হয়নি । নির্ধারিত সময়েই ট্রেন ছাড়লো । তেত্রিশঘন্টা এই ট্রেনে থাকতে হবে আমাদের । একটা অদম্য আগ্রহ ছিল । ট্রেনে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় । প্রত্যেক কুপে ও করিডোরে অক্সিজেন নির্গমনের ব্যবস্থা আছে । কোন যাত্রী অক্সিজেনের ঘাটতি অনুভব করলে ওখানে দাঁড়ালে অতিরিক্ত অক্সিজেন পাবে । ঘুমকে বোতলবন্দি করে রেখে বাইরে তাকিয়ে থাকলাম । একসময় এলো নাগচু স্টেশান । প্লাটফর্মেই লেখা আছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নাগচুর উচ্চতা । চৌদ্দহাজার ছশ উনচল্লিশ ফুট ।আগ্রহ ছিল কখন আসবে তাঙগুলা পাস । ষোলহাজার ছশ চল্লিশ ফুট উচ্চতায় এই পাসের উপর দিয়ে ট্রেন যাবে । একটু নেমেই ঐ নামে একটা স্টেশানও আছে । পৃথিবীর সর্বোচ্চ রেলস্টেশান । আগে আমরা গর্ব করতাম ঘুম রেলস্টেশান নিয়ে । সেই গর্বও আমাদের চূর্ণ । এর পরের আকর্ষণ ছিল ফেঙহুয়োশান টানেল । ষোলহাজার তিরানব্বই ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই টানেলের দৈর্ঘ চারহাজার নশ পাঁচ মিটার । পৃথিবীর সর্বোচ্চে ও দীর্ঘতম টানেল । যে-সব স্টেশানে ট্রেন একটু বেশিক্ষণ থামে সেখানে নামছিলাম । ঝাঁচকচকে প্লাটফর্ম । শেষরাতের বোধহয় একটু তন্দ্রা এসেছিল । অধ্যাপক নন্দীবাবুর ডাকে ধড়মড় করে উঠে পড়লাম । বাইরে তাকিয়ে দেখি রাক্ষসতাল হ্র্রদ । এই লেকের পাশ দিয়েই মানস সরোবর যাওয়ার পথ । রেললাইনের অদূরে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই লেক । এমন নৈসর্গিক ও নয়নাভিরাম লেক আগে কখনো দেখিনি । চোখফেরানো দায় । পলক পড়তে চায়না । হিন্দুপুরানে কথিত মানস সরোবরের সাথে এই রাক্ষসতাল লেকের সংযোগ ঘটিয়েছে গঙ্গা ছু নামে একটি নদী । পুরাকালের ঋষিরা এই লেকে নির্মলজল সরবরাহের জন্য এই নদীর সৃষ্টি করেন । অবশ্য বৌদ্ধশাস্ত্রানুযায়ী ভিন্ন কিংবদন্তী । মানস সরোবর সূর্যের আকৃতিবিশিষ্ট আর রাক্ষসতাল অর্ধাচন্দ্রাকার আকৃতিবিশিষ্ট । যা হোক শেষ অবধি এই নৈসর্গিক দৃশ্যাবলী উপভোগ করতে করতে কখন যে টেরাকোটার শহর শিয়ান পৌঁছলাম তা খেয়ালই করিনি । Post By:- Jamal Bhar
THAILAND - LAND OF SMILES Part 1 আমার থাইল্যান্ড ভ্রমণ হলো গরিবের থাইল্যান্ড ভ্রমণ. কারণ আমি না গেছি phuket, না krabi না chiang mai. ঘুরলাম শুধু Pattaya আর Bangkok. কারণ আমার হাতে সময় কম. আপনারা phuket যেতে চাইলে bangkok এসে immigration করেই domestic terminal এ ঢুকে phuket এর ফ্লাইট নিয়ে নেবেন. ওখানে এই ফ্লাইট ভাড়া সস্তা হয়. আমি বলি কি, পারলে থাইল্যান্ড টা ফেরার পথে ঘুরেই আসুন. Bangkok আর Pattaya কিন্তু বেশি খরচের না. আর যদি Phuket, krabi যেতে চান তাহলে সেটাও করতে পারেন.সেক্ষেত্রে পুরো থাইল্যান্ড tour হয়ে যাবে. Welcome to Bangkok: জানি ভুল সময়ে গেছি. সেপ্টেম্বর এ কেউ থাইল্যান্ড ঘুরতে যায়না কিন্তু আমার পুজো ছাড়া ছুটি পাওয়া শক্ত. Dong Muang airport নেমে immigration করলাম. আবার হোটেল এর confirm booking letter দেখাতে হলো ভিসা কলকাতা থেকে করে নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও. ব্যাংকক এর ভিসা নিয়ে key points এ detail বলে দেব. immigration করে বেরোবার সময় traveller sim টা তুলে নিন (true move sim card : 299 thai baht - for 100 baht talktime, 4G internet - 4gb for 8 days) বাইরে গেলেও একই দাম পরে দেখলাম. আপনাকে সেধে সেধে ডাকবে সিম কেনার জন্য. এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েই মনে হলো গায়ে সূচ ফুটলো. মারাত্মক গরম. 5 মিনিট এর মধ্যে t-shirt ভিজে গায়ে লেগে গেলো.এতো ভ্যাপসা গরম ভাবতে পারিনি . যেন ব্যাংকক নয় আমি চেন্নাই এসে গেচি.চেন্নাই এর weather এর থেকে অনেক বেটার. একটা কথা বলি কলকাতায় আমরা সেপ্টেম্বর মাসে যে গরমে থেকে অভস্থ সেই গরম কিন্তু ওই সময় south-east asia তে থাকে না..অনেক অনেক বেশি গরম কলকাতা থেকে . accu weather aap e temperature কলকাতা সাথে একই দেখালেও ওখানে আদ্রতা ভীষণ বেশি.ওই গরমে সহ্য করা যায় না.তার সাথে প্রত্যেকদিন সন্ধেবেলা মারাত্মক বৃষ্টি আর সেই বৃষ্টি থামে ভোর বেলায়.তাই বলবো শীতকালেই যান. চলো Pattaya : আমি খুব সস্তায় ঘুরতে ভালোবাসি তাই local transport use করি. এতে করে আপনি local culture , আদব কায়দা জানতে পারবেন . dong muang airport এর বাইরে এসে দাঁড়ান. পর পর বাস নম্বর দিয়ে ছোট হার্ডিং লাগানো আছে.সাথে আছে রুট ম্যাপ. A1 বাস এ উঠে পড়ুন. 30 মিনিট অন্তর বাস চলে সকাল ৭ থেকে রাত ১২ টা অবধি. AC বাস, সাথে ফ্রি wi-fi (লাভ নেই, activate করতে thai ভাষায় instruction আসে ) আন্দাজ এক ঘন্টায় আপনি পৌঁছে যাবেন mo chit bus station এ 30 baht এর বিনিময়ে. mo chit বাস স্টেশন গিয়ে pattaya বাস এর টিকিট কেটে নিন 124 baht এর বিনিময়ে. টিকিট কেটে bus bay চলে যান. ফাঁকে পারলে KFC খেয়ে নিন কারণ মাঝে বাস কোথাও থামবেনা. বাস bay তে বাস দাঁড়িয়ে থাকবে আর একদম সময়মতো ছাড়বে. luggage রাখার জন্য ওদের এগিয়ে দিন ওরা under cabin এ রেখে দেবে. ভোর 4.30 a.m. থেকে রাত 10pm অব্দি pattaya bus service থাকে. আড়াই ঘন্টায় দেড়শো কিলোমিটার পেরিয়ে পৌঁছে যাবেন আপনি pattaya.. Pattaya (1st Half Day) আমার পৌঁছতে বিকেল 5 টা হয়ে গেছিলো তাই আগে গিয়ে হোটেল এ ঢুকে check in করে নিলাম. Pattaya বাস স্ট্যান্ড এ নেমে Baht বাস (ছোট tempo) এ উঠে পড়বেন আর আপনার হোটেল address দেখিয়ে দিলেই হবে. ওরা আপনাকে ঠিক নামিয়েও দেবে. আমার হোটেল পৌঁছতে 50 Baht নিয়েছিল. হোটেল হলো Punyapha Place. হোটেল এর নিচেই ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট আর পাশে ছোট থাই snacks এর দোকান. ওখান থেকেই খেয়ে নিলাম rice and pork. রেস্ট নিয়ে কিছুক্ষন বেরিয়ে পড়লাম রাত্রি 9 টা নাগাদ. হোটেল টা pattaya বিচ রোড এর কাছেই, সোজা হেটে বিচ রোড থেকে baht বাস নিয়ে চলে গেলাম walking স্ট্রিট...মাত্র 10 baht e.....ব্যাস...তারপর... বাকিটা ইতিহাস. আমি একটু party animal তাই একরাতে 7 টা disc hop করা হয়ে গেলো.রাস্তায় barbecue chicken, prawn খাওয়া হলো. walking street এ ঘুরতে বেশ ভালোই লাগবে. পরপর disc, bar , restaurant.. ইচ্ছে হলে আপনি চলে যেতে পারেন alcazar show দেখতে . normal সিট এর দাম ৫০০ baht. এখানে সব disc শুরু হয় রাত 10 টা থেকে কিন্তু ভিড় শুরু হয় রাত 12 টা থেকে. indian ডিস্ক the nasha club অনেক বড়ো. ডান্স ফ্লোর অনেক বড়ো.ওদিকে club insomnia বেশ ভালো. আমি club insomnia তাই রেফার করবো. happy hour drinks আর beer অনেক সস্তা. 50 to 75 baht এ আপনি বিয়ার পাবেন ..টাইগার (সিঙ্গাপুর) আর Singha (থাইল্যান্ড) বিয়ার এখানে বেশ চলে. jack daniels এর সাথে cola মিক্স ও বেশ ভালো খেতে. pattaya night life তো সবাই জানে. বিশদে আর তাই বললাম না. Free entry in every disc for both male and female কিন্তু 1টা বিয়ার হলেও কিনতে হবে রাস্তা বেশ সেফ, ফ্যামিলি রা গেলেও কোনো অসুবিধা টা পড়বে না. "ওরা" কাউকে ডিসটার্ব করে না. Pattaya (2nd full day): সকালে উঠেই বেরিয়ে পড়ুন আর রাস্তায় খেয়ে নিন pork বা chicken noodle রাস্তায় ঠেলা দোকানে.পরিষ্কার আর খাবার নিরাপদ. দাম নেবে40 baht. এর পর beach road থেকে baht বাস ধরে বা ট্যাক্সি নিয়ে চলে যাবেন Bali hai pier. এখন থেকে আপনি পাবলিক ferry service নিয়ে নিন Koh larn (coral island) যাবার জন্য. 30 bahr ferry charge এক পিঠের. 40 মিনিটে পৌঁছে যাবেন Koh larn island এ . নেমে ট্যাক্সি উঠে চলে আসুন tien beach এ. সব tour operator আপনাকে নিয়ে Tawaen beach যাবে. কিন্তু বেশ crowded. এমনকি বিদেশী রাও এড়িয়ে চলে. এখানে indian বেশি পাবেন. whereas tien বিচ অনেক ফাঁকা , পরিষ্কার স্নানের জন্য উপযুক্ত. স্নান এর ব্যবস্থা নিয়ে আসলে এখানে স্নান করুন. change room পেয়ে যাবেন পাশের বিচ হোটেল এ. এরপর ফিরে আসুন আবার সেই koh larn এর জেটি আর pattaya ফেরার launch boat নিয়ে নিন. একটা কথা বলি সমুদ্রের ঢেউ বেশ বড়ো তাই লঞ্চ থাকার সময় হেটে চলে বেড়াতে যাবেন না..পড়ে যেতে পারেন. pattaya তে পৌঁছে bali hai pier এর থেকেই ট্যাক্সি নিয়ে নিন ( একা থাকলে motor bike taxi) আর চলে যান Buddha Hill, যার আরেক নাম wat phra khao .এখান থেকে পুরো pattaya ভালো view পাওয়া যায় . এরপর এখন থেকে চলে যান sanctuary of truth, এটা বুদ্ধ হিল থেকে বেশ খানিকটা দূর. ট্যাক্সি তে 200 baht চাইতে পারে.. entry fee 500 baht কিন্তু সত্যি দর্শনীয় স্থান . একটা পুরো কাঠের মন্দির যার গায়ে হিন্দু আর বুদ্ধ ধর্মের দেব দেবীর অপূর্ব কারুকার্য.I know টিকিট এর দাম বেশি কিন্তু এটা ঘুরে আসবেন,. আমি তিনটে প্রধান জায়গা দেখার জন্য বলে দিলাম. এর পরেও আপনারা যেতে পারেন mini siam, floating market and tropical garden, art in paradise আর replay believe it or not.শেষ দুটো বাদ দিলেও দেওয়া যায় .আমি বাদ দিয়েছিলাম.Pattaya city তে আপনি ট্যাক্সি,baht bus করে ঘুরে নিতে পারেন (একা হলে তো সব চেয়ে সস্তার notor bike taxi. সন্ধে হোটেল এ ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে আবার চলে গেলাম walking স্ট্রিট এ. পরের দিন সকালে রওনা দেবো ব্যাংকক এর উদ্দেশে... (part 2) Key Points: 1. Thailand visa দু ভাবে পাওয়া যায়. এক হলো visa-on-arrival. সেক্ষত্রে ভিসা price আপনার 2000 baht আর personal fund per head 10,000 baht দেখাতে হবে (visa limit: 15 days) আরেকটা সস্তা উপায় হলো কলকাতা থেকে ভিসা নিয়ে যাওয়া. www.vfs-thailand.co.in/kolkata/ (phone no: 022-67866003) গিয়ে online form fill up করে print out করে নিন আর কলকাতায় ওদের অফিসে (5th Floor, Rene Tower, 1842, Rajdanga Main Road, Kolkata, 700107 near acropolis mall) এ গিয়ে জমা দিয়ে দেবেন. সাথে দেবেন পাসপোর্ট, সাদা background দিয়ে স্ট্যাম্প সাইজও ছবি,ফ্লাইট ticket print out, হোটেল বুকিং print out,আর bank account balance statement INR. 48000 বা cash exchange statement 24000 baht / 700 US dollar অথবা সমমূল্যের credit card limit statement.. আমি ক্রেডিট কার্ড এর স্টেটমেন্ট জমা দিয়েছিলাম. গতবছর থাইল্যান্ড এর ভিসা ফ্রি ছিল জানিনা এই বছর কি আছে. তাই মাত্র 230 টাকা processing fees দিতে হয়েছিল. নইলে INR.2000 দিতে হতো. single entry tourist visa limit 30 days and validity 3 month. 2. Pattaya, bangkok e সব হোটেল এ check in এর সময় full pay করে দিতে হয়.সাথে 1000 baht security deposit দিতে হয়.চিন্তার কিছু নেই. আপনি কোনো জিনিসের ক্ষতি না করলে ফেরত পেয়ে যাবেন পুরো টাকা চেক আউট এর সময়. কিন্তু আপনি রুম এর mini bar থেকে যদি কিছু খেয়ে নেন তাহলে ওই security deposit থেকে কেটে সেটা বিল করে দেয়া হবে. 3. mini bar সম্পর্কে একটু বলে দেই .সবাই জানেন তাও একবার ঝালিয়ে দিচ্ছি. হোটেল রুম এর ভেতর ছোট ফ্রিজ এ ঠাসা থাকে কোল্ড ড্রিংক, ড্রিংকিং ওয়াটার আর বিয়ার এর বোতল. মনে রাখবেন এগুলোর সব দাম বাইরের দোকান থেকে বেশি. আর এগুলো একটাও ফ্রি নয়. এখন থেকে কিছু খেলে সেটা billing হয়ে যাবে. 4. থাইল্যান্ড কিন্তু সৎ দেশ নয়. এখানে অনেক scam চলে. pattaya beach, বা koh larn এর বিচ water sport like water bike বা surfing করার সময় সার্ফ বোর্ড বা water bike চেক করে নেবেন. কারণ ওরা ভাঙা দিলেও আপনার ঘুরে আসার পর বলবে আপনি ভেঙেছেনা. তারপর শুরু হবে হেনস্থা আর টাকা আদায়. তাই নেয়ার আগে দেখে নেবেন ভাঙা থাকলে avoid করুন বা দেখিয়ে দিন already ভাঙা আছে . 5. থাইল্যান্ড এ departmental store 7/11 দু পা হাঁটলেই একটা করে পাবেন. এখানে মোবাইল রিচার্জ , প্যাকেজ ওয়াটার থেকে শুরু করে চিপস, খাবার, মদের বোতল বিয়ার সব পাবেন আর 24 ঘন্টা খোলা থাকে. দাম ন্যায্য নেবে. জলের বোতলে এখন থেকে কিনতাম আমি. 20 baht নেবে 2 লিটার জলে বোতল এর জন্য. বিয়ার বড়ো বোতল 40 to 50 baht. cigaratte পারলে ইন্ডিয়া থেকেই নিয়ে যান. এদের সিগারেটে গুলো ভালো না আর দাম বেশি. 80-90 baht 1 packet (king size -20 sticks) or কাম্বোডিয়া থেকে যদি আসেন তাহলে ওখান থেকে কার্টন তুলে নেবেন. 6. আমি যেমন কাম্বোডিয়া থেকে এসেছি Air asia দিয়ে . US Dollar 85 পড়েছিল ভাড়া যেটা সাড়ে ৫ হাজার এর মতন.কলকাতা থেকে ব্যাংকক "যাওয়া-আসা " আপনি চেষ্টা করলে INR. 8000-10000 এ পেয়ে যাবেন. Air asia, spice jet এ ভালো rate পাবেন. মনে রাখবেন Air asia হলে Dong Muang (DMK) এয়ারপোর্ট আর spicejet ধরলে Suvarnabhumi (BKK) এয়ারপোর্ট. সুবর্ণভূমি থেকে pattaya যাবার ডাইরেক্ট বাস পাওয়া যায় . মিস করলে ekkemai বাস স্টপ এ চলে আসবেন সেটা মাত্র আধ ঘন্টা লাগে. 7. ট্যাক্সি থেকে বা দিকের গেট দিয়ে উঠবেন আর নামবেন .নইলে ফাইন হতে পারে. 8. street food অনায়াসে খেতে পারেন. তবে sea food একটু সামলে খাবেন. চিংড়ি এরা ভালো করেই পরিষ্কার করে,পিঠের intestine নালী টাও ফেলে দেয় ভালো করে. 3 piece বড়ো গ্রীলড চিংড়ি 40 বাত. রাস্তার chow soup অনায়াসে খান.আমি পুরো স্ট্রিট ফুড এই ছিলাম.কোনো শরীর খারাপ হয়নি. 40 to 50 baht এ আপনার এক এক বেলা খাওয়া হয়ে যাবে.আস্ত গ্রীলড সমুদ্রের ভেটকি 300 baht যা 4 জনের জন্য যথেষ্ট. 9.Hotel Punyapha Place room বুক করুন booking.com দিয়ে.ওখানেই address, phone no পাবেন .google ও করে নিন. রুম সত্যি বেশ ভালো 1400 -1500 baht রুম rent /per day. এছাড়াও অনেক কম দামের হোস্টেল ও পাওয়া যায়. 10. কলকাতা থেকেই thai baht নিয়ে যান. dollar থেকে baht এ convert করলে loss হবে. suryanarayan forex থেকেই করে নিন. INR. 1.98 = 1 thai baht পেয়েছিলাম আমি. হ্যা , thai baht এর দাম আমাদের থেকে বেশি. আমাদের 1 rupee ওখানে গিয়ে ৫০ paisa হয়ে যাবে. Thailand : Land of smiles Part 2 : Bangkok সকাল সকাল হোটেল থেকে চেক আউট করে বেরিয়েই একটা motor bike taxi নিয়ে নিলাম.আমি single মানুষ আমার প্রব্লেম হয়না কারণ রুকস্যাক ব্যবহার করি বলে. পৌঁছে গেলাম pattaya বাস স্ট্যান্ড এ আর টিকিট কেটে নিলাম বBangkok এর ekkemai bus stand এর. ওটাই আমার bangkok এর hotel এর কাছে হবে. Bus ভাড়া প্রায় একই পড়লো 130 baht ..যতটা মনে পড়ছে. ভালো একটা ঘুম দিয়ে যখন উঠলাম তখন দেখি ব্যাংকক শহরে বাস ঢুকে গেছে . ekkemai মেট্রো স্টেশন থেকে চলে গেলাম phaya thai মেট্রো স্টেশন. একটা কথা বলে রাখি কান খুলে রাখবেন ভালো করে আর ticket এর পেছনে ম্যাপ দেখে দেখে station গুনবেন কারণ আপনি মনে মনে যে উচ্চারণ করে স্টেশন এর নাম পড়ছেন সেটা পুরো আলাদা ওদের anouncement থেকে.Phaya thai থেকে interlinked হলো airport rail link মেট্রো. সেটায় উঠে নামলাম ratchaprarop স্টেশন এ. সেখান থেকে 3 মিনিট হেটে আমার হোটেল. Bangkok 1st day (1st half day) আমি ছিলাম Baiyoke boutique hotel এ. এটা ব্যাংকক এর famous baiyoke sky hotel (bangkok এর সব চেয়ে বড়ো বিল্ডিং 88th floor) এর একদম পাশেই. হোটেল এর রুম ও বেশ ভালো. ওয়েলকাম ড্রিংক থেকে শুরু করে ফুড কুপন (অনেক cheap offer কুপন) দেবে. baiyoke sky hotelল এর view point গেলে আপনার ডিসকাউন্ট ও অনেক দেয়া হয়. Pattaya te হোটেল Punyapha place ও যথেষ্ট ভালো হোটেল ছিল, রুম বেশ বড়ো ছিল. এটা তার তুলনায় একটু কম কিন্তু রুম বেশ ভালো , সাথে bathtub আছে. হোটেলেই lunch করে (110 baht এ ভালো lunch হলো) বেরিয়ে পড়লাম আর চলে গেলাম baiyoke sky hotel এরt top floor view point এ. পুরো ব্যাংকক শহর এখান থেকে দেখতে পাবেন. দুটো elevator change করে আপনি পৌঁছতে পারবেন 88 floor এ. এমনি ticket হলো 400 baht কিন্তু আমি same গ্রুপ এর হোটেল এ থাকার জন্য সেটা 250 baht নেওয়া হয় .ticket এর সাথে ছিল complimentary beer coupon 87th floor এর রেস্টুরেন্ট থেকে. পুরো কাছে ঘেরা..সিট এর পাশ থেকে দেখছেন পুরো ব্যাংকক সিটি. পরের destination হলো sea life ocean world. যাবার জন্য আপনাকে নামতে মেট্রো স্টেশন siam (bts skytrain sukumvit line). siam paragon mall এর একদম বেসমেন্ট এ প্রকান্ড aquarium. এরম একটা pattaya তেও আছে কিন্তু ব্যাংকক এর টা অনেক বেশি বড়ো আর সুন্দর. entry fee হলো 900 baht. এর সাথে আছে combo তে Madame Tussauds Museum . আমি ব্যক্তিগত ভাবে এটা বাদ দিয়েছি কারণ আমার কাছে celebrity মোমের মূর্তি দেখা আর তার সাথে ছবি তোলাটা কোনো ভাবে justified নয় আরো 900 baht দিয়ে. দেখতে হলে আসল Madame Tussauds কোনোদিন গিয়ে দেখবো. sea life খোলা থাকে সকাল 10am to 9pm অব্দি .রাত 8pm হলো লাস্ট এন্ট্রি. সারাদিন অনেকরকম show চলে আর ভিড় বেশ ভালো হয়.Bangkok ocean world এ গেলে সন্ধে 7pm সময় যান. তখন শো দেখতে পারবেন না কিন্তু শান্তিতে ছবি তুলতে পারবেন . অন্য সময় গেলে selfie stick এর যাতনায় আপনার ছবি তোলা পন্ড হবে. দেখা হয়ে বেরোতে বেরোতে রাত ৯ টা বেজে গেলো আর বেরিয়েই বৃষ্টির কবলে পড়লাম. সোজা মেট্রোয় করে আবার হোটেল এ ফিরে চলে এলাম. Bangkok 2nd day (Full day trip): সারারাত বৃষ্টির পর সকালে উঠে দেখি ঝকঝকে আর সাথে জ্বালা ধরানো রোদের তাপ নিয়ে ব্যাংককের দিন শুরু হয়ে গেছে. বাইরে বেরিয়ে noodle soup খেয়েই চলে গেলাম মেট্রো তে. নামলাম siam স্টেশন এ. সেখান থেকে উল্টো প্লাটফর্ম এ ট্রেন ধরে চলে গেলাম saphan taksin স্টেশন. নেমে চলে এলাম chao phraya নদীর পারে যা কিনা ব্যাংকক এর প্রধান নদী .মাটি রঙের জল আর প্রচন্ড ঢেউ. কিন্তু খুব পরিষ্কার. এখানেই আপনি পাবেন sathorn ferry stop. এবার কিনে ফেলুন hop on hop off ফেরি টিকিট 80 baht দিয়ে (ব্লু ফ্ল্যাগ টুরিস্ট বোট). এতে আপনি 6 am - 7pm অব্দি যত খুশি বার বোট এ উঠতে পারবেন আর নামতে পারবেন. আসলে এই নদী পথ দিয়ে আপনি অনেক গুলো ব্যাংকক এর দর্শনীয় স্থান দেখে ফেলবেন. কারণ সব জায়গা গুলো নদীর পাশে.আপনাকে এগোতে এগোতে একবার এই পার আরেকবার ওই পার করতে হবে. এতে আপনি ব্যাংকক road traffic avoid করে সময় বাঁচিয়ে অনেক সহজে ঘুরতে পারবেন. জেটি গুলো খুব পরিষ্কার আর সুন্দর ভাবে সাজানো. river service এ কি কি দেখতে পারবেন বলে দিচ্ছি: asiatique riverfront (open air mall) , river city shopping mall, chinatown, flower market, wat arun , wat pho (শায়িত লম্বা বুদ্ধ মূর্তি ) , grand palace, wat phra kaew , royal berge national museum, phra arthit, wat traimit. এই সব পুরো দেখতে গেলে আপনার সারাদিন লাগবে. গ্রান্ড প্যালেস অনেক টা সময় আপনার নিয়ে নেবে. গ্রান্ড প্যালেস এ ঢোকার এন্ট্রি ফী হলো 500 baht, royal burge 100 baht, বাকি জায়গা গুলো টো থেকে 50 baht এর মতন. এই জায়গা গুলো গাড়ি নিয়ে ঘুরে দেখতে গেলে একদিনে শেষ করতে পারবেন হলফ করে বলতে পারি.কারণ আপনি ট্রাফিক জ্যাম অর্ধেক সময় নষ্ট করে ফেলবেন. এরপর nana plazaযেতে পারেন. nana plaza অনেকটা pattaya walking street এর মতো. এখানে অনেক massage parlour আছে. nana plaza যেতে হলে sathorn থেকে metro করে siam এসে তারপর nana মেট্রো স্টেশন নেমে যাবেন. Bangkok 3rd Day (Ayutthaya) Ayutthaya/আয়ুথায়া হলো থাইল্যান্ড এর প্রাচীন রাজধানী. বলতে পারেন কিছুটা angkor wat type , siem reap এর মতো এবং দুটোই প্রায় সমসাময়িক. Burma অনেক বার আয়ুত্থায়া আক্রমণ এমনকি আয়ুত্থায়ার পতন হয়ে burma রাজের হাতেই. তাই burmeseদের এখনো খুব একটা ভালো চোখে দেখেনা থাইবাসী.অনেকটাই অপছন্দ করে.১৭৬৭ সালের আগে অব্দি আয়ুত্থায়াই ছিল থাইল্যান্ড এর রাজধানী. আমি আয়ুথায়া যেতে পারিনি. সকাল থেকে ভয়ানক বৃষ্টির জন্য আমার প্ল্যান পুরো নষ্ট হয়ে যাই.কিন্তু আপনারা যাতে পারেন তাই বলে দিচ্ছি. আয়ুথায়ার জন্য সারাটা দিন রেখে দিন.সকাল সকাল বেরিয়ে পড়বেন আর সারাদিন ঘুরে চলে আসতে পারবেন সন্ধের মধ্যে. মেট্রো করে Mo chit মেট্রো স্টেশন এ নেমে চলে mo chit বাস স্টেশন টুকটুক করে ( 15 min দূরত্ব) টুকটুক ওয়ালা কে বলে দেবেন আয়ুত্থায়ার বাস স্ট্যান্ড এ নিয়ে যেতে. ওখান থেকে আপনি আয়ুত্থায়ার বাস পেয়ে যাবেন. 1.5 ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন আয়ুত্থায়া. আয়ুত্থায়া পৌঁছে টুকটুক ভাড়া করে নেবেন. ঘন্টায় 200 - 300 baht নেবে. দরাদরি করুন কারণ পুরো টুকটুক এতে ভাড়া হবে (৬ সিটের) .সারাদিন ঘুরে নিয়ে বিকেলে একই ভাবে ব্যাংকক ফেরত চলে আসুন. safari jungle এ যেতে পারেন ঘুরতে. এখানে বাঘ সিংহের সাথে গায়ে লেগে আদিখ্যেতা করে ছবি তুলতে পারেন আমার নেহাত জন্তু জানোয়ার ভালো লাগেনা বলে গেলাম না. আর এই সব ছবি তুলতে গিয়ে আপনার কাছ থেকে গুনে গুনে bahtনেবে. বাঘ কে খাওয়াবার জন্যও ওরা টাকা নেবে. এগুলো আসলে scam. Shopping: baiyoke sky hotel area হলো শপিং এর জন্য আদর্শ জায়গা. কারণ এর সামনেই আপনি পাবেন Indra market যেটা মূলত ইন্ডিয়ান দের হাতে, ইন্দ্র মার্কেট এর পাশে গলিতে প্রচুর দোকান ফুটপাথ এ বসে. সেখান থেকে টিশার্ট, টপ সব অনেক কম দামে কিনতে পারেন. 200 baht এ ভালো টিশার্ট পাবেন. but সত্যি বলতে cotton quality ভালো নয়.কিন্তু প্রিন্ট গুলো দারুন. কাছেই পাবেন Pratunam IT Mall যা ইলেকট্রনিক্স এর স্বর্গরাজ্য.এছাড়া আছে pratunam mall (normal) , platinum mall. MBK Shopping centre যেতে হলে মেট্রো করে Phaya thai চলে যাবেন. তবে Siam Paragan Mall আমার দেখা সব চেয়ে বড়ো mall. তবে যেখানেই যাবেন আগে যান কারণ রাত 8pm সব mall এর দোকান গুলো বন্ধ হতে শুরু করে দেয় এবার ফেরার পালা Ratchaprarop air link metro station থেকে মেট্রো ধরে সোজা চলে যাই সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট এ মাত্র 45 baht এ. সময় লাগলো ৩০ মিনিটের মতন. আর সেখান থেকেই আমার ফেরার ফ্লাইট ছিল কলকাতার. spicejet e ফিরেছি আর সেটা ফ্লাইট এর চেয়ে AC বাস লাগছিলো বেশি. এর থেকে এয়ার এশিয়া অনেক ভালো.তবে অসুবিধা সেরম কিছু হয়নি শুধু spicejet এ luggage আসতে খুব দেরি করে দেখলাম. খাওয়াদাওয়া : ব্যাংকক ও pattaya মতো স্ট্রিট ফুড অনেক পাওয়া যায় আর pattaya থেকে সস্তায় হয়. ইন্দ্র মার্কেট এর উল্টো দিকে একটা নর্থ ইন্ডিয়ান pure veg রেস্টুরেন্ট ও পাবেন, bangladeshi বাঙালি রেস্টুরেন্ট ও পাবেন. Phad thai noodle অবশ্যই খাবেন. Key points: 1. Baiyoke boutique hotel :120/359 Soi Ratchaprarop3, Ratchaprarop Road, Ratchathewi, Bangkok 10400 Thailand (baiyokeboutique.baiyokehotel.com) online booking available. no advance payment.আমি এই hotel e থাকতে বলবো কারণ এই area তে থাকলে আপনবি শপিং, খাওয়াদাওয়া র মেট্রো রেল আর এয়ারপোর্ট যাওয়ার অনেক সুবিধা পাবেন. 2. ব্যাংকক এর ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম দারুন. ট্যাক্সি টুকটুক নেয়ার দরকার পরেই না.আর নিলেই ট্রাফিক জাম এ পড়বেন. ওদের 2 টো BTS skytrain metro লাইন.(overhead) 2 টো MRT metro line (underground). 1 টা airport rail link মেট্রো লাইন. আরেকটা BRT মানে bus rapid transit লাইন. (separate bus track). সব মিলিয়ে 5টা মেট্রো লাইন আর 1টা বাস লাইন. সব কটা সবার সাথে interconnected. আপনাকে শুধু connecting পয়েন্ট গুলো দেখে নিতে হবে আর প্ল্যান করে নিতে হবে.আপনি একটা লাইন এর station থেকে অন্য লাইন এর স্টেশন এর ticket কেটে নিতে পারেন. বার বার লাইন চেঞ্জ করার সময় টিকিট কাটতে হবে না. যদি আপনি কম টাকার টিকেট কেটে থাকেন অজান্তে তখন অন্য লাইন এর স্টেশন থেকে বেরোবার সময় remaining ভাড়া দিয়ে দেবেন. ওরা ইন্ডিয়ার মতো ফাইন করবে না, তবে হা সেটা এক লাইন থেকে অন্য লাইন হলেই allow করবে. কাউন্টার থেকে ticket কাটার চেষ্টা করবেন. self vending থেকে টিকিট কাটা একটু ঝামেলার. সন্ধেবেলা মেট্রো তে বেশ ভিড় হয় কিন্তু কেউ কারোর সাথে আপনার গায়ে এক ফোটাও touch হবে না. তবে জোর করে ভিড় মেট্রোয় উঠতে যাবেন না. BTS এর frequency 1 কি 2 মিনিট অন্তর. আর সাইড দিয়ে উঠবেন আর মাঝখান দিয়ে নামবেন. ওঠার সময় side e দাঁড়াবেন. 3. আমি একা ঘুরতে গিয়ে এই প্রথম কোনো শহরে গিয়ে অসুবিদায় পড়েছি. Pattaya তে ইংলিশ লোকে বোঝে. এমনকি কাম্বোডিয়া তে. কিন্তু ব্যাংকক এর লোকেরা ইংলিশ বোঝে না. খুব problem হয়েছিল এর জন্য. google translator app রাখবেন. অনেকসময় দেখবেন আপনি কিছু জিগেশ করলেন english এ আর ওরা মুখ ঘুরিয়ে চলে গেলো. 4. ভুলেও কোনদিনও december to March ছাড়া ব্যাংকক শহরে যাবেন না. মারাত্মক বাজে গরম. আমরা যারা কলকাতায় থাকি তারা পারবোনা ওই গরম সহ্য করতে. সেপ্টেম্বর মাসে এতো বাজে গরম তার ওপর ভ্যাপসা বাজে weather. AC থেকে বেরোলেই 30 সেকেন্ড এ আপনি ঘেমে যাবেন. তারপর বৃষ্টি শুরু হলে থামে না 8 থেকে 10 ঘন্টার আগে. তবে হা জল জমে ভেনিস হয়ে যায় না . ব্যাংকক এমনিও কংক্রিট এর জঙ্গল. গাছ পালা কম তাই আরো বেশি গরম. 5.এখানকার লোকদের সাথে কথা বেশি না বলাই ভালো. ইন্ডিয়ান দেড় এমনিও অপছন্দ করে. আর thai ra নিজেরাও এexpressionless মুখ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়. শুধু মাত্র দোকানদার আর স্ট্রিট ফুড বিক্রেতা রা আপনার সাথে নিজে কথা বলতে আসবে. এমনকি আমি এমন thai couple দেখলাম যারা হাত ধরে বসে কিন্তু নিজেরা mobile e ব্যস্ত. খুব প্রফেশনাল শহর ব্যাংকক. ভগবান জানে এরা কোন দিকে থেকে land of smiles. শুধু হোটেল ,restaurant , আর কেনাকাটার সময় এরা হাসে. মোটকথা দরকার না পড়লে একটা অতিরিক্ত শব্দ এরা ব্যবহার করবে না. ব্যাস পুরো গাইড করে দিলাম. এবার টুক করে ঘুরে আসুন. আর দরকার পড়লে প্রশ্ন করে ফেলুন. খরচ আনুমানিক শুধু ব্যাংকক এ : হোটেল 1500 baht per night (double bed), সব জায়গার এন্ট্রি ফী জন্য per head total রাখুন 2000 Baht (max). 3 দিনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট রাখুন max 800 baht. আয়ুথায়ার ভাড়া ওপরে আলাদা করে বলে দিয়েছি. আর খাওয়া per head 3 দিনের টোটাল পর্বে 900 baht ( ব্রেকফাস্ট , লাঞ্চ, ডিনার) ব্যাংকক যাওয়া -আসার টিকিট 6 month আগে কাটলেও INR. 10000 এ মধ্যে হয়ে . এবার নিজে যোগ করে ফেলুন. Post By:- Pratik Mukherjee
সমুদ্রের কাছ থেকে আমি কয়েকফোঁটা নীল নিয়ে এসেছি.... কিছু ফেনা ভিজিয়েছে পা মনটাকেও ভিজিয়েছে.... সময়ের স্রোতে কল্পনার ডিঙি হয়ে ভাসতে চেয়েছি... পারিনি...আমি শুধু সমুদ্রের কাছ থেকে কয়েক টুকরো নীল নিয়ে এসেছি.... আয়ুরেখা বালি পেরিয়ে ছায়াপথ ধরে হেঁটে যাবো তোর সাথে কথা ছিল... পাইনের সবুজে উচ্ছল হবে মনের যে সবুজ পলিথিনে ঢেকেছি... হয়নি...আমি শুধু সমুদ্রের কাছ থেকে কিছু সবুজ ঝাউয়ের নীল স্বপ্ন নিয়ে এসেছি... আকাশের মুখ ভার করে বুকে কিছু ঘন মেঘ জমিয়েছি... তোর দেখা পেয়েই অঝোর বৃষ্টি হয়ে ঝোরে পড়েছি.. বুকে মাথা রেখে অভিমানী মেঘ শান্তির আশ্রয় খুঁজতে চেয়েছি... পারিনি....আমি শুধু সমুদ্রের কাছ থেকে কিছু মেঘের ছেড়া নীল নিয়ে এসেছি.... কিছু নিঃশব্দ অভিমান কিছু অমপান তোর চোখে চোখ রাখবো বলে নীরবে বালি চাপা দিয়ে এসেছি... ঐখানেই...তবু কিছু স্মৃতিকথা ভেজা বালির মত এখনো লেগে আছে.... চোখের কোণে জড়ো হয়ে বার বার জল ঝড়াতে চেয়েছে.... নাহ কাঁদিনি...আমি শুধু সমুদ্রের কাছ থেকে কিছু গুঁড়ো নীল নিয়ে এসেছি.... না বলা কথার গল্প লিখবো ঐ এক সমুদ্রের নীলে...! রোজকার আকাশের একঘেয়ে দমবন্ধ মেঘ মনের চাঁদ তারা ঢেকে দেয় যখন। পথ হেঁটে চলে পাশ দিয়ে আমরা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি পুরোনো অট্টালিকা হয়ে। চুরি হয় শৈশব, চুরি হয় কৈশোর.. যৌবন ,চুরি যায় আমাদের নীল স্বপ্ন..পরে থাকে শুধু খড়কুটোর বার্ধক্য...অসহায় মানুষের জীবন। চুরি হইনা আমরা, কেউ যদি চুরি করে নিয়ে যেত সাগরের কাছে জলের মতো ভেসে যেতাম...ছোট ছোট নুড়ি পাথরের সাথে আলাপ জমতো খুব...বড় পাথরের খুব ধার, চোখের থেকে গাল ছুঁয়ে নেমে আসা নোনা জলের শোক মিশে যেত সাগরের নোনা জলে। ঝিনুকের আড়ালে লুকানো ঘুমের শান্তি নিয়ে গাঁথা মালা দিয়ে নিজেকে সাজানোর ইচ্ছেরা ফুটপাথের ভিড় এড়িয়ে হেঁটে যেত নোনা বালি তীর ধরে বহুদূর...বহুদূর। আর যখন এই স্বপ্নপূরণ হয় কারো হাইজ্যাক করার কারণে... তখন ঢেউ এসে খেলা করে লুকানো শৈশবের কাছে, ফিকে হয়ে আসে মেঘেদের কালো কষ্ট...। হ্যাঁ একবন্ধু প্রায় জোর করেই(তার কথায় হাইজ্যাক) নিয়ে গিয়েছিল বাঁকিপুট সীবিচে তার দলবলের সাথে। প্রায় ১২ জনের একটা ছোটখাটো দলে আমি ঢুকে পরেছিলাম হঠাৎই। ধর্মতলা থেকে কনটাই পর্যন্ত বাস...তার পর রিসোর্টে আগে থেকে বলে রাখা গাড়ি করে বাকি প্রায় ৪০ মিনিটের পথ। দিনটি ছিল ১৪ই জুলাই। রথের চাকা, থুড়ি গাড়ির চাকা শেষ পর্যন্ত যখন রিসোর্টে এসে থামলো তখন প্রায় দুপুর ১২ টা। সবেধন নীলমণি একটিই রিসোর্ট এখানে আর তার নাম ঝিনুক রেসিডেন্সি। সবমিলিয়ে সাতটা রুম আছে রিসোর্টে। রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে কেউ ভেটকি মাছ , কেউ পমফ্রেট মাছ কেউ বা ডিম ভাত দিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে যখন বেরোলাম সমুদ্রের দেখা পাওয়া যায়নি তখন। শুধু পারে বাঁধা নৌকারা মাঝির উপেক্ষায় নীল জলের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে।ইতস্তত করছিল সবুজ ঘাসের পশম পায়ে আদরের ছোঁয়া দিতে। ঝাউয়ের নিঃশব্দ কান্না আমার মনে নাড়া দিলেও কাঠুরিয়ার কানে পৌঁছায়নি কোনোমতেই।ভেবেছিলাম বালি নিয়েই মেতে থাকতে হবে, লাল কাঁকড়ার সুড়সুড়ি তে মজে গিয়ে ভেজা বালি গায়ে মেখে ,পাথরে বসে স্থানীয় কচিকাঁচাদের কোচড়ে করে আনা মুড়ি চিবোতে চিবোতে জেলেদের মাছ ধরার গল্প শুনেই কাটাবে মেঘলা বিকেল , ঝাউবনের ছায়ায় মনকে শান্তনা দেব....! কিন্তু না, নিরাশ করেনি সমুদ্র, যেমন পূর্ণিমার চাঁদ নিরাশ করেনা... মাঝরাতের অন্ধকারে চুপিচুপি পায়ে এসে আছড়ে পড়ছে সাদা ফেনার ঢেউ। ভাবিনি এইভাবে সমুদ্রকে পাবো। সকাল হতেই আবার সে হাওয়া। কখন আসবে কখন যাবে সে এক রহস্য। হঠাৎ করে পাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে সেতো আর কিছুতে নেই। আমার একদিনের জন্য হাইজ্যাক হওয়া, এখানে এসে সমুদ্রকে দেখতে না পাওয়া, আর মাঝরাতে তার এসে ধরা দেওয়া...সবটাই হঠাৎ। হঠাৎ পাওয়া এই খুশির জন্যে স্বেচ্ছায় হাইজ্যাক হওয়াই যায় বারবার। কি বলেন?? Post By:- Ipsita Basak
মনিকরণ, কুল্লু জেলা, হিমাচল প্রদেশ। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১,৭৬০ মিটার উচ্চতায় পার্বতী নদীর উপত্যকায় অবস্থিত মনিকরণ হিন্দু ও শিখ উভয় ধর্মের মানুষের কাছে একটি পবিত্র তীর্থস্থান। শিমলা থেকে মানালি আসার পথে আগে bhuntar পরবে, পরে কুল্লু। Bhuntar থেকেই একটি রাস্তা চলে গেছে কুল্লু হয়ে মানালির দিকে এবং আরেকটি রাস্তা চলে গেছে কাসল হয়ে মনিকরণ এর দিকে। দুর্গম পাহাড়ি পথে কুল্লু থেকে স্থানটির দূরত্ব প্রায় ৪৩ কিমি এবং bhuntar থেকে প্রায় ৩৬ কিমি, গাড়ি তে যেতে সময় নয় প্রায় ২ ঘণ্টার কাছাকাছি। এটি ভারতের অন্যতম প্রাচীন একটি তীর্থস্থান। ঐতিহাসিক এই তীর্থস্থানে একই সঙ্গে অবস্থান করছে প্রাচীন গুরুদ্বারা ও শিবমন্দির। পার্বতী নদীর জল এখানে ফুটন্ত। হিন্দু পৌরাণিক মত অনুসারে, একবার শ্রী মহাদেব ও মা পার্বতী এই স্থানে ভ্রমণ করতে আসেন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মোহিত হয়ে তাঁরা এখানে বেশ কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। সময়টা পৃথিবীর হিসাবে প্রায় এগারোশো বছর। কথিত আছে যে এখানে মা পার্বতী তাঁর অলংকারের একটি দামি মনি হারিয়ে ফেলেন। মনিটি নদীতে তলিয়ে পাতালে শেষনাগের কাছে চলে যায় ও তিনি সেটি কুক্ষিগত করেন। মা পার্বতী শ্রী মহাদেবের কাছে তাঁর মনিটি উদ্ধারের প্রার্থণা করেন। মহাদেব তাঁর সঙ্গীদের প্রেরণ করেন মনি উদ্ধারের জন্য। কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হন। প্রচন্ড রাগে মহাদেবের তৃতীয় চক্ষু উন্মোচিত হয়। সারা জগৎ সংসার ছারখার হবার উপক্রম হয়। ফুটতে শুরু করে পার্বতী নদীর জল। শেষে কুপিত মহাদেবের সামনে উপস্থিত হন শেষনাগ। মা পার্বতীর মনি ফিরিয়ে দেন। কিন্তু মহাদেবের রাগ কমলেও, নদীর জল আজও ফুটন্ত। মানুষের বিশ্বাস মনিকরণ এর এই উষ্ণ প্রস্রবণ- এ স্নান করলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়, শুধু তাই নয়, শরীরের কোথাও কোনো ব্যথা বেদনা থাকলে সেটারও উপশম হয়। Post By:- Mily Ghosh
ঝান্ডিঃ উত্তরবঙ্গের মুকুটে নতুন পালক মানুষ বেশির প্রত্যাশী।অল্পেতে তার সাধ মেটে না।বিশেষতঃ যখন ঘোরার প্রসঙ্গ আসে তখন তার সব চাই।জঙ্গল চাই, পাহাড় চাই। সবই চাই একদম হাতের মুঠোয়। বাঙালির গরমের প্রিয় গন্তব্য উত্তরবঙ্গ।উত্তরবঙ্গের একদিকে তরাই মানে আমাদের প্রিয় ডুয়ার্সের জঙ্গল।আর এক দিকে পাহাড়ের হাতছানি।যাদের সম্বল খুঁদকুড়ো তাদের বিরিয়ানির স্বপ্ন মাঠে মারা যায়।অর্থাৎ চার পাঁচ দিনের ছুটিতে ঘোরার পরিকল্পনা করতে গিয়ে তাদের শ্যাম রাখি না কূল রাখির অবস্থায় পড়তে হয়।জঙ্গল দেখতে গেলে পাহাড় বাদ যায়,আর পাহাড়ের মন রাখতে গেলে জঙ্গল মুখ ভারি করে ফেলে।এতদিন দুকূল সামলানোর উপায় ছিল না।কিন্তু বিগত তিন চার বছরে অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হয়েছে।যখন থেকে উত্তরবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে ঝান্ডির আবির্ভাব হয়েছে। লাটাগুড়ি বা মূর্তিকে কে কেন্দ্র করে যারা গরুমারা অভয়ারন্যের মজা নিতে চান তারা এক বা দুদিন বার করুন ঝান্ডির জন্য।হাতে সময় বেশি থাকলে এর সাথে যুক্ত করে নিন লাভা,রিশপ।অথবা এই পথ হয়েই চলে যেতে পারেন প্রাচীন রেশম পথের নানা নতুন ও অচেনা গন্তব্যে।কিন্তু সে সব না হয় অন্য আর একদিন বলা যাবে।আজ বরং আমরা ঝান্ডিতেই মনোনিবেশ করি। লাটাগুড়ি থেকে অনেকেই মালবাজার,ডামডিম,গরুবাথান হয়ে লাভা গিয়েছেন ;এরই মাঝপথে ঝান্ডি।সুবিধার জন্য কিমি ও সময়ের হিসাব দিয়ে দিলাম।লাটাগুড়ি থেকে মালবাজার ৩৫ কিমি,সময় লাগবে আধঘন্টা।মালবাজার থেকে ডামডিম ৮ কিমি সময় লাগবে ১০ মিনিট।ডামডিম থেকে গরুবাথান ১৩ কিমি,সময় লাগবে ১৫ মিনিট।গরুবাথান বাজার পেরিয়ে ২০০-৩০০ মিটার এগোলেই বায়ে নীচে নদীর দিকে রাস্তা নেমেছে।মহানন্দা নদীর ওপরের ছোট্ট ব্রিজটা পেরোলেই রাস্তা উঠেছে ঝান্ডির দিকে।১৬ কিমি মত রাস্তা।তবে রাস্তা সঙ্কীর্ণ ও অত্যধিক খাড়াই হওয়ার কারনে আস্তে চলতে হয়।লাটাগুড়ি থেকে ৭২ কিমি রাস্তা দেড় থেকে দুঘন্টায় সহজে পৌঁছানো যায়।অর্থাৎ বিন্দু পৌঁছানোর আগে আপনি ঝান্ডি পৌঁছে যাবেন। সমুদ্র সমতল থেকে ঝান্ডি প্রায় ৬২০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।স্বাভাবিক কারনেই এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে ডুয়ার্সের কোনো মিল নেই।ভীষণ গরমের সময়তেও ঝান্ডি ঠান্ডা থাকে।ঝান্ডির পাঁচ কিমি নীচে লামাগাঁও।এখানে একটি হোম স্টে আছে থাকার জন্য।পার হেড পার ডের (১৪০০/-)হিসাবে খরচ।এই পথেই এগোতে থাকলে রাস্তার সর্বোচ্চ বিন্দুতে ঝান্ডি ইকো রিসর্ট।রিসর্ট এর ৫০০ মিটার আগে থাকার জন্য আর একটি সুন্দর হোম স্টে আছে।ইস্টিকুটুম হোম স্টে।খরচ লামাগাঁও এর মতোই।তবে থাকার জন্য এটি আরো মনোরম। ঝান্ডি ইকো রিসর্টে থাকা খাওয়া আলাদা।দেড় থেকে দুহাজারের মধ্যে এদের বিভিন্ন রকম ঘর আছে।এদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনারা বুকিং করতে পারেন বা ফোন করে খবরাখবর নিতে পারেন। যারা কোলাহল পছন্দ করেন না,সভ্যতা থেকে দূরে প্রকৃতির নিবিড় সখ্যতার ভিতর গিয়ে থাকতে চান তারা নিশ্চিন্তে ঝান্ডি চলে যেতে পারেন।নিরাশ হবেন না। মেঘমুক্ত দিনে কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই ভুবনভোলানো হাসির টানে চলুন পায়ে পায়ে বেড়িয়ে আসি ঝান্ডি। দু একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ ১)লাভা ঝান্ডি থেকে মাত্র ৯ কিমি দূরে। ২)সাইলেন্ট ভ্যালি হোম স্টে, লামাগাঁও, সুব্রত বসু(মালিক),মোঃ ৯৮৩০১৯০৫০৩, ৮৯৮১৫৩০৭৩৫ ৩)ইস্টিকুটুম হোম স্টে,মোঃ ৯৪৩৪১১৬৩২৫, ৯৮০০৮৩৩৯৫৬ ৪)ঝান্ডিতে সানরাইজ সানসেট পয়েন্ট এর নাম ঝান্ডিদাঁড়া ৫)সামাবিয়ঙ্গ এই অঞ্চলের একটি নামকরা চাবাগান।যার চা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। Post By:- Sumit Kumar Basu
|
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |