2020.. এই একটা বিদঘুটে বছর একটা, কিন্তু তাতে আমার ঘোরা থামে নি, এই বছরেও ঘুরবার নেশা একই রয়েছে, তা সে অফিসের কাজেই হোক বা নিজের ইচ্ছা তেই ঘোরা হোক, ভুটান দিয়ে শুরু, 2 বার মন্দারমণি, গ্রামের বাড়ি, ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোর, শান্তিনিকেতন, ডুয়ার্স, এবং অবশেষে পুরুলিয়া, অযোধ্যা... এটাই শেষ কিনা বলা যাচ্ছে না, কারণ এটা লিখতে লিখতে অফিসের ফোন, দেওঘর যেতে হবে, ফ্যাক্টরি ভিসিট এ, যাই হোক এর আগের লেখা ছিল আমার গ্রামের বাড়ি এবং বেলপাহাড়ি তে বাইকে..
এবার ও সেই বাইক নিয়েই গেলাম পুরুলিয়া, আমাদের একটা গ্রুপ আছে নাম তার THERIDERKOLKATA আমরা যেখানেই বাইক নিয়ে বেড়াই চেষ্টা করি সকাল সকাল যাত্রা শুরু করতে, সেই মতো এবারও সবাই রেডি হয়ে যাই কারণ আমাদের মিটিং পয়েন্ট ছিল ডানকুনি টোল প্লাজা তে ভোর 3:30 এ.. কিন্তু বাধ সাধলো হঠাৎ বৃষ্টি, তাই অপেক্ষা করতে হলো, কিন্তু বৃষ্টি কমবার নাম নেই, কিন্তু আমরাও rider একটু পাগল টাইপের হই, অপেক্ষা করতেই থাকলাম, অবশেষে বৃষ্টি কমলো, সাথে সাথে আমরাও শুরু করে দিলাম যাত্রা, যদিও অনেকটাই দেরি হয়ে গেছিলো পৌঁছাতে ডানকুনি, আমাদের নিয়ম অনুযায়ী 80-90 স্পিড এ পৌঁছে গেলাম শক্তিগড়, প্রাতরাশ টা সারলাম লুচি আর তরকারি সাথে লাংচা, অল্প জিরিয়ে আবার শুরু করলাম, এবার পৌঁছলাম দুর্গাপুর ব্যারেজ, কারণ বাইকে গুলো কেও একটু রেস্ট দিতে হবে সাথে আমাদের কোমর কে, তাই একটু চা পানের বিরতি, সেটা সেরেই আবার শুরু করলাম যাত্রা পুরুলিয়া র উদ্দেশ্যে, পুরুলিয়া টাউন এ এসে পৌঁছলাম যখন তখন প্রায় দুপুর 2:30 টা.. দুপুরের লাঞ্চ টা রাস্তার ধারেই একটা হোটেল এ সারলাম, ভাত, ডাল, আলুভাজা, কুন্ডলি ভাজা, ডিম এর অমলেট, রুটি এবং তড়কা, তারপর আবার শুরু হলো যাত্রা কারণ আমাদের এবার পৌঁছাতে হবে পাখি পাহাড়, রাস্তা এক কোথায় মাখন, কখনো কখনো 120-125 এ স্পিড উঠেছে, তবে পুরো টাই 80-90 স্পিড এ... পৌঁছে গেলাম পাখি পাহাড়, ইচ্ছা ছিল একটু off route ride traial তাই বাইকে নিয়ে জঙ্গল এ ঢুকে গেছিলাম, কিছু ক্ষণ সময় কাটাতেই নেমে এলো অন্ধকার, তাই আবার যাত্রা শুরু হলো অযোধ্যা পাহাড়ের উদ্দেশ্যে, লোয়ার ড্যাম, আপার ড্যাম অতিক্রম করে চলে এলাম অযোধ্যা পাহাড়ের উপরে, যত বার গ্রাম এ যাই ততবার অবাক হই এদের ব্যবহার দেখে, আলুর চপ আর ডিমের চপ খেলাম মুড়ি দিয়ে, পয়সা দেবার সময় দোকান দার কোনো হিসাব করলেন না, বলে দাদা বাবু আপনাদের যা ভালো মনে হয় দিন, প্রতি চপ 5 টাকা করে, আমাদের শহরে এরকম মানুষ খুঁজতে লণ্ঠন নিয়ে বেড়াতে হবে, ঠিক করলাম রাত এ দেশী মুরগি দিয়ে রুটি খাবো, কথামতো সেই চপ এর দোকান এর দাদা কেই দিলাম রান্না করতে, যথাযত রান্না হলো সুস্বাদু সাথে 50 টা রুটি 6 জন এর, খেয়ে দিয়ে শুয়ে পড়লাম কারণ পরদিন ভোর 4 টে উঠে তৈরী হয়ে বেড়াতে হবে, মুরুগামা র জন্য, এক কোথায় অপরূপ সুন্দর, যাবার রাস্তা ও খুব ভালো, পাহাড়ে রাস্তায় বাইকে যাবার অভিজ্ঞতা, সেখানে কিছু ক্ষণ সময় কাটিয়ে চলে গেলাম বামনী ফলস, মার্বেল লেক, ঘুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা, মাঝে একটা কথা তো বলাই হলো না, মাঝ পথে একটা টিলা তে বাইকে উঠে নিজেরা ম্যাগি বানিয়ে খেলাম, আমরা স্টোভ, কেরোসিন, প্লেট, চামচ নিয়েই গেছিলাম, প্রাতরাশ টা এভাবেই হলো, খুব বেশি লিখলাম না এবার, কিছু তথ্য দিয়ে দিলাম,
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |