পর্ব -১ কোলকাতা থেকে লামাহাটা
এবছর পুজোতে আমরা বাইক নিয়ে চললাম নর্থ বেঙ্গলের উদ্দেশ্যে। লাগেজ বেঁধে ভোর ৫ টে নাগাদ বাইক স্টার্ট করলাম বাড়ি থেকে। কোলকাতা থেকে লামাহাটা প্রায় ৬৩৫ কিমি। আমরা দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ দিয়ে ডানকুনি পৌঁছলাম তখন প্রায় সানরাইজ হয়ে গেছে। সকাল ৭.৩০ নাগাদ আমরা শক্তিগড় পৌঁছলাম। শাক্তিগড় গেলাম আর ল্যা়ংচা খাবো না সেটা হতে পারে না তাই ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়লাম। কোলকাতা থেকে শক্তিগড় ৯৫ কিমি হবে। তারপর আমরা বর্ধমান শহরের মধ্যে দিয়ে SH17 ধরলাম। বাদশাহী রোড ধরে আমরা খারগ্রাম, মোরগ্রাম পৌঁছে অবশেষে NH34 ধরলাম তখন দুপুর ১.৩০। এই SH17 রাস্তাটা প্রায় ১৪০ কিমি আর এই রাস্তা পার হতে অনেক সময় লাগে যেহেতু রাস্তা সিঙ্গেল লেন, গ্রামের মধ্যে দিয়ে আর রাস্তার অবস্থা খুব ভালো নয়। এরপর আমরা NH34 ধরে চললাম ফারাক্কার উদ্দেশ্যে দূরত্ব প্রায় ৫০ কিমি আর রাস্তা ভালো। ফারাক্কা পৌঁছলাম আমরা বিকেল ৪ টে নাগাদ যেহেতু আমরা বন্ধুর বাইক খারাপ হয়েগেছিলো। ফারাক্কা থেকে মালদা প্রায় ২০ কিমি। এখন আর মালদা শহর ঢুকতে হয় না মালদা বাইপাস হয়ে যাওয়ার জন্যে। তখন প্রায় বিকেল ৪.৩০ তাই ঠিক করলাম আরো যদি এগিয়ে যাওয়া যায় রায়গঞ্জের উদ্দেশ্যে। মালদা থেকে রায়গঞ্জ প্রায় ১০০ কিমি রাস্তা আর ফারাক্কা থেকেই রাস্তা খুব খারাপ। পৌঁছতে প্রায় সন্ধ্যে ৭ টা বেজে গেছিলো। রাতে বাইক চালাবো না তাই রায়গঞ্জে থাকবো ঠিক করলাম। পরের দিন সকাল ৭ টায় আবার যাত্রা শুরু আমাদের। রায়গঞ্জ থেকে বোতলবাড়ি প্রায় ১৬ কিমি আর রাস্তাও খারাপ যেহেতু রায়গঞ্জ বাইপাসের কাজ চলছে। বোতলবাড়ি থেকে ধানতলা প্রায় ৬০ কিমি আর রাস্তা খুব খারাপ আর সরু যেহেতু গ্রামের মধ্যে দিয়ে আর রাস্তায় হাঁস মুরগি ছাগল গরু যখন তখন চলে আসে তাই বাইক আস্তে চালাতে হয়েছিলো। ধানতলা যখন পৌঁছলাম তখন প্রায় সকাল ১০.৩০। ধানতলা থেকে রাস্তা আবার ভালো আমরা ইসলামপুরে একেবারে লাঞ্চ সেরে দুপুর ১২ টা নাগাদ আবার যাত্রা শুরু করলাম শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। ইসলামপুর থেকে শিলিগুড়ি প্রায় ৭০ কিমি। রাস্তার ওপর বেশি বিশ্বাস করলে আবার বিপদ, মাঝে মাঝে রাস্তায় গর্ত। সাবধানে বাইক চালিয়ে আমরা শিলিগুড়ি পৌঁছনোর আগেই ঠিক করলাম আমরা নক্সালবাড়ি, পাঙ্খাবাড়ি দিয়ে কর্শিয়ং যাবো। এই রাস্তার প্রাকিতিক সৌন্দর্য্য অবর্নিয় দুপাশে শুধুই চা বাগান আর দুরে পাহাড়। প্রায় ৪০ কিমি বাইক চালানোর পর পাহাড় শুরু হয়ে গেলো আর জীবনের প্রথম পাহাড়ে বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করা শুরু। পাঙ্খাবাড়ি থেকে কর্শিয়ং প্রায় ১০ কিমি আর রাস্তা অনবদ্য, শুধুই পাক খেয়ে আমরা পৌঁছলাম কর্শিয়ং। সেই বিখ্যাত টয় ট্রেন লাইনের পাশ দিয়ে বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা লিখে বোঝাতে পারবো না, মনে হচ্ছে কোনো সিনেমার শ্যুটিং চলছে আর সেখানে আমি হিরো । কর্শিয়ং থেকে জোরবাংলো প্রায় ২৪ কিমি আর তারপর ডানদিকে তিস্তা বাজার রাস্তা ধরে আরো ৯ কিমি বাইক চালিয়ে 6th মাইল পৌঁছলাম আর রাস্তায় প্রচুর বৃষ্টি তাই কাকভেজা হয়ে homestay তে ঢুকলাম। লামাহাটা থেকে ২ কিমি 6th মাইল। এর পরের পর্বে 6th মাইলের প্রাকিতিক সৌন্দর্য্য আর হমেস্টের বিবরণ দেবো। ধন্যবাদ
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |