বুদ্ধগয়াতে শান্ত ও মনোরম পরিবেশে বোধিলাভের সন্ধানে অফিসের কাজের ফাঁকে কয়েকদিন ধরে কোনো শান্ত ও ধর্মীয়স্থানে যাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছিল। সেই ইচ্ছা থেকেই হটাৎ আমি (সুমন) ও সৌরভ এক শুক্রবারে রাত 11.48 তে হাওড়া স্টেশন থেকে যোধপুর এক্সপ্রেসে উঠে পরেরদিন সকাল 6.30 তে গয়া স্টেশনে নামলাম। জলযোগ করে একটা অটো নিয়ে ঘন্টাখানেকের মধ্যে পৌছালাম 30 কিমি দূরে ছিমছাম শহর বুদ্ধগয়াতে। বিহার ট্যুরিজমের হোটেল সিদ্ধার্থ বিহার আগে থেকেই বুকিং ছিল। সেখানে সুপার ডিলাক্স রুমে (ভাড়া 1500 প্লাস ট্যাক্স) স্নান সেরে হেঁটে দেখতে বেরোলাম নিকটবর্তী 25 মিটার বুদ্ধমূর্তি ও বাংলাদেশ মনেস্টরি। এখানে অনেকগুলি মনেস্টরি আছে যেখানে পরিবেশ খুবই সুন্দর এবং প্রত্যেকটির মধ্যেই সাজানো গোছানো সুন্দর বুদ্ধমূর্তি আছে। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ সেরে অল্প ঘুমিয়ে বিকালে দেখতে বেরোলাম নেপালি মনেস্টরি ,ভুটানি মনেস্টরি , সিকিম মনেস্টরি , ফুলের বাগান হয়ে একদম মহাবোধি মন্দিরে যা বুদ্ধগয়ার মূল আকর্ষণ। সম্রাট অশোকের তৈরি এই মন্দিরের গঠনশৈলী ও সৌন্দর্য আপনাকে স্তম্ভিত করে দেয়ার পক্ষে যথেষ্ট। মূল মন্দিরে অপূর্ব বুদ্ধমূর্তি ছাড়া পিপুল বৃক্ষ, যার নিচে বসে ভগবান বুদ্ধ বোধিলাভ করেছিলেন সেটি এবং আরো কয়েকটি ছোট ছোট মন্দির রয়েছে যা দেখতে ভালো লাগবে, এছাড়া রয়েছে মুছলিন্দা লেক। মন্দিরে বসে ধ্যান করলে কোথা দিয়ে যে সময় কেটে যায় বোঝা যায় না। কিছু সময় পর বেরিয়ে পাশেই বাবা রেস্টুরেন্টে ডিনার করে আমরা হোটেলে গিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো বিহার ট্যুরিজমের অপর একটি হোটেল আছে পাশেই, সুজাতা বিহার। সেখানে ডর্মিটরির সুব্যবস্থা আছে। আর বুদ্ধগয়াতে বেশ কিছু দারুন তিব্বতি ও থাই খাবারের দোকান আছে। ঝাল মসলায় আপত্তি না থাকলে ভালো লাগবে। ট্রাই করতে পারেন ।পরেরদিন ভোরবেলা উঠে জলযোগ করে আমরা গেলাম সুজাতা লেক, আর্কিওলজিকাল মিউজিয়াম , থাই মনেস্টরি , চাইনিজ মনেস্টরি , তিবেটিয়ান মনেস্টরি,ভিয়েতনাম টেম্পল, বার্মিজ টেম্পল। এরপর মার্কেট থেকে কিছু কেনাকাটা করে হোটেল থেকে লাঞ্চ প্যাক করিয়ে নিয়ে অটো করে রওয়ানা দিলাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে। 11.28 এর লালকুয়ান এক্সপ্রেসে চড়ে সন্ধ্যা 7 টাই পৌছালাম হাওড়া। পিছনে রেখে এলাম মনমুগ্ধকর কিছু স্মৃতি। Post By:-Suman Datta
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |