পৃথিবীর বড় অসুখ এখন। কারণে-অকারণে মন অশান্ত হয়ে থাকে। শান্ত করতে কখনো প্রকৃতি, কখনো বা ঈশ্বরই ভরসা। নিজেকে সেখানে সমর্পণ ছাড়া গতি নেই যেন।
কলকাতার মধ্যেই এই দুর্গা মন্দির। মেট্রোপলিটন বাইপাসের কাছেই একদম। খুব বেশি প্রচার পায় নি এখনো। তাই জানাতে এলাম মন্দির নিয়ে। মূল আরাধ্য দেবী মা দুর্গা। অপরূপ সুন্দর ধাতুর তৈরি মূর্তি। সাথে মায়ের সাঙ্গপাঙ্গরা তো রয়েছেই। এছাড়া চারিধারে হনুমান, কালি, শিব এবং রাধাকৃষ্ণের মন্দির রয়েছে। ঝাঁ চকচকে মন্দির চত্বর। ফুরফুরে হাওয়া ফাউ হিসেবে মন ভরিয়ে দেবে। সারাদিনে চারবার মায়ের পুজো হয়, সাথে আরতি। ভোর 6.30, সকাল 9.30, দুপুর 12.30 এবং সন্ধ্যা 7 টা। সন্ধ্যার আরতি দেখতে বেশ লাগে। যেকোন দিন একটিবার গিয়ে দেখে আসতে পারেন। কথা হচ্ছিল মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বিশ্বরঞ্জন চক্রবর্তীর সাথে। সকালে সবে তিনি পুজোতে বসেছেন। প্রসাদ দিলেন নিজে হাতে করে, সাথে লাড্ডুও পেলাম একটা ঘিয়ে ভাজা। বলছিলেন- "বিশেষ বিশেষ দিনে ভোগের ব্যবস্থা থাকে এখানে। সেদিন সবাই প্রসাদ পায় পেট ভরে। ভোর 5.30 থেকে দুপুর 1 টা পর্যন্ত খোলা। আবার বিকেল 4 টে থেকে রাত 10 টা।" মন্দিরের চারিধারে পরিবেশটাও বেশ মুগ্ধ করার মত। দুই দিকে দুটো পুকুর রয়েছে বিশালাকার। পন্ডিত মশাই বলছিলেন, ওই পুকুর দুটোর নাকি নামও রয়েছে। একটি রাধকুন্ড, অন্যটি শ্যামকুন্ড। সন্ধ্যায় বেশি মনোরম লাগে পরিবেশ আরো। আর পুজো শেষে মায়ের ভোগ তো রয়েছেই। কখনো অন্য ভোগ, কখনো লুচি হালুয়া। তবে আর দেরি না করে একবার চলেই যান এই দুর্গাবাড়িতে। মনে এক প্রসন্নতা নিয়ে ফিরে আসবেন, গ্যারান্টি।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |