আজ আমি যে ভ্রমণ কাহিনী শুরু করছি, সেই জায়গাটার নাম অনেকেই শুনেছেন, আবার অনেকের কাছে এটা OFF-BEAT. কোন জায়গা? ওড়িশার ভিতরকণিকা। সময়টা ছিল ২৬ থেকে ২৯ শে ডিসেম্বর ২০০৮।আমাদের এই ভ্রমণটি ছিল ৪দিন ৩ রাতের। এবং সেই আমার ডায়েরি থেকে। তবে একটা কথা বলি, এই ভ্রমন কাহিনীটি আমি ছোট ছোট পর্বে ভাগ করেছি, যাতে পড়তে সময় লাগবে খুব অল্প এবং অবশ্যই ভালো লাগবে ......
আমাদেরই লোকাল একজন ট্যুর অপারেটর এর উদ্যোগে হাওড়া থেকে ১ঃ৪০ টার হাওড়া-ভূবণেশ্বর জন শতাবদি এক্সপ্রেস ধড়ার জন্য ১২ জনের একটি দল টাটা সুমতে করে ঠিক একটায় গিয়ে হাজির হলাম। ট্রেন ছাড়লো ঠিক সময়ে। প্রথম দিনঃ-হাওড়া থেকে ছাড়ার পর ট্রেনের প্রথম দাঁড়াল খড়গপুরে। তারপর আরও কয়েকটি station যাওয়ার পর পড়ল কেলেঘাই নদী, যেটা কয়েকদিন আগে বন্যায় ভেসে গিয়েছিল। এবার ট্রেন ঢুকে পড়ল ওড়িশাতে। ওড়িশাতে ঢুকে প্রথম দাঁড়াল ‘জলেশ্বর’ station এ। সিগন্যাল না পাওয়ার জন্য কয়েকটি station এ দাঁড়ালেও শেষে চলে এলাম station বালাসর এ। না এটা আমাদের গন্তব্য station নয়, আমরা চলে এলাম ‘ভদ্রক’ station এ। এখানে সবাই নেমে পড়ার পর আমদের ট্যুর operator সুমন দা গেল গাড়ী ঠিক করতে। আমরা ঠিক সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ টা নাগাদ station থেকে আমাদের গন্তব্য ‘চাঁদবালি’। চাঁদবালি থেকে ভিতরকনিকা কাছে পরে। ভদ্রক থেকে চাঁদবালির দূরত্ব ৫৩ কিমি। সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টার কাছাকাছি। চাঁদবালি যেতে যেতে আমরা ইছাপুর নামক একটি জায়গায় থামলাম, টিফিন করার জন্য। চা ও ফুলকপি দিয়ে টিফিন করে রওনা দিলাম চাঁদবালির উদ্দেশে। ট্রেনে আসার পথে সুমন দা আমাদের একটা বাক্সে কমলালেবু, মোয়া ও চিড়ে ভাজার প্যাকেট এনে দিল। একজন কাকিমা বাড়ী থেকে সকলের জন্য লুচি ও আলুর দম করে এনেছিলেন। আমি বাড়ী থেকে পারোটা আর আলুর দম দিয়ে দিয়েছিল, তাই দিয়ে সকলে মিলে ভাগযোগ করে খাওয়া হয়েছিল। আমরা চাঁদবালি এসে পউছালাম রাত ৮ঃ৩০ টায়। এরপর হাত মুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে নিলাম। আমরা উঠেছিলাম বৈতরণী নদীর একদম ধারে ‘সুরয গেস্ট হাউস’এ। রাত ১০ঃ৩০ টা নাগাদ আমরা রুটির সঙ্গে মাংস সহযোগে রাতের খাবার খেলাম। সঙ্গে ছিল আলু ভাজা ও আলু ফুলকপির তরকারি। এরপর ১১ টা নাগাদ শোয়া হল, সঙ্গে শেষ হল ২৬ শে ডিসেম্বরের যাত্রা পথ।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |