পাহাড়ে ঘোরার জায়গা গুলোর ২ রকমের রূপ । শীতে বরফ আর শরৎ এ নীল আকাশ এর সাথে রং এর খেলা । সেই রূপ এর টানেই আবার ও আমার ছুটে চলা সিকিম । ৬ মাস আগে দূর্গা পুজোর সময়ে একবার ঘুরে এসেছি সিল্ক রুট এ । দোল এর chute তে আবার ও প্ল্যান । কয়েকটা সঙ্গী পেয়ে গেলাম যে । দোটানা ছিল পয়সা নষ্ট করে এক জায়গা দুবার যাওয়ার মানে আছে কিনা কিন্তু যা দেখে এলাম তা সত্যি ই ভাবতে পারিনি ।
ট্রেন এ টিকেট পাইনি তাই অগত্যা বাস এর টিকেট । NBSTC এর বাস এর টিকেট কাটলাম কিন্তু যা শিক্ষা হলো আর কোনওদিন নাম ও মুখে আনব না । টিকেট ক্যানসেল এর টাকা আজ ও ফেরত পেলাম না ১৮ দিন পরেও । যাক প্রথম দিন শিলিগুড়ি থেকে চলে এলাম আরিতার । দুপুরে খাওয়া শেষ হতেই বেরিয়ে পড়লাম মানখিম ভিউ পয়েন্ট এর উদ্দেশে । বিকেল টা ওখানে সময় কাটিয়ে আরিতার মনাস্ট্রি দেখে সেদিন এর মতো ঘোরা শেষ ।
পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে আরিতার লেক ঘুরে রঙলি এলাম । এখানে পার্মিট পাওয়া গেলো জুলুক এর ওপর অবধি । প্রবল তুষারপাত এর জন্য কুপুপ অবধি যাওয়া যাবে না । খারাপ লাগলেও কিছু করার নেই । কুইখোলা ফলস হয়ে এসে পৌছালাম ফাদমচেন এ ।
তৃতীয় দিন টা ভীষণ ই উত্তেজনা র । বরফ দেখবো বলে কথা । জুলুক হয়ে রাস্তা শুরু হতেই দুপাশে বরফ শুরু । জিগজ্যাগ ভিউ পয়েন্ট এ এ কিছুক্ষন ছবি তুলে আবার ওপরের দিকে এগোলাম । কিন্তু একটু গিয়েই গাড়ি আর রাজি নয় যেতে । কোনো গাড়ি যাচ্ছে না । যদিও বরফ ও অনেক এখানে । কিছুক্ষন পর কয়েকটা গাড়ি একসাথে থামবি এর দিকে ওঠা শুরু করলো । আমরাও পিছু নিলাম । থামবি পৌঁছে প্রচুর বরফ পেলাম আর দেখলাম বেলচা দিয়ে রাস্তা থেকে বরফ তোলার কাজ চলছে । কাজেই গাড়ি আর কিছু তাই যাবে না । সাহস করে এবার হাঁটা শুরু করলাম । প্রায় ২ কিলোমিটার মতো রাস্তা নিজেরা এলাম আর সাথে কেউ ই ছিল না । শুধু ৬ জন এ আর যাওয়া টা ঠিক হবে না ভেবে আবার থামবি ফিরে এলাম । যা বরফ দেখলাম এই টুকু সময়ে সারাজীবন মনে থাকবে । ভেবেই অবাক হচ্ছিলাম এই রাস্তা তাই ৬ মাস আগে কুপুপ অবধি ঘুরে এসেছি পুরো পরিষ্কার আর আজকে পুরো বরফ ঢাকা । থামবি তে গরম কফি খেয়ে ফিরে এলাম ফদমচেন । আর কি বেড়ানো শেষ । বাড়ি ফেরার পালা । আবার সেই বাস এর পুশব্যাক সিট্ এ গা এলিয়ে কলকাতা ফেরত ।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |