লাটপান্চার ভ্রমন এবার আমাদের গন্তব্য ছিল লাটপান্চার, উদ্দেশ্য পাখী দেখা আর ছবি তোলা। টিকিট তো কাটাই ছিল আগে। গত শুক্রবার আমরা দার্জিলিং মেল ধরে শনিবার সকাল 8 টায় পৌছলাম New Jalpaiguri তবে এবার আর ব্যাচেলর ট্রিপ করা যায় নি। গাড়ি নিয়ে সোজা সেবক, breakfast সেরে 1 ঘন্টায় লাটপান্চার পৌছলাম। পথে বেশ কিছু কমন species পেলাম। একটু ফ্রেশ হয়ে লান্চ সেরে গেলাম Mahananda Wildlife Sanctuary। ঘন জংগল চারদিকে, শুনশান, কিছু পাখির আওয়াজ ছাড়া কোন শব্দ নেই। গাড়ি যেখানে থামল তার পর থেকেই গভীর জংগল। আনন্দ সহকারে হাটা শুরু করতেই ড্রাইভার আর গাইড এর সতর্কবানী বেশিদূর যাওয়া যাবে না কারন ওটা কোর এরিয়া। আগের দিন নাকি রাস্তায় হাতি দেখা গেছে। BDO সাহেবকে তাড়া করেছিল। বেশ মনমরা হয়ে পড়লাম। আমার ছেলে (3 years) এর মধ্যে গাড়িতে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল, আর আমরা আশেপাশে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। যদিও ভাল কোন ছবি পাওয়া গেল না, ঘন জংগল এর কারন এ। পরদিন ভোরবেলা আমাদের আবার জংগল যাত্রা শুরু হল, তবে শুধু ছেলেরা। উদ্দেশ্য Rufous Necked Hornbill ( Endangered) ক্যামেরাবন্দি করা। অনেক টিম ছিল সেদিন, প্রত্যেক টিম এর সাথে আলাদা আলাদা গাইড, কারন গাইড ছাড়া ওদের ডেরা খুজে পাওয়া সম্ভব না। গ্রাম ছাড়িয়ে পাহাড় বেয়ে অনেক নীচে নামার পর ঘন জংগল এর মধ্যে এক জায়গায় বসলাম। সব টিম ই জড়ো হল ওখানে। এরপর শুরু হল অনন্ত প্রতীক্ষা, কখন যে তেনারা আসবেন কেউ জানে না। কিন্তু বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হল না, একটা পাখী এসে বসল গাছের ডাল এ। তারপর আর একটা, তারপর আর একটা, মোট 4 টে পাখির দেখা পেলাম। সবাই মনের আনন্দে ছবি তুললাম। দুপুরে লান্চ এর পর আবার সবাই মিলে বের হলাম। মেন রাস্তা ধরে হাটতে লাগলাম। ছোট্ট গ্রাম টা শেষ হতেই গাছপালা শুরু হল। পাখিও পেলাম বেশ কিছু। এদিকে হোটেলে ফেরার পর সবার খুব খিদে পেয়ে গেছিল। ঠিক করলাম মোমো খাব, জিগেস করে জানা গেল একটাই দোকান আছে কিন্তু প্রায় 1 কিমি দুরে। তাতে কি, আমরা হেটেই বেরিয়ে পরলাম। চারদিক ঘুঠঘুটে অন্ধকার, টর্চ নিয়ে হাটছি, সন্ধ্যা 7 টায় মনে হচ্ছে মাঝরাত, কোনো লোকজন নেই রাস্তা ফাকা। দারুন পরিবেশ, উপরি পাওনা ঝকঝকে চাঁদের আলো, দূরে পাহাড় এর লাইট দেখা যাচ্ছে। এই 1 কিমি হাঁটা টা অনেকদিন মনে থাকবে। পরদিন সকালে আমারা আবার ছেলেরা মিলে অন্য দিকে গেলাম। উদ্দেশ্য অন্য angle থেকে ছবি তোলা। কিন্তু এদিন আর তাদের দেখাই পেলাম না কাছ থেকে। মাথার অনেক ওপর দিয়ে কিছুক্ষন ওড়াউড়ি দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। সেদিন রাতে আমাদের থাকার কথা ছিল অহলদাড়া, যেখান থেকে 360 degree view পাওয়া যায়, একদিকে কান্চনজন্ঘা রেন্জ আর অন্য দিকে তিস্তা। কিন্তু বেলা থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আমরা রাত্রিযাপন এর প্ল্যান ক্যানসেল করলাম, গাড়ি নিয়ে ঘুরতে গেলাম কিছুক্ষন এর জন্য। পথে নামথিং লেক দেখলাম। অহলদাড়া যখন পৌছলাম তখন বেশ বৃস্টি হচ্ছে, চারদিক সাদা, প্রচন্ড ঠান্ডা হাওয়া। বেশিক্ষন ওখানে কাটানো গেল না। পরদিন আমরা ব্রেকফাস্ট করে একদম চেক আউট করে বেরিয়ে পড়লাম। প্রথম গেলাম Shivkhola Adventure Camp, মনমুগ্ধকর জায়গা। অপরূপ নদীর সৌন্দর্য্য। চারদিকে উঁচু পাহাড়। কিছু সময় কাটিয়ে আমরা লান্চ সেরে New Jalpaiguri দিকে রওনা হলাম। ফেরার ট্রেন ধরতে হবে যে। Post By-Soumik Sett
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |