লিখবো এবার গঙ্গাসাগর নিয়ে হঠাৎ ই ঠিক করাহোল গঙ্গাসাগর যাব, তাই সুযোগ সুবিধা মতো ঠিক করলাম শুক্রবার দুপুরে বেরিয়ে রবিবার ফিরব, সেইমত শুক্রবার বেলা 1:20 pm এর নামখানা লোকাল ধরলাম শিয়ালদা থেকে ,টিকিট কেটে নিয়েছিলাম সোদপুর থেকে ,ভাড়া 30 টাকা, প্রায় 3:45pm এ নামলাম কাকদ্বীপ স্টেশনে, সেখান থেকে টোটো(টুকটুক) নিয়ে 8 no গেট ,টোটো ভাড়া মাথাপিছু 20 টাকা,পৌঁছলাম জেটি ঘাট (15/20মিনিট), কচুবেরিয়ার টিকিট কাটলাম জনপ্রতি 8 টাকা, আধ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হলো কারণ আমরা আসা মাত্রই একটা ভেসেল ছেড়ে যায়, যাইহোক 45 মিনিটের ভেসেল যাত্রা মনে থেকে যাবে কারণ শয়ে শয়ে সাদা ধপধপে পরিযায়ী পাখী আমাদের পিছু নিল খাবারের আশায়, আমরাও খাবার ছুঁড়ে দিতে লাগলাম,45 মিনিট পর ভেসেল থামলো কচুবেরিয়ায়, ওখানে tata ম্যাজিক গাড়ী ঠিক করলাম গঙ্গাসাগর ভারত সেবাশ্রম পর্যন্ত, ভাড়া400 টাকা(8জন ছিলাম),ভারত সেবাশ্রম এ দুটি ঘর বুক করলাম,ডোনেশন চায় ঘর প্রতি 250 টাকা, তো আমরা নীচে দুটো ঘর পেলাম, দরজা খুলতেই বোঁটকা গন্ধে দম আটকে যাবার যোগাড়, বাথরুমে র হাল ও সেরকম, এদিক ওদিক আরশোলার ছুটোছুটি, মহারাজ কে বলে ঘর বদলে দো তলায় 14 এবং15 no ঘর নিলাম, ওটাও প্রায় একই শুধু বাথরুমে টাইলস লাগানো, এই যা। যাইহোক আমি রুম ফ্রেশনার নিয়ে গেছিলাম বলে কিছুটা রেহাই,আর হ্যাঁ, ওখানে চাদর দেয় তবে আমরা ডাবল বেড চাদর নিয়ে গেছিলাম (আপনারা গেলে এইজিনিস গুলো নিয়ে যাবেন) ,তাই অন্তত পরিস্কার চাদরে শুতে পাই।অতঃপর মন্দিরের কাছে গেলাম, হেঁটেই যাওয়া যায়।মন্দির তখন বন্ধ,কিছুক্ষণ বসে আবার চলে আসলাম, তবে মন্দিরের কাছে সাগর কটেজ আছে, সেটা খুব সুবিধা জনক ,রেট 500/600,। আশ্রমে ফিরে এসে আশ্রমে ঢুকতে বাঁ দিকের হোটেল টায় ডিনার করলাম, রান্না খুব ভালো না, সন্ধ্যে বেলায় ভারত সেবাশ্রমে আরতি হয়।সেদিন রাত টা কাটিয়ে পরদিন সকালে কপিল মুনির মন্দিরে গেলাম,ওখানেই যারা টিফিন করার করে নিলাম,8 am থেকে ভারত সেবাশ্রম এ দুপুরের ভোগের কূপন কাটতে হয়(rs 30/head, বাচ্চা দেড় লাগেনা) তাই আবার আশ্রমে ফিরে কূপন কেটে স্নানের জামাকাপড় নিয়ে চলে গেলাম মন্দিরের কাছে, সেখানে ইতি উতি ঘুরে 11 am নাগাদ সাগরে পুণ্য স্নান করে মন্দিরে গেলাম পূজো দিতে, পূজো ভালো ভাবেই দেওয়া গেল( বীচে মহিলাদের কাপড় ছাড়ার জায়গা আছে(rs10/head,চেয়ার ভাড়া 20 টাকা) ।মন্দিরের আগে অনেক সাধুদের কুঠিয়া আছে, নিজেদের খরচে বানাতে হয়।তো এরকমই এক সাধুর সাথে আলাপ করলাম(মন্দিরে ঢুকতে ডানদিকের row এর প্রথম সাধু, শিবের উপাসক) ।আমার বরাবরই সাধুদের প্রতি একটু টান আছে।তো জিগ্যেস করাতে বললেন উনি বাঙ্গালী, পূর্ব জীবনের কথা বলতে চাইলেন না, তবু কথা প্রসঙ্গে বললেন ওনার বাড়ী ছিল ফরিদপুর(আর আমাদের ঢাকা) ,বাড়ীর এক ছেলে,18 বছর বয়সে ঘর ছেড়েছে, আর এখন বয়স 104/105 বছর, (26 বছর অমরনাথে সাধনা করেছেন, )তবে দেখে বোঝার উপায়নেই, এনাদের ponds age মিরাকল লাগেনা, বা horlicks/bournvita ও খায় না।জীবনের অনেক প্রশ্নের সমাধান বলে দিলেন, কিছু ফল দিলে উনি সাথে সাথে পূজো দিয়ে আমাদের প্রসাদ দিলেন।এদিকে আশ্রমে ভোগের সময় হয়ে যাওয়ায় বিকালে আসব বলে বিদায় নিলাম।আশ্রমে12:30 pm থেকে ভোগ দেয়, ভোগ খেয়ে দু ঘন্টা বিশ্রাম করে 4 pm এ গেলাম সাইড সিন দেখতে গাড়ী ভাড়া করে,তেমন কিছু দেখার নেই,(লাইট হাউস, মিশন, দিদি এক কোটি টাকা দিয়ে বাংলো বানিয়েছে সেটা) এরপর মন্দিরের কাছে নেমে গেলাম,ওখানে সন্ধা আরতি দেখে সবাই যখন এদিক ওদিক ঘুরছে তখন আমি আবার সাধু বাবার কাছে, কাল চলে যাবো বলতে বললেন যাওয়ার আগে সকালে যেন দেখা করি, তো রাতে আবার আশ্রমের কাছে ফিরেএলাম, আজ আর আগের হোটেলে না খেয়ে হোটেল ক্ষণিকা তে খেলাম, রান্না বান্না ভালোই।পরদিন ফেরার পালা, রাতে ঘুম ভালোই হলো, যদিও আমি সব জায়গাতে থাকতে পারি তবু রুম ফ্রেশনার টা কাজে লেগেছিলো।পরদিন সকালে মন্দিরের পিছনে হেলিপ্যাড টা দেখতে গেলাম, দেখেএসে টিফিন করে নিলাম, আমি কিছু ফল কিনে আবার চলে গেলাম সাধু বাবার কাছে,আর একের পর এক প্রশ্ন করে চলেছি, ওনার কোন বিরক্তি নেই। উনি বললেন মাঝে মাঝে আসতে,আর গেলে যেন পূর্ণিমার আগের দিন গিয়ে পূর্ণিমার দিন স্নান করে পূজো দিই,যাইহোক ওনার আশীর্বাদ নিয়ে বিদায় নিলাম।আশ্রমে কূপন কেটে রেখেছিলাম।যথাসময়ে প্রসাদ খেয়ে ওনাদের চাদর, কম্বল বুঝিয়ে দিয়ে বেরিয়ে এলাম।গাড়ী আগেই বলে রেখেছিলাম(tata ম্যাজিক) বেনুবন যাব(ফেরি ঘাট নামখানা যাবার জন্য) কচুবেরিয়া গেলাম না কারণ ভাটা তে ভেসেল বন্ধ থাকে, বেনুবন থেকে ভুটভুটি তে উঠলাম ,ভাড়া25 টাকা, পুরো এক ঘন্টার জার্নি।নামখানা তে নেমে টোটো করে নামখানা স্টেশন rs10/head। 4:33 pm এ ট্রেন।যদিও বলে সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার ,তবু আমার আবার যাবার ইচ্ছে রইলো ।। Post By:- Soumen Das
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |