এবারের গন্তব্য ছিল লখনৌ এর ব্রিটিশ রেসিডেন্সি।গোমতী নদীর ধারে হজরত বেগম পার্ক এর কাছেই এই ব্রিটিশ রেসিডেন্সি র ধ্বংসাবশেষ আজও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে।1800 খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন আওয়াধ এর নবাব সাদাত আলী ব্রিটিশ শাসকদের তুষ্ট করার জন্য এই মহল গুলি বানিয়ে দিয়েছিলেন।ব্রিটিশ শাসক রা এখানে থেকেই তখন শাসন কার্য চালাতেন।তবে এই বাড়িটার ইতিহাস সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ1857 সালে।সে সময় সারা দেশ জুড়ে সিপাহী বিদ্রোহের দামামা বেজে উঠেছে।আর সেই সিপাহীরাই ক্রমান্বয়ে আঘাত হানতে থাকলেন এই রেসিডেন্সি র ওপর।চারিদিক থেকে বহু ইউরোপীয় আশ্রয় নিলেন এর ভিতরে।মারা গেলেন বহু ব্রিটিশ আধিকারিক।ভারপ্রাপ্ত জেনারেল মিঃ লরেন্স শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য রক্ষা করার জন্য।কিন্তু কর্তব্যরত অবস্হায় তিনি অবশেষে প্রাণ হারান ভারতীয় সেপাই দের গোলার আঘাতে।এমনকি চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় গোলার আঘাতে প্রাণ হারান শ্রীমতি সুসানে।আজও সারা বাড়িটিতে সেইসব গোলা গুলির দাগ স্পষ্ট বিদ্যমান।রয়েছে একটি খুব সুন্দর মিউজিয়াম।আমার রোমাঞ্চ হচ্ছিল এখানে এসে যখন সেই টেলিগ্রাফ গুলো দেখছিলাম যেগুলো তৎকালীন ব্রিটিশ আধিকারিকরা তাঁদের উর্ধতন কতৃপক্ষ কে সাহায্যের আর্তি জানিয়ে করছিলেন,আর বাইরে সমানে গোল বর্ষণ করে চলেছেন ভারতীয় সিপাই রা।নেতৃত্বে রয়েছেন নানা সাহেব,তাঁতিয়া টোপি, রানী লক্ষী বাই এই মতো ব্যক্তিত্ব রা।আর এই হুঙ্কার উঠেছিল এই বাংলা থেকেই মঙ্গল পান্ডের মতন মহান সিপাহীর কণ্ঠে।রেসিডেন্সি র ভেতরকার সাদা ব্রিটিশ মুখগুলো তখন ভয়ে ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছে।প্রায় 3মাস ধরে চলেছিল এই লড়াই।
শুধু ভাবি সাফল্যের এত কাছে এসেও সিপাহী বিদ্রোহ সফল সফল হলোনা কেন।তাকি ভারতের অন্যান্য ছোট ছোট রাজাদের মধ্যে ঐক্য আর বোঝাপড়ার অভাব?নাকি তৎকালীন নবাবদের ব্রিটিশদের প্রতি তৈল মর্দন করার প্রবণতা?যাই হোক ইতিহাস সে উত্তর দেবে।আপাতত আবার ভ্রমণে ফিরে আসি।এখানে সাধারণ দর্শকদের জন্য সিপাহী বিদ্রোহের সময়কার ইতিহাদ নিয়ে তথ্যচিত্র দেখানো হয় হিন্দি ও ইংরেজী তে।সময় না থাকায় টা দেখতে পায়নি।সময় সূচি ছবিতে দিলাম।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |