সেই সুন্দরী বাঘের আনাগোনা থেকেই যাওয়ার ইচ্ছে ছিল সাতকোশিয়া। বাঘ এখন গভীর জঙ্গলে যদিও, কিন্তু কোজাগরী চাঁদ তো কেউ আটকাতে পারবেনা! ছটকেই ক্যাম্প খালি না পেলেও বাঘামুন্ডা পেয়ে গেলাম। রাত ১১ টা নাগাদ যাত্রা শুরু, গাড়িতে ৩ জন মিলে। কটক অব্ধি রাস্তা মোটামুটি ভালো। অবশ্য বেশ কিছু জায়গায় কাজ চলছে আর মাঝে মধ্যে গর্ত আছেই। তবে যারা এর মধ্যে দার্জিলিং এর রাস্তায় গেছেন তাদের জন্য এই রাস্তা স্বর্গ। ত্রিসুনিয়া থেকে আটঘারা হয়ে রাস্তা অসাধারণ। ফরেস্ট চেকপোস্টে কাগজ দেখিয়ে সকাল ১১ টা নাগাদ ঢুকে পড়লাম Satkosia Tiger Reserve । ওখান থেকে প্রায় ৯ কিমি. গেলে আরেকটা চেকপোস্ট। তারপর আধা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে মেঠো রাস্তা ধরে প্রায় ৭ কিমি গেলে বাঘামুন্ডা ক্যাম্প। জঙ্গলের রাস্তা টপকে দুটো হরিণ লাফ মেরে পেরিয়ে গেল। আশা ছিল পেছনে তাড়া করা বাঘটাও হয়ত দেখা যাবে। বিধি বাম। যাকগে।
ক্যাম্পের বাইরেটা বেশ পরিপাটি সাজানো। AC,Geyser থাকলেও রুম গুলো আরও একটু পরিছন্ন হতে পারত। কাঠের আগুনে রান্না বেশ ভালো, যদিও মেনু সীমিত।
রাত্রে বারান্দায় বসে কোজাগরী চাঁদের আলোয় ভেসে যাওয়া জঙ্গল, অজানা রাতচোরা পাখির ডাক, হালকা কিশোর কুমার আর কিছু পানীয়র মিশেল, আহা সহজে ভোলার নয়। যাকগে। মেঠো পথে হেঁটে গেলে চারপাশে প্রচুর রংবেরঙের প্রজাপতি, রূপকথার মতন। আরেকটা মজা হল রাত্রে নিজেদের গাড়িতে একটু জঙ্গলের পথে ঘুরেও আসতে পারেন। বাঘ হয়ত নেই, তবে হাতি আছে,সাপ আছে আর আছে প্রবল পরাক্রমী মশককুল। কিছু থাক না থাক, জঙ্গলের গন্ধ প্রাণভরে নিতে একবার ঘুরেই আসুন না। ভালই লাগবে।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |