কিছুদিন আগে ঘুরে এলাম বর্ধমান জেলার অন্তর্গত কাটোয়ার বিখ্যাত ৫১ সতীপীঠের এক অন্যতম পীঠস্থান যোগাদ্যা দেবী মায়ের মন্দির থেকে। জনশ্রুতি এখানে দেবিমায়ের ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি পড়েছিল।
এখানে সতী মাতা যোগাদ্যা রূপে পূজিতা হন। কিন্তু প্রাচীন যোগাদ্যা মূর্তি কোনোভাবে হারিয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী সময়ে বর্ধমান রাজ কীর্তিচন্দ্র এই ক্ষীরগ্রামে যোগাদ্যা মায়ের নব মূর্তি স্বপ্নাদেশ পেয়ে নির্মাণ করেন, তার সাথে এই ক্ষীরগ্রামে দেবীর মন্দির ও নির্মাণ করে দেন। এখানে দেবী যোগাদ্যা দশভূজা মহিষমর্দিনী রূপে পূজিতা হন। এই মূর্তি সারা বছর পার্শ্ববর্তী ক্ষীরদীঘির জলে ডুবে থাকে, কেবলমাত্র বছরে ৪ দিন জল থেকে তুলে মন্দিরে এনে পুজো করা হয়। কিন্তু প্রাচীন হারিয়ে যাওয়া মূর্তিটি পরবর্তী সময়ে দীঘি সংস্কার এর সময় ফের খুঁজে পাওয়ার ফলে দুটি মূর্তি সমান ভাবে পূজিত হয়, এবং সে কারণে বর্তমানে নব নির্মিত মন্দিরও নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু মূর্তি জনসমক্ষে আনা হয় কেবলমাত্র পূর্বে উল্লিখিত ৪ দিন, এই দিনগুলি হলো ৩১ বৈশাখ, ৪ জৈষ্ঠ্য, ১৫ পৌষ, ও আষাঢ়ী নবমী, তবে সাধারণ ভক্ত বৃন্দের মাকে দেখার সৌভাগ্য মেলে কেবলমাত্র ৩১ বৈশাখ বা ১৫ মে। আমরা মাকে তাই দর্শন করতে পারিনি, তবে মূল মন্দির ও স্থান মাহাত্ব দর্শন করতে পেরেছি, তাই বা কম প্রাপ্তি কোথায়?
কীভাবে যাবেন :-
কাটোয়া-বর্ধমান রেলপথে কাটোয়া থেকে ১৭ কিমি, বর্ধমান থেকে ৩৬ কিমি দূরে কৈচোর স্টেশন। স্টেশন থেকে বাস , রিক্সা বা টোটো তে ৪ কিমি যেতে ক্ষীরগ্রাম এর পশ্চিমে দেবী যোগাদ্যা উমার মূল মন্দির ও সেখান থেকে মিনিট ১০ হাঁটা পথে দেবীর নব নির্মিত মন্দির দেখে নিতে পারেন। তার পাশেই অবস্থিত ক্ষীরদীঘির বুকে জলমন্দির, যেখানে বছর এর বাকি সময় দেবী মায়ের অধিষ্ঠান। সকালে বেরিয়ে সারাদিন ঘোরার পক্ষে এক আদর্শ ভ্রমণ হয়ে উঠতে পারে কাটোয়ার অন্তর্গত মা_যোগাদ্যা_দেবীর_মন্দির। মন চাইলে জয় মা বলে বেড়িয়ে পড়ুন, আশা করি ভালই লাগবে। সকলের সুবিদার্থে আমার তোলা কিছু ছবি গ্রুপে শেয়ার করলাম।আশা করি আপনাদের মন্দির সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেবে। এছাড়া ভোগ পেতে চাইলে ১২ টার মধ্যে মন্দির গেলে ভোগ গ্রহণ করতে পারেন। নিরামিষ ভোগ, কিন্তু অসাধারণ তার স্বাদ। কুপন মূল্য ₹৫০। জয় মা বলে একবার ঘুরেই আসুন না।।।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |