।।চাঁদের ভেলায় বেথুয়াডহরী।।
এক্কেবারে শেষ মুহূর্তে চেপে ধরল বন্ধুরা, দোলে কোথাও একটা যেতেই হবে – সময় হাতে মাত্র একটি দিন। খুব একটা ভিড়ভাট্টা চলবে না একেবারেই। মহা ধন্দে পড়লাম। মনে পড়ল সম্ভবতঃ এই গ্রুপে বা অন্য কোনো ট্রাভেল গ্রুপে কোনো এক ভদ্রমহিলা বেথুয়াডহরী নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন সপ্তাখানেক আগেই। ওনাকে উত্তর দিতে গিয়ে জায়গাটা নিয়ে একটু আধটু ঘাঁটাঘাঁটি করেছিলাম। সেটাই কাজে লাগালাম। সর্বসাকুল্যে আমাদের জন সংখ্যা ১২ মানে গোটা পাঁচেক পরিবার আর বন্ধুরা। তাই জঙ্গলের ঘরে কুলোবে না। নেট খুঁজে পেয়ে গেলাম থাকার আস্তানা। পূজা লজ – মালিক ভক্তিবাবুর সাথে দূরভাষে কথা বলেই মনে হল মানুষটি নিপাট ভদ্রলোক (৯৯৩২৩৭৮৮৪৯ / ৯৭৩২১৩৬০৫৩)। ঘরের ভাড়াও বেশি নয়, নন-এসি মাত্র ৭০০/- আর এসি ৯৯০/-। বলতেই হোয়াটসয়্যাপে পাঠিয়ে দিলেন বেশ কিছু নন-এসি ঘরের ছবি। পছন্দ হবারই মত। এরপরেই ট্রেন, যথারীতি বুকিং ততক্ষণে ওয়েটিং লিস্টে ১৮য় পৌঁছে গেছে। এক বন্ধুকে বলায় সে তড়িঘড়ি ছুটল কাউণ্টার বুকিং করতে। শেষে নেচেকুঁদে জানিয়ে দিল – “বুকিং হয়ে গেছে, ওয়েটিং লিস্টে সব্বাই”। সে হোক ট্রেন জার্নি বেশিক্ষণের নয়। সকাল ৬/৫০ এ হাজারদুয়ারী এক্সপ্রেস কোলকাতা স্টেশন ছেড়ে সকাল ৯/৫০ নাগাদ পৌঁছে যায় বেথুয়াডহরী স্টেশনে – ভাড়া সিটিং রিসারভেশনে মাত্র ৭০/- - অবশ্যি এও নন-এসি। তা আমাদের মত ভবঘুরেদের খুব একটা ঠান্ডাযন্ত্রের দাক্ষিণ্য এখনো লাগেনা । আর বারোমাসে তেরো ভ্রমণ করতে গেলে সেটা এমনিই চাপের হয়ে যায় আর কি। এবারে দিন গোনার পালা। দেখতে দেখতেই এসে গেলো দোলপূর্ণিমা। সক্কাল সক্কাল সবাই মিলে চড়ে পড়লাম হাজারদুয়ারী এক্সপ্রেসে। বলা হয়নি, ঠাকুরের কৃপায় সব টিকিট কনফার্মড হয়ে গেছে দেখলাম। হৈহৈ করতে করতে ঠিক ১০/০০টায় পৌঁছে গেলাম বেথুয়াডহরী স্টেশনে, যাত্রাপথে সিটে ১০/১৫ মিনিটও বসেছিলাম কিনা সন্দেহ। স্টেশন থেকে বেরিয়েই ডান হাতে মিস্টির দোকান জলযোগ, আরও বেশ কিছু দোকান আছে। সুবিধামত তার একটায় বসে প্রাতঃরাশ সারা হল। সামনেই গাদা গাদা টোটো – তারই দুখানা বুক করে নিলাম। বেথুয়াডহরী স্টেশন থেকে পূজা লজ মিনিট পাঁচেকের পথ – ভাড়া পার হেড ১০/- মাত্র। লজে পৌঁছতেই মালিক ভক্তিবাবু সশরীরে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির হলেন হাসিমুখে, সাথে ওনার ম্যানেজার। বেশ বড় হোটেল, নীচের তলায় বিয়েবাড়ী ভাড়া হয়, দোতলায় গেস্টদের ঘর আর তিনতলায় উনি নিজেই সপরিবারে থাকেন, তার ওপরে বিশাল লন টেনিস খেলার মত ছাদ। ম্যানেজারবাবু ওনার নির্দেশে দোতলার পাঁচটা ঘর খুলে দিলেন। ছবিতে যেমন দেখেছিলাম ঘরগুলো তার চেয়েও বেশী সুন্দর। একটু ফ্রেশ হয়েই সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম রঙ আবির নিয়ে ছাদে দোল খেলতে, সাথে খাওয়াদাওয়ার বিবরণ আর দিলাম না। দুপুরের ভুরিভোজের পর একটু বিশ্রাম নিয়ে ঠিক চারটেয় বেরলাম বেথুয়াডহরী ফরেস্টের উদ্দেশ্যে – বাহন টোটো – ভাড়া ১০/- জনপ্রতি। ঠিক ৪/১০ এ হাজির হলাম ফরেস্টের প্রবেশদ্বারে। জানলাম টিকিট দেওয়া ৪টেয় বন্ধ হয়ে যায়, অনেক অনুরোধেও সাড়া না পেয়ে বিফল মনে চেপে বসলাম টোটোয়। আমাদের মন খারাপ দেখে টোটোচালক ভাই বললেন “দাদা মন খারাপ করবেন নি, কাল দেখিয়ে দেব, আজ চলেন পাটুলি গঙ্গার ঘাট আর ফেরার পথে এখানকার বইমেলা দেখাব”।
বিকেলের ঠান্ডা হাওয়ায় গা ভাসিয়ে চললাম পাটুলি গঙ্গার ঘাট। পথে সঙ্গ দিল গ্রাম বাংলার নিরালা সবুজ ক্ষেত, মাঠ, ঘাট। মিনিট ত্রিশেকে চলে এলাম গঙ্গার ঘাটে । জায়গাটা খুবই নিরিবিলি, আবার বিপজ্জনক বোর্ডও ঝুলছে দেখলাম গঙ্গার ঘাটে । স্থানীয় একজনের সাথে কথা বলে জানলাম এখানে চোরাস্রোত আছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বন্ধুদের পড়ন্ত সোনালী আলোয় ফোটোস্যুটের আসর। ঘাটে বাঁধা নৌকায় চড়ে, ঘাস বনের আনাচেকানাচে, ভাঙ্গা ঘাটের ধাপে ধাপে আবির গোলা জল ঢেলে সূর্য পাটে না যাওয়া অবধি আনন্দে ভেসে কোথা দিয়ে যে সময় কেটে গেল টেরও পেলাম না। ফেরার পথে গেলাম বইমেলা।
আভিজাত্যে কোলকাতা বইমেলার মত নাহলেও মেলাটি বেশ বড়, প্রচুর বইয়ের স্টল, রকমারি বই আর খাবারদাবার, অনুষ্ঠান মঞ্চটিও বেশ বড়, সেখানে সগৌরবে চলছে ১৬তম বেথুয়াডহরী বইমেলার বর্ণাঢ্য নানা অনুষ্ঠান। প্রায় একঘন্টা কাটালাম সেখানে। ছেলের জন্য কেনা হল “বাঁটুল সমগ্র” আর নিজের জন্য ডঃ শ্যামল চক্রবর্তীর লেখা একটা ভ্রমণমূলক বই “চলো বেড়াই”, ওটা অবশ্য আমার ভ্রমণপাগলীকেই গিফট করলাম। এরপর হোটেলে ফেরার পালা। সেখানেও যে এক দুর্দান্ত বিস্ময় অপেক্ষা করে ছিল জানতাম না। একটু ফ্রেশ হতে না হতেই সন্দীপ, আমার এক বন্ধু, আমাদের ছাদে যেতে বলল। ছাদে গিয়ে দেখি পূর্ণিমার আলোয় ভেসে যাচ্ছে চারিপাশ, তারই মাঝে চেয়ার টেবিল সাজিয়ে চলছে আমার ছেলের অগ্রিম জন্মদিনের প্রস্তুতি। অদিতি কোলকাতা থেকেই কেক নিয়ে গেছিল, অন্যরাও নানারকম প্রস্তুতি নিয়েছিল যা ঘুণাক্ষরেও টের পাই নি। ফেবু নোটিফিকেশনের সৌজন্যে চুমকিই এই প্রোগ্রামের মাথা বুঝলাম বেশ পরে। অতিথিদের মধ্যে ভক্তিবাবুর স্ত্রী, মেয়ে, জামাইও এসে ভিড় জমিয়ে ফেলল। আলোর অপ্রতুলতা ঢেকে দিয়েছিল স্বচ্ছ আকাশের পূর্ণচন্দ্র । মোমবাতি জ্বালিয়ে, কেক কেটে, খানাপিনা আর নাচগান করে কেটে গেল সারাটা সন্ধে। এত পরিশ্রমের পর রাতের খাবার খেয়ে দুধসাদা বিছানায় সবাই শরীর এলিয়ে দিল রাতপরীর সাথে। ঠিক সকাল সাড়ে পাঁচটা – যথারীতি আমার ঘুম গেল ভেঙ্গে। রাতে ঠাণ্ডার আমেজ থাকায় ঘুমটা জব্বর হয়েছে। উঠে দেখি মোবাইলে প্রমিতের তিনখানা মিসকল। মানে ব্যাটা আরো আগেই উঠে পড়েছে। তাড়াতাড়ি প্রাতঃকৃত্য সেরে বেরিয়ে দেখি সুব্রত, চুমকি, প্রমিত ততক্ষণে রেডি । সিদ্ধার্থ যেতে পারবে না, অফিস থেকে ওকে ডেকে পাঠিয়েছে, বেচারা তৈরি হচ্ছে সকাল নটার ট্রেন ধরতেই হবে ওকে, আর বাকিরা তখনো ঘুমে অচেতন। দেরী না করে বেরিয়ে পড়লাম হাইরোডের উল্টোদিকে – গ্রামের কাঁচা পথ ধরে। আজ সন্ধ্যার ট্রেনেই তো আবার জঞ্জালে ফেরা, তাই যতটা পারি অক্সিজেন ভরে নিতে হবে যে ফুসফুসে। আঁকাবাকা রাস্তা ধরে কিছুটা এগোতেই চোখে পড়ল আম, সবেদা আর লিচু গাছের বন। বেশ কিছু ছবি তোলার ফাঁকে দেখতে পেলাম রকমারি পাখির ঝাঁক – বুলবুলি, বসন্তবৌরি, ছাতার, টিয়া, ফিঙে – আরো নাম না জানা পাখির দল। দুঃখের বিষয় কারো কাছেই ভালো কোনো ক্যামেরা ছিল না। মোবাইলের দাপটে এসব তো আমরা আজকাল আর নিতেই চাই না। তাছাড়া দোলের রঙ লেগে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ভেবে আমার এসএলআরটাও আমি বাড়ীতেই রেখে এসেছি। অগত্যা মোবাইলে যতটুকু পারলাম তুলতে থাকলাম সবাই মিলে। আরো কিছুটা এগোতেই পেলাম শাল, অর্জুন আর সেগুন গাছের জঙ্গল । দূরে চোখে পড়ল কিছু তাল, নারকেল আর খেজুর গাছের সারি – বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে বললাম “চল ওদিকে – নিশ্চয়ই জলাভূমি আছে”। ঠিক তাই, কিছুটা যেতেই দুধারে বড়সড় দুটো পুকুরের মাঝখান দিয়ে সরু পথ চলে গেছে – ধারের জঙ্গলে ফেন্সিং – বুঝলাম অজান্তেই এসে পড়েছি বেথুয়াডহরী ফরেস্টের পিছনের দিকে। এদিকে কেউ আর নেই। অজস্র ছবি তুললাম আর প্রাণ ভরে প্রকৃতির ঘ্রাণ নিলাম – এর জন্যেই তো ইঁট-কাঠ-পাথরের শহর ছেড়ে পাড়ি জমানো। প্রায় একঘন্টা থাকার ফাঁকে ফেন্সিং এর ওধারে ঘন জঙ্গলে প্রায় সাত আটটা হরিণের দল একঝলক দেখা দিয়েই মিলিয়ে গেল আরো গভীরে – বোধহয় মানুষের ঘ্রাণ পেয়েই – আর দেখা পেলাম না ওদের। ইতিমধ্যে দুজন পোষাক পরা বনকরমী এসে আমাদের চলে যেতে বললেন ওখান থেকে। বাধ্য হয়েই ফিরে এলাম আমাদের লজে। সিদ্ধার্থ ততক্ষণে রেডি – আমাদের বিদায় জানিয়ে মলিন মুখে বেরিয়ে গেল ও – এমনই বিড়ম্বনা চাকরীর।
পূজা লজের খাওয়া দাওয়ার মান খুবই ভালো, দামও একদম ঠিকঠাক। দুপুরের আহারে মাংসের স্বাদ আর ওখানকার রাজভোগের স্বাদ ভোলা অসম্ভব।
আজ আর দেরী নয়। দ্বিপ্রাহরিক আহার পর্ব মিটিয়ে ঠিক ২/১০ এ হাজির হলাম ফরেস্টের প্রবেশদ্বারে। বলে রাখি এখানে প্রবেশ করতে গেলে টিকিট মূল্য ৫০/-, সময় সকাল ৯টা থেকে ১২টা, তারপর আবার দুপুর ২টো থেকে ৮টে অবধি। ভিতরে ঢুকতেই ডানদিকে ফরেস্টের খান দুই গেস্টহাউস – ভাড়া ৫০০/- করে। এখানে থাকলে প্রবেশ মূল্য লাগেনা। ঘরগুলোর অবস্থান ভাল হলেও মেন্টিন্যান্স তেমন লাগল না। আরো জানিয়ে রাখি ফরেস্টে ঢোকার পর ধূমপান চলবে না বা মাদকাসক্ত অবস্থায় ঢুকতে পারবেন না। তবে খাবার জলের সিলড বোতল অবশ্যই নিয়ে যাবেন কারন ভেতরে প্রায় ৩ কিমি পথ পায়ে হাঁটতে হবে এবং কোনো খাবার বা জল পাবেন না। প্রবেশের পর নির্ধারিত পথে আমরাও হাঁটতে থাকলাম। এখানেও সেই শাল, অর্জুন আর সেগুন গাছের জঙ্গল, এছাড়া কিছু জলাভূমির উদ্ভিদ যেমন ব্যারিংটোনিয়া অ্যাকুটাংগুলা ইত্যাদি। জঙ্গলের প্রাণীবৈচিত্রের মধ্যে ঘুঘু, বেনেবউ, সারস, বুলবুলি, টিয়া, কাঠঠোকরা, মাছরাঙা, ডাহুক, পেঁচা ইত্যাদি প্রায় ২৫ প্রজাতির পাখি, রকমারি প্রজাপতি, শেয়াল, হরিণ প্রভৃতি আছে। আর আছে বদ্ধ পরিসরে ময়ূর , উটপাখি, খরগোশ, ঘড়িয়াল কুমির, কিছু বিদেশী পাখি – এইসব। এই ৩ কিমি নির্ধারিত পথে আমরা বেশ কিছু পাখি, প্রজাপতি, ঘড়িয়াল কুমির আর বদ্ধ পরিসরে ময়ূর , উটপাখি, খরগোশ ছাড়া কিছু দেখতে পাই নি। সাধারণ ভাবে বন্য প্রাণী দেখার আদর্শ সময় হল সকাল বা সন্ধ্যা বেলা। অদ্ভুত ভাবে ওইসব সময়ে কোনো প্রবেশাধিকারই দেওয়া হয় না – যেটা অন্য যেকোনো অভয়ারণ্যের তুলনায় আলাদা। প্রায় ঘন্টা দুয়েক ঘোরার পর বেশ তৃষ্ণার্ত অবস্থায় আমরা হাজির হলাম প্রবেশ দ্বারের ঠিক বামপাশে অবস্থিত নেচার ইনটারপ্রিটেশন সেন্টারে – যেখানে আলাদাভাবে ২/- করে প্রবেশ মূল্য লাগে। সুবিধার মধ্যে বাইরে ঘন মেঘে আকাশ ছেয়ে গেছিল, বৃষ্টি শুরুর প্রাক্কালে কেকাধ্বনিসহ ভারতের জাতীয় পাখির পেখম তোলা দেখতে পাওয়াই আমাদের উল্লেখ্য প্রাপ্তি হয়ে রইল। নেচার ইনটারপ্রিটেশন সেন্টারের ভিতরে কিছু মাটির পুতুলের মাধ্যমে আঞ্চলিক বিবর্তন দেখান আছে, আর আছে জারে ভরা সাপের ডিম, ময়ূরের ডিম, কুমিরের ডিম, মরা কুমির ছানা – আর একজন আধা ঘুমন্ত দ্বাররক্ষী কাম টিকিট কালেক্টর। এখানেও খাবার জলটুকুও পেলাম না। ইতিমধ্যে বেশ ভালোরকম বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। নেচার ইনটারপ্রিটেশন সেন্টারে লোডশেডিং, বসার সুবিধামত জায়গা না পেয়ে বাইরে এসে সিঁড়িতেই বসলাম। বৃষ্টিহাওয়ার হিমেল পরশ যেন সমস্ত ক্লান্তি কেড়ে নিচ্ছিল। মেঘের গুরুগম্ভীর নিনাদের সাথে জঙ্গলের গন্ধ আর পড়ন্ত বিকেলে পাখীদের কিচিরমিচির মিলে এক অদ্ভুত শব্দকল্পদ্রুম রচনা করেছে। আমরা ছাড়া আর তেমন ট্যুরিস্ট চোখে পড়ল না, আঞ্চলিক কিছু ছাড়া। বৃষ্টি থামতেই বেরিয়ে পড়লাম ট্রেন ধরার তাড়ায় – বিদায় বেথুয়াডহরী, হয়ত আর কোনোদিন এপথের ধুলো মাখা হবে না, কিন্তু মনে থেকে যাবে পাটুলির ভাঙ্গা গঙ্গার ঘাট, বেথুয়াডহরী বইমেলা, চাঁদনি রাতে খোলা ছাদে ছেলের অগ্রিম জন্মদিন পালন, জঙ্গলের পিছনের বেড়াতারে ভোরবেলা হানা দেয়া, অজস্র পাখপাখালির কলতান আর ছোটবেলার অকৃত্রিম কিছু বন্ধুসঙ্গ যারা এই সামান্য স্থানকে তাদের আপন আপন রঙের মাধুরী মিশায়ে অনবদ্য করে তুলেছিল এই ছোট্ট হোলিভ্রমণে। প্রলয়। ২৬/৩/২০১৯ পুনশ্চঃ এই ভ্রমণে আমাদের সবকিছু মিলিয়ে মাথাপিছু খরচ পড়েছে ১৫০০/- করে।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |