বড্ডো যন্ত্রণা নিয়ে শেষ হলো আমার এই কুমায়ুন যাত্রা l এই যন্ত্রণা মনেতে , দেহ তে নয় l শুরু করেছিলাম ২৭ নভেম্বর ২০১৭ লালকুঁয়া এক্সপ্রেস চেপে l পরদিন সকালে ৪ ঘন্টা লেট করে পৌঁছে ছিলাম l স্টেশন থেকে ট্রাভেরা গাড়িতে রওনা হলাম , গাড়ি আগে থেকে বুক করা ছিল l সোজা কাঠগোদাম হয়ে রানীবাগ এ ফিয়েস্তা হোটেলে পৌঁছালাম , এটা পাহাড়ের উপরে অবস্থিত l ওখানে দুপুরে খাবার খেলাম ও নৈনিতাল এর উদ্দেশে রওনা হলাম l ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট জার্নি করে ৩২ কি মি ড্রাইভ করে নৈনিতাল লেকের উপর দাঁড়িয়ে থাকা খুব সুন্দর লোকেশন এ হোটেল শালিমার এ বিকেল ৫ টাতে পৌঁছালাম l লেকের উপর যেন হোটেল টা দাঁড়িয়ে আছে l ভাড়া ১২৫০ টাকা DAB l পরদিন নৈনিতালের সাইট সিন্ করে তৃতীয় দিন 120 কি মি অতিক্রম করে এলাম কৌশানি, এখানে শিভয় হোটেল ১২০০ টাকা প্রতি দিন প্রতি দুজনের হিসাবে থাকলাম l কৌশানির কথা আর কি বলবো, এখানকার সূর্যোদয় যে অতি মনোরম তা সকলেই জানে l আমি সকাল ৫-০০ নাগাদ আমার ছোট্ট ব্যাগটা পিঠে ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়লাম, আমার সঙ্গী হলো হোটেলের রাতের চার পেয়ে প্রহরী "শেরু" l রাস্তা ঘাট সুনসান , একটা জনমানব রাস্তায় নেই, শুধু আমি আর শেরু l এর আগে গান্ধী আশ্রম থেকে সূর্যোদয় দেখেছিলাম এবার তাই ঠিক করলাম একটা নতুন জায়গা থেকে সূর্যের জেগে ওঠার মুহূর্ত গুলো ক্যামেরা বন্দি করবো. ৫.৩০ মানে পাহাড়ে অন্ধকার, ঠান্ডা বেশ ভালোই লাগছিলো, ব্যাগে ফ্লাস্কে চা ছিল, চা খেতে খেতে ভাবছিলাম, বছর ২৫ আগে এই কৌসানি তে যখন এসেছিলাম তখন এখানে কিছুই ছিলোনা. সেদিনের সেই হারিয়ে যাওয়া কলেজের বন্ধুরা আর আমার ছোট্ট ছেলেটা তাদের কথা মনে পড়ছিলো. ছেলেকে খুব মিস করছিলাম l ও আমার খুব ভালো বন্ধু l এখন বড় হয়েছে,অনেক দায়িত্বের কাজ করে তাই যখন তখন এই বুড়ো বুড়ির সাথে আসতে পারেনা l বাচ্চারা ছোট বয়সে যেমন অপেক্ষায় থাকে কখন বাবা অফিস থেকে বাড়ি আসবে তেমনি বৃদ্ধ বয়সে বাবা মা কেও অপেক্ষায় থাকতে হয় কখন সন্তান বাড়ি ফিরবে l এ এক অদ্ভুত প্রতিমুহূর্ত l এর মধ্যে পূর্ব আকাশ ফর্সা হলো আর উত্তরের আকাশে একটা সদ্য নিভে যাওয়া দেশলাই কাঠির বারুদের মাথার মতো একটু বড় আগুনের বিন্দু দেখতে পেলাম l এটাই হিমালয়ের বুকে দাঁড়িয়ে থাকা ত্রিশূল,কমেট ও পঞ্চচুল্লি এর রেঞ্জ l ধীরে ধীরে সব কটা চূড়া ভেসে উঠলো l হোটেল এ ফিরলাম l স্নান ও ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে পড়লাম চৌকোরির উদ্দেশে কৌশানি থেকে ব্রেকফাস্ট করে বেড়িয়ে পড়লাম l বাগেশ্বর হয়ে ৮৬ কি মি পেরিয়ে ৫ ঘন্টায় চৌকোরি পৌঁছালাম l হোটেল শিখর রাজ্ এ উঠলাম l DAB প্রতি দিন ১২০০ টাকা. এখানে KMVN এর টুরিস্ট লজ টা ভীষণ সুন্দর l লন জুড়ে ৮ খানা কটেজ ও মূল লজেও অনেক গুলো রুম আছে l ভাড়া ২৩০০ থেকে ৪০০০ টাকা ঘর প্রতি, দিন প্রতি l বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি লন এ চেয়ার এ বসে পকোড়া চা ও কফি নিয়ে জমিয়ে আড্ডা সাথে জমাট ঠান্ডা l আর হিমালয়ের সৌন্দর্য এর কথা কি আর বলবো আকাশ পরিষ্কার থাকায় সন্ধ্যাতেও মনে হচ্ছিলো কামধেনু যেন তার দুগ্ধ ধারায় হিমালয় কে স্নান করাচ্ছে l হিমালয় এ এর আগে এতো সাদা চেহারায় পাইনি l পরদিন সকালে ৩৫ কি মি ড্রাইভ করে দু ঘন্টায় পৌঁছালাম পাতাল ভুবনেশ্বর l ৯০ ফুট গভীরে ৮২ তা ধাপ পেরিয়ে পাতাল স্বর্গ l এখানে সত্যি নাকি ভগবান রা থাকেন l তিন থেকে চার ফুট সুড়ঙ্গ তে কি করে যে মানুষ নামে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয়না l আমি ওই সুড়ঙ্গে যেতে পারিনি তবে আমাদের টিমের দুই মহিলা সাথী নেমে ছিল l সত্যি সাহসী বটে এরা l পরের দিন ভোর ভোর বেরিয়ে পড়লাম মুন্সিয়ারির উদ্দেশে l রাস্তা প্রায় ১০০ কি মি থাল ও তেজাম হয়ে পথ গিয়েছে l খুব সরু ও খারাপ রাস্তা, পথে বৃথী ওয়াটার ফলস, দেখার মতো, খুব সুন্দর l ৫ ঘন্টা জার্নি করে বিকেল বিকেল মুন্সিয়ারি পৌঁছালাম l মুন্সিয়ারির ১৮ কি মি আগে একটা চায়ের দোকানে গাড়ি থামলো, এটা এই পথের উচ্চতম পয়েন্ট ৮৫০০ ফুট এর মতো, এখন থেকে যেন হিমালয়ের প্রথম চুম্বন টা অনুভব করলাম l হিমালয় যেন মুন্সিয়ারির মাথার ছাতা l এখান থেকে সবথেকে কাছের যে পাঁচটি পর্বত শৃঙ্গের শ্বাসপ্রশ্বাস এর শব্দ পাওয়া যায় তার নাম, পাঞ্চ চুলা l এই পাঞ্চ চুলা কে ভোর রাতে ধ্রুব তারার আলোয় দেখেছি, সকালের প্রথম সূর্যের ছটায় দেখেছি,দুপুরের হালকা কুয়াশায় ঢাকা অবস্থায় দেখেছি,গোধূলির সিঁদুরে আভায় দেখেছি আবার সন্ধ্যার পূর্ণ চাঁদের আলোয় দেখেছি l এতো গভীর ভাবে হিমালয়কে আগে কখনো দেখিনি l কুমায়ুনের কান্না part 3 এবার এলাম কাঁসার, এটা আলমোড়ার 20 কি মি আগে l রাত প্রায় ৯ টা তে প্রায় ১৬০ কি মি ড্রাইভ করে মুন্সিয়ারি থেকে এখানে এলাম l একটা হোমস্টে তে উঠলাম , ১০০০টাকা DAB রুম l রাতে বুঝিনি যে সকালে কি এক অপূর্ব ডালি সাজিয়ে রেখেছে এই কাঁসার l উত্তরের আকাশটা জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে দুধ সাদা হিমালয় যার প্রতিটা নিঃশ্বাস আছড়ে পড়ছে আমার শরীরে l দুপুরে লাঞ্চের পরে রওনা হয়ে মুক্তেশ্বর পৌঁছালাম কাঁসার থেকে ৭০ কি মি পথ l ৭৫০০ ফুট উপরে মুক্তেশ্বর মন্দির ৩৫০ যার বয়স l এখন থেকে সূর্যাস্ত দেখা মানে এক জাগতিক রূপ দর্শন l নিচ থেকে বেশ অনেকটাই চড়াই ভেঙে এই মন্দিরে পৌঁছাতে হয় l দেবাদিদেব মহেশ্বর মহাকালেশ্বর এখানে থাকবেন নাতো আর কোথায় থাকবেন l এতো রূপ এতো নিঃশব্ধতা l ৬ টা তে রানীবাগ এ ফিয়েস্তা হোটেলে পৌঁছালাম l ভাড়া ১২০০ টাকা DAB l পরদিন সকালে ৮.৪০ এর সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস ধরলাম দিল্লীর উদ্দেশে, এটা ট্রেন নয় যেন এক নরক গুলজার l দেখলাম দিনের ট্রেন এ কতটা নোংরামো করবার সাহস এই অঞ্চলের একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ করতে পারে l আমি এখনো আতংকিত l ওল্ড দিল্লী থেকে নিউ দিল্লি এসে কলকাতার ট্রেন ধরলাম l এবার আসছি আমার মন খারাপের কারণটা কি ছিল তা বলতে l সঞ্জু নামের ৩৮ বছরের এই যুবক টির জীবন নিয়ে একটা সিনেমার প্লট বানানো যায় ....... চলবে.......... কুমায়ুনের কান্না কথাটা যার জন্যে লিখেছি এবার এই ভ্রমণ কাহিনীর শেষে তার সম্মন্ধে কিছু না লিখলে আমার এই গল্পের সমাপ্তি হবেনা , তাই আমাদের এই ৯ রাত্রি সহঅবস্থান যার সাথে হয়েছিল সেই সঞ্জু নামের দামাল ছেলেটার কথা একটু লিখতে মন চাইছে l আমার কাছে এই গল্পের ও যেন মূল চরিত্র l প্রচুর বড়লোকের ছেলে ছিল, বাবার মৃত্যুর পরে আত্মীয় স্বজন রা সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করে সঞ্জু কে ১৬ বছর বয়সে পথে নামান l মা এর কয়েক বছর আগে চোখ বুঝে ছিলেন, খুব ভালো গাড়ি চালাতো সঞ্জু, ওর নিজেরই ২ টো গাড়ি ছিল l তাই গাড়ি চানানোটাকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করে l খুব ঠান্ডা মাথার ড্রাইভার এই সঞ্জু l একটাই দোষ , তা হলো ভীষণ নেশা করতো l দিনের বেলা ড্রাই নেশা আর রাত্রে তরল নেশায় ডুবে যেত l সঞ্জুর আসল নাম k p shing রাওয়াত l খুব ভালো কবিতা লেখে l ওর লেখা গান একটা বলিউড ফিল্মে টাইটেল সং হয়েছে l মুভিটার নাম young rider l ঈশ্বরকে বলবো সঞ্জুর প্রতি যেন উনি একটু সদয় হন l বাড়িতে স্ত্রী,এক ১৭ বছরের ছেলে ও ১০ বছরের মেয়ে l দুজনই লেখাপড়া করে l এই সঞ্জু মানুষটা বড্ডো ভালো l দোষ একটাই,৪ /৫ ঘন্টা অন্তর ড্রাই নেশা করতো , অথচ নেশা করে অসম্ভব শান্ত ভাবে গাড়ি চালাতো l সময়ে নেশা করতে না পারলেই অশান্ত ড্রাইভ করতো l ও যখন গাড়ি থামিয়ে নেশা করতে যেত, আমি তখন ওর সাথে থাকতাম l আমি অনেক নেশাড়ু দেখেছি জীবনে কিন্তু এই সঞ্জুর মতো নেশাড়ু এই প্রথম দেখলাম l আমি গাঁজা ও প্রক্সিভন ট্যাবলেট কে মদের চাট হিসাবে খেতে দেখেছি আর এখানে দেখলাম হেরোইন কে চাট হিসাবে খেতে সঞ্জুকে l ওকে দেখেছি smack ও snort নিয়ে তারপর xxx rum খেতে l হেরোইন এর অনেক রূপ ও অনেক নেশাকরার ধরণ l সাদা,ব্রাউন ও কালো ধরণের হেরোইন হয় কেউ smack কেউ snort কেউ সিগারেটে মিশিয়ে আবার কেউ জলে মিশিয়েও খায় l ৩৮ কেজি বডি ওজন নিয়ে সঞ্জু এই সব নেশার কাছে পরাজিত হয়নি l ওর এখন কিং কোবরার bite টাই জিভে নেওয়া বাকি l পরিবারের প্রতি ও খুবই দায়িত্বশীল প্রতি ঘন্টা অন্তর কাঠগোদামে বাড়িতে ফোন করে সবার খবর নিতো l ওর যেন এই সমাজের প্রতি একটা ঘৃণা একটা ক্ষোভ আছে l আইনের ওপর ভরসা করে ছিল, যে ওর পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পাবে কিন্তু টাকা ও ক্ষমতার কাছে আজ গরিবের বিচার বন্দি l রোজ রাত্রে সঞ্জু আমার কাছে কাঁদতো আর ওর যন্ত্রনা ভরা শায়েরি শুনাতো l অবশেষে সেই বিদায়ের দিনটা এলো , আমরা কাঠগোদাম ফিরে এলাম , আমরা দুজনেই চুপ করে ছিলাম লাগেজ হোটেলে নামানোর পর আমি সঞ্জু কে বিদায় জানালাম হঠাৎ ও আমাকেও বাচ্চা ছেলের মতো জড়িয়ে কাঁদতে লাগলো আমি ওকে বকা দিয়ে শান্ত হতে বললাম, ও আমায় নিয়ে বাজারে গেল আমার কিছু দরকারি জিনিষ কেনার ছিল l ১o দিন পরে বাড়ি যাচ্ছে তাই একটু বাজার করলো l যখন ফিরছি তখন ওর ফোনে খবর এলো আবার কাল সকালে কাঠগোদাম থেকে নতুন গ্রুপ নিয়ে আবার ১২ দিনের কুমায়ুন যাত্রা, ও বলেছিলো কালকে হালদোয়ানি যাবে পরিবার কে নিয়ে সবার জন্য মার্কেটিং করবে, কিন্তু আর হলোনা l পেটের টানে ওকে যে আবার গাড়ির স্টিয়ারিং ধরতেই হবে প্রাণ হাতে নিয়ে l পরদিন সকাল 11tay গুড মর্নিং বার্তা এলো নৈনিতাল থেকে প্রেরক সঞ্জু l কাঠগোদাম থেকে সম্পর্ক ক্রান্তি ট্রেন এর অসহ্য যাতনা সইতে সইতে ট্রেন ওল্ড দিল্লির দিকে এগোচ্ছিল l সঞ্জুর কথাই ভাবছিলাম l কে ও আমার? কেনইবা ওর জন্যে মনটা ভারী লাগছে? অনেক ট্যুর করেছি জীবনে, অনেক ড্রাইভার সাথে থেকেছে , তবু কেন ওর জন্য মনটা ভারী ? একটা পাহাড়ি বিছে , যা নাকি মারাক্ত বিষাক্ত l বৃথী ফলস এর কাছে আমি যখন এক মনে ১২০০ ফুট উঁচু থেকে ঝরে পরা তার রূপ দেখছিলাম তখন আমার মৃত্যু অপেক্ষা করছিলো আমার খাদিম থেকে কেনা এঙ্কেল সু এর উপরে l চামড়া থাকতে bite করতে পারেনি l হঠাৎ কোথা থেকে সঞ্জু এসে আমার জুতোর ওপর ওর জুতোটা চেপে ধরলো, পাহাড়ি বিচ্ছুর প্রাণ গেল আর আমি সে বিচ্ছুর দিকে তাকিয়ে ৮ ডিগ্রি তেও ঘাম ছিলাম l যথা সময়েই নিউ দিল্লী ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সন্ধ্যা ৭.৪০ এ শিয়ালদা দুরন্ত ছাড়লো l আবার এক নতুন মুখ নতুন মনের সাথে ১৭ ঘন্টার সফর শুরু হলো l বুঝলাম ট্রেনে বাঙালিদেরই আধিপত্য বেশি l খাওয়া দাওয়া চলছে সাথে হাসি, চিৎকার, ভয়ঙ্কর রাস্তার অভিজ্ঞতার বাড়াবাড়ি বর্ণনা l হটাৎ পাশের কূপের এক পাজামা পাঞ্জাবি পরা ভদ্রলোকের গর্বের উক্তি কানে এলো , উনি কাউকে বলছেন বাঙালিরা নাকি ট্যুরে বেরোলে খাবার থালায় কাঁচা পেঁয়াজ আর লঙ্কা চাই ই চাই আর পায়ে এদের স্পোর্টস সু অথবা কাপড়ের জুতো, পরনে ভুঁড়ির উপর জিন্স এর প্যান্ট আর মাথায় টুপি , এটাই নাকি ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিদের ইউনিফর্ম l কথা গুলো শুনে খুব মর্মাহত হলাম, একজন নিজে বাঙালি হয়ে সেই বাঙালি সম্বন্ধে এমন হাসির খোরাক করছে যে তাকে দেখার ইচ্ছা হলো l ট্রেনের ওনার সহযাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগ বাঙালিকে দেখলাম ওনার কথায় বেশি হাসলো ও বাঙালি দের সমন্ধে আরও অনেক হেয় করা কথা বললো l সকালে উঠে দেখলাম সেই বাঙালি মাথায় একটা টুপি পরে ট্রেনের করিডোরে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছেন l মনে হচ্ছিলো এখুনি grp ডেকে ওনাকে ধরিয়ে দিই l তখন সত্যি সত্যি দুজন grp কোথাথেকে এসে হাজির , আর যায় কোথায় বাবাজি, ২০০ টাকা ফাইন, নয় হাজত শুনে ভদ্রলোক তো অস্থির হয়ে গেল, কত কাকুতি মিনুতি , ওনাকে মাফ করবার জন্য l rpf তো ছাড়ার পাত্র নয় ওনাকে গয়া স্টেশনে নামবেনিই l এবার উনি বলতে লাগলেন ট্রেন ৭ ঘন্টা লেট চলছে তাই সিগারেট খাওয়া অন্যায় নয় , এতে পুলিশ আরও রেগে গেল এবার নিরুপায় ভদ্রলোক আমাকে ধরলো পুলিশকে বোঝানোর জন্য l আমি পুলিশ কে বললাম হাঁ ইনহো নে সিগারেট পিয়া ইনকো জুরমানা ভরকে ছোড়দিজিয়ে l 200 টাকা ফাইন ও সিগারেটের প্যাকেট জমা দিয়ে উনি মুক্তি পেলেন ও সারা ট্রেনের বাকি সময় ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে চললো l আত্ম সমালোচক এই বাঙালি কে তখন আমার বলতে ইচ্ছা করছিলো যে, হাঁ মশাই আমি বাঙালি,আমি গর্বিত, আমি গর্বিত তখন যখন এক ট্রেন দুরন্ত এক্সপ্রেসের নানা জাতের মানুষের মাঝে কোনো এক অবাঙালি পতি তার সদ্য বিবাহিতl স্ত্রী কে একা ট্রেন এ চাপিয়ে বলে যায় আঙ্কেল ইনকো খেয়াল রাখিয়ে গা , এই বিশ্বাস এই ভরসা শুধু বাঙালিরাই দিতে পারে তো সব জাতের মানুষ জানে, আর এই হলিডে হোম খোঁজা বাঙালিরাই ভারতীয় টুরিস্ট ডিপার্টমেন্ট কে বাঁচিয়ে রেখেছে l এই বাঙালিরাই ঘুরতে বেরিয়ে পেডং কালিম্পঙ কি কুমায়ুনের হোটেলের বেয়ারা বা দু সপ্তাহের পরিচিত ড্রাইভার এর ছেলে বা মেয়ের লেখা পড়ার দায়িত্ব এই বাঙালিরাই নিতে পারে l কুমায়ুন যাত্রা আমায় অনেক কিছু শিখিয়েছে , দেখিয়েছে, বুঝিয়েছে আর ভাবিয়েছে. যার কোনটা আনন্দের কোনটা হাসির কোনটা বেদনার ও কোনটা শিক্ষার ও বটে l পার্থময় চ্যাটার্জী Post By:- Parthamoy Chatterjee
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |