মিরিক শব্দটির উৎপত্তি লেপচা ভাষার শব্দ Mir-yok থেকে। যার অর্থ আগুনে ঝলসে যাওয়া স্থান। কিন্তু বাস্তবে হয়তো তারপরের চিত্রটাই ধরা পড়ে মিরিকের সৌন্দর্য এবং তার চারপাশের পরিবেশ থেকে। ঠিক যেভাবে কোন জঙ্গলে দাবানল লাগার পরে আবার সবকিছু নতুন করে শুরু হয়। বৃষ্টির জলে ছোট ছোট নতুন গাছ জীবন্ত হয়ে ওঠে , সবুজের সমারোহে চারদিক ভরে যায়, মিরিকের চরিত্রটাও ঠিক সেইরকম।
মিরিক হলো পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার একটি মহকুমা।2017 সালের 30 মার্চ দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং মহকুমা এর অন্তর্গত পৌরসভা উন্নয়ন ব্লক নিয়ে এই মহাকুমা সম্পূর্ণভাবে গঠিত হয়। দার্জিলিং জেলার একটি মহকুমা হলেও মিরিকের স্বভাব দার্জিলিংয়ের শত ব্যস্ততার থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে প্রায় ৫৮০০ ফুট উচ্চতায় মিরিকের অবস্থান। পাহাড়, হ্রদ আর ধুপিগাছের ও পাইনগাছের জঙ্গল দিয়ে ঘেরা রোমান্টিক জায়গা এই মিরিক। এক কিলোমিটারের বেশি লম্বা সুমেন্দু সরোবর মিরিকের প্রাণকেন্দ্র , যাকে আমরা মিরিক লেক বলেও জানি। শিলিগুড়ি এবং NJP দুই জায়গা থেকেই খুব সহজেই মিরিক যাওয়া যায়। শিলিগুড়ি থেকে মিরিক এর দূরত্ব প্রায় 52 কিলোমিটার। শিলিগুড়ির তেঞ্জিং নরগে সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে মিরিক যাওয়ার বাস ছাড়ে এবং সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘন্টা। এছাড়াও গাড়ি ভাড়া করে শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি চলে আসতে পারেন। প্লেনে আসতে চাইলে মিরিকের সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর বাগডোগরার দূরত্ব প্রায় 55 কিলোমিটার। ট্রেনে করে আসলে নিউ জলপাইগুড়ি জংশন থেকে মিরিকের দূরত্ব সড়ক পথে প্রায় 56 কিলোমিটার। গাড়িতে করে আসতে সময় লাগবে প্রায় পৌনে দুইঘন্টা থেকে দু'ঘণ্টা। মিরিক আসার সবথেকে ভালো সময় হল অক্টোবর থেকে জানুয়ারি অথবা মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ। আমরা NJP দিয়ে গিয়েছিলাম এবং সময় টা ছিল এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে। নিউ জলপাইগুড়ি তে নেমে স্টেশনের বাইরে বেরোতে না বের হতেই দেখি চারপাশে অজস্র ছোট-বড় গাড়ির ভিড়। সবাই যে যার মত প্যাসেঞ্জার নেওয়ার জন্য ডাকাডাকি করছে। আপনি চাইলে এখান থেকে পুরো গাড়ি ভাড়া নিতে পারেন অথবা শেয়ারে গাড়ি ভাড়া করতে পারেন। আমরা ছিলাম সব শুদ্ধ আটজন তাই আমরা একটা টাটা সুমো পুরোটাই ভাড়া নিলাম। মিরিক পর্যন্ত যেতে আপনার খরচ পড়বে কমবেশি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা তবে সব সময় দরদাম করে নেবেন। গাড়িতে করে হোটেলে পৌছাবার সময় রাস্তার মাঝামাঝি এক জায়গায় আমাদের ড্রাইভার লাঞ্চের জন্য গাড়ি থামালেন। হোটেলটা দুইতলা। সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি। আশপাশের পরিবেশটা খুবই নির্জন এবং গাছপালায় ভর্তি। তবে দেখলাম আমরা ছাড়াও এখানে বহু পর্যটক লাঞ্চের জন্য গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে ভিড় করেছে।লাঞ্চ সেরে এবার আমরা হোটেল এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। যেতে যেতে দু'পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দু চোখ ভরে উপভোগ করলাম।
মিরিকে আগে থেকেই আমাদের থাকার জন্য হোটেল বুক করা ছিল, হোটেলের নাম ব্লু লেগুন। হোটেলে পৌঁছে সবার আগে জামা কাপড় গুছিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
এই হোটেলে খুব বেশি কর্মচারী নেই। মাত্র দুই থেকে তিন জন কর্মচারী। ওনাদের ব্যবহার এবং আপ্পায়ন খুবই ভালো। খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অথচ নিস্তব্ধতার মধ্যে খুব সুন্দর এই হোটেল। আমাদের হোটেলের ঠিক সামনেই একেবারে মুখোমুখি কয়েক হাত দূরে লাঞ্চ এবং ডিনার করার জন্য একটি কাঠের তৈরী ঘর বানানো, এখানে সমস্ত গেস্ট কে লাঞ্চ এবং ডিনারের জন্য আপ্যায়ন করা হয়। তবে খুব দরকার থাকলে আপনি নিজের রুমেও লাঞ্চ এবং ডিনার করতে পারেন। খাবার জন্য যে ঘরটা বানানো হয়েছে সেটাও ছবির মত সুন্দর, শুধুমাত্র এই ঘরটাই নয়, আশেপাশে ছোট্ট ছোট্ট বেশ কয়েকটা লাঞ্চ বুথ বানানো রয়েছে, সেখানে বসেও আপনি নিশ্চিন্তে লাঞ্চ বা ডিনারের সারতে পারেন, তবে সেগুলি খুবই ছোট এবং তিন থেকে চার জনের জন্য উপযুক্ত। এগুলির পিছনে এদের ছোট একটা অর্গানিক বাগান রয়েছে, সেখানকার বহু সবজি প্রতিদিন রান্নায় ব্যবহার করা হয়। ভোরের আলো ফোটার আগেই অন্যান্য আমিষ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যেমন ডিম অথবা মাংস এরা দূরের বাজার থেকে সংগ্রহ করে আনেন। জন্মগতভাবেই এরা প্রচণ্ড পরিশ্রমী। তবে এখানে মাছ পাওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। ফ্রেশ হতে না হতেই দশ মিনিটের মধ্যে ওনারা বিকেলের চা ও snacks ঘরে পৌঁছে দিয়ে গেলেন। বেশ কিছুক্ষণ বাদে খাওয়া-দাওয়া সেরে আমরা একটু আশেপাশের জায়গা ঘুরে দেখতে বের হলাম। আমাদের হোটেলের একেবারে সামনেই স্বচ্ছ টলটলে জলে ভরা মিরিকের প্রাণকেন্দ্র সুমেন্দু সরোবর অথবা মিরিক লেক। অনেকেই হয়তো মিরিক লেকের এই আসল নামটা কোনদিন শোনেননি। প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে কাঁচের মতন টলটলে স্বচ্ছ জল নিয়ে মিরিক লেক আর তার চারধারে লম্বা লম্বা আকাশছোঁয়া পাইন গাছ, ধুপিগাছ আর ফার্ণ এর জঙ্গল। ঘন সবুজ জঙ্গলের ছায়া পড়ে লেকের জলে মনে হবে সব সময় বাতাস খেলা করে চলেছে। যতটা পরিধি নিয়ে লেক আর তার চারপাশের জঙ্গল, ঠিক ততটাই রাস্তা বানানো রয়েছে লেকের চারদিকটা ঘুরে দেখবার জন্য। পুরো রাস্তাটা দৈর্ঘ্যে মোটামুটি সাড়ে তিন কিলোমিটার। এখানে মাঝে মাঝে বড় বড় গাছের নিচে ছোট ছোট বসার জায়গা করা আছে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। সেখানে ছাড়াও হ্রদের পাশে সবুজ ঘাসের মাঠে বসেই অলস সময় কেটে যাবে। টুরিস্ট সিজনে ঘোড়ায় চেপে পুরো পথ ধরে ঘুরে আসা যায় , ঘোড়ার ভাড়া নির্ভর করে পর্যটক সমাগম এর উপর। এছাড়া হ্রদের জলেও বোটিং করারও ব্যবস্থা আছে। যদিও বর্ষার সময় লেকের জল অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যাওয়ার জন্য বোটিং বন্ধ থাকে। হ্রদের এপাশ থেকে ওপাশ যাওয়ার জন্য ইন্দ্রানী পুল বা রংধনু সেতু নামে একটি ছোট্ট ব্রিজ রয়েছে । ব্রীজের এক পাশে যদি একটানা পাইন গাছের জঙ্গল আছে তো ব্রিজের অন্য পাশে গিয়ে দেখা যাবে মোটামুটি বড় একটা ফাঁকা জায়গা, এবং সেটা মাটির বদলে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো, সকাল এবং সন্ধ্যেবেলায় এটা মার্কেট হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এখন চারপাশে ছোট ছোট দু চারটি দোকান, বেশকিছু আবাসিক হোটেল এবং ফুটপাতের কিছু খাবারের দোকান ছাড়া আর বেশি কিছু খোলা নেই। কয়েকটা ছোট ছোট গরম জামা কাপড়ের দোকানও আপনি এই জায়গায় পেয়ে যাবেন। এই জায়গায় এসে আমরা বেশ কিছুক্ষণ চারপাশের লাইন দিয়ে বাঁধানো বেঞ্চে বসে থাকলাম। সামনে দেখি বেশ কিছুটা দূরে জনাকয়েক লোকের জটলা। কাছে গিয়ে দেখলাম সেখানকারই কোনো লোকশিল্পী তাদের ভাষার অদ্ভুত সুন্দর গানে তালে তালে নেচে চলেছে, চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি ভুলে মগ্ন তালে তার সেই নাচ আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
এখনো সেই লোকশিল্পী নিজের মনে নিজের তালে নাচে উন্মত্ত, আমাদের ছোট্ট হিয়াও দেখতে দেখতে সেই সুরের তালে নাচতে শুরু করলো। আর শুধু আমরাই নই, সেখানে উপস্থিত অন্যরাও আমাদের ছোট্ট হিয়ার নাচ দেখে খুব খুশি।
বসে থাকতে থাকতে চোখের সামনে বেলা গড়িয়ে যাচ্ছিলো, কিন্তু এখানকার অসাধারণ সৌন্দর্য ছেড়ে কিছুতেই উঠতে ইচ্ছে করছিল না। আমরা যেখানে বসে আছি তার ঠিক পিছনেই মিরিক লেক। কিছুটা গিয়ে সিঁড়ি নেমে গেছে লেক পর্যন্ত এবং সেখানে বেশ কিছু বোট বাধা রয়েছে টুরিস্ট নেওয়ার জন্য। আমরা শেষ পর্যন্ত আর লেকে বোটিং করিনি। আমরা সেখান থেকে আর কোথাও না গেলেও জানতে পারলাম এই লেকের পশ্চিম দিকের ঘাটে জঙ্গলের পরিবেশের মধ্যেই রয়েছে এক দুর্গা মন্দির, অনেকে আঞ্চলিকভাবে যেটাকে সিংহ দেবী মন্দির বলে জানেন। আরো কিছুক্ষণ সময় সেখানে কাটিয়ে, দু একটা দোকানে ওখানকার জিনিসপত্র দেখে প্রায় সন্ধের মুখে আমরা হোটেলে ফিরলাম। ঠিক করলাম পরদিন আশেপাশের জায়গা কোন একটা গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে দেখা যাবে। জানতে পারলাম এখানে আশেপাশের জায়গা ঘুরে দেখার জন্য কোন ধরনের কন্ডাক্টেড টু্র এর ব্যবস্থা নেই। গাড়ি ভাড়া নেওয়ার জায়গা লেকের ঠিক পাশেই, সেখানে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বেশ কিছু টাটা সুমো এবং ল্যান্ড রোভার গাড়ি। সেখানে গিয়েই নিজেদের উদ্যোগে দাম দর করে গাড়ি ভাড়া করতে হবে। গাড়ি ভাড়া পড়বে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। যার মধ্যে আপনি দেখতে পাবেন মিরিক গুম্ফা, বোকার লিঙ মনাস্টারি, ডন বস্কো চার্চ, সৌরিণী চা বাগান, থার্বো চা-বাগান টিংলিং ভিউ পয়েন্ট ইত্যাদি। আমাদের প্রথম গন্তব্য হল ডন বস্কো চার্চ। স্থানীয় ডন বসকো স্কুলের সান্নিধ্যে গড়ে ওঠা এই চার্জ দার্জিলিং জেলার অন্যতম বৃহৎ রোমান ক্যাথলিক চার্চ। চার্জের শ্বেতশুভ্র প্রাসাদটি মিরিকের প্রায় অনেকটা এরিয়া থেকেই দেখতে পাওয়া যায় এমন কি লেক থেকেও। ডন বসকো স্কুল থেকে একটু উঁচু ঢালের দিকে এগোতেই চার্চের স্টাফ কোয়াটার চোখে পড়বে। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন স্কুল কোন কারণে বন্ধ ছিল এবং তার সংলগ্ন চার্চও। কয়েকবার ডাকাডাকি করতেই স্টাফ কোয়ার্টার থেকে চার্চের কেয়ারটেকার বেরিয়ে এলেন। তার কাছে জানতে পারলাম স্কুল বন্ধ থাকার কারণে এখন দর্শনার্থীদের জন্য চার্চ খোলা যায় না। কিন্তু আমরা অনুরোধ করলে উনি শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র আমাদের জন্যই চার্চের গেট খুলে দেন। এখানে আমরা দেখতে পেলাম লাল রংয়ের রডোডেনড্রন ফুল। এই ফুল এখানে খুবই জনপ্রিয়। এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে এই ফুল দিয়ে অনেক ঔষধ তৈরি করা হয় সেই জন্য এই ফুলের এখানেও প্রচণ্ড চাহিদা। গেট দিয়ে কয়েক পা এগোতেই দুদিকে দুটো পেঁচানো সিঁড়ি উঠে গেছে চার্চের মধ্যে। চার্চের ভিতরে কাঠের প্যানেল এর সুন্দর কাজ আর বিশাল লম্বা লম্বা রঙিন কাচের জানালা পরিবেশ টাকে এক অসাধারন গাম্ভীর্য এনে দিয়েছে। একতলায় এই কমপ্লেক্সের খুব সুন্দর করে মেন্টেন করা লন আর তার মধ্যে মাদার তেরেসার মর্ডান স্কাল্পচার এক নিস্তব্ধ এবং অসাধারণ পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। আমাদের পরবর্তী গন্তব্যস্থলে লিঙ্ মনাস্টারি। এই মনাস্তেরিও মিরিক লেক থেকে দেখতে পাওয়া যায়। আর আপনি যদি এই মনাস্টারির ছাদ অব্দি পৌঁছে যান, তাহলে সেখান থেকেও মিরিক লেক এর অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাবেন। এটি সমতল থেকে একটি ছোট্ট পাহাড়ের মতো টিলার উপর অবস্থিত। এখানে প্রায় 500 জন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী থাকেন এবং পড়াশোনা করেন। দার্জিলিং জেলার অন্যান্য মনাস্টারির মতন এটা ততটা পুরোনো নয়। শোনা যায় ১৯৮৪ সালে কাবজি বোকার রিপনচে নামক কোন ব্যক্তি এটির স্থাপনা করেন। অনেকটা চওড়া এবং ফাঁকা এরিয়া জুড়ে এই মনাস্টারি টি ছড়িয়ে রয়েছে। এর ছাদ এতটাই চওড়া যে এর ছাদে উঠে আপনি প্রায় পুরো মিরিকের প্যানোরামিক ভিউ উপভোগ করতে পারবেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ছোট বড় তৈরি প্যাগোডা রয়েছে। যার মধ্যে অবস্থিত এখানকার দুটি অন্যতম আকর্ষণীয় জিনিস হচ্ছে গোল্ডেন বুদ্ধা স্ট্যাচু এবং বিশাল বড় প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু প্রেয়ার হুইল, যেটাকে একসঙ্গে চার থেকে পাঁচ জন মানুষ ঘোরাতে পারবে। এখানে ঘুরতে আসার সব থেকে উৎকৃষ্ট সময় হচ্ছে প্রার্থনার সময়। কোন প্রবেশমূল্য লাগবেনা। আমাদের এর পরের গন্তব্য স্থল মিরিকের বিখ্যাত চা বাগান। এখানকার স্বাস্থ্যকর আবহাওয়ার জন্য মিরিকের পাহাড়ে কিছু বিশ্ব বিখ্যাত চায়ের বাগান আছে। সবথেকে বিখ্যাত হচ্ছে Tharbo plantation, যা ব্রিটিশ আমলের সময় থেকে চলে আসছে, এখন এটি Goodricke brand অধিগ্রহণ করেছে। এটি হচ্ছে এখানকার সবচেয়ে পুরনো চা বাগান। এছাড়াও অন্যতম একটি বৃহত্তম চা বাগান হচ্ছে Okayti tea estate, স্থানীয় লোকজন এটিকে Rangdoo tea estate বলেও জানে। এটিও এখানে উনবিংশ শতক থেকেই রয়েছে। চা বাগানে গিয়ে আমরা বেশ কিছু ছবি তুললাম। চারিদিকে এত অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য যে এখান থেকে সহজে যেতে মন চাইছিলো না। যেদিকেই তাকানো যায়, যেন কোন শিল্পীর হাতে তুলি দিয়ে আঁকা উঁচু-নিচু সবুজের ঢাল আর তার মাঝে দিয়ে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা পরিষ্কার পাথুরে রাস্তা। আমাদের কাছে আর খুব বেশি সময় ছিল না, তাই আমরা চা-বাগানে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে আস্তে আস্তে নিজেদের হোটেলের দিকে ফিরে চললাম। কিন্তু হাতে সময় থাকলে কেউ ঘুরে দেখে নিতে পারেন মিরিকের আরো দু'তিনটি অসাধারণ জায়গা। মিরিক লেক থেকে মাত্র 2 কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কমলালেবু, আর এলাচের অনেক বড় বড় ফার্ম। কম তাপমাত্রা এবং সুন্দর আবহাওয়ার জন্য এখানে খুব ভালো রকমারি প্রজাতির অর্কিডেরও চাষ হয়। মিরিকে আমাদের থাকার সময় এই টুকুই ছিল। অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতা স্মৃতিতে নিয়ে মিরিক থেকে আমাদের ফেরার পালা।।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |