ইলোরা :: অজন্তা দেখার পরের দিনই সকালে একটা গাড়ি ভাড়া করে বেড়িয়ে পরলাম । ঠিক হলো ইলোরা দেখে ঔরঙ্গবাদ ঢুকবো। ঔরঙ্গবাদ শহর থেকে ৩০ কিমি দুরে ইলোরা গুহা। বলে রাখি প্রত্যেকটি গুহা দেখতে হলে অটো অবশ্যই ভাড়া করতে হবে।কারন একটা থেকে আরেকটা বেশ দুরত্বে। রাষ্ট্রকূট রাজবংশ এই স্থাপন কার্য করেছিল। এখানে ৩৪টা গুহা আছে। এই গুহা গুলো চরনন্দ্রী পাহাড়ের অভ্যন্তর থেকে খনন করে উদ্ধার করা হয়েছে। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন এই তিন ধর্মের মন্দিরের স্বাক্ষর রয়েছে।৫মথেকে ১০ম শতাব্দী তে এটি নির্মিত হয়।১২টি বৌদ্ধ,১৭টিহিন্দু ,৫টি জৈন । ইলোরার কৈলাস মন্দিরটি সবথেকে আর্কষণীয়। কৈলাস মন্দিরটি সাদা। এটি কৈলাস পর্বতের ধাঁচে তৈরী ।কৈলাস যেহেতূ শিবের স্থান সেহেতু মন্দিরের প্রবেশদ্বারে মন্দিরের ঐতিহ্য অনুযায়ী বিশাল পাথরের ষাড় নন্দী মূর্তি। একটি পাথর উপর থেকে কেটে এই মন্দির তৈরী। কৈলাস এর রং অনুযায়ী এর রং সাদা।প্রধান মন্দির নন্দী মন্ডপে লিঙ্গম অবস্থিত।নন্দী মন্ডপে ১৬টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে।যার উচ্চতা ২৯.৩মি.। নন্দী মন্ডপে একটি বিশাল হাতির মূর্তি আছে। একটি পাথরের সেতু দিয়ে নন্দী মন্ডপে ও শিব মন্দিরে যোগাযোগ সাধিত হয়েছে। আনুমানিক ১০০বছর লেগেছিল এটি তৈরি করতে। শিব পার্বতীর বিবাহ, শিবের রুদ্র মূর্তি, শিব, পার্বতী কৈলাস একত্রে এই স্থাপত্ত এই মন্দিরে দেখা যায়। অন্যান্য হিন্দু মন্দিরের মধ্যে ২১নম্বর গুহা টি রামেশ্বর,যার প্রবেশ দ্বারের মুখে গঙ্গা, যমুনার মূর্তি আছে।২২নম্বর গুহা টি নীলকন্ঠ এখানে অনেক স্থাপত্য বিদ্যমান, ২৯নম্বরটি ধুমরলিনা যা মুম্বাই এর এলিফ্যান্টা দ্বীপ এর গুহার মতো। আরও গুহা আছে, ভিতরে অভূতপূর্ব ভাস্কর্য সমৃদ্ধ।দেখতে প্রায় চার,সাড়ে চার ঘন্টা লেগেছিলো।দেখা শেষে পুনরায় গাড়ীতে উঠে ঔরঙ্গবাদ এর পথে রওনা হলাম। Post By:- Madhumita Pal
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |