জয় মাতাদি... ..22nd February,2018 আমারা রওনা হলাম,বৈষ্ণদেবী দর্শনে। অবশ্যই দিল্লি হয়ে গিয়েছিলাম। দিল্লি কাটরা ট্রেন,রাত ১০টায়। পরেরদিন সকালে ৯, থেকে ৯.৩০মিনটে পৌছালাম কাটরা। ঝিরঝির বৃষ্টি, একদিকে পাহাড়, পরিচ্ছন্ন স্টেশন। অপূর্ব একটা অনুভুতি হয়েছিল। স্টেশন থেকে বেশ কিছুটা হেঁটে গিয়ে অটো, গাড়ি ধরতে হয়। আমরা একটা অটো ধরে হোটেলে পৌছালাম। হোটেল টা ছিল মেইন রোড থেকে একটু নীচের দিকে। সুন্দর ফুলের বাগান। অনেক টা জায়গা নিয়ে। বিশাল রিশেপসন কাউন্টার।এ প্রসঙ্গে বলি মধুবন হলিডেস এই সংস্থা থেকে বুকিং করেছিলাম। যেমন দাম, তেমনি হোটেল। নাম ত্রিনয়নী প্যালেস। খাওয়া দাওয়া ও খুব ভালো। রুম অপূর্ব। ব্যলকনি থেকে পাহাড়ের দৃশ্য অভূতপূর্ব। ব্যালকনি থেকে মাতাদির মন্দিরের দৃশ্য বার বার আমায় ডাকে। সেদিনের মত খাওয়া দাওয়া করে শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। একটু ইনফরমেশন কালেকশন করলাম। পরের দিন মাতাজী দর্শনে যাব। পরেরদিন দূপূরে লাঞ্চ সেরে একটু বিশ্রাম নিয়ে হোটেলের গাড়ীই পৌঁছে দিল মন্দির যাওয়ার গেট অবধি। একটি নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত গাড়ি যায়। যাওয়ার পথে লাঠি,লাল রঙের জরির চূর্নী তিনটি রূপোর মূকূট কিনে,পরচার জন্য লাইনে দাঁড়ালাম। অবশ্যই আঁধার কার্ড,আই কার্ড দেখিয়ে ,ব্যাগ র্সাচ করে ঢুকতে দেবে।সমস্ত নিয়ম কানুন শেষ করে রওনা হলাম। ঘড়িতে তখন দুপুর ৩টে। রাস্তার উপরে ছাউনী দেওয়া, দুধারে বেঞ্চ, খাওয়ার দেকানের অভাব নেই।তার সাথে সুন্দর টয়লেট এর ব্যবস্থা। প্রথম ৬কিমিপ্রায় অর্ধকুয়ারী পর্যন্ত ঘোড়ার খুবই উপদ্রব।কারন মানুষ, ঘোড়া,পালকী সব এক রাস্তায়। অর্ধকুয়ারী থেকে বাঁদিক এর রাস্তা একমাত্র দর্শনার্থীদের জন্য। এদিকে ঘোড়া ঢুকতে দেয় না। ঘোড়া করে যে সব দর্শনার্থী যায় তাদের ডানদিকে এর রাস্তা ধরতে হয়। কিছুটা হাটার পর একটু বিশ্রাম নিলাম। এভাবেই রাত ১০টায় পৌঁছলাম মন্দিরে।সবার মুখে একটাই কথা জয় মাতাদি। বিশ্বাস করুন একটু ও ক্লান্তি নেই,সদা হাস্যমুখে সবাই এগিয়ে চলেছে। এবার সব জমা করতে হবে। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে লকারে সব রেখে পূজোর লাইনে দাঁড়িয়ে পরলাম । এখানে আলাদা লাইন নয়। তিনটে লাইন হয়েছিল। আমরা গুহার ভেতরে দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম। এক পাশে দিয়ে পাহাড়ের জল যাওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা। ঠান্ডা জল বেরিয়ে যাচ্ছে। অবশেষে মায়ের দর্শন। চূর্নীটা শীলা য় ঠেকিয়ে দিয়ে দিল,মূকূট গুলো নিয়ে নিল। একটি বড় পাথরের তিনটি মাথা," তমস" মাকালীর প্রতীক,"রজত" মা লক্ষ্মীর প্রতীক," সাত্ত্বিক" মা সরস্বতীর প্রতীক। এই তিন পাথর ই যুগযুগান্ত ধরে মাতা বৈষ্ণদেবী রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। মনটা ভরে গেল। অদ্ভুত অনুভূতি।সিড়ি দিয়ে নেমে আসার সময় দেখলাম দুটো পাথরের মাঝখান দিয়ে জল চুইয়ে পড়ছে। কোথায় থেকে আসছে অজানা। বেরিয়ে এসে নরকেল নিতে হয় কুপন দেখিয়ে, আমারা আর নিই নি। এবার লকার থেকে জিনিস গুলো নিতে হবে। সব নিয়ে, তখন কার মত সামান্য কিছু খেলাম। পাশেই খাবারের অনেক দোকান। প্রায় হেঁটে উঠতে ৮ঘন্টা লেগেছিল। রাত ১২টায় সব সেরে নীচে নামতে শুরু করলাম। মাঝে মাঝে বেঞ্চ এ বসে বিশ্রাম নিলাম। আবার কিছুটা পথ চললাম,একটু কফি খেয়ে আবার হাটা। হঠাৎ দেখি কয়েকজন বলল পা দাবাদু,বসে পড়লাম বেঞ্চ এ , ভালো ম্যাসাজ করে দিল,৫০টাকা নিল , দুজনের। সারারাত ধরে লোকের যাতায়াত, কোনো ভয়, ভীতির কারণ নেই। নীচে যখন নামলাম,৫.৩০ মিনিট। ,বানগঙ্গায় যখন পৌঁছলাম ,তখন ভোর ৬টা, আমাদের ফোন পেয়ে ,হোটেল থেকে গাড়ি এসে দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়ীতে উঠে হোটেলে এসে প্রাতরাশ সেরে, বিছানায়। পা এ সামান্য ব্যথা হয়, একদিন গেলে ঠিক হয়ে যায়। কোন তেল থাকলে নিয়ে নেবেন,পায়ে ভালো করে মালিশ করে নেবেন। বলে রাখি ওখানে গিয়ে ওখানকার সিম মোবাইল এ ভরে নেবেন,তা না হলে যোগাযোগ করা যাবেনা। খুব ভালো রাস্তা,ভীষন নিরাপদ, অসংখ্য দোকান, কোন অসুবিধা নেই। যাদের সুগার,বা প্রেসার আছে , তাঁরা সিঁড়ি দিয়ে যাবেন না। প্লেন রাস্তা দিয়ে যান। পরেরদিন ট্রেনে দিল্লি ফিরে আসলাম। মনটা আনন্দে, শান্তিতে ভরে গেলো।জয় মাতাদি। Post By:- Madhumita Pal
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |