2017 তে গিয়েছিলাম দিল্লি । একটা দিন পুরটাই রেখেছিলাম অক্ষরধাম মন্দির দেখার জন্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী বেড়িয়ে পরলাম।নিউদিল্লি স্টেশন থেকে হলুদ লাইন ধরে চলে এলাম রাজীবচকে,সেখান থেকে ব্লু লাইন ধরে অক্ষরধাম।নেমেই অটো পাবেন। অটো সোজা পৌঁছে দেবে মন্দিরের সামনে। ভিতরে ঢোকার সময় অনেক নিয়ম,কানুন আছে। লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যাগ, মোবাইল, ক্যামেরা সব জমা নিয়ে একটা কুপন দিয়ে দেয়, কুপন নিয়ে ঢুকে পরলাম মন্দিরের ভেতরে। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। দুধারে গাছের সারি, মাঝখানে পরিস্কার রাস্তা, রাস্তা ধরে কিছুটা গেলে মন্দিরে ঢোকার বিশাল দরজা। ভিতরে ঢুকে সত্যিই অবাক হতে হয়। একদিকে থিয়েটার হল, মিউজিয়াম , সোজা সাদা চকচকে মার্বেলের রাস্তা চলেগেছে মন্দিরের দিকে। আমরা রাস্তার মাঝে কাপের্টের উপর দিয়ে সিঁড়ি পেরিয়ে মন্দিরে ঢুকলাম। মন্দিরের ভিতরে অপূর্ব কারুকার্য , বিশাল আকৃতির পিলার , রং বেরঙের অলঙ্কার খোচিত মূর্তি। মন্দিরের দরজার ফলকে,গায়ে, অসংখ্য হাতির মূর্তি। দেখতে দেখতে চোখ জুড়িয়ে যায়। একটির পর একটি বিশাল পিলার দেওয়া ঘর, তার ভিতরে রাম সীতা,হরেক রকম মূর্তি। মাঝখানে যে ঘরটি তার সিলিং এ পদ্মের মত কারুকার্য, স্বামীনারায়নের সোনালী রং এর চকচকে মূর্তি। এইবার এই মন্দির সম্পর্কে বলি। গিনেস বিশ্বরেকর্ড এ এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির। ভারতীয় স্থাপত্যের ধাঁচে তৈরী।বোচাসন্ন্যাসী শ্রী অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ন সংস্থার গুরু প্রমুখ স্বামীর অনুপ্রেরনায় এই মন্দির তৈরী করা হয়। মন্দিরের মধ্যে রয়েছে প্রদর্শনী হল, থিয়েটার, মিউজিয়াম ফাউন্টেন, গার্ডেন অফ ইন্ডিয়া, পদ্মফুলের ধাঁচে বিশাল আকৃতির সুদৃশ্য বাগান যা যোগী হৃদয় কোমল নামে পরিচিত। মন্দির র্নিমানে স্টিল ও কংক্রিট ব্যবহার করা হয় নি। হিন্দু সংস্কৃতি ও ভারতীয় ইতিহাসকে মিলিয়ে বহু অংশে হাতির স্থাপত্য বানানো হয়েছে। প্রতিটি হাতীর স্থাপত্যের ওজন ৩০০০টন। যমুনা নদীর তীরে দামী পাথর দিয়ে মন্দিরের একাংশে স্বামীনারায়ন ও ভারতের ইতিহাস বর্নিত হয়েছে।মূল অংশ প্রায় ১৪১ফুট উঁচু,৩১৬ফুট চওড়া,৩৫৬ফুট লম্বা।৩৬৪টি পিলার,৯টিবিশাল গম্বুজ।২০,০০০ মূর্তি ও হিন্দু দেবদেবী,সাধু আচার্যদের স্থাপত্য, রাজস্থানের গোলাপী বেলে পাথর, ইতালির কারারা মার্বেল দিয়ে তৈরি। এছাড়া নারায়ন সরোবর, প্রমতী ফুডকোর্ট, আর্টসেন্টার। ক্যামেরায় এই সুন্দর স্থাপত্য নিদর্শন না ধরলেও মনের মনিকোঠায় একরাশ স্মৃতি নিয়ে ফিরে আসলাম। ফুড কোর্ট এ বিভিন্ন খাবার যথার্থ দামে পাবেন। ফুচকা থেকে আইসক্রিম সবই আছে। বলে রাখি ফেরার পথে কুপন দেখিয়ে জিনিস গুলো নিতে ভুলবেন না। মন্দিরের যে দিক দিয়ে বেরোবেন সেখানে থেকে হেঁটেই মেট্রো স্টেশন চলে আসতে পারবেন। সোমবার এটি বন্ধ থাকে।যে ছবিগুলো দেব ,সবই আমার সংগৃহীত কারন ভিতরে ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা আছে।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |