আবার তীর্থযাত্রায়। আবার সেই বীরভূম। আজ নানুর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে ঊচকরণ গ্রামের চারটি শিবমন্দির দেখে এলাম। আজও একবার পৌষমেলায় ঘুরে এলাম।
স্থানীয় ধনী পরিবারের হরেন্দ্রনাথ সরখেল কর্তৃক ১৭৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চারটি চারচালা মন্দিরের টেরাকোটার কাজ এককথায় অসাধারণ, আরও এই কারনে যে এই কাজগুলি খুব ভালো অবস্থায় আছে। কয়েকটি অসাধারণ টেরাকোটা ফলকের ছবি দেখাচ্ছি, পরে বিস্তারিত লিখবো। ১) হরিহর মূর্তি। ২) অর্ধনারীশ্বর (হরগৌরী)। ৩) ঢেকিতে উপবিষ্ট নারদ। ৪) শ্মশান কালী ও সিদ্ধেশ্বরী কালী পাশাপাশি। ৫) চার মাথা যুক্ত ব্রহ্মা (টেরাকোটায় সাধারণতঃ তিনটি মাথা দৃশ্যমান থাকে)। ৬) যুদ্ধরত রাবণের একটি মাথা তিরবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে পড়ে (অনেকে দুটি মাথা বললেও দ্বিতীয় মাথাটি খুব সম্ভবতঃ রাবণের নয়, কারন রাবণের ঘাড়ে ৯টি মাথা দেখা যাচ্ছে)। ৭) টোপর পরা বর-বউ পাশা খেলছে (সম্ভবতঃ স্ত্রী-আচারের অংশ)। ৮) গরুড়ের পিঠে নারায়ণ (খগেন্দ্র রূপে)। ৯) ষড়ভূজ গৌরাঙ্গ। প্রথমে নানুর যান। বোলপুর থেকে কাটোয়া যাওয়ার রাস্তায় বোলপুর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে নানুর (ওখানে গেলে চণ্ডীদাসের ভিটে ও বাশুলী মন্দির দেখতে ভুলবেন না)। নানুর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে উচকরণ গ্রাম। নানুর থেকে টোটো রিজার্ভ করে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো, কেননা গ্রামের মধ্যে ঢুকতে গেলে টোটোই সেফ অপশন।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |