পুজো শেষ তাই বেরিয়ে পড়লাম সুন্দরী সিকিম এর পথে দশমীর দিন৷ দার্জিলিং মেইল ধরে পৌঁছে গেলাম নিউ জলপাইগুড়ি৷সেখান থেকে গাড়ি করে পৌঁছে গেলাম সিলেরি গাওঁ ,তখন বাজে ৩.৩০৷আঁকা বাঁকা চরাই উৎরাই পথ ধরে শেষ পর্যন্ত পৌছালাম মায়াবী সেই গ্রামে৷ ঠান্ডা হালকা বাতাস আমাদের স্বাগত জানালো.হালকা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়াচ্ছে মায়াবী সেই গ্রামে ৷আমাদের জন্য হোমস্টে ব্যবস্থা ছিল আগেই,কলকাতা থেকে বুকিং করে ছিলাম ৷আস্তে আস্তে নেমে এলো আধার আর তার সাথে ঠান্ডার আমেজ.পরদিন সকালে হাটা দিলাম RAMITEY ভিউ পয়েন্ট এর দিকে ৷ চারিদিকে গাছের সারি তার মাঝে চলেছি আমরা ৪ জন.৩০ মিনিট পর পৌঁছে গেলাম সেই জায়গায় ,তবে চারিদিকে কুয়াশা তখন ঘিরে রেখেছে আমাদের ৷তিস্তা নদী আর কাঞ্চনজঙ্ঘা তখন দেখা যায়নি.তাই সময় নষ্ট না করে ফিরে এলাম ৷ খেয়ে দিয়ে রওনা হলাম জুলুক এর পথে.কিছুক্ষন পরে দেখ্লাম QKHOLA জলপ্রপাত ,তারপর আবার গাড়ি চললো আঁকা বাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে ৷ জুলুক যখন পৌছালাম তখন বিকেল ৪ তে বেজে গেছে ৷আস্তে আস্তে ঠান্ডা বেড়ে গেলো এবং আমরা এক অপূর্ব সুন্দর HOMESTAY তে এসে পৌছালাম.
৷ সেখান থেকে দেখলাম জুলুক এর এক অপূর্ব রূপ৷ পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে গেছে সিঁড়ি!চারিদিকে শুধু সবুজ পাহাড়৷ রাত বাড়তেই ঠান্ডা নেমে এলো .ইলেকট্রিসিটি ছিলো না তখন, কিছুক্ষন পরে হটাৎ দেখা দিলো আলো.কারেন্ট চলে এলো ৷সন্ধেবেলা চা আর পাকোড়ার সাথে আড্ডা বেশ জমে উঠলো.ঠান্ডা আরো বাড়তে লাগলো তাই রুম হিটার এর বাব্যস্থা করা হলো .সেদিন রাত বেশ কেটে গেলো ৷ পরদিন সকাল বেলা সেই আঁকা বাঁকা সিঁড়ি বেয়ে নেমে গেলাম নিচে জুলুককে একটু ভালো করে চিনবো বলে.সামনেই আর্মি ক্যাম্প ছিল ওখানেই সকালের চা সেরে নিলাম.তারপর সকালের খাবার শেষ করে আমাদের আসল যাত্রা সূচনা হলো গ্যাংটক এর পথে.ZIGZAG জুলুক এর পথ পেরিয়ে আমরা এসে পৌছালাম থামবি ভিউ পয়েন্ট .কুয়াশা তখন বেশ আমাদের ঘিরে রেখেছে.তবু সেই ZIGZAG পথ আমরা দেখতে পেলাম.তারপর এক অপূর্ব জায়গায় পৌঁছে গেলাম নাম লুংথু .কাঞ্চনজঙ্ঘা এখনো অধরা.পাহাড়ের গায়ে লাল গোলাপি ফুল এর বাহার এ ঘেরা দারুন এক জায়গা.তারপর আমরা পৌঁছে গেলাম নাথাং ভ্যালি.মুগ্ধ হয়ে গেলাম প্রকৃতির সেই রূপ দেখে. আস্তে আস্তে পাহাড়ের পথ বেয়ে এগিয়ে চললো আমাদের গাড়ি.কিছুক্ষন পরে এলো পাহাড়ে ঘেরা মেমেঞ্চ লেক.তারপর এলো সেই বিখ্যাত বাবা মন্দির যেখানে কিছুক্ষন সময় কাটালাম আমরা.আবার চলতে শুরু করলো গাড়ি ,তারপর এসে পৌছালাম কুপুপ লেক যাকে দেখতে হাতির মতো তাই তার নাম এলিফ্যান্ট লেক ও বলে.ভীষণ ঠান্ডা সেই জায়গায়.চারিদিকে শুধু পাহাড় আর পাহাড় .যেন মনে হচ্ছে ভূস্বর্গ তে পৌঁছে গেছি আমরা.হটাৎ শুরু হয়ে গেলো বরফের বৃষ্টি. বড়ো বড়ো বরফের টুকরো গাড়ির উপর এসে পড়লো.আমরা তো ভীষণ খুশি..এরপর এগিয়ে গেলাম ছাঙ্গু লেক এর দিকে .চমরী গাই এর দল সারি সারি পথের ধরে দাঁড়িয়ে আছে. ঠিক 4 তে ১৫ তে এসে পৌঁছলাম গ্যাংটক.গাড়ি করে হোটেলে উঠলাম.কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে আমরা চলে এলাম এম .জি মার্গ .আলোয় আলোকিত লোকে লোকারণ্য সেই বিখ্যাত জায়গা.ফেরার টিকিট তখন আমাদের কনফার্ম হয়নি তাই অন্য ব্যবস্থা করতে হবে.রাতে একটি মনোরম রেস্তোরা তে ডিনার সেরে নিলাম.পরদিন গ্যাংটক শহর ভ্রমণ.সকাল বেলা বেরিয়ে পড়লাম .প্রথমে আমাদের স্বাগত জানালো বাকথাং জলপ্রপাত .সিকিম এর সাজসজ্জায় আমরা সেজে ছবি তুলতে লাগলাম..তারপর সকালের খাওয়া সব সেরে এসে এলাম এক মনাস্ট্রি দেখতে.একে একে তাশি ভিউ পয়েন্ট পেরিয়ে এলাম গণেশ টক যেখান থেকে গ্যাংটক শহর তাকে পুরোপুরি দেখা যায়. গণেশ জি কে প্রণাম জানিয়ে এগিয়ে চললাম হনুমান টক .ঘন্টা বাজিয়ে বাজিয়ে এগিয়ে চললাম.সবশেষে আমরা এসে পৌছালাম বনঝাঁকরি পার্ক এ.দুপুরের খাওয়া দাও সেরে আমরা সেখানে শোভা দর্শন করলাম.সুন্দর একটি জলপ্রপাত এর কাছে এসে পৌছালাম.বিকেলের আলো জানিয়ে দিলো এবার ফেরার পালা.থেকে গেলো শুধু আনন্দের রেশ সবার মনে.এবারের মতো গ্যাংটক কে বিদায় জানিয়ে ফিরে এলাম শিলিগুড়ি.সারা রাত বাসে করে এসে পৌছালাম কলকাতা. এবারের মতো ভ্রমণ শেষ ,শুধু স্মৃতি টুকু থেকে যাক সবার মনে চিরজীবণের মতো. 7 members ,Per head cost Rs 3300 .Total cost from NJP to Gangtok- Rs 3300* 7= 23100 (Gangtok hotel, food and sightseeing excluded)
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |