বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী কিছু স্থাপত্য আজও ভ্রমণপ্রেমী মানুষকে আকর্ষিত করে।তাই সময়কে সাথি করে অজনাকে জানার উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়ে পর্যটকপ্রেমী মানুষ।
ভারতবর্ষে টেরাকোটার মন্দির অত্যান্ত গুরত্বপূর্ণ স্থাপত্য।পশ্চিমবঙ্গের পূর্ববর্ধমান জেলায় বেশ কিছু টেরাকোটার মন্দিরের মধ্যো কাটোয়া মহকুমার অন্তগত শ্রীবাটী গ্রামের টেরোকোটা ত্রিমন্দির অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য।প্রায় ৪০০ বছরের স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে আজও পর্যটকদের চোখকে বিস্মিত করে তোলে। ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি এততাই সমৃদ্ধ যে সময়ের অন্তিমতাকে হারিয়ে যায়। মন্দিরের বক্ষে ভাস্কর্যগুলি প্রাচীন - নবত্বের ছোঁয়ায় আজও ইতিহাসের বহু তথ্যকে সঙ্গি করে বেঁচে আছে। তৎকালীন সমাজের যুদ্ধে যোদ্ধার অংশগ্রহন, নারীদের ভূমিকা, বাদ্যযন্ত্রের শিল্পী, ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি, নৌকাযাত্রা মাধ্যমে ব্যাবসাবাণিজ্য,বহুদেব-দেবীর ছবি, ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার , তৎকালিন সমাজের রাজতান্তিক ব্যাবস্থার বিভিন্ন চিত্র তোরণ গুলি অপরূপ ভাস্কর্যের সৌন্দর্য স্বরণীয় অধ্যায় রূপে স্মৃতিকে বিরাজ করবে।বহু চিত্রতোরণ সমগ্র ত্রিমন্দিরকে আলোকিত করে রেখেছে। সময়ের কালক্রমে কিছু চিত্রতথ্য তোরণগুলি ক্ষয়িষ্ণু হয়ে বিলুপ্তর পথে,কিছু বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধিগ্রহন করে মন্দিরটি।তবুও আরো একটু উন্নতি ও সংরক্ষনের প্রয়োজন আছে মন্দিরটি।রাতের অন্ধকার আজও ঢেকে যায় মন্দিরের সৌন্দর্যের রূপটির, তাই প্রয়োজন আলোক বাতিস্তম্ভ। মন্দিরে গায়ে বেড়ে ওঠা ছোটো বৃক্ষগুলিকে ছেদনের প্রয়োজন, সংরক্ষন করলে হয়ত আরও অনেক প্রজন্ম দেখতে পাবে এই সৌন্দর্যকে।বিকশিত হবে ইতিহাসের প্রাচীন ধারাবাহিকতা।তাই টেরাকোটার কতৃপক্ষকে অনুরোধ সৃষ্টিময় ধারায় প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করা হোক।ও পর্যটনক্ষেত্রে সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক শ্রীবাটী ত্রিমন্দির।আজও বহু পর্যটকের কাছে আকর্ষণ শ্রীবাটী টেরাকোটা ত্রিমন্দির।। পথনির্দেশিকা- হাওড়া-কাটোয়া ট্রেন অথবা ধর্মতলা- কাটোয়া বাসে কাটোয়া, কাটোয়া থেকে শ্রীবাটী ১৯ কিমি বাসে অথবা গাড়িতে শ্রীবাটী বাসস্ট্যাণ্ড। শ্রীবাটী বাসস্ট্যাণ্ড থেকে শ্রীবাটী ত্রিমন্দির ৫ মিনিটের পথ।। ধন্যবাদ - দেবপ্রিয় দাশ (শ্রীবাটী)
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |