কাল গ্যাংটকে আমার হানিমুনের গল্প লিখেছিলাম। সবাই শুধু উৎসাহ দিল না, সাথে আরও লিখতে বললো। সেই আনন্দে আমি তাড়াতাড়ি রান্না করে লিখতে বসে গেলাম।ওই বার খাওয়া যাকে বলে আর কি।
দ্বিতীয় হানিমুন বলে কিছু হয় নাকি জানি না তবে বরের সাথে দ্বিতীয় বার বেরোনোটাই আমার কাছে দ্বিতীয় হানিমুন।এবার আমাদের গন্তব্য ছিলো ভাইজ্যাক। ইন্ডিয়ান নেভিতে বরের অফিসিয়াল কাজ ছিলো। 10 দিন বাদেই ছিলো আমার M. COM পরীক্ষা। তাই তিনি বল্লেন আমায় নিয়ে যাবেন না। আমি তো মুখ হাড়ি করে ঘুরতে লাগলাম। কথা বন্ধ। শেষে এই বলে রফা হল যে আমি আমার সব নোটস্ সাথে করে নিয়ে যাবো আর তিনি যখন দিনের বেলা অফিসের কাজে বাইরে থাকবেন তখন ভালো মেয়ের মতো পড়াশোনা করবো(আমি কি করবো সে তো আমিই জানি)। ট্রেন চলতে শুরু করার পর আমি বাধ্য মেয়ের মতো নোটস্ খুলে মন দিয়ে পড়তে লাগলাম। পাশের সিটে ছিলেন এক গুজরাটি ভাবিজী। কিছুক্ষন পরে তিনি এক বাটি ঘিয়ে চপচপে হালুয়া দিয়ে বললেন " বহিন খা লো, দিমাগ তেজ চলেগা।" ব্যাস, আমার পড়া লাটে উঠলো , বসে গেলাম গল্প করতে তার সাথে। হালুয়ার সাথে সাথে আরও কত কি জুটলো। থেপলা, ধোকলা, ফাফড়া না খাকড়া, দূর অতো নাম ধাম জানি না। খাবার দরকার খেয়েছি। ভাইজ্যাক গিয়ে সেখানে রামকৃষ্ঞ বীচে সমুদ্রের ধারে এক হোটেলে উঠলাম। জানালার পর্দা সরালেই অসীম সমুদ্র। সমুদ্রের প্রেমে আমি ছোটোবেলা থেকেই পাগল। বর সকালে বেড়িয়ে যেতো আর আমি সামনে নোটস্ গুলো সাজিয়ে রেখে জানলা দিয়ে সমুদ্র দেখতাম। সমুদ্র যেনো হাতছানি দিয়ে ডাকতো আমায়। Accountancy, demand , supply, সমুদ্র সব মিলেমিশে একাকার তখন আমার কাছে। বর ফোন করে খোঁজ নিতো পড়ছি কিনা, আমি তো অম্লান বদনে ঘাড় নেড়ে দিতাম। উল্টে বলতাম বার বার ফোন করবে না, পড়ার disturb হয়। সমুদ্রর সাথে একটু শান্তিতে প্রেমও করতে দেবে না। কি হিংসা রে বাবা। এইভাবে চারদিন কাটিয়ে বাড়ি ফিরলাম। বাড়ি এসে চুটিয়ে পড়াশোনা করে সে যাত্রায় ভালোভাবেই পাস করে গেছিলাম। যদি উৎসাহ দেন তবে পরে আবার তৃতীয় পর্ব লিখবো সাহস সঞ্চয় করে।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |