এই গ্রুপে আমার প্রথম পোস্ট
আমার হানিমুনের গল্প আমি ভালো লিখতে পারি না। খারাপ লাগলে নিজ গুণে মার্জনা করে দেবেন। আজ থেকে প্রায় পঁচিশ বছর আগের কথা।গ্যাংটক গেছি হানিমুন করতে। প্রথম দুদিন তো হেসে খেলে ঘুরে বেরিয়ে ভালই কাটলো। বাবা মা ছাড়া প্রথম ঘুরতে যাওয়া, শাসন করার কেউ নেই।ফূর্তির প্রাণ গড়ের মাঠ। মনে হচ্ছে "এই হানিমুন যদি শেষ না হয় তবে কেমন হতো"। ভগবানের সহ্য হলো না আমার খুশি।তিনদিনের দিন থেকে পতি দেবতার প্রবল জ্বর। ১০৩° জ্বর উঠে যাচ্ছে।ফেব্রুয়ারির ঠান্ডায় সারারাত বসে বসে জলপট্টি দিচ্ছি আর ভেউ ভেউ করে কাঁদছি। তখন মনে হচ্ছে কি করতে মড়তে হানিমুনে এলাম। ঘরের ছেলেকে ভালোয় ভালোয় ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারলে বাঁচি। তখনও অবধি আমার জানা সব ঠাকুরের কাছে মানত করা হয়ে গেছে। তবে হোটেলের ম্যানেজার খুব সাহায্য করেছিলেন। ডাক্তার দেখানো, ওষুধ এনে দেওয়া, বারে বারে খোঁজ নেওয়া সবই করেছিলেন। জ্বর যেদিন কমলো সেদিন রাতেই ছিলো আমাদের ফেরার ট্রেন। এখানে চুপিচুপি একটা কথা বলি। পাহাড়ে বেরাতে যাওয়া ঠিক হয়েছে শুনেই আমার মনে হতো বর আমাকে পাহাড় থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে আবার একটা বিয়ে করবে। ও মা, উনি তো নিজেই কাত্। আমাকে আর ফেলবে কি। জ্বর আসাতে একদিক দিয়ে আমি নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম। সেবার ভালো করে ঘোরা হয় নি বলে পাঁচ বছর বাদে আবার মেয়ে শুদ্ধু গ্যাংটক গেছিলাম ঘুরতে।এবার সুদে আসলে সব উশুল করেছি. . . . . এবার বরের ভয় ছিলো আমি না ওকে পাহাড় থেকে ধাক্কা মারি।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |