ঝাড়খন্ড রাজ্যের ঘাটশিলা থেকে কম / বেশি প্রায় কুড়ি কিলোমিটার দুরে যাদুগোড়ার শ্রী শ্রী রঙ্কিনী দেবী মায়ের পূজো দিয়ে যখন ফিরছিলাম,, তখন আমাদের অটোরিকশা চালক দাদা নিয়ে এলো প্রায় জনমানবহীন একটি পাহাড়ের পাদদেশে।। পাহাড়টির নাম সিদ্ধেশ্বর পাহাড়।। সঠিক পথ নির্দেশ দিতে পারবোনা,, কিন্তু ঘাটশিলা সাইট সিনের মধ্যে এই পাহাড়টি নাকি পরে।। বেশ জঙ্গলে পরিপূর্ণ পাহাড়ি পরিবেশ।। আমরা অটো থেকে নেমে পাহাড় চড়াই শুরু করে দিলাম।। আমার ব্যাক্তিগত ভাবে পাহাড় চড়াই উৎরাই এর খুব একটা শখ বা নেশা নেই।। কিন্তু আমার বন্ধু সমীর পন্ডিত ও প্রীতম নন্দীর খুব ভালো লাগছিল।। কারণ ওদের ট্রেকিং ট্যুর করার নেশা আছে।। ওদের পাহাড়, পর্বত আরোহণের শখ আছে।। সে যাই হোক,, আমার খুব একটা যাওয়ার ইচ্ছা করছিল না,, কিন্তু প্রিয় সমীরের অনুপ্রেরণায় কষ্ট করে পাহাড়ের চূড়ায় চলে এলাম।। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত একটি ছোট শিবমন্দির।। এখানে অবস্থান করছেন শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বর মহাদেব।। একজন স্থানীয় লোক পাহাড়ের চূড়ায় পর্যটকদের জলপান করার ব্যবস্থা করেছেন।। সামান্য কিছু অর্থ দিলে মন ভরে জলপান করা যায়,, সেই জল শিবের মাথায় দিয়ে জলাভিষেক করাও যায়।। একচুড়া বিশিষ্ট মন্দির।। লোহার গ্রিল দিয়ে ঘেরা।। কলাপসিবল গেটের সামনে রয়েছে পাথরের নন্দী ষাঁড়ের মুর্তি ও ছোট এক তুলসীমঞ্চ।। মন্দিরের মাঝখান বরাবর একটি ছোট কালো শিবলিঙ্গ রয়েছে,,মেঝে লাগোয়া যোনিপট্ট।। আমি কিছু নয়নতারা ফুল ও জলের বোতল নিয়ে মন্দিরে ঢুকলাম।। সেই নয়নতারা ফুল ও জল দিয়ে বাবা মহাদেবের পূজা দিলাম।। পাহাড়ি চড়াইয়ের সমস্ত কষ্ট নিমেষে উধাও হয়ে গেল।। গাছগাছালির হাওয়ায় গায়ের ঘাম শুকিয়ে গেলো।। বেশকিছুক্ষণ ধরে শিব তান্ডব স্তোত্র পাঠ করে চলে এলাম নন্দী ষাঁড়ের কাছে,, ওনাকেও নমস্কার করে চোখ পড়লো চারিদিকের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের দিকে।। দুরে দেখা যায় গালুডি বাঁধ ও সুবর্ণরেখা নদীর ধারা।। মন্দিরের পিছনে রয়েছে একটি ছোট বন্ধ ঘর।। জানতে পারলাম যে বাৎসরিক উৎসবের সময় ওখানে সিদ্ধেশ্বর মহাদেবের ভোগ রান্না হয়।। তারপাশে কতগুলো পাথর পর পর সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে।। সেটার কারণ আমি ঠিক জানতে পারলাম না।।
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |