আজকে আমি নিয়ে যাচ্ছি অতীতের মল্লরাজা দের দেশ ও বর্তমানের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর।। বিষ্ণুপুর কে বলা হয় মন্দির নগরী।। টেরাকোটার কাজ করা মন্দিরগুলো এক কথায় অসাধারণ ও অপুর্ব।। সাঁতরাগাছি,শালিমার স্টেশন থেকে ভোর বেলার রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, রাজ্য রাণী এক্সপ্রেস, ও আরণ্যক এক্সপ্রেস ধরে সরাসরি চলে আসুন বিষ্ণুপুর স্টেশন।। বিষ্ণুপুরের মন্দির ঘুরতে সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা।। তাই থাকার প্রয়োজন হবে না।। যদিও থাকার জন্য হোটেল, লজ, রিসোর্ট সবই আছে।। লোকজনের সংখ্যা বেশি হলে একটা অটো, ট্রেকার, বা গাড়ি রিজার্ভ করে নিন।। প্রথমে চলে আসুন বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত ছিন্নমস্তিকা দেবীর মন্দির।। ভক্তিভরে মায়ের পুজো দিন, দর্শন করুন।। মন্দিরের দুই দিকে রয়েছে শিব মন্দির ও রাধাকৃষ্ণ মন্দির।। এই মন্দির থেকে সামান্য এগোলেই দেখা যাবে দলমাদল কামান।। আরো কিছুটা এগোলেই মহাকালীকা ও অন্নপূর্ণা দেবীর মন্দির।। এবার একটা হোটেলে বসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিন।। তারপর শুরু করুন টেরাকোটার মন্দির দেখা।। এবার একে একে পর পর দেখবেন-- রাসমঞ্চ, কালাচাঁদ মন্দির, লালজি মন্দির, গুমঘর, জোড়াবাংলা মন্দির, শ্যামরায়ের মন্দির, মল্লেশ্বর শিব মন্দির, মদনমোহন মন্দির, রাধেশ্যাম মন্দির, মুরলীমোহন মন্দির, মৃন্ময়ী দুর্গা মন্দির, সর্বমঙ্গলা মন্দির, রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ, পাথরের রথ, রাজবাড়ীর দুটি পাথরের সিংহদ্বার, শ্রীধর মন্দির, মদনগোপাল মন্দির, রাধাগোবিন্দ মন্দির, রাধামাধব মন্দির, রাধালাল জিউ মন্দির, পাটপুর মন্দির, ষাঁড়েশ্বর শিব মন্দির (এটা কিছুটা দূরে), নন্দলাল মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও রেলস্টেশনের কাছে দক্ষিণা কালী ও রামেশ্বর শিব মন্দির।। বিষ্ণুপুরে মন্দিরের অভাব নেই।। তার কিছু তালিকা তুলে ধরলাম।। সন্ধ্যা ৫:৩০ এর হাওড়াগামী ডাউন রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ধরে কোলকাতা ফিরে আসা যায়,, নাহলে বিষ্ণুপুর থেকে ধর্মতলাগামী বাস ধরেও চলে আসা সম্ভব।। একটু জার্নি হবে, এটাই যা কষ্টের।। Post By-Anupam Chakraborty
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |