THAILAND - LAND OF SMILES Part 1 আমার থাইল্যান্ড ভ্রমণ হলো গরিবের থাইল্যান্ড ভ্রমণ. কারণ আমি না গেছি phuket, না krabi না chiang mai. ঘুরলাম শুধু Pattaya আর Bangkok. কারণ আমার হাতে সময় কম. আপনারা phuket যেতে চাইলে bangkok এসে immigration করেই domestic terminal এ ঢুকে phuket এর ফ্লাইট নিয়ে নেবেন. ওখানে এই ফ্লাইট ভাড়া সস্তা হয়. আমি বলি কি, পারলে থাইল্যান্ড টা ফেরার পথে ঘুরেই আসুন. Bangkok আর Pattaya কিন্তু বেশি খরচের না. আর যদি Phuket, krabi যেতে চান তাহলে সেটাও করতে পারেন.সেক্ষেত্রে পুরো থাইল্যান্ড tour হয়ে যাবে. Welcome to Bangkok: জানি ভুল সময়ে গেছি. সেপ্টেম্বর এ কেউ থাইল্যান্ড ঘুরতে যায়না কিন্তু আমার পুজো ছাড়া ছুটি পাওয়া শক্ত. Dong Muang airport নেমে immigration করলাম. আবার হোটেল এর confirm booking letter দেখাতে হলো ভিসা কলকাতা থেকে করে নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও. ব্যাংকক এর ভিসা নিয়ে key points এ detail বলে দেব. immigration করে বেরোবার সময় traveller sim টা তুলে নিন (true move sim card : 299 thai baht - for 100 baht talktime, 4G internet - 4gb for 8 days) বাইরে গেলেও একই দাম পরে দেখলাম. আপনাকে সেধে সেধে ডাকবে সিম কেনার জন্য. এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েই মনে হলো গায়ে সূচ ফুটলো. মারাত্মক গরম. 5 মিনিট এর মধ্যে t-shirt ভিজে গায়ে লেগে গেলো.এতো ভ্যাপসা গরম ভাবতে পারিনি . যেন ব্যাংকক নয় আমি চেন্নাই এসে গেচি.চেন্নাই এর weather এর থেকে অনেক বেটার. একটা কথা বলি কলকাতায় আমরা সেপ্টেম্বর মাসে যে গরমে থেকে অভস্থ সেই গরম কিন্তু ওই সময় south-east asia তে থাকে না..অনেক অনেক বেশি গরম কলকাতা থেকে . accu weather aap e temperature কলকাতা সাথে একই দেখালেও ওখানে আদ্রতা ভীষণ বেশি.ওই গরমে সহ্য করা যায় না.তার সাথে প্রত্যেকদিন সন্ধেবেলা মারাত্মক বৃষ্টি আর সেই বৃষ্টি থামে ভোর বেলায়.তাই বলবো শীতকালেই যান. চলো Pattaya : আমি খুব সস্তায় ঘুরতে ভালোবাসি তাই local transport use করি. এতে করে আপনি local culture , আদব কায়দা জানতে পারবেন . dong muang airport এর বাইরে এসে দাঁড়ান. পর পর বাস নম্বর দিয়ে ছোট হার্ডিং লাগানো আছে.সাথে আছে রুট ম্যাপ. A1 বাস এ উঠে পড়ুন. 30 মিনিট অন্তর বাস চলে সকাল ৭ থেকে রাত ১২ টা অবধি. AC বাস, সাথে ফ্রি wi-fi (লাভ নেই, activate করতে thai ভাষায় instruction আসে ) আন্দাজ এক ঘন্টায় আপনি পৌঁছে যাবেন mo chit bus station এ 30 baht এর বিনিময়ে. mo chit বাস স্টেশন গিয়ে pattaya বাস এর টিকিট কেটে নিন 124 baht এর বিনিময়ে. টিকিট কেটে bus bay চলে যান. ফাঁকে পারলে KFC খেয়ে নিন কারণ মাঝে বাস কোথাও থামবেনা. বাস bay তে বাস দাঁড়িয়ে থাকবে আর একদম সময়মতো ছাড়বে. luggage রাখার জন্য ওদের এগিয়ে দিন ওরা under cabin এ রেখে দেবে. ভোর 4.30 a.m. থেকে রাত 10pm অব্দি pattaya bus service থাকে. আড়াই ঘন্টায় দেড়শো কিলোমিটার পেরিয়ে পৌঁছে যাবেন আপনি pattaya.. Pattaya (1st Half Day) আমার পৌঁছতে বিকেল 5 টা হয়ে গেছিলো তাই আগে গিয়ে হোটেল এ ঢুকে check in করে নিলাম. Pattaya বাস স্ট্যান্ড এ নেমে Baht বাস (ছোট tempo) এ উঠে পড়বেন আর আপনার হোটেল address দেখিয়ে দিলেই হবে. ওরা আপনাকে ঠিক নামিয়েও দেবে. আমার হোটেল পৌঁছতে 50 Baht নিয়েছিল. হোটেল হলো Punyapha Place. হোটেল এর নিচেই ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট আর পাশে ছোট থাই snacks এর দোকান. ওখান থেকেই খেয়ে নিলাম rice and pork. রেস্ট নিয়ে কিছুক্ষন বেরিয়ে পড়লাম রাত্রি 9 টা নাগাদ. হোটেল টা pattaya বিচ রোড এর কাছেই, সোজা হেটে বিচ রোড থেকে baht বাস নিয়ে চলে গেলাম walking স্ট্রিট...মাত্র 10 baht e.....ব্যাস...তারপর... বাকিটা ইতিহাস. আমি একটু party animal তাই একরাতে 7 টা disc hop করা হয়ে গেলো.রাস্তায় barbecue chicken, prawn খাওয়া হলো. walking street এ ঘুরতে বেশ ভালোই লাগবে. পরপর disc, bar , restaurant.. ইচ্ছে হলে আপনি চলে যেতে পারেন alcazar show দেখতে . normal সিট এর দাম ৫০০ baht. এখানে সব disc শুরু হয় রাত 10 টা থেকে কিন্তু ভিড় শুরু হয় রাত 12 টা থেকে. indian ডিস্ক the nasha club অনেক বড়ো. ডান্স ফ্লোর অনেক বড়ো.ওদিকে club insomnia বেশ ভালো. আমি club insomnia তাই রেফার করবো. happy hour drinks আর beer অনেক সস্তা. 50 to 75 baht এ আপনি বিয়ার পাবেন ..টাইগার (সিঙ্গাপুর) আর Singha (থাইল্যান্ড) বিয়ার এখানে বেশ চলে. jack daniels এর সাথে cola মিক্স ও বেশ ভালো খেতে. pattaya night life তো সবাই জানে. বিশদে আর তাই বললাম না. Free entry in every disc for both male and female কিন্তু 1টা বিয়ার হলেও কিনতে হবে রাস্তা বেশ সেফ, ফ্যামিলি রা গেলেও কোনো অসুবিধা টা পড়বে না. "ওরা" কাউকে ডিসটার্ব করে না. Pattaya (2nd full day): সকালে উঠেই বেরিয়ে পড়ুন আর রাস্তায় খেয়ে নিন pork বা chicken noodle রাস্তায় ঠেলা দোকানে.পরিষ্কার আর খাবার নিরাপদ. দাম নেবে40 baht. এর পর beach road থেকে baht বাস ধরে বা ট্যাক্সি নিয়ে চলে যাবেন Bali hai pier. এখন থেকে আপনি পাবলিক ferry service নিয়ে নিন Koh larn (coral island) যাবার জন্য. 30 bahr ferry charge এক পিঠের. 40 মিনিটে পৌঁছে যাবেন Koh larn island এ . নেমে ট্যাক্সি উঠে চলে আসুন tien beach এ. সব tour operator আপনাকে নিয়ে Tawaen beach যাবে. কিন্তু বেশ crowded. এমনকি বিদেশী রাও এড়িয়ে চলে. এখানে indian বেশি পাবেন. whereas tien বিচ অনেক ফাঁকা , পরিষ্কার স্নানের জন্য উপযুক্ত. স্নান এর ব্যবস্থা নিয়ে আসলে এখানে স্নান করুন. change room পেয়ে যাবেন পাশের বিচ হোটেল এ. এরপর ফিরে আসুন আবার সেই koh larn এর জেটি আর pattaya ফেরার launch boat নিয়ে নিন. একটা কথা বলি সমুদ্রের ঢেউ বেশ বড়ো তাই লঞ্চ থাকার সময় হেটে চলে বেড়াতে যাবেন না..পড়ে যেতে পারেন. pattaya তে পৌঁছে bali hai pier এর থেকেই ট্যাক্সি নিয়ে নিন ( একা থাকলে motor bike taxi) আর চলে যান Buddha Hill, যার আরেক নাম wat phra khao .এখান থেকে পুরো pattaya ভালো view পাওয়া যায় . এরপর এখন থেকে চলে যান sanctuary of truth, এটা বুদ্ধ হিল থেকে বেশ খানিকটা দূর. ট্যাক্সি তে 200 baht চাইতে পারে.. entry fee 500 baht কিন্তু সত্যি দর্শনীয় স্থান . একটা পুরো কাঠের মন্দির যার গায়ে হিন্দু আর বুদ্ধ ধর্মের দেব দেবীর অপূর্ব কারুকার্য.I know টিকিট এর দাম বেশি কিন্তু এটা ঘুরে আসবেন,. আমি তিনটে প্রধান জায়গা দেখার জন্য বলে দিলাম. এর পরেও আপনারা যেতে পারেন mini siam, floating market and tropical garden, art in paradise আর replay believe it or not.শেষ দুটো বাদ দিলেও দেওয়া যায় .আমি বাদ দিয়েছিলাম.Pattaya city তে আপনি ট্যাক্সি,baht bus করে ঘুরে নিতে পারেন (একা হলে তো সব চেয়ে সস্তার notor bike taxi. সন্ধে হোটেল এ ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে আবার চলে গেলাম walking স্ট্রিট এ. পরের দিন সকালে রওনা দেবো ব্যাংকক এর উদ্দেশে... (part 2) Key Points: 1. Thailand visa দু ভাবে পাওয়া যায়. এক হলো visa-on-arrival. সেক্ষত্রে ভিসা price আপনার 2000 baht আর personal fund per head 10,000 baht দেখাতে হবে (visa limit: 15 days) আরেকটা সস্তা উপায় হলো কলকাতা থেকে ভিসা নিয়ে যাওয়া. www.vfs-thailand.co.in/kolkata/ (phone no: 022-67866003) গিয়ে online form fill up করে print out করে নিন আর কলকাতায় ওদের অফিসে (5th Floor, Rene Tower, 1842, Rajdanga Main Road, Kolkata, 700107 near acropolis mall) এ গিয়ে জমা দিয়ে দেবেন. সাথে দেবেন পাসপোর্ট, সাদা background দিয়ে স্ট্যাম্প সাইজও ছবি,ফ্লাইট ticket print out, হোটেল বুকিং print out,আর bank account balance statement INR. 48000 বা cash exchange statement 24000 baht / 700 US dollar অথবা সমমূল্যের credit card limit statement.. আমি ক্রেডিট কার্ড এর স্টেটমেন্ট জমা দিয়েছিলাম. গতবছর থাইল্যান্ড এর ভিসা ফ্রি ছিল জানিনা এই বছর কি আছে. তাই মাত্র 230 টাকা processing fees দিতে হয়েছিল. নইলে INR.2000 দিতে হতো. single entry tourist visa limit 30 days and validity 3 month. 2. Pattaya, bangkok e সব হোটেল এ check in এর সময় full pay করে দিতে হয়.সাথে 1000 baht security deposit দিতে হয়.চিন্তার কিছু নেই. আপনি কোনো জিনিসের ক্ষতি না করলে ফেরত পেয়ে যাবেন পুরো টাকা চেক আউট এর সময়. কিন্তু আপনি রুম এর mini bar থেকে যদি কিছু খেয়ে নেন তাহলে ওই security deposit থেকে কেটে সেটা বিল করে দেয়া হবে. 3. mini bar সম্পর্কে একটু বলে দেই .সবাই জানেন তাও একবার ঝালিয়ে দিচ্ছি. হোটেল রুম এর ভেতর ছোট ফ্রিজ এ ঠাসা থাকে কোল্ড ড্রিংক, ড্রিংকিং ওয়াটার আর বিয়ার এর বোতল. মনে রাখবেন এগুলোর সব দাম বাইরের দোকান থেকে বেশি. আর এগুলো একটাও ফ্রি নয়. এখন থেকে কিছু খেলে সেটা billing হয়ে যাবে. 4. থাইল্যান্ড কিন্তু সৎ দেশ নয়. এখানে অনেক scam চলে. pattaya beach, বা koh larn এর বিচ water sport like water bike বা surfing করার সময় সার্ফ বোর্ড বা water bike চেক করে নেবেন. কারণ ওরা ভাঙা দিলেও আপনার ঘুরে আসার পর বলবে আপনি ভেঙেছেনা. তারপর শুরু হবে হেনস্থা আর টাকা আদায়. তাই নেয়ার আগে দেখে নেবেন ভাঙা থাকলে avoid করুন বা দেখিয়ে দিন already ভাঙা আছে . 5. থাইল্যান্ড এ departmental store 7/11 দু পা হাঁটলেই একটা করে পাবেন. এখানে মোবাইল রিচার্জ , প্যাকেজ ওয়াটার থেকে শুরু করে চিপস, খাবার, মদের বোতল বিয়ার সব পাবেন আর 24 ঘন্টা খোলা থাকে. দাম ন্যায্য নেবে. জলের বোতলে এখন থেকে কিনতাম আমি. 20 baht নেবে 2 লিটার জলে বোতল এর জন্য. বিয়ার বড়ো বোতল 40 to 50 baht. cigaratte পারলে ইন্ডিয়া থেকেই নিয়ে যান. এদের সিগারেটে গুলো ভালো না আর দাম বেশি. 80-90 baht 1 packet (king size -20 sticks) or কাম্বোডিয়া থেকে যদি আসেন তাহলে ওখান থেকে কার্টন তুলে নেবেন. 6. আমি যেমন কাম্বোডিয়া থেকে এসেছি Air asia দিয়ে . US Dollar 85 পড়েছিল ভাড়া যেটা সাড়ে ৫ হাজার এর মতন.কলকাতা থেকে ব্যাংকক "যাওয়া-আসা " আপনি চেষ্টা করলে INR. 8000-10000 এ পেয়ে যাবেন. Air asia, spice jet এ ভালো rate পাবেন. মনে রাখবেন Air asia হলে Dong Muang (DMK) এয়ারপোর্ট আর spicejet ধরলে Suvarnabhumi (BKK) এয়ারপোর্ট. সুবর্ণভূমি থেকে pattaya যাবার ডাইরেক্ট বাস পাওয়া যায় . মিস করলে ekkemai বাস স্টপ এ চলে আসবেন সেটা মাত্র আধ ঘন্টা লাগে. 7. ট্যাক্সি থেকে বা দিকের গেট দিয়ে উঠবেন আর নামবেন .নইলে ফাইন হতে পারে. 8. street food অনায়াসে খেতে পারেন. তবে sea food একটু সামলে খাবেন. চিংড়ি এরা ভালো করেই পরিষ্কার করে,পিঠের intestine নালী টাও ফেলে দেয় ভালো করে. 3 piece বড়ো গ্রীলড চিংড়ি 40 বাত. রাস্তার chow soup অনায়াসে খান.আমি পুরো স্ট্রিট ফুড এই ছিলাম.কোনো শরীর খারাপ হয়নি. 40 to 50 baht এ আপনার এক এক বেলা খাওয়া হয়ে যাবে.আস্ত গ্রীলড সমুদ্রের ভেটকি 300 baht যা 4 জনের জন্য যথেষ্ট. 9.Hotel Punyapha Place room বুক করুন booking.com দিয়ে.ওখানেই address, phone no পাবেন .google ও করে নিন. রুম সত্যি বেশ ভালো 1400 -1500 baht রুম rent /per day. এছাড়াও অনেক কম দামের হোস্টেল ও পাওয়া যায়. 10. কলকাতা থেকেই thai baht নিয়ে যান. dollar থেকে baht এ convert করলে loss হবে. suryanarayan forex থেকেই করে নিন. INR. 1.98 = 1 thai baht পেয়েছিলাম আমি. হ্যা , thai baht এর দাম আমাদের থেকে বেশি. আমাদের 1 rupee ওখানে গিয়ে ৫০ paisa হয়ে যাবে. Thailand : Land of smiles Part 2 : Bangkok সকাল সকাল হোটেল থেকে চেক আউট করে বেরিয়েই একটা motor bike taxi নিয়ে নিলাম.আমি single মানুষ আমার প্রব্লেম হয়না কারণ রুকস্যাক ব্যবহার করি বলে. পৌঁছে গেলাম pattaya বাস স্ট্যান্ড এ আর টিকিট কেটে নিলাম বBangkok এর ekkemai bus stand এর. ওটাই আমার bangkok এর hotel এর কাছে হবে. Bus ভাড়া প্রায় একই পড়লো 130 baht ..যতটা মনে পড়ছে. ভালো একটা ঘুম দিয়ে যখন উঠলাম তখন দেখি ব্যাংকক শহরে বাস ঢুকে গেছে . ekkemai মেট্রো স্টেশন থেকে চলে গেলাম phaya thai মেট্রো স্টেশন. একটা কথা বলে রাখি কান খুলে রাখবেন ভালো করে আর ticket এর পেছনে ম্যাপ দেখে দেখে station গুনবেন কারণ আপনি মনে মনে যে উচ্চারণ করে স্টেশন এর নাম পড়ছেন সেটা পুরো আলাদা ওদের anouncement থেকে.Phaya thai থেকে interlinked হলো airport rail link মেট্রো. সেটায় উঠে নামলাম ratchaprarop স্টেশন এ. সেখান থেকে 3 মিনিট হেটে আমার হোটেল. Bangkok 1st day (1st half day) আমি ছিলাম Baiyoke boutique hotel এ. এটা ব্যাংকক এর famous baiyoke sky hotel (bangkok এর সব চেয়ে বড়ো বিল্ডিং 88th floor) এর একদম পাশেই. হোটেল এর রুম ও বেশ ভালো. ওয়েলকাম ড্রিংক থেকে শুরু করে ফুড কুপন (অনেক cheap offer কুপন) দেবে. baiyoke sky hotelল এর view point গেলে আপনার ডিসকাউন্ট ও অনেক দেয়া হয়. Pattaya te হোটেল Punyapha place ও যথেষ্ট ভালো হোটেল ছিল, রুম বেশ বড়ো ছিল. এটা তার তুলনায় একটু কম কিন্তু রুম বেশ ভালো , সাথে bathtub আছে. হোটেলেই lunch করে (110 baht এ ভালো lunch হলো) বেরিয়ে পড়লাম আর চলে গেলাম baiyoke sky hotel এরt top floor view point এ. পুরো ব্যাংকক শহর এখান থেকে দেখতে পাবেন. দুটো elevator change করে আপনি পৌঁছতে পারবেন 88 floor এ. এমনি ticket হলো 400 baht কিন্তু আমি same গ্রুপ এর হোটেল এ থাকার জন্য সেটা 250 baht নেওয়া হয় .ticket এর সাথে ছিল complimentary beer coupon 87th floor এর রেস্টুরেন্ট থেকে. পুরো কাছে ঘেরা..সিট এর পাশ থেকে দেখছেন পুরো ব্যাংকক সিটি. পরের destination হলো sea life ocean world. যাবার জন্য আপনাকে নামতে মেট্রো স্টেশন siam (bts skytrain sukumvit line). siam paragon mall এর একদম বেসমেন্ট এ প্রকান্ড aquarium. এরম একটা pattaya তেও আছে কিন্তু ব্যাংকক এর টা অনেক বেশি বড়ো আর সুন্দর. entry fee হলো 900 baht. এর সাথে আছে combo তে Madame Tussauds Museum . আমি ব্যক্তিগত ভাবে এটা বাদ দিয়েছি কারণ আমার কাছে celebrity মোমের মূর্তি দেখা আর তার সাথে ছবি তোলাটা কোনো ভাবে justified নয় আরো 900 baht দিয়ে. দেখতে হলে আসল Madame Tussauds কোনোদিন গিয়ে দেখবো. sea life খোলা থাকে সকাল 10am to 9pm অব্দি .রাত 8pm হলো লাস্ট এন্ট্রি. সারাদিন অনেকরকম show চলে আর ভিড় বেশ ভালো হয়.Bangkok ocean world এ গেলে সন্ধে 7pm সময় যান. তখন শো দেখতে পারবেন না কিন্তু শান্তিতে ছবি তুলতে পারবেন . অন্য সময় গেলে selfie stick এর যাতনায় আপনার ছবি তোলা পন্ড হবে. দেখা হয়ে বেরোতে বেরোতে রাত ৯ টা বেজে গেলো আর বেরিয়েই বৃষ্টির কবলে পড়লাম. সোজা মেট্রোয় করে আবার হোটেল এ ফিরে চলে এলাম. Bangkok 2nd day (Full day trip): সারারাত বৃষ্টির পর সকালে উঠে দেখি ঝকঝকে আর সাথে জ্বালা ধরানো রোদের তাপ নিয়ে ব্যাংককের দিন শুরু হয়ে গেছে. বাইরে বেরিয়ে noodle soup খেয়েই চলে গেলাম মেট্রো তে. নামলাম siam স্টেশন এ. সেখান থেকে উল্টো প্লাটফর্ম এ ট্রেন ধরে চলে গেলাম saphan taksin স্টেশন. নেমে চলে এলাম chao phraya নদীর পারে যা কিনা ব্যাংকক এর প্রধান নদী .মাটি রঙের জল আর প্রচন্ড ঢেউ. কিন্তু খুব পরিষ্কার. এখানেই আপনি পাবেন sathorn ferry stop. এবার কিনে ফেলুন hop on hop off ফেরি টিকিট 80 baht দিয়ে (ব্লু ফ্ল্যাগ টুরিস্ট বোট). এতে আপনি 6 am - 7pm অব্দি যত খুশি বার বোট এ উঠতে পারবেন আর নামতে পারবেন. আসলে এই নদী পথ দিয়ে আপনি অনেক গুলো ব্যাংকক এর দর্শনীয় স্থান দেখে ফেলবেন. কারণ সব জায়গা গুলো নদীর পাশে.আপনাকে এগোতে এগোতে একবার এই পার আরেকবার ওই পার করতে হবে. এতে আপনি ব্যাংকক road traffic avoid করে সময় বাঁচিয়ে অনেক সহজে ঘুরতে পারবেন. জেটি গুলো খুব পরিষ্কার আর সুন্দর ভাবে সাজানো. river service এ কি কি দেখতে পারবেন বলে দিচ্ছি: asiatique riverfront (open air mall) , river city shopping mall, chinatown, flower market, wat arun , wat pho (শায়িত লম্বা বুদ্ধ মূর্তি ) , grand palace, wat phra kaew , royal berge national museum, phra arthit, wat traimit. এই সব পুরো দেখতে গেলে আপনার সারাদিন লাগবে. গ্রান্ড প্যালেস অনেক টা সময় আপনার নিয়ে নেবে. গ্রান্ড প্যালেস এ ঢোকার এন্ট্রি ফী হলো 500 baht, royal burge 100 baht, বাকি জায়গা গুলো টো থেকে 50 baht এর মতন. এই জায়গা গুলো গাড়ি নিয়ে ঘুরে দেখতে গেলে একদিনে শেষ করতে পারবেন হলফ করে বলতে পারি.কারণ আপনি ট্রাফিক জ্যাম অর্ধেক সময় নষ্ট করে ফেলবেন. এরপর nana plazaযেতে পারেন. nana plaza অনেকটা pattaya walking street এর মতো. এখানে অনেক massage parlour আছে. nana plaza যেতে হলে sathorn থেকে metro করে siam এসে তারপর nana মেট্রো স্টেশন নেমে যাবেন. Bangkok 3rd Day (Ayutthaya) Ayutthaya/আয়ুথায়া হলো থাইল্যান্ড এর প্রাচীন রাজধানী. বলতে পারেন কিছুটা angkor wat type , siem reap এর মতো এবং দুটোই প্রায় সমসাময়িক. Burma অনেক বার আয়ুত্থায়া আক্রমণ এমনকি আয়ুত্থায়ার পতন হয়ে burma রাজের হাতেই. তাই burmeseদের এখনো খুব একটা ভালো চোখে দেখেনা থাইবাসী.অনেকটাই অপছন্দ করে.১৭৬৭ সালের আগে অব্দি আয়ুত্থায়াই ছিল থাইল্যান্ড এর রাজধানী. আমি আয়ুথায়া যেতে পারিনি. সকাল থেকে ভয়ানক বৃষ্টির জন্য আমার প্ল্যান পুরো নষ্ট হয়ে যাই.কিন্তু আপনারা যাতে পারেন তাই বলে দিচ্ছি. আয়ুথায়ার জন্য সারাটা দিন রেখে দিন.সকাল সকাল বেরিয়ে পড়বেন আর সারাদিন ঘুরে চলে আসতে পারবেন সন্ধের মধ্যে. মেট্রো করে Mo chit মেট্রো স্টেশন এ নেমে চলে mo chit বাস স্টেশন টুকটুক করে ( 15 min দূরত্ব) টুকটুক ওয়ালা কে বলে দেবেন আয়ুত্থায়ার বাস স্ট্যান্ড এ নিয়ে যেতে. ওখান থেকে আপনি আয়ুত্থায়ার বাস পেয়ে যাবেন. 1.5 ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন আয়ুত্থায়া. আয়ুত্থায়া পৌঁছে টুকটুক ভাড়া করে নেবেন. ঘন্টায় 200 - 300 baht নেবে. দরাদরি করুন কারণ পুরো টুকটুক এতে ভাড়া হবে (৬ সিটের) .সারাদিন ঘুরে নিয়ে বিকেলে একই ভাবে ব্যাংকক ফেরত চলে আসুন. safari jungle এ যেতে পারেন ঘুরতে. এখানে বাঘ সিংহের সাথে গায়ে লেগে আদিখ্যেতা করে ছবি তুলতে পারেন আমার নেহাত জন্তু জানোয়ার ভালো লাগেনা বলে গেলাম না. আর এই সব ছবি তুলতে গিয়ে আপনার কাছ থেকে গুনে গুনে bahtনেবে. বাঘ কে খাওয়াবার জন্যও ওরা টাকা নেবে. এগুলো আসলে scam. Shopping: baiyoke sky hotel area হলো শপিং এর জন্য আদর্শ জায়গা. কারণ এর সামনেই আপনি পাবেন Indra market যেটা মূলত ইন্ডিয়ান দের হাতে, ইন্দ্র মার্কেট এর পাশে গলিতে প্রচুর দোকান ফুটপাথ এ বসে. সেখান থেকে টিশার্ট, টপ সব অনেক কম দামে কিনতে পারেন. 200 baht এ ভালো টিশার্ট পাবেন. but সত্যি বলতে cotton quality ভালো নয়.কিন্তু প্রিন্ট গুলো দারুন. কাছেই পাবেন Pratunam IT Mall যা ইলেকট্রনিক্স এর স্বর্গরাজ্য.এছাড়া আছে pratunam mall (normal) , platinum mall. MBK Shopping centre যেতে হলে মেট্রো করে Phaya thai চলে যাবেন. তবে Siam Paragan Mall আমার দেখা সব চেয়ে বড়ো mall. তবে যেখানেই যাবেন আগে যান কারণ রাত 8pm সব mall এর দোকান গুলো বন্ধ হতে শুরু করে দেয় এবার ফেরার পালা Ratchaprarop air link metro station থেকে মেট্রো ধরে সোজা চলে যাই সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট এ মাত্র 45 baht এ. সময় লাগলো ৩০ মিনিটের মতন. আর সেখান থেকেই আমার ফেরার ফ্লাইট ছিল কলকাতার. spicejet e ফিরেছি আর সেটা ফ্লাইট এর চেয়ে AC বাস লাগছিলো বেশি. এর থেকে এয়ার এশিয়া অনেক ভালো.তবে অসুবিধা সেরম কিছু হয়নি শুধু spicejet এ luggage আসতে খুব দেরি করে দেখলাম. খাওয়াদাওয়া : ব্যাংকক ও pattaya মতো স্ট্রিট ফুড অনেক পাওয়া যায় আর pattaya থেকে সস্তায় হয়. ইন্দ্র মার্কেট এর উল্টো দিকে একটা নর্থ ইন্ডিয়ান pure veg রেস্টুরেন্ট ও পাবেন, bangladeshi বাঙালি রেস্টুরেন্ট ও পাবেন. Phad thai noodle অবশ্যই খাবেন. Key points: 1. Baiyoke boutique hotel :120/359 Soi Ratchaprarop3, Ratchaprarop Road, Ratchathewi, Bangkok 10400 Thailand (baiyokeboutique.baiyokehotel.com) online booking available. no advance payment.আমি এই hotel e থাকতে বলবো কারণ এই area তে থাকলে আপনবি শপিং, খাওয়াদাওয়া র মেট্রো রেল আর এয়ারপোর্ট যাওয়ার অনেক সুবিধা পাবেন. 2. ব্যাংকক এর ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম দারুন. ট্যাক্সি টুকটুক নেয়ার দরকার পরেই না.আর নিলেই ট্রাফিক জাম এ পড়বেন. ওদের 2 টো BTS skytrain metro লাইন.(overhead) 2 টো MRT metro line (underground). 1 টা airport rail link মেট্রো লাইন. আরেকটা BRT মানে bus rapid transit লাইন. (separate bus track). সব মিলিয়ে 5টা মেট্রো লাইন আর 1টা বাস লাইন. সব কটা সবার সাথে interconnected. আপনাকে শুধু connecting পয়েন্ট গুলো দেখে নিতে হবে আর প্ল্যান করে নিতে হবে.আপনি একটা লাইন এর station থেকে অন্য লাইন এর স্টেশন এর ticket কেটে নিতে পারেন. বার বার লাইন চেঞ্জ করার সময় টিকিট কাটতে হবে না. যদি আপনি কম টাকার টিকেট কেটে থাকেন অজান্তে তখন অন্য লাইন এর স্টেশন থেকে বেরোবার সময় remaining ভাড়া দিয়ে দেবেন. ওরা ইন্ডিয়ার মতো ফাইন করবে না, তবে হা সেটা এক লাইন থেকে অন্য লাইন হলেই allow করবে. কাউন্টার থেকে ticket কাটার চেষ্টা করবেন. self vending থেকে টিকিট কাটা একটু ঝামেলার. সন্ধেবেলা মেট্রো তে বেশ ভিড় হয় কিন্তু কেউ কারোর সাথে আপনার গায়ে এক ফোটাও touch হবে না. তবে জোর করে ভিড় মেট্রোয় উঠতে যাবেন না. BTS এর frequency 1 কি 2 মিনিট অন্তর. আর সাইড দিয়ে উঠবেন আর মাঝখান দিয়ে নামবেন. ওঠার সময় side e দাঁড়াবেন. 3. আমি একা ঘুরতে গিয়ে এই প্রথম কোনো শহরে গিয়ে অসুবিদায় পড়েছি. Pattaya তে ইংলিশ লোকে বোঝে. এমনকি কাম্বোডিয়া তে. কিন্তু ব্যাংকক এর লোকেরা ইংলিশ বোঝে না. খুব problem হয়েছিল এর জন্য. google translator app রাখবেন. অনেকসময় দেখবেন আপনি কিছু জিগেশ করলেন english এ আর ওরা মুখ ঘুরিয়ে চলে গেলো. 4. ভুলেও কোনদিনও december to March ছাড়া ব্যাংকক শহরে যাবেন না. মারাত্মক বাজে গরম. আমরা যারা কলকাতায় থাকি তারা পারবোনা ওই গরম সহ্য করতে. সেপ্টেম্বর মাসে এতো বাজে গরম তার ওপর ভ্যাপসা বাজে weather. AC থেকে বেরোলেই 30 সেকেন্ড এ আপনি ঘেমে যাবেন. তারপর বৃষ্টি শুরু হলে থামে না 8 থেকে 10 ঘন্টার আগে. তবে হা জল জমে ভেনিস হয়ে যায় না . ব্যাংকক এমনিও কংক্রিট এর জঙ্গল. গাছ পালা কম তাই আরো বেশি গরম. 5.এখানকার লোকদের সাথে কথা বেশি না বলাই ভালো. ইন্ডিয়ান দেড় এমনিও অপছন্দ করে. আর thai ra নিজেরাও এexpressionless মুখ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়. শুধু মাত্র দোকানদার আর স্ট্রিট ফুড বিক্রেতা রা আপনার সাথে নিজে কথা বলতে আসবে. এমনকি আমি এমন thai couple দেখলাম যারা হাত ধরে বসে কিন্তু নিজেরা mobile e ব্যস্ত. খুব প্রফেশনাল শহর ব্যাংকক. ভগবান জানে এরা কোন দিকে থেকে land of smiles. শুধু হোটেল ,restaurant , আর কেনাকাটার সময় এরা হাসে. মোটকথা দরকার না পড়লে একটা অতিরিক্ত শব্দ এরা ব্যবহার করবে না. ব্যাস পুরো গাইড করে দিলাম. এবার টুক করে ঘুরে আসুন. আর দরকার পড়লে প্রশ্ন করে ফেলুন. খরচ আনুমানিক শুধু ব্যাংকক এ : হোটেল 1500 baht per night (double bed), সব জায়গার এন্ট্রি ফী জন্য per head total রাখুন 2000 Baht (max). 3 দিনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট রাখুন max 800 baht. আয়ুথায়ার ভাড়া ওপরে আলাদা করে বলে দিয়েছি. আর খাওয়া per head 3 দিনের টোটাল পর্বে 900 baht ( ব্রেকফাস্ট , লাঞ্চ, ডিনার) ব্যাংকক যাওয়া -আসার টিকিট 6 month আগে কাটলেও INR. 10000 এ মধ্যে হয়ে . এবার নিজে যোগ করে ফেলুন. Post By:- Pratik Mukherjee
1 Comment
মিশর ভ্রমণ নিয়ে আমার লেখা"মমির দেশ মিশরে"র দ্বিতীয় পর্ব "ভূমধ্যসাগরের তীরে আলেকজান্দ্রিয়া" আগের দিন শুতে বেশ রাত হলেও পরদিন ভোরবেলাই উঠে পড়তে হল।তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে চেক আউট করে বাসে উঠে বসলাম।মাঝে রাতটুকুই যা হোটেলে থাকা।এ এক মস্ত বিড়ম্বনা।কিন্তু তাছাড়া উপায়ই বা কি?এত বড় একটা দেশ,যার অজস্র স্থাপত্যের প্রতিটি পাথরের খাঁজে খাঁজে, মরুভূমির প্রতিটি বালুকণায় জমে আছে হাজার হাজার বছরের ইতিহাস,তাকে মাত্র 9/10 দিনে দেখার ও জানার চেষ্টা,পরীক্ষার আগের রাতে পুরো সিলেবাসে চোখ বুলানোর মতোই।তাই শুধু দৌড়ে বেড়ানো। যাইহোক সকাল সাড়ে সাতটায় বাস রওনা দিল আলেকজান্দ্রিয়ার উদ্দেশে।আট লেনের প্রশস্ত কায়রো- আলেকজান্দ্রিয়া ডেজার্ট হাইওয়ে ধরে।এ পথের দূরত্ব 220 কিমি।যেতে যেতে গাইড ফারুকের কাছ থেকে রাজধানী কায়রোর পর মিশরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেকজান্দ্রিয়া সম্বন্ধে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। ম্যাসিডোনিয়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ গ্রীক সম্রাট "আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট"এর হাতে এই শহরের স্থাপনা হয় খ্রীষ্টপূর্ব 332 সালে।প্রায় 300 বছর ধরে গ্রীক আধিপত্য চলার পর এর কর্তৃত্ব চলে যায় রোমানদের হাতে।শেষমেশ 641 খ্রীষ্টাব্দে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আরবরা এসে এই শহরের দখল নেয়।সেইসময় প্রায় এক হাজার বছর ধরে এই আলেকজান্দ্রিয়াই ছিল মিশরের রাজধানী।রোমান শাসনকালে এটি ছিল রোমের পরেই পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। আরবরা এসে রাজধানী সরিয়ে নেয় "ফুসতাত"নামের একটি জায়গায়,যার কাছেই গড়ে উঠেছে বর্তমান কায়রো শহর।প্রাচীনকালে এই আলেকজান্দ্রিয়া হয়ে উঠেছিল শিল্প,সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। প্রায় তিনঘন্টা চলার পর আমরা শহরে প্রবেশ করলাম।প্রথম দর্শনেই শহরটাকে ভালো লেগে গেল। আবহাওয়া বেশ মনোরম।আমাদের প্রথম দ্রষ্টব্য "পম্পেইস পিলার"।খ্রীষ্টপূর্ব 293 সালে তৈরী।মূল স্তম্ভটির উচচতা 27 মিটার,বেড় 2.71 মিটার।একটি মাত্র লাল গ্র্যানাইট পাথরের তৈরী,যা আসোয়ান অঞ্চল থেকে আনা হয়েছিল।ওজন আনুমানিক 285 টন।একসময় এই শহরে প্রচণ্ড বিদ্রোহ দেখা দেয় যা দমন করতে স্বয়ং সম্রাট ডায়োক্লিসিয়ানকে রোম থেকে আসতে হয়।তার সেই জয়ের প্রতীক হিসাবেই এই স্তম্ভটির স্থাপনা।রোমান জেনারেল পম্পেই এর নামে হলেও তার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।আসলে লোকের বিশ্বাস ছিল এই স্তম্ভের উপরে একটি পাত্রে পম্পেই এর দেহাবশেষ রক্ষিত আছে।তাই এরকম নামকরণ।পিলারের অদূরেই একটি স্ফিংস এর মূর্তি।পুরো চত্বরে খোঁড়াখুঁড়ির ফলে বেরোনো অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সাজিয়ে রাখা আছে।ঘুরেঘুরে বেশ কিছু ছবি তুললাম।পাশেই রয়েছে সেরাপিয়াম (Temple of God Serapis)এর ধ্বংসাবশেষ। পরের গন্তব্য"Catacomb of Kom-el-shoqafa" এটি আসলে একটি ভূগর্ভস্থ সমাধিস্থল।আরবি ভাষায় এর মানে"ভাঙ্গা মৃত্পাত্রের স্তুপ"(Mound of shards)।বহুদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকার পর 1900 সালে নতুন করে আবিষ্কৃত হয়।এর একটা গল্প আছে।একবার এক গাধা পাথর বোঝাই গাড়ি টেনে নিয়ে যাবার সময় একটা গর্তের মধ্যে পড়ে হারিয়ে যায়।পরে তার মালিক তাকে খুঁজতে এসে দেখতে পায় সেখানে প্রচুর ভাঙ্গা পোড়ামাটির বাসন স্তুপীকৃত হয়ে আছে।এই ক্যাটাকম্ব মধ্যযুগের সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে একটি ছিল।বাইরে অনেক কারুকাজ করা পাথরের তৈরী শবাধার রাখা আছে।ভিতরে ক্যামেরার প্রবেশ নিষেধ।অগত্যা ক্যামেরা গাড়িতে রেখেই মূল চত্বরে প্রবেশ করলাম। স্বল্পালোকিত ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে নামতে হল।সিঁড়ির মাঝখানের ফাঁকা জায়গা দিয়ে কফিনবন্দি মৃতদেহ গুলিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে কপিকলের সাহায্যে নীচে নামানো হত।মাটির নীচে তিনটি স্তরে এই সমাধিস্থলটি বিস্তৃত,একদম নীচের স্তরটি ভূগর্ভস্থ জলে নিমজ্জিত থাকায় দেখা যায় না।প্রথমদিকে এটি কোন এক ধনী পরিবারের ব্যক্তিগত সমাধিস্থল হিসাবেই তৈরী হয়েছিল,পরবর্তীকালে সাধারণের জন্যও ব্যবহৃত হতে থাকে।মাটির নীচে দ্বিতীয় স্তরের মাঝখানে একটি উপাসনাস্থল,যার দেওয়ালে গ্রীক দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা(হোরাস আর আইসিস)।এর পাশে একটি ডাইনিং হল।সেখানে পাথর কেটে ইংরেজি U আকৃতির বসার বেদী।মনে করা হয় বছরে একবার করে মৃত ব্যক্তির আত্মীয় স্বজনরা এখানে আসত তাদের আত্মাকে শ্রদ্ধা জানাতে,সঙ্গে নিয়ে আসত খাদ্য,পানীয় ইত্যাদি।রীতিনীতি পালনের পর তারা এই পাথরের বেদীতে বসে মাঝখানে রাখা টেবিলে খাওয়াদাওয়া করত।সবশেষে তারা তাদের ব্যবহৃত পাত্রগুলি ভেঙে ঐখানেই ফেলে দিয়ে আসত।কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল ওগুলি সঙ্গে করে নিয়ে আসা অশুভ।চারদিকের দেওয়ালে পাথর কেটে খোপ খোপ করা যার মধ্যে মৃতদেহগুলি সারি দিয়ে রাখা থাকত।পরে এই ক্যাটাকম্বের আশেপাশে আরো অনেক এরকম ছোটছোট ভূগর্ভস্থ সমাধিক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে।পুরোটা মিলেই ছিল"Necropolis" বা"মৃতের শহর"যা সেইসময়ের গ্রীক রীতি মেনে শহরের পশ্চিম প্রান্তে গড়ে উঠেছিল।দেখা শেষ করে যখন বাইরে এলাম তখন বেলা দূটো বাজে।মস্তিষ্কের ক্ষুধাসংক্রান্ত কোষগুলি বেশ সজাগ হয়ে উঠেছে।অতএব পৌঁছানো গেল এক স্থানীয় রেস্তরাঁয় দ্বিপ্রাহরিক আহারের জন্য। সহযাত্রীরা বেশীর ভাগই চিকেন ডিশ অর্ডার দিলেও আমরা দুজন বিদেশে গিয়েও মৎসপ্রিয় বাঙালির মুখ রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে সাহস করে মাছের অর্ডার দিয়ে বসলাম।মেনুতে ছিল ভাত,ডাল,কিছু সেদ্ধ সবজি, স্যালাড,তেলাপিয়া(carp) জাতীয় কোন মাছের রোস্ট আর ডেসার্ট।রেস্তরাঁর কাঁচের জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে রাস্তার ওপারেই ভূমধ্যসাগরের ফিরোজা নীল জলরাশি, তাতে নানা আকারের নৌকা,প্রমোদতরনী ভেসে যাচ্ছে।পুরো পরিবেশটা সেদিনের লাঞ্চে একটা অন্য মাত্রা যোগ করেছিল।নীচে ফুটপাতে বাড়ির গা ঘেঁষে সারি সারি বেতের চেয়ার পাতা।আমরা খাওয়া শেষ করে নীচে নেমে সেখানে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম।অলসভাবে বসে বসে ভূমধ্যসাগরের পশ্চাৎপটে শহরের ব্যস্তজীবনের ছবি দেখতে মন্দ লাগছিল না।ফারুক এসে তাড়া দিতে লাগল,তাই অগত্যা আবার চলা শুরু। বাস চলল মন্তাজা গার্ডেনের উদ্দেশে।আজ এখানেই শেষ করছি।আবার দেখা হবে আগামী পর্বে। Post By:- Bidyut Ghosh
চুটকিমে চীন (তৃতীয় কিস্তি ) বেজিং শহরটা একটা ফুলের ভাস বলা যায় । রাস্তার দুপাশ রাস্তার মাঝখানে বুলেভার্দ ফুলে ফুলে রঙীন । রাস্তার মাঝখানে এতো গোলাপ আগে কখনো দেখিনি । কোনো পাতায় এতোটুকুও ধুলো নেই ।জলের গাড়ি অবিরাম ধুয়ে যাচ্ছে রাস্তা ঘাট, গাছপালা । শৃঙ্খলা শব্দ টা আমাদের জীবন থেকে মুছে গেছে বলেই যখন দেখি পথচারী নেই অথচ নিয়ম মেনে লাল আলো জ্বলে আছে বলে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে সার সার , কেমন উসখুস করি !! "দাঁড়ানো কেন বাপু ?" আমাদের বিমান বন্দরের পরিচ্ছন্নতা হার মানে চীনের রেল স্টেশনের কাছে কী নিখুঁত পরিচ্ছন্নতায় চকচক করছে দুপাশের রেলিং !! ভোরবেলা হোটেল থেকে বেরিয়েছিলাম পাড়া বেড়াতে । দেখি রাস্তার ধারে ফুটপাতে হোটেল খোলার আগে সুরের তালে তালে ব্যায়াম করছে কর্মচারীরা । আমাদের মতো শিক্ষিত বাবু হতে গেলে ইংরেজি জানতে হবে নাহলে ই গোমুখ্যু এমন চিন্তা ওদের নয় । মাতৃভাষা নিয়ে আমাদের মতো এতো লজ্জা বোধ হয় পৃথিবীর অন্য কোনো জাতির নেই ! Tour guide ছাড়া কেউ ইংরেজির ধার ধারে না । তবে পুরোটা মানা যায় না । কারণ আন্তর্জাতিক communication এর একটা জায়গা থাকা দরকার । পুরোনো চীন কে খুঁজে পেলাম বেজিং এ Hutong tour করতে গিয়ে । রিকশা চড়ে পুরোনো চীনে পাড়ায় ঘুরতে ঘুরতে মনে হচ্ছিল গল্পের চরিত্র গুলো দেখতে পাচ্ছি । আরও একদিন এমন মনে হচ্ছিল যেদিন Zhujiajio water town(47km) এ ঘুরলাম । এটিকে বলা হয় Venice of Shanghai .এর ইতিহাস 1,700 বছরের পুরোনো । আঁকা বাঁকা পথে ছোট্ট নদীর পাশে পাশে উইলো গাছের ছায়ায় ছায়ায় হাঁটতে হাঁটতে মন চলে যায় Ming অথবা Qing dynasty তে । এখানে বিক্রি হতে দেখলাম নানা পোকা মাকড়ের রসদ । গামলা ভর্তি ডিম ( দেখতে পিঁপড়ের ডিমের মতো ) পাতায় মুড়ে পাতুরি র মতো বিক্রি হচ্ছে । গ্রামের মানুষ কিনছে হরেক জিনিষ । জীবন যাত্রা খুব ঢিলেঢালা । সাংহাই এর Yoyun বাগান দেখবার মতো । Pan Yunduan Ming রাজত্বে Sichuan প্রদেশের লাটসাহেব ছিলেন ।বাবা Pan-En (মন্ত্রী ) এর শেষ জীবন নিরিবিলিতে সুন্দর যাতে কাটে সেজন্য তিনি এটি তৈরি করেন ।1559 সালে এটি তৈরি হয় ।লেকের ওপর দিয়ে আঁকাবাঁকা সেতু তৈরির একটা তাৎপর্য আছে । প্রাচীন বিশ্বাস ছিল দুষ্টু আত্মারা নাকি সোজাসুজি যেতে পারে এঁকে বেঁকে নয় । Chinese acrobatics চিরকাল মন জয় করছে আমাদের । এবার ও পলক না ফেলে দেখলাম । Stone Forest এর সেই অসীমার ওপরে নৃত্যনাট্য দেখলাম , সঙ্গে জলের three diamentional effect !! দারুণ লাগলো । প্রাচীন চীন নিয়ে এতো কথা হল , ওদের পুব , পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণে যে শুভ প্রতীক গুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলোর কথা বলা হয় নি । ড্রাগন ( শক্তি ), পুরুষ সিংহ,( পায়ের তলায় পৃথিবী) , নারী সিংহ( পায়ের তলায় শিশু , সংসার পালনের প্রতীক ) এবং ফিনিক্স পাখি (আশার প্রতীক ) । সমস্ত প্রাচীন স্থাপত্যে এগুলোর ব্যবহার আছে । আজকের লেখা শেষ করবো আকাশ পথে হাঁটা দিয়ে । সকাল থেকে রিমঝিম বৃষ্টি নেমেছিল । আকাশ ভরা মেঘ !! বেড়াতে গিয়ে তো আর সময় নষ্ট করা যায় না, সন্ধ্যে হতেই সাংহাই tower (2073ft) পৌঁছে গেলাম । লম্বায় এটি 632 মিটার !!! 128 তলা বিশাল পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম গম্বুজের মাথায় চড়ে তাকালাম নীচের দিকে । স্বচ্ছ কাঁচের মধ্যে দিয়ে দেখলাম অসংখ্য উঁচু Building আর Tower ঝলমল করছে আলোর মালায় । তাদের চুড়োয় আকাশের গায়ে আমরা । ভ্রম হয় শৃণ্যে দাঁড়িয়ে আছি । এইখানে একটু খামতি রয়ে গেল। মেঘের আস্তরণ মাঝে মাঝে ই ঢেকে দিচ্ছিল দৃশ্যমানতা । Post By:- Swapna Majumdar
আমার মিশর ভ্রমণের দিনপঞ্জি"মমির দেশ মিশরে" আজ তার প্রথম পর্ব"কোলকাতা টু কায়রো"। দিনটা ছিল 2016 সালের 8ই অক্টোবর।মহাসপ্তমী।আনন্দনগরীতে পুরোদমে উৎসবের মেজাজ।সেই উৎসবমুখর কোলকাতাকে পিছনে ফেলে আমরা সওয়ার হয়েছি এমিরেটস এর উড়ানে।ডেস্টিনেশন মিশর।নীলনদের দান,সুপ্রাচীন এক সভ্যতার দেশ,পিরামিডের দেশ,মমির দেশ,প্যাপিরাসের দেশ মিশর যার রহস্যময় ইতিহাস পড়ে সেই ইতিহাসকে চাক্ষুষ করা,ছুঁয়ে দেখার বাসনা বহুদিন ধরেই মনের মধ্যে লালন করে এসেছি।আজ সেই স্বপ্ন সফল হতে চলেছে।তাই মনের মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা বেশ অনুভব করতে পারছি।তবে এক জীবনে বিপুল এই পৃথিবীর কতটুকুই বা দেখা সম্ভব?সত্যিই তো "বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি, দেশে দেশে কত না নগর রাজধানী মানুষের কত কীর্তি কত নদী গিরি সিন্ধু মরু কত না অজানা জীব, কত না অপরিচিত তরু, রয়ে গেল অগোচরে । বিশাল বিশ্বের আয়োজন, মন মোর জুড়ে থাকে অতি ক্ষুদ্র তারি এক কোণ" যাই হোক,দুবাই ছুঁয়ে আমাদের বিমান যখন কায়রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছাল তখন স্থানীয় সময় সন্ধে সাড়ে আটটা,আমাদের থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা পিছিয়ে।ব্যাগপত্তর নিয়ে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্সের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি।একটা ছোট্ট ঘটনা বুঝিয়ে দিল আমরা তৃতীয় বিশ্বের কোন দেশেই এসে পড়েছি।লাইন একটু এগোতেই দেখি সামনে বেশ জটলা,পাশাপাশি দুটো লাইনের লোকেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে।ভাষা কিছু না বুঝলেও আসল ব্যাপারটা বোধগম্য হতে অসুবিধা হল না।কাউন্টার দুটো,কিন্তু লাইন তিনটে।আমাদেরটা শাখা,একটু আগে গিয়ে মূল লাইনের সঙ্গে মিলিত হতে চাইছে। পিছন থেকে সেটা বোঝা যায় নি। কিন্তু মূলস্রোতের জনতার তাতে প্রবল আপত্তি।যাইহোক কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডা চলার পর একটা রফাসূত্র বেরোল।আসল লাইনের প্রতি দুজন পিছু শাখা লাইন থেকে একজন করে সুযোগ পাবে।আমরাও সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে কিছুক্ষণের মধ্যেই পাসপোর্টে ছাপ মারিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম।এয়ারপোর্টের মানি এক্সচেঞ্জ কাউন্টার থেকে কিছু ডলার ভাঙিয়ে নেওয়া গেল।ঈজিপ্টের স্থানীয় মুদ্রা ইজিপ্শিয়ান পাউন্ড।মোটামুটি এক পাউন্ড আমাদের সাড়ে সাত টাকার সমান। আমাদের দলের সদস্য সংখ্যা মোট 24।এয়ারপোর্ট থেকে বাইরে আসতেই আলাপ হল আমাদের স্থানীয় গাইড ফারুকের সাথে।ফর্সা,সুঠাম চেহারা।নিজেকে পরিচয় দিল একজন ঈজিপ্টোলজিস্ট বলে।জানলাম ওই হবে আমাদের পরবর্তী নদিন মিশরবাসের সফরসঙ্গী।সবাইকে বাসে তুলে নিয়ে রওনা দিল হোটেলের উদ্দেশে।রাতের কায়রো শহর দেখতে দেখতে প্রায় 20 কিমি পথ পেরিয়ে যখন হোটেলে এসে পৌঁছালাম তখন ঘড়ির কাঁটা দশের ঘর ছুঁয়েছে।সবাই খুব ক্লান্ত।বুফে ডিনার সেরে সোজা হোটেলের ঘরে।পরদিন সকাল সকাল তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে আলেকজান্দ্রিয়ার উদ্দেশে।প্রসঙ্গত বলে রাখি উপায়ান্তর না দেখে 2 লিটারের জলের বোতল সেরাতের মতো হোটেল থেকেই কিনতে হয়েছিল 20 পাউন্ডের বিনিময়ে,যা পরদিন বাইরের সুপার মার্কেটে সোয়া দু পাউন্ডে পাওয়া যাচ্ছিল।আজ এখানেই শেষ।ফিরে আসব আগামী পর্ব নিয়ে। পুনঃ এ পর্বে হোটেলের দুএকটা ছবি ছাড়া আর দেওয়ার মতো ছবি পেলাম না।সেই খামতি পরের পর্বগুলিতে পুষিয়ে দেওয়ার আশা রাখি। Post By:- Bidyut Ghosh
Itihask chakkhus dekhte ami ar amar husband ager bachor gechilam Combodia r Siem Reap e, sabuje vora desh, okhankar manush o khub valo.. Itihas rastay, gache, mandir sorbo jaigate chhoriye ache..arthik dik diye swachhal na hoate oder currency Combodiam Rial, (jar value amader desher 59 taka moto), okhane babohar hoi na, US Dollar babohar hoi.. amra ekta scooter hire kore siem reap 4din dhore explore korechi itihase mora desh.. India theke Siem Reap jabar direct flight nei, Bangkok hoye jete hoi.. Bangkok theke Siem reap jabar prochur flight ache, amra morning flight niyechilam. Visa on arrival, 30USD (2000 INR pray) kore proti jone legechilo ..India theke visa kore jaoa jai na, eto kom Indian jai okhane ghurte je Mumbai chhara ar kothao Combodia Embassy nei.. airpot theke taxi athoba toto kore hotel jaoa jai.. public transport okhane nei..booking.com theke hotel Ankor pearl book korechilam.. India te sastay 4star hotel otha somvob noi, kintu Siem reap e 4500 INR e 4 night 5 days including breakfast chilam.. food amader kache boro problem hoyechilo okhane.. okhankar lokera crocodile, snack, alligator, frog, etc. animals, insects khai.. Bar be q khabar chol besi bole otvot gondho chardike paben, amra breakfast ar KFC or Berger king k vorsa kore ghure esechi.. visiting place gulote food paoa jai na, tea or coffee or juice stall paoa jai, amra supper market theke dryfruits, chips etc kine niyechilam luch hsebe kaoar jnyo.. Dollar jehetu pay korte hoyeche tai kharoch ektu besi pore jai khaoar khetre. Ankor wat dekhar jnyo 3/5/7/15 days or 1month r ticket dei..amra 3days r ticket ketechilam.. ekbare ticket katle 24hrs modhye any time ankor wat area te jaoa jai.. airport theke berobar age siem reap r road map collect kore niyechilam.. Ankor wat, Ankor thom, Bayon, Big circuit, Small circuit etc. niye 32 temples ache.. ekekta temple akek dharoner,tar itihas, gathonsily o alada, chokh juriye jai... Amar husband r photography passion bole morning ar evening e ankor wat r apurbo soundorjyo dekhar sujog hoyechilo.. Post By:- Adv Anwesha Sen Roy
|
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |