মন্দির শহর বিষ্ণুপুর.... মুকুটমণিপুর থেকে ফেরার পথে খুব অল্প সময়ের জন্য বিষ্ণুপুর ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছিল।২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকের কথা। কোলকাতা থেকে গাড়িতে এসেছিলাম মুকুটমণিপুর।দু'দিন বেশ ভাল করে ঘুরে তৃতীয় দিন ফিরে চলেছি কোলকাতা।ভোর ৬ টায় বেরোলাম।ঘন্টা তিনেকের দূরত্ব বিষ্ণুপুর। পথে চলতে চলতে একবারই দাঁড়াতে হয়েছিল,,,,রাস্তার পাশেই হঠাৎ দেখি টাটকা খেজুররস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি হচ্ছে!দেখেই আমরা গাড়ি থামিয়ে সেই গুড় কিনতে চলে এলাম।টাটকা খেজুরগুড় কেনা হল বেশ খানিকটা।আবার চলা শুরু হল তারপর.... ৯ টা নাগাদ বিষ্ণুপুর পৌঁছলাম।আমাদের বিষ্ণুপুরের মন্দির বলতে জানা ছিল শুধুমাত্র রাসমঞ্চ।বিভিন্ন মানুষ কে জিজ্ঞেস করতে হচ্ছিল।আর দেখলাম শহরের রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়।খুব সরু সরু গলি রাস্তা,,,উলটো দিক থেকে গাড়ি চলে এলেই জ্যামে আটকানোর সমূহ সম্ভাবনা। যাই হোক,এভাবেই কষ্টেসৃষ্টে এসে পৌঁছলাম রাসমঞ্চে।গাড়ি সাইডে পার্ক করে টিকিট কেটে প্রবেশ করলাম রাসমঞ্চের অন্দরে।খুব সুন্দর লাগল রাসমঞ্চের নির্মাণশৈলী!এই বাংলার বুকেই যে এত সুন্দর স্থাপত্যশিল্পের নিদর্শন রয়েছে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না! রাসমঞ্চ দেখে বেরিয়ে এসে মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরের ওপরে ছাপা একখানি ট্র্যাভেল গাইড বুক কিনলাম।বইখানির পাতা উলটে আমাদের চক্ষু চড়কগাছ!শুধু রাসমঞ্চ নয় আরো অজস্র মন্দির ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে গোটা বিষ্ণুপুর জুড়েই।সব দেখতে গেলে গোটা একটা দিন লেগে যাবে! কিন্তু আমাদের হাতে সময় খুব কম ছিল।তাড়াতাড়ি কোলকাতা ফিরতেই হত।তাই কাছেই রাধেশ্যাম মন্দির দর্শন করে ও বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত পোড়ামাটির তৈরি পুতুল কয়েকটি কিনে এবারের মত ফিরে এলাম।তবে খুব ইচ্ছে রইল আবার একবার ফিরে আসার! ©অরিন্দম Post By:- Arindam Patra
0 Comments
|
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |