গত ৮ ই নভেম্বর আবার আমরা, মানে আমাদের অসমবয়সী মহিলা দল বেড়িয়ে গেলাম দিনে দিনে চক্কর মারতে। সকাল বেলা বুক করা বাস মানিকতলা, গিরিশপার্ক হয়ে এসপ্ল্যানেড, এলিয়ট পার্ক, পিটিএস থেকে পিক করে রওনা দিলাম। ২৫ জন থাকলে যা হয় গান নাচ আড্ডা দিতে দিতে টিফিন আর তারপর নবাবহাট। ভক্তরা নামলেন, সেলফি তুললেন.. বেশ কয়েকমাস মোবাইলের ক্যামেরা অফ ছিল,সব বদলা নেওয়া হল... ওরে এবার চল, এখনো বাকি আছে। রওনা দিলাম দরিয়াপুর ডোকরা ভিলেজে,কি অসাধারণ কাজ, বাড়ি বাড়ি সবাই এই কাজ করছে। ঘুরে ঘুরে দেখলাম মাটির প্রলেপ দেওয়া, প্রায় ৭ বার প্রলেপ দিতে হয়,মূর্তির ওপর সরু সরু ডেকোরেশন গুলো আগুনের সাহায্যে করে চলেছে।এক জায়গায় বড় উনুন, তার মধ্যে ফাইনালি মাটির ঘড়া মত জিনিস গুলো ভরে পিতল গলানোর কাজ চলছে।এদিকে সবাই যে যার পসার নিয়ে বসে পরেছে,গয়না থেকে শুরু করে ঘর সাজাবার নানারকম জিনিস। সব চেয়ে কম দামের ৫০ টাকার দেখলাম, আবার দেড় লাখ টাকা দুর্গাও দেখলাম,বেশ কিছু কাজ আর ডিজাইন অসাধারণ এবং শিল্পীর কাজ শুধু নয় ভাবনার প্রতিফলন দেখা যায়। ফিরলাম এবার ওরগ্রাম ফরেস্টে, কাচা মাটির রাস্তা শাল সেগুন আর সোনাঝুড়ির জঙ্গল। ওরগ্রাম গেস্ট হাউসে আমাদের লাঞ্চ, একদম জঙ্গলের মাঝে,রুফটপটা দারুন,থাকার ব্যবস্থাও আছে। পেছেনে বড় বাগান, সেখানে হাঁস, মুরগি,কালো মুরগি, টার্কি,খরগোশ আছে, সাথে দোলনা... ব্যাস কে আগে বসবে, দুলবে আর তাড়াতাড়ি টাইম মেশিনে চড়ে একদম ছোট বেলায় পৌছে যাবে... সেই তাড়াহুড়ো পরে গেল। খুব সুন্দর করে সাজানো থালায় খাবার এল,স্বাদও বেশ ভাল,এরপর আমরা কলকাতা ফেরার রাস্তা ধরব,মাঝে জঙ্গলে দেদার ফটো সেশন চলল,নামলাম সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের এয়ারফিল্ডে,এখনো সেই কংক্রিটের রাস্তা ধুলো গুলো সাক্ষী আছে,কত যুদ্ধ বিমান গেছে এর ওপর দিয়ে, চারদিক সবুজ ধানক্ষেত, পাকা ধান আর গাছের নানান রং,সূর্যাস্তের সময় হয়ে এসেছে,তাল গাছের ফাক দিয়ে তার চলে যাবার সমস্ত রং গুলোকে মনের ক্যানভাসে স্টোর করে নিলাম আরেকটা নতুন দিনের আলোর আশা নিয়ে।
0 Comments
শাল মহুয়ার কোলে মাত্র তিনটি রুম নিয়ে ছোট্ট একটি জঙ্গলবাড়ি | ঝাড়গ্রাম শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে | মানিকপাড়া জঙ্গল এলাকার অন্তর্গত | এখানে থেকে একদিন ঝাড়গ্রাম লোকাল সাইটসিইং, একদিন বেলপাহাড়ি-কাঁকড়াঝর, একদিন হাতিবাড়ি-তপবন খুব সহজেই ঘুরে দেখে নেওয়া সম্ভব | গৃহ সুলভ আতিথিয়তা | ঘরোয়া খাওয়া-দাওয়া | প্রশস্ত বাগান, তাই চাইলে এক-দু'দিন শুয়ে বসে কাটিয়ে দেওয়াটাও মন্দ হবে না
সবার আগে সবাইকে কালীপূজা এবং দীপাবলির অনেক শুভেচ্ছা
আজ কালীপূজার দিনে আপনাদেরকে এক শ্বেতকালীর গল্প শোনাবো। বাংলার বুকে শ্বেতকালী!! তাও আবার ৫০০ বছর পুরনো!! শুনে হয়তো অবাক হবেন, তবে সেখানেই শেষ নয় এই মাকে দেখলে আশ্চর্য হবেন আরো। রাজবলহাট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলী জেলায় অবস্থিত। রাজবলহাট জায়গার নাম দেবী রাজবল্লভীর নামানুসারেই চিহ্নিত। এখানকার রাজবল্লভী কালীমন্দির একটি ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান। অতীতের ভুরশুট রাজ্যের রাজধানী ছিল রাজবলহাট। শনিভানগড়ের মৎসজীবি রাজা, চতুরানন্দ নামক এক ব্যক্তির কাছে পরাজিত হন। চতুরানন্দের নাতি কৃষ্ণ রায় ভুরশুট রাজ্য স্থাপন করেন ১৫৮৩-৮৪ খৃষ্টাব্দে। তার বংশধর প্রতাপ নারায়ণ ছিলেন প্রজাপালক ও দাতা প্রকৃতির রাজা। তার পুত্র শিবনারায়ন, তস্য পুত্র নরনারায়ণ রায় ভুরশুটে রাজত্ব করেন। নরনারায়নের রাজত্বকালের শেষে বা তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বর্ধমান রাজ কীর্তিচন্দ্র ভুরশুট রাজ্য দখল করে নেন। ভুরশুট রাজ্যের রাজধানী রাজবলহাটে তিনটি গড় বা দুর্গ ছিল যদিও বর্তমানে তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়না। ৫০০ বিঘা জমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে দান করেছিলেন ভূরশুট রাজারা দেবী রাজবল্লভীর মন্দিরের সেবায়।
রাজবল্লভী কালীবিগ্রহ ছয় ফুট উচ্চ ও শ্বেতবর্ণা। গঙ্গামাটি দিয়ে বিগ্রহ নির্মিত। ত্রিনয়নী মুণ্ডমালিনী দ্বিভূজা বিগ্রহের ডানহাতে ছুরি ও বামহাতে রক্তপাত্র। কালীমূর্তির ডান পা শায়িত শিবের বুকের ওপরে এবং বাম পা বিরুপাক্ষের মস্তকে স্থাপিত। বিগ্রহটি শ্বেতকালিকা নামেও বিখ্যাত। এই মন্দির চত্বরে রাজবল্লভী দেবীর মন্দির ছাড়াও একাধিক মন্দির রয়েছে।
এই দেবীর মন্দির বর্তমানে সংস্কার করা হয়েছে। রাজবলহাটে একাধিক প্রাচীন টেরাকোটা মন্দির আছে যার মধ্যে আঠেরোশো শতকে তৈরী রাধাকান্ত, মতান্তরে রাধাগোবিন্দ মন্দির ও শ্রীধর দামোদর মন্দির অন্যতম। এছাড়াও রাজবলহাট তাঁতশিল্পের জন্য বিখ্যাত।
সাল টা ২০১৬, ১৫ই আগস্ট এর দিন দুয়েক আগে। আমি, আমার বন্ধু সুভদীপ আর প্রসেঞ্জিত মিলে ঠিক করলাম বেড়াতে যাব। কিন্তু কথ্য যাব সেটা প্রথমে কেও ঠিক করতে পারলাম না। আমাদের তিন জনের মধ্যে আমি সব থেকে ঘুরতে ভালবাসি। তাই দায়িত্ব পড়ল আমার উপর। ঠিক করলাম Ghatshila যাব। গোছগাছ করে নিয়ে দিন দু-একের মধ্যে বেড়িয়ে পড়লাম।
সকাল ৭ টায় হাওড়া থেকে ইস্পাত ধরার কথা। আমরা ভোর ৪ টের সময় কাকিনারা রেল প্লাটফর্ম এ চলে এসে টিকিট কেটে নিলাম। ৪ঃ১৫ টার ট্রেনে উঠে ৫ঃ৩০ নাগাদ শিয়ালদহে চলে এলাম। এরপর বাসে হাওড়া। ঠিক সময় মত প্লাটফর্মে চলে এলেও ট্রেন নির্ধারিত সময়ের থেকে ৫ মিনিট দেরিতে ছাড়ল। আমরা প্রায় ১০ঃ৩০ নাগাদ ঘাটশিলা পৌছালাম। আমাদের আগে থেকে কোন ঘর বুক করা ছিল না। কাজেই রেল লাইনের এ পার ওপার দেখে মোটামুটি ১ টা ঘর পেয়ে গেলাম ৫০০ টাকাতে। যা তিন জনের পক্ষে যথেষ্ট। ঘরে এসে তিন জন এক এক করে স্নান সেরে নিলাম। তারপর দুপুরের খাওয়া খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম অটো খুঁজতে। আসেপাসে কাছা কাছি কি আছে সেটা আজকে দেখে নিতে হবে। তারপর বাকী যা আছে তা কাল হবে। আজ আমরা একটা অটো ঠিক করে চলে গেলাম সব চেয়ে আগে Subarnarekha নদীতে। রাস্তাতে অটোআলা দেখাল এইচসিএল এর কারখানা। এরপর আমরা সোজা চলে গেলাম Subarnarekhaর ধারে। নদির স্রোত বেশ ভালই আছে দেখলাম । এর একধার থেকে ঝর্নার মতো কথা থেকে যেন জল এসে পড়ছে। এখানে প্রায় ৩০ মিনিট মাত কাটিয়ে সন্ধ্যে হতে হতে হোটেলের দিকে ফিরে চললাম। একটা জিনিস দেখলাম এখানে খুব রাত করে সব বন্ধ হয়ে যায়। তাই হোটেলের লোক জনের কাছ থেকে কোথায় খাওয়ার পাওয়া যায় জেনে নিয়ে চলে গেলাম রাতের খাওয়ার খেতে। যদিও সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ মুড়ি আর চপ সহযোগে টিফিন করেছিলাম। সবাই খেয়ে এসে প্ল্যান করতে বসে গেলাম আগামী কাল কোথায় যাব। হোটেলের লোকেরও সাহায্য নিলাম। কিন্তু ওনারা আমাদের যা লিস্ট দিলেন দেখলাম আমরা যদি সব দেখতে যাই তাহলে অনেক দিন লেগে যাবে। তাই আমরা ঠিক করলাম আমরা যাব নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায়।
পরের দিন সকালে উঠে টিফিন করে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম অটো খুজে দরদাম করতে। দেখলাম সবাই যা দাম বলছে সবই প্রায় কাছা কাছি রেট। ঠিক করলাম আমরা যাব Burudi Lake, Dharagiri Waterfalls, মা Rankini Temple, Bibuhti Bhusan এর বাড়ি এইসব জায়গা গুলোতে। ভাড়া ঠিক হল প্রায় ১০০০ টাকা। পুরো অটো রিসার্ভ করে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম মনের চিত্ত শুদ্ধির জন্য। লোকালয় ছেড়ে আমরা যত এগিয়ে চলেছি, সবুজ তত যেন আমাদের গ্রাস করে চলেছে। এই ভাবে চলতে চলতে আমরা সর্ব প্রথম পৌঁছে গেলাম Burudi Lake এ। চারপাশ পুরো নিস্তব্ধ, হাতে গোনা কয়েক জন টুরিস্ট মাত্র। বিশাল প্রান্তর জুড়ে অনেকটা বিস্তৃত এই লেকটা। চারপাশ শুধু সবুজ আর সবুজ, তবে একটা জিনিস দেখলাম মাটি কিন্তু এখানে লাল। তার মধ্যেই দেখলাম একপাশ থেকে নালার মধ্যে দিয়ে জল এসে লেক এ পড়ছে। লেকের জল পুরো সচ্ছ । এককথায় একবার এসে দেখলেই, আপনি একে ভালবেসে ফেলতে বাধ্য। এখানে প্রায় ৪৫ মিনিট মত কাটিয়ে আমরা চললাম এরই পাস দিয়ে Dharagiri Waterfalls দেখতে। প্রায় অনেকটা পথ পেড়িয়ে আমরা চলে এলাম একটি গ্রাম্য পথের মাঝে। এক জায়গায় এসে দেখলাম অনেক গুলো গাড়ী সারবদ্ধ ভাবে দাঁড়ান । বুঝলাম গন্তব্য চলে এসেছে।
আমরা প্রথমে যেখানে এসে দাঁড়ালাম, সেই জায়গাটা এক নজরে দেখলেই আপনি ভালো বাসতে বাধ্য। এখানে গাইড বলতে স্থানীয় লোকজন । তারাই আপনাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা একটি বাচ্চা মেয়েকে গাইড হিসাবে নিয়ে নিলাম। চলতে লাগলাম তার পিছন পিছন। যত এগোচ্ছই তত জানো জঙ্গল আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে, ঘন হচ্ছে। পাহাড়ও কাছে আসছে, আর আমরা তত পাহাড়ের ভিতর ঢুকতে যাচ্ছি। তবে এখানেও দেখলাম চারপাশ পুরো নিস্তব্ধ। বেশ কিছুটা এগিয়ে আসার পর দেখতে পেলাম একটা ছোট্ট ঝরনা। এটাই ছিল আমাদের এই বারের গন্তব্য। এখানে বেশ কিছুক্ষণ মজা করে, ছবি তুলে আমরা ফিরে চললাম পুরনো রাস্তা ধরে। ফিরে আসার সময় আকাশে মেঘের সমাগম দেখলাম, আর বুরুদি-র পাশ দিয়ে ফেরার সময় অটো থেকেই যাত্রা পথের সাথে লেকের চলমান চিত্র লেন্স বন্দি করতে করতে চললাম। Dharagiri Waterfalls দেখে ফেরার সময় কিছুক্ষণ চলার পরেই বৃষ্টি শুরু হল। এবার আমাদের যাত্রা পথ মা Rankini Temple এর দিকে। যাত্রা পথ ও বেশ অনেকটাই এবং রাস্তার দশা বেশ বেহাল, খানা খন্দে ভরা, শুকনো, খুব ধুলো উড়ছে। অটো দাদা যেতে যেতে একটা ব্রিজের উপর কিছুক্ষণ দাড় করিয়ে দিল। আমরা দেখতে পেলাম দূরে একটি পাহাড় আর তার কাছ থেকে আমাদের দিকে ছুটে আসছে একটি খালের মধ্য দিয়ে জলরাশি। ড্রাইভার দাদা বলল ঐ পাহাড়ে নাকি বেশ কিছু জন্তু-জানোয়ার থাকে। এরপর পাহাড় কে সঙ্গে নিয়ে সবুজে সবুজে ভরে আমরা এগিয়ে চললাম রাঙ্কিনি মন্দিরের দিকে। এই রাঙ্কিনি মন্দির যে জায়গায় অবস্থিত সেই জায়গাটার নাম জাদুগোরা । তাই এই মন্দির কে অনেকে জাদুগোরা রাঙ্কিনি মন্দির ও বলে। প্রায় অনেক্ষন চলার পর আমরা এসে পউছালাম মা Rankini -র মন্দিরে। মন্দিরের রাস্তায় গাড়ীর খুব ভিড়, একদম লাইন পড়ে গেছে। মন্দিরের বাইরে পুজ দেওয়ার কি ভিড়। গাড়ী থেকে নেবে আমরা সাইড দিয়ে চলে এলাম মন্দিরের কাছে। এখানে দৃশ্য কিছুটা আমাদের তারকনাথ বা তারাপীঠ এর মত, কারন অনেকেই দেখলাম গাছে মানত করার জন্য ইটের সাথে সুত বেধে ঝুলিয়ে দিচ্ছে। আমার বরাবরই ভিড়ে অ্যালার্জি । মন্দিরের কিছু ছবি তুলে নেবে এলাম পুরনো মন্দিরের স্থানে, একটা ছোট্ট ব্রিজের উপর থেকে দেখলাম নিচ দিয়ে ছোট্ট কিন্তু স্রোতস্বিনী একটি জলধারা বয়ে চলেছে। এখানে প্রায় ৩০ মিনিট মত কাটালাম। কাছাকাছি আরও একটি মন্দির আছে সেটিও দেখে নিলাম। চারপাশের সৌন্দর্য উপভগ করার পর আমরা এগিয়ে চললাম গাড়ীর দিকে। একটা কথা বলা উচিৎ, আপনারা যারা এখানে আসবেন তারা অবশ্যই ড্রাইভার এর ফোন নাম্বার নিয়ে রাখবেন, না হলে গাড়ী কোথায় আছে হাজার খুঁজলেও পাবেন না। আমরা ফোন করে অটো বার করে রাখতে বলে এগিয়ে চললাম। আপনাদেরকে একটা কথা বলে রাখা ভালো, জাদুগোরা রাঙ্কিনি মন্দিরে টাটা নগর থেকে যাওয়া সব থেকে ভালো, এই পথে ভাড়া বেশি পরে, যেটা আমরা জানতাম না। এবার আমরা এগিয়ে চললাম কবি BibuhtiBhusan বন্ধপাধ্যায় এর বাড়ীর দিকে। এবার সেই ধুলো উড়ানো টাল-মাটাল পথ দিয়ে ফিরে এলাম। আমরা গিয়ে জাখন পউছালাম তার কিছুক্ষণ আগেই দরজা খুলেছে। খুব একটা ভিড় ছিলনা। আমরা সবাই ধীরে সুস্থে পুরোটা দেখে নিয়ে সন্ধ্যে বেলাতে হোটেলের কাছে বড় রাস্তাতে নামিয়ে দিল। সন্ধ্যে বেলাতে আমরা চপ মুড়ি সহযোগে টিফিন করে নিলাম। মাঝ খানে বেশ কিছুটা সময় হাতে আছে। এখানে যা দেখার আছে, তার মধ্যে যত টা দেখার আমরা সেটা দেখে নিয়েছি, হাতে এখনও সময় আছে। হাতে কোন প্ল্যান নেই, কারন এখানে আসার আগে কোন প্ল্যান করা ছিলনা। প্ল্যান করতে ঠিক হল পরের দিন সবাই মিলে টাটানগর চলে যাব। ওখানে দেখার মত জায়গা হল ডিমনা লেক আর জুবিলি পার্ক। কিন্তু দুঃখের খবর হল আমাদের বন্ধু প্রসেঞ্জিত এর কাজে ডাক আসার জন্য ওকে পরের দিনই চলে যেতে হল। পরের দিন আমরা চললাম টাটানগরের উদ্দেশে। পরের পর্বে টাটা নগর ভ্রমনের কাহিনী বলব ।
নবজাগরণের পর উত্তমাশা অন্তরীপ পেরিয়ে ইউরোপীয় বণিকরা তখন দলে দলে ভিড় করত ভারতবর্ষে। জাহাজ বোঝাই করে নিয়ে যেত গরম মশলা, হাতির দাঁতের কাজ আর পরিধেয় বস্ত্র। ঢাকার মুসলিন কাপড়ের কথা তো সর্বজন বিদিত। দেশীয় নীল সেও অজানা নয়। কিন্তু জানেন কি বাংলার তাঁতের সাথে সিল্কের ঠেটি কাপড়ও ছিল পাশ্চাত্য দেশে বেশ জনপ্রিয়। আর বীরভূমের রেশম শিল্প ছিল উৎকর্ষতার প্রথম সারিতে। যে কয়টি স্থান থেকে এই শিল্প হয়ে উঠেছিল আন্তর্জাতিক, তার অগ্রগণ্য ছিল গুনুটিয়ার এক কুঠি বাড়ি। আজও তার ভগ্নাবশেষ পড়ে আছে সেখানে। চলুন একটু ঘুরে আসি।
সাঁইথিয়ার কাছে ময়ূরাক্ষী নদীর বুকে যত্রতত্র বালি তুলে বিশাল বিশাল খাদানের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার পরে সেই খাদানগুলোয় জল জমে আজ মোহময়ী। আর তাতে খেয়া চলে। ঠিক করলাম নৌকো পার করে গিয়ে পড়ব বহরমপুর রোড হয়ে গুনুটিয়া। তাতে টাইম ট্রাভেল হয়ে গেল কিছুটা। আর যখন সেই কুঠি বাড়িতে গিয়ে পড়লাম, চোখের সামনে তখন এক্কেবারে অষ্টাদশ শতাব্দীর ইতিহাস। মনে হলো সেই জঙ্গল ফিরে এসেছে, যে জঙ্গল কেটে কিছুদিন পর মিস্টার ফ্রাসার্ড সাহেব তৈরি করতে চলেছেন তার স্বপ্নের কুঠিবাড়ি। প্রকৃতি এভাবেই ফিরে আসে বারবার। পলাশীর যুদ্ধ শেষ হয়েছে। তবে মুর্শিদাবাদ তখনও ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে। সেখান থেকে ময়ূরাক্ষী নদী বেয়ে অনায়াসেই বজরা পৌঁছে যায় গানোটিয়ায়। কর্ম চঞ্চল ফ্রাসার্ড সাহেবের হাত ধরে সেই শুরু বিরভূমী সিল্কের বিশ্বায়ন। তাঁর মৃত্যুর পর জন চীপ মহাশয়ের হাতে পড়ে কুঠি বাড়িটি তখন নব যৌবন প্রাপ্ত। একসময় এই কুঠি বাড়িতে নাকি ১৫০০০ জন লোক একসাথে কাজ করতো। সুরুল, ইলাম বাজার এলাকায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত নীল কুঠির সাথে গুনুটিয়ার কুঠি বাড়ির যোগাযোগে তৈরি হলো সড়ক পথ। যেপথে ক্রমে চলতে শুরু করলো এক্কা গাড়ি, গরুর গাড়ি, বাস, মোটর বাইক প্রভৃতি। ফ্রাসার্ড সাহেব বা জন চীপ মহাশয় কেহই কিন্তু তাদের ভিটেমাটিতে ফিরে যেতে পারলেন না। নিথর হয়ে রয়ে গেলেন এই বাড়ির প্রাঙ্গণেই। তাদের সমাধি আজ নিতান্ত অবহেলায়। পুরনো একটা ভাঙা বাড়ির ইটগুলো ছড়িয়ে একটা অংশে রাস্তা করা হয়েছে। জোড়া টাওয়ারের একটিতে নাকি আছে গুপ্তধন, এই গুজবেই হাল আমলে শতাব্দী প্রাচীন সেই মিনার আজ ভূপতিত। আর দেখি ছাদ ভাঙা অট্টালিকার আনাচে কানাচে শেকড় বাকড় মাকড়শার জালের মত কব্জা করে রেখেছে। থমকে থাকা দেওয়ালগুলোর অন্দরে গুমোট অন্ধকার। শুকনো পাতার আর্তনাদে চমকে শিহরণ জাগে। আগাছায় গজে ওঠা রক্তবর্ণ মাকাল ফল যেন প্রলোভনের হাতছানি। ১৫০০০ প্রাণ যেনো আজ সবাই উদ্ভিদ হয়ে এক নিমেষে চেয়ে আছে এই আগন্তুকের দিকে। একা একা না যাওয়ায় ভালো। মনের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে রাত্রে কি তাদের জটাজালের ভেতর থেকে দপ্ করে ওঠে কোনো হলুদ দুটি চোখ? পরবর্তীকালে কৃত্রিম নীল আবিষ্কার হল। আর ব্রিটেনের যাতাকলে পিষতে শুরু করলো দেশীয় রেশমগুটি। ধীরে ধীরে কুঠি বাড়ির অহংকার হলো ভূ-লুন্ঠিত। গণ্ডুষ করলাম আমরা। ফেরার সময় একটা বাঁশের ব্রীজ পেলাম। সেটা পেরিয়ে জন সাহেবের তৈরি করা রাস্তা দিয়ে হওয়া খেতে খেতে বাড়ি ফিরলাম। পুনশ্চ: কর্মসূত্রে বছর খানেক ডেনমার্কে ছিলাম। আদব কায়দায় অত্যাধুনিকতার ছাপ সর্বত্র সেখানে। কিন্তু প্রায় প্রতিটি শহরে একটি করে সংগ্রহশালা আছে, নেহাতই ফালতু। হাজার বছর আগের ভাইকিংদের জিবনপ্রবাহ কেমন ছিল সেটা সংরক্ষণ করার কি কোনো প্রাসঙ্গিকতা আছে! অথচ দেখুন ওরাই নাকি পৃথিবীর সবথেকে সুখী জাতি।
Ekhon internet er doulot e kono jayga e karor kache r ojana noy. Procholito digha, mandarmani, bakkhali giye jara hapiye utheche tara ektu onnorokom swad paltate chaiche. Sob kichui ek somoy ekgheye hoye jaye tai ektu taste bodlate onekei chaiche tent e thakte. Samne ekta sundor samudro. Gach gachali te ghera onekta jayga jure camp. Bes ekta traveller trekker adventurer feel. Sondhyebela barbeque... raat porjonto beach er dhare bose thaka.. adda mara egulo abar sob beach e te paoya jayena. Tai bes popular ekhnon Mousuni island. Obosso sekhaneo kichu prokar bhed ache. Keu chaye loud music.. jhokjhoke alo...purotai party mode e thakte. Abar keu chaye santo niribili mridu alo te sudhui prokriti ke enjoy korte. Sob miliye seet asche. Jayga ta ekhon aro lobhoniyo hoye utche...
রাস্তায় প্ল্যান করলাম আজ লাভা যাবো। ব্যাস গরুবাথান পেরোনোর পর ডিসাইড করলাম লাভা যাবো সময় আছে হাতে কারণ বাড়িতে ফিরতে হবে সন্ধের মধ্যে। Dooars এর মানুষ হওয়াতে বহুবার লাভা যাওয়া হয়ে গেছে। তবে আজকের টা একটু বেশি ভালো লাগলো কারণ টা হয়তো বা প্ল্যান ছাড়া যাওয়া।আসলে প্ল্যান টা ছিল সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরে সন্ধের মধ্যে বাড়ী ফেরা। সকাল 9 টায় বাড়ী থেকে বেরিয়ে ভাবলাম প্রথমে ঝাল্লং এর দিকে যাবো। তারপর কুমাই হয়ে লালিগুরাস। তারপর matteli তে লাঞ্চ সেরে বাড়ি ফিরব বিকেলে। খুনিয়া মোরে চা মোমো খেতে খেতে বাকিরা বলছে ঝালং যাবে না, অন্য কোথাও নিয়ে চলো, ঠিক করলাম gorubathan পেরিয়ে আম্বিয়ক টি গার্ডেন যাবো তারপর রিটার্ন করে যাবো। অ্যাকর্দিংলি গরাবাথান পেরিয়ে আম্বিওক পৌঁছে গেলাম তখন মাত্র 11.00 বাজে। ভাবলাম লাভা ঘুরে আসতেই পারি। ব্যাস একবার বলতেই সবাই রাজি আর কি উঠলো বাই তো কটোক যাই।
ভাবছি এক সপ্তাহ আগে দার্জিলিং থেকে এসে আবার পাহাড়ে যাবো টা ক্ষতি বা কি আছে। চলে গেলাম। মাত্র এক সপ্তাহ আগে লাভা ওপেন হয়েছে টুরিস্ট দের জন্যে। হতে গনা কিছু টুরিস্ট আর একদম ফাঁকা। বেশ ঘুরে সন্ধে 6.30 টায় বাড়ী পৌছে গেলাম। আজকের ঘোড়া টা সত্যি খুব এনজয় করেছি দুটো কারণে এক একদম প্ল্যান ছাড়া র দুই লাভা এতটা ফাঁকা খুব বেশি ভালো লাগলো। যদিও রিশপ কলাখাম এবার যেতে পড়লাম না, একবারে এতটাও হয় না
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রথম তিনদিনের জন্য ঝাড়গ্রাম ঘুরে এলাম ।কিছু তথ্য দেয়ার চেষ্টা করছি .....
১) নিজের গাড়ি নিজে ড্রাইভ করে আমরা চারজন গিয়েছিলাম। আমার বাড়ি বেহালা ( কলিকাতা ) থেকে আমাদের ভ্রমণ আবাস ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত একেবারে মসৃন অসাধারণ রাস্তা মাঝে শের-ই-পাঞ্জাব এ প্রাতরাশ ( ওদের পরিবেশ ও সবরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা অসাধারণ ) করে সাড়ে ৪ ঘন্টায় আমার ঠিকানা বন দফতরের প্রকৃতি পর্যটন আবাস এ পৌঁছেছিলাম গত রবিবার মানে ০৮.১১.২০২০। ২) বড় রাস্তার ধারে বড় হরফে আবাসের নাম এবং দিকনির্দেশ করা আছে কিন্তু বিশাল বিশাল গাছের আড়ালে সুসজ্জিত আধুনিক কুটির প্রথমে ঠাহর হয়না , লাল কাঁকর বিছানো পথ আমাদের পৌঁছে দিল আস্তানার দোরগোড়ায়। প্রথম দর্শনেই প্রেম ,.. হ্যাঁ , আমি চিরকাল শূন্যের প্রেমে পড়েছি , আজও তাই , আসলে শূন্যেই সৃষ্টি শূন্যেই লিন , শূন্যেই পূর্ণ , শূন্যই অবিনশ্বর , বাকি সবই মায়া। তাই একটুকরো নিস্তব্ধতার বুকে নিস্তরঙ্গ তিনদিনের সুখানুভুতি বা প্রেমে পড়া .... ৩) সুমনের মিষ্টি অভ্যর্থনার আনন্দে কিঞ্চিৎ বাধা কেউ লাগেজ নিতে না আসা , বুঝিনি আমাদের সুরক্ষা বলয়ের ওটা ছিল প্রথম পাঠ , মানে কেউই অতিথির কোনো জিনিস স্পর্শ করবেনা।আধুনিক প্রয়োজনীয় সুখ সামগ্রী মানে এ সি ,গিজার , রুম হিটার ,ব্যাটারি লাইট ( বড় জেনারেটর আছে ) বেষ্টিত সুসজ্জিত পরিবেশের মানানসই একেবারে পরিষ্কার ঝকঝকে কুটির। সুমন ঘরের তালা খুলে বলেদিয়েগেলো সমস্তরকম দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে তিনটেদিন নিশ্চিতে কাটান , আপনাদের সম্পূর্ণ সুরক্ষা ও পরিবেশন আমাদের দায়িত্ব, আপনারা আসার ১ ঘন্টা আগে আমরা প্রতিটা জিনিস পরিষ্কার ও স্যানটাইজ করেছি , এই তালা চাবি পারলে একটু স্যানেটাইজ করে নেবেন আর অভ্যর্থনা ঘরে স্যানিটাইজার মেশিন আছে আপনাদের যেকোনোরকম ব্যবহারের জন্য। ৪) স্নান সেরে মধ্যাহ্ন ভোজ এ গেলাম , বলে রাখি থালি সিস্টেম এ পরিছন্ন সুস্বাদু হালকা বাঙালি ধরনের খাবার পাবেন , বিশাল বড় টেবিলে চারজন বেশ দূরত্ব বজায় রেখে বসা , প্রতিটা টেবিল খাবার পর প্রথমে স্প্রে করে তারপর বাসন তুলছে , পরিষ্কারের পর আবার স্প্রে করে তারপর পরের অতিথি বসার ব্যবস্থা। সামগ্রিক চিত্র - ৩ টি কটেজে মোট ১২ জন থাকার ব্যবস্থা , ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট এ অনলাইন বুক করতে পারেন , ব্যক্তিগত অভিমত আমাদের মতো ঘিঞ্জি এলাকার শহর নিবাসীদের এই ধরনের ফাঁকা এলাকায় সতর্কতা নিয়ে বেড়ানোয় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয় ...
উৎসব শেষে শহর যখন ম্রীয়মাণ , তখনই আনন্দের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে সিংভূম , মানডূম অঞ্চল । শুরু হয় কুড়মি জাতির প্রাণের উৎসব 'বাঁদনা ' পরব ।
এই পরবের মূল আঙ্গিক হল ধামসা মাদলের বোলে ধানের শীষ, সিঁদুর আর দীপের আলোকে হাল , জোয়াল , গোয়াল সর্বোপরি গরুকে পুজো করা । বলা যেতে পারে নতুন করে আহ্বান জানানো । এই সময়েই মাটির ঘরগুলোর দেওয়ালে পড়ে নতুন মাটির প্রলেপ । আর সেই দেওয়ালেই অঙ্কিত থাকে অবিশ্বাস্য সুচারু শিল্পকর্ম । লাল নীল হরেক রঙের মেলায় , ঝকঝকে উঠোনে আলপনার বাহার দেখে স্বপ্নপুরী বলে ভুল হয় । ঘরে ঘরে ঢেঁকির শব্দে , ধামসা মাদলের দ্রিমিদ্রিমি বোলে এক মায়াবী পরিবেশের হাতছানি । হরেক রকম পিঠের উৎসব 'বাঁদনা'তে সুন্দরী পুরুলিয়ার সৌন্দর্য্যে বাড়তি পালক হল মানুষগুলোর আন্তরিকতা , মানবিকতা আর সহযোগীতা । আবার কবে তোমাদের সাথে দেখা হবে জানি না । ভালো থেকো সবাই
যাঁরা নিরিবিলিতে সমুদ্র সৈকতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে চান, বকখালি তাঁদের জন্য আদর্শ ভ্রমণ স্থান ৷ বকখালির সমুদ্রের চরিত্রটাই আসলে একটু অন্যরকম। শান্ত পরিবেশ,সমুদ্র সৈকতে পলিমাটি আর সাদা বালির সৌন্দর্য । ভাটার সময়ে সমুদ্রতট থেকে অনেকটা দূরে সরে যায় বকখালির সমুদ্র। কিন্তু সেটিও অন্যরকম একটি মাধুর্য সৃষ্টি করে।
বকখালিতে ঘোরার জন্য বেশ কয়েকটি সুন্দর স্থান রয়েছে। যে গুলির মধ্যে সবথেকে কাছে হলো ফ্রেজারগঞ্জ । বকখালি থেকে ২ কিমি দূরে ফ্রেজারগঞ্জ সৈকত। ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলার তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর অ্যান্ড্রু ফ্রেজার গড়ে তুলেছিলেন এই সৈকতাবাস। তাঁর নামানুসারেই পূর্বতন নারায়ণতলার নতুন নামকরণ হয় " ফ্রেজারগঞ্জ"। ফ্রেজারের বাংলোটি সমুদ্রের গর্ভে হারিয়ে গেলেও সাহেবি আমলের বাংলোর ধ্বংসাবশেষগুলো আর ' ফ্রেজারগঞ্জ' নামটি অতীতের স্মৃতি বহন করে। ফ্রেজারগঞ্জে রয়েছে বেনফিশের হারবার। এখান থেকে নৌকো ভাড়া করে ঘুরে আসা যায় বঙ্গোপসাগরের বুকে অবস্থিত জম্বু দ্বীপ থেকে। এ ছাড়াও রয়েছে হেনরিজ আইল্যান্ড। যে হেনরি আইল্যান্ড সমুদ্রতট আর ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের জন্যই বিখ্যাত । জায়গাটির আর একটি অন্যতম আকর্ষণ পাখি। বিশেষ করে শীতের সময়টায় প্রচুর পরিযায়ী পাখিতে ভরে থাকে হেনরি আইল্যান্ড। তাছাড়াও সি-বিচে ভর্তি লাল কাঁকড়া চোখ জুড়িয়ে দেবে এবং হেনরিজ আইল্যান্ডে রাজ্য মৎস্য দফতরের প্রকল্পও রয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে হেনরি আইল্যান্ডের চারপাশটা দেখতেও বেশ দারুণ লাগে। এছাড়া রয়েছে কার্গিল বিচ , যদিও এই বিচ এ নামতে দেওয়া হয় না। তবে এখান থেকে জম্বু দ্বীপ এবং মৌসুনি আইল্যান্ড এর কিছু অংশ দেখা যায়। এছাড়া ছবি তোলার জন্যে বেশ ভালো জায়গা কার্গিল বিচ । সব মিলিয়ে বকখালি জায়গাটি সমুদ্রপ্রেমী মানুষের জন্য উপযুক্ত সৈকত। |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |