একদিকে বয়ে চলেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। অন্যদিকে তার মাটি ছুঁয়ে যাচ্ছে লোহিত নদী, খেরকোটিয়া নদী ও সুবনসিরি নদী। এর মাঝেই অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম নদী দ্বীপ - মাজুলী দ্বীপ।
এই মাজুলী দ্বীপেই প্ৰাচীন উপজাতি, মিসিং দের বাস। আদতে তাঁরা ছিলেন মিরি উপজাতি। "মিসিং" উপাধিটা ইংরেজদের থেকে পাওয়া। এক মিসিং উপজাতির যুবকের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম - এনাদের আদি বসবাস ছিল তিব্বতে। সেখান থেকে ওনারা আসেন অরুনাচল প্রদেশ। তারপর এই মাজুলী দ্বীপে। কিন্তু ব্রহ্মপুত্রর রোষে প্রতি বছরই একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছে মাজুলী। এই মিসিংরাও একই সাথে বারবার হয়েছেন ভিটে মাটি ছাড়া...এর থেকেই তাঁদের নামকরণ মিসিং ( Missing ) as they are missing their lands every time. মাটি থেকে বেশ খানিকটা উঁচুতে বাঁশের ঘর বাঁধেন এই মিসিংরা বন্যার থেকে রক্ষা পেতে। মাজুলীর পাথুরিচক গ্রামে এমনই এক মিসিং পরিবারের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর সৌভাগ্য আমার হলো। বাঁশের বানানো সিঁড়ি ( মই বলাই ভালো) বেয়ে ঘরে ঢুকতেই অভ্যর্থনা পেলাম বাটিতে তাঁদের রাইস বিয়ার দিয়ে। অসাধারণ সেই স্বাদ। মিসিং ভাষায় এর নাম 'আপঙ'। এই আপঙ কিন্তু তাঁদের জীবনে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে - যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠান, এমনকি মৃত্যুর পর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও এই 'আপঙ' নিয়ে যাওয়ার প্রচলন আছে।
আমিষ নিরামিষ সবই খান তারা, তবে পুরোটাই সেদ্ধর উপর - তেল, মশলা বা হলুদের ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে।
মিসিং উপজাতিদের ভাষা আছে কিন্তু লিখিত কোন বর্ন নেই। বাঁশের তৈরি ঘরের মেঝের উপর বসানো মাটির চৌকোনা উনন। গৃহকর্ত্রী তখন ব্যস্ত রান্নায় - মাছের ঝোল রান্না হচ্ছে। এই উনন ওনাদের খুবই পবিত্র স্থান। তাঁদের বিশ্বাস তাঁদের পূর্বপুরুষের আত্মা উনুনের মাটির কাঠামোতে বিরাজিত। ঘুম থেকে উঠে সকালে তাই সর্ব প্রথম কাজ হলো এই উনুনকে পরিষ্কার করে নিকানো। আবার রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও এটাই শেষ কাজ। একই ঘরে পরিবারের সকলে মিলে রান্না, খাওয়া, শোয়া এবং থাকা। বিবাহের পরই শুধুমাত্র আলাদা ঘর বানানো হয় পারটিশন দিয়ে। ১) কিভাবে যাবেন? ২) কোথায় থাকবেন? ৩) কত খরচা?
এই সমস্ত এবং আরো অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন আমার এই ডিডিওটিতে:
0 Comments
Leave a Reply. |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |