রিজার্ভ বাজার,শুভলং,লংগদু,দূপছড়ি,মারিশ্যা,বাঘাইছড়ি, মাদরাসা পাড়া,উগলছড়ি ||রাঙ্গামাটি - Faisal Mahmud12/10/2020
২ য় দিন
রিজার্ভ বাজার,শুভলং,লংগদু,দূপছড়ি,মারিশ্যা,বাঘাইছড়ি, মাদরাসা পাড়া,উগলছড়ি ||রাঙ্গামাটি|| তারিখ-২ ডিসেম্বর ২০২০ আমি পরবর্তী দিন কি করবো সেটা নিয়ে খুবই অস্হির থাকি, কি??কখন??কিভাবে?? এ প্রশ্ন গুলো তখন মাথায় ঘুরতে থাকে। রাঙ্গামাটি পাহাড়ে সমতলে সুনসান নিরব একটা শহর, রাত গভীর হওয়ার সাথে সবকিছু একদম নিরব নিস্তব্ধ। রাঙ্গুনিয়া ঘুরে শরীর কিছুটা দূর্বল হয়ে গেছিলো রাঙ্গামাটি শহরে এক রাত ঘুমিয়ে সেটা ঠিক করে নিলাম, আমি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই খুব এক্সাইটেড ছিলাম, উদ্ভূত একটা কিছু অপেক্ষা করছে আমার জন্য যেটা দেখার জন্য আমার মন বেকুল হয়ে আছে সেই রাত থেকে। সকাল ৬ টার কিছুক্ষণ পর হোটেল থেকে বের হয়ে সরাসরি রিজার্ভ বাজারের উদ্দেশ্য একটা সিএনজি নিলাম, হালকা শীত চারদিকে ঘন কুয়াশা কি এক মনোরম পরিবেশ আহা সে কি যে পরিবেশ। সিএনজি শহর ছেড়ে এগিয়ে যাচ্ছে রিজার্ভ বাজারের দিকে, রিজার্ভ বাজারের আগ মূহুর্তে রাস্তার দু পাশের পরিবেশ আপনাকে বিমোহিত করে ছাড়বে খুব সকালে। রিজার্ভ বাজার পৌছে গেলাম তখনও আমি বুঝতে পারি নাই কি অপেক্ষা করতেছে আমার জন্য, রিজার্ভ বাজার সকালের নাস্তা করে নিলাম তারপর সোজা চলে গেলাম লঞ্চ ঘাটে, লঞ্চ ঘাটে এসেই দেখি কাপ্তাই হ্রদে এক অংশে এই রিজার্ভ বাজার, হ্রদের পানির ছুয়ে দাড়িয়ে আছে শত শত দোকান, হোটেল আমি এসব দেখে মনটা খারাপ করে ফেললাম হায়রে এখানে রাতে বারান্দায় এসে চা খাওয়ার ফিলটা কি যে মিছ করলাম আহারে। যাইহোক একটা বুকভরা আর্তনাদ নিয়ে লঞ্চের টিকেট কেটে ফেললাম বাঘাইছড়ির, ওখানের ঘাটের নাম সবাই মারিশ্যা নামে চিনে। আমি সিদ্ধান্ত নিছিলাম বাঘাইছড়ি হয়ে সরাসরি সাজেক যাবো যেটা হবে নৌপথে সাজেক ভ্রমণ, লঞ্চ ছাড়লো সকাল ৭ঃ৩০ মিনিটে,লঞ্চে যাত্রির ৭০% ছিলো পাহাড়ী উপজাতি বাকিরা বাঙালি টুরিস্ট বলতে আমি একজনই ছিলাম যা মনে হলো। লঞ্চ যখন ছাড়লো তখন রোদ উঠে উঠে ভাব সামনে কোন মেঘ নাই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেছে আমি একটু মনোবল হারিয়ে ফেললাম, কিন্তু লঞ্চ যখন পাহাড়ের কাছাকাছি যেতে ছিলো মেঘ এবং কুয়াশা দুটাই বাড়তে ছিলো, এই সুন্দর মনোরম পরিবেশ শুধু শীতের সময় পাওয়া যায় এছাড়া আর কখনও পাওয়া যায় নাহ। আমি বহুবার পাহাড়ে গেছি কিন্তু এরকম ফিল কখনো পাই নাই, নদী পথে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ তার উপর শীতের সকাল। মনে মনে ভাবতেছিলাম একদিন অনেক টাকা হবে আমি পাহাড়ের চূড়ায় একটা জুম ঘর বানাবো সেখানে মাসে ২/১ বার এসে থাকবো আমি রং চা বানিয়ে খাবো এখানে বসে আমি বূহ্য রচনা করবো। যাইহোক এসব অসম্ভব কল্পনা করতে করতে পৌছে গেলাম শুভলং সেনাবাহিনী ক্যাম্পে, তখনও পাহাড় মেঘে আচ্ছন্ন কি এক উদ্ভূত পরিবেশ। শুভলং অতিক্রম করার পর আস্তে আস্তে পাহাড় সড়ে যাচ্ছিলো দূর থেকে বহুদূর, হ্রদের পরিধি বাড়তেছিলো নদী থেকে সাগরের মত, সূর্য়ের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছিলো লঞ্চের আনাচে কানাচে তখন মনে হবে আপনি এখন টাঙ্গুয়ার অথবা নিকলী হাওরে আছেন , পাহাড়,হ্রদ, হাওর,স্হল সবকিছুর ফিল আমি একসাথে উপভোগ করতেছিলাম। ৩/৪ ঘন্টা এভাবে নিজের মনকে উপভোগ করার পর একটু বিশ্রামের খোজে চলে গেলাম, এভাবে করতে করতে প্রায় ৭ ঘন্টা পর লন্চ এসে পৌছালো মারিশ্যা ঘাটে। বসু ভাই আগে থেকেই তার এক বন্ধুকে ফোন দিয়ে বলে রাখছিলো আমি আসবো, সেই বন্ধুর নাম ইমন পরবর্তীতে সেও আমার বন্ধু হয়ে গেছিলো। ইমন ভাই আমাকে রিসিভ করে তার বাসায় নিয়ে গেলো আমি ফ্রেশ হয়ে তার বাসায় দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম তারপর কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে তার সাথে হাটতে বের হলাম। আরেকটা বিষয় জানিয়ে রাখি আমি যে জায়গাটায় ছিলাম এটার নাম হলো মাদরাসা ব্লক এ জায়গা থেকে মাত্র ২০/২৫ মিনিটের পথ পের হলেই জেএসএস,জেএসএস সংস্কার,ইউপিডিএফ,গনতান্ত্রিক এর ঘাটি প্রায় সময়ই এখানে দুপক্ষের গোলাগুলি হয়। যাইহোক এসব পাহাড়ী ইতিহাস নিয়ে আরেকদিন বলবো। ইমন ভাইয়ের সাথে হাটা শুরু করলাম ভাই পারবেন তো হাটতে এত পথ??আমি বললাম আমার অভ্যাস আছে সমস্যা নাই। আমরা হাটতে হাটতে লাম্বাছড়া বাজারে গেলাম যাওয়ার পথে আরো ৩/৪ টা চাকমা পাড়া অতিক্রম করলাম। পাহাড়িদের জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ আলাদা তাদের মধ্যে এখনো সামাজিক ঐক্যের একটা বন্ড আছে যেটা এখন অন্য সমাজ ব্যবস্হায় পাওয়া যায় নাহ। পাহাড়িরা সাধারণ চুপচাপ স্বভাবের তারা অতিরিক্ত কথা বলে নাহ। আমরা হাটতে হাটতে ইমন ভাইয়ের পরিচিত কিছু চাকমা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম, তারপর দার্জিলিং পাড়া নামাক একটা জায়গায় আসলাম তখন মাগরিবের সময় হয়ে গেছে, এ জায়গায়টা দু পাহাড়ের সমতলে অবস্হিত একটা খোলা জায়গা, বৃষ্টির সিজনে চারিপাশ পানিতে থৈথৈ করে। দার্জিলিং পাড়া হয়ে আমরা সরাসরি চলে আসলাম ইমন ভাইয়ের বাসায় ওখান থেকে আমি ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে পরলাম এবার আমার রাত্রি যাপনের পালা, বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের পাশেই অবস্হিত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজ, ইমন ভাই আামর জন্য আগে থেকেই ওটার ১ টা বিশাল রুম রেডি করে রাখলেন, আমি ওখানে গেলাম গিয়ে প্রথমে গোসল করে নিলাম তখন রাত ৯ টা বাজে গোসল করে ইমন ভাইরে কল দিলাম ওনি আসলো তারপর জসিম ভাই নামে আরেকজন আসলো তারে নিয়ে রাতে আবার বের হলাম পাহাড় দর্শনের। রাত বাজে ১১ টা আমরা তখন ফিরলাম রেস্ট হাউজে, তারাও আমার সাথে আসলো রেস্ট হাউজে, গল্প করতে করতে সময় কাটিয়ে দিলাম তারপর ২ টার কিছুক্ষণ পর সবাই ঘুমিয়ে পরলাম।
0 Comments
ময়নাগড় বাংলার আনাচে কানাচে কত মাণিক্য ছড়িয়ে আছে তা আমরা বাঙালিরাও বলতে পারবো না। লকডাউনের পরে আমরা তাই বাংলার এদিক ওদিক খুজে বেরিয়েছি, এবার ছিল ময়নাগড়।সেইমত প্ল্যান আর আবার আমরা নারী বাহিনী একসাথে,২৫ জন মিলে কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে সকাল সকাল গাড়িতে ব্রেকফাস্ট সেরে নিয়েছি।কোলাঘাট হয়ে নন্দকুমার রাস্তা ধরে নিমতৌড়ি মোর থেকে ডানদিকে ২০ কিমি গেলে ময়নাগড়। ময়নাগড় বাংলার এক হেরিটেজ জায়গা কিন্তু অবহেলিত, দুটি পরিখা একে ঘিরে রেখেছে, মাঝের সেই দ্বীপে ৬/৭ পরিবারের বাস। আবার ধর্মমঙ্গল খ্যাত লাউসেনের এটি রাজধানী,জলদস্যুর হাত থেকে বাঁচাতে এই দুটি পরিখা কালিয়াদহ আর মাকরদহর সৃষ্টি হলেও একসময় জলদস্যুর কবলে যায় এই গড়। উড়িষ্যার রাজা মহীপাল এরপর এই দুর্গ দখল করেন আর বাহুবলীন্দ্র উপাধি পান,এখন যে কটা পরিবার বসবাস করেন, সবাই রাজপরিবারের অংশ এবং এই উপাধি বহন করছেন। চারপাশ টা নারকেল গাছে ঘেরা, একটা সুন্দর তোরণ, তারপর ভটভটি চেপে গড়ের পাড়ে। যেতে যেতেই দেখলাম সবার বাড়ির সামনে নিজস্ব নৌকা বাঁধা, নৌকা গোল করে পরিখার চারিদিকে ঘুরিয়ে দেবে, ভাড়া ২০/৫০ পার হেড সেটা কজন লোক, নৌকার সাইজ আর বিশেষ দিন হলে কম বেশি হয়। গড়ের মাঝে ৫০০ বছরের পুরনো লোকেশ্বর শিব মন্দির আর রাধেশ্যাম জিউর পঞ্চচূড়া মন্দির, সতীরাণী ঘাট আছে। প্রতিবছর ধূমধাম করে রাস হয়,মেলা বসে,তবে এবার তেমন কিছু হবে না। চারদিক গাছগাছালিতে ভরা, ভাঙা গড়ের দেওয়াল থেকে নতুন বাড়ির দেওয়াল তোলা হয়েছে।ফিরে এলাম আবার নৌকায়, নিত্য কাজের জন্য মেয়েরাও ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে এপার ওপার করছে। আমরা ক্রমশ দূরে যেতে লাগলাম ময়নাগড় কে ফেলে আর অনেক সুন্দর স্মৃতি নিয়ে।
পূজো ছুটি হোক কিংবা গরমের ছুটি, আবার কখনো এদিক ওদিক ম্যানেজ করা দুদিনের ছুটি।দার্জিলিং আমরা সবসময়ই যাই। আমাদের ভ্রমনপিপাসু মানুষের কাছে এ যেন ঠিক মামাবাড়ি। একদম নিজের। যখন তখন চলে যাওয়া যায়। আজকাল এই মামাবাড়ির আশেপাশে মেঝোমামা, সেঝোমামার মতন গড়ে হয়েছে হাজারো স্পট। যেখানে প্রকৃতি উজাড় করে দিয়েছে নিজের সৌন্দর্য। ঠিক তেমনই একটা জায়গা 'লামাহাটা ইকো পার্ক'। যেখানে সারাবেলা চলে মেঘ আর কুয়াশার খেলা। পাইন সারির মধ্যে দিয়ে আঁকাবাকা পাথরে বাধাঁই পথ দিয়ে উঠে যাওয়া যায় অনেকটা উঁচুতে। সেখানে শান্ত স্নিগ্ধ পুকুরের পাশে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায় সারাটা দিন। আলো-আধাঁরির এই পরিবেশে গিয়ে ভূলে যাওয়া যায় জীবনের সবটুকু। হারিয়ে যেতে হয় এক অন্য জগতে।
আপনি চাইলে দার্জিলিং বেরাতে এসেও এখানে কাটিয়ে যেতে পারেন একটি দিন বা দিনের কিছুটা সময়।আবার এখানে দুদিন থেকেও আশেপাশের দু-একটি জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন। শিলিগুড়ি অথবা এনজেপি থেকে গাড়ি বুক করে নিতে পারেন। আবার দার্জিলিং এর শেয়ার গাড়িতে উঠে জোড়বাংলো নেমে লামাহাটার শেয়ার গাড়ি নিয়ে নিতে পারেন।অথবা দার্জিলিং থেকে আসার পথে জোড়বাংলোতে নেমে লামাহাটার গাড়ি নিতে পারেন। শিলিগুড়ি-জোড়বাংলো-২০০/- জোড়বাংলো-লামাহাটা-১০০/- ইকো পার্কের টিকিট-১০/-(জনপ্রতি)
কথায় আছে না 'উঠ্ ছুড়ি তোর বিয়ে' , আমাদের এইবারের বেড়ানোটাও অনেকটা সেই রকম, বেড়ানো না বলে বরং দৈনিক সফর বললেই ব্যাপারটা সঠিক হবে। করোনা আবহে স্বাস্থ্যের হারিকিরির সাথে সাথে যেন মনোরোগের মহামারী চলছে। গৃহবন্দী অবস্থায় আতঙ্কের সাথে যুঝতে যুঝতে সকলের এখন 'দেহ পট সনে নট সকলি হারায় ' অবস্থা। তাই প্রথম প্রস্তাবেই ফুটন্ত তুবড়ির মতো ছিটকে বেরিয়ে এলো উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা ও আবেগের সংমিশ্রণের আহ্লাদিত ককটেল, বিশেষ করে সেটা যদি আপামর বাঙালির অন্যতম তীর্থক্ষেত্র শান্তিনিকেতন হয়।অতঃকিম! 'পথে এবার নামো সাথী' অথবা হালের 'জিন্দেগী না মিলেগী দোবারা' জাতীয় আবেগের আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ আর তার সাথে সাথে আমাদের একদিনের এই অসম্ভব ভালো লাগায় ভরে থাকা , প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে এক সুখযাপনের এই ষোলটি ঘন্টা । বেহিসেবি কয়েকটি ঘন্টা প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিলাম , লাল মাটির পথের ধূলো মাখলাম, সোনাঝুরির হাটে হেঁটে হেঁটে জীবনের এই প্রায় মধ্যগগনের পায়ের পাতাগুলো ফুলিয়ে ক্ষয়ে যাওয়া হাঁটুর ব্যথা করালাম, হাতে গাওয়া ঘিয়ের গন্ধ শুকতে শুকতে হাটের বেচাকিনির সাথে সাথে ধামসা মাদলের তালে নেচে উঠলাম আর সকল রকম শারীরিক প্রতিবন্ধকতার নাকে ঝামা ঘষে প্রজাপতি হয়ে উড়ে ফিরলাম রঙ বেরঙের পাখনা মেলে। ছন্দপতন কি একটুও নেই? আছে আছে। যেন সেই চাঁদপানা মুখে একটা কালো টিকা....আরে ইয়ার নজর না লাগে!! বঞ্চিত রইলাম কবিগুরুর ছোঁয়া থেকে। উনি যেন গোঁসা করেছেন, হাবুদের তালপুকুরে যেতে দিলেন না । লিচু চুরির সেই গল্পের লিচু গাছ বেপাত্তা।
'বসে ছিলেম ছাতিমবনে রোদ ছিটোনো শান্তিনিকেতনে' বলার যো নেই। ফসিলস্ গুলো একাকী গুমরোচ্ছে আর সাথে আমরাও। হাজারবার দেখেও যে আশ মেটে না। শেষ বেলায় দিগন্তে কমলা সূর্যের সাথে মেঠো বাউলের বিষাদ মাখা উদাস সুরে যেন আমাদের একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস আর তার সঙ্গেই মিশে রইলো আবার আসব ফিরের অঙ্গীকার। শেষবেলায় মনের মতো করে কঙ্কালীতলায় মায়ের দর্শনে ষোলকলা পূর্ণ হলো। এবার ফেরার পালা মাটির টানে , সাথে চললো গাড়ির মধ্যেই প্রচুর আড্ডা গান খুনসুটি , আর হ্যাঁ, অবশ্যই খাওয়া দাওয়া, বাঙালির রসনা তৃপ্তি ছাড়া বেড়ানো জমে! সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, আমাদের পাগলামিতে বিগড়ে যাবেন না।
অপরূপা শিবখলা
হারে রে রে রে রে,আমায় ছেড়ে দে রে,দে রে.. ভেবেছিলাম টয় ট্রেনে করে যাবো।নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি পৌছাব অটো ধরে।ওখান থেকে সকাল ৯:৩০ এর টয় ট্রেনে করে সুকনা -রংটন হয়ে পৌছাব শিবখলায়।রংটং এ নেমে চা বাগানের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে যাবো শিবখলায়।কিন্তু বিধি বাম,পেলাম না সংরক্ষিত টিকিট।তাই বাধ্য হয়ে ট্রেনে করে নিউ জলপাইগুড়ি আর ওখান থেকে শিবখলা। আমি চঞ্চল হে, আমি সুদূরের পিয়াসি আমি উন্মনা হে হে সুদূর,আমি উদাসী এ যেন এক স্বর্গীয় ভূমি।জলের কলধ্বনি, পাখির কুজন আর এক অপার সৌন্দর্যে ভরপুর শিবখোলা।কাছেই একটা শিব মন্দির আছে।নেপালি ভাষায় খোলা শব্দের অর্থ নদী।তাই জায়গাটার নাম হয়েছে শিবখোলা।এখানে পৌঁছে গেলাম নদীর সাথে কথা বলতে।তার চোখের ইশারায় তার হাত ধরলাম।তার স্পর্শে শরীর জুড়িয়ে গেল-কলকল হাসে সে আমাকে এদিক ওদিক করে দিলো।প্রানভরে তার সাথে কথা বলে চলে এলাম ক্যাম্পে।--- সে কোন বনের হরিণ ছিল আমার মনে.. কে তারে বাঁধলো অকারণে। দুপুরের খাবার খেয়ে পায়ে পায়ে চলে এলাম নদীর ওপারে বিশ গাঁও তে.. এখন অবশ্য২০টি পরিবার নেই-বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬০টি পরিবারে।এক গ্রাম্য পরিবেশ আমাদের মুগ্ধ করলো।এখানে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে যার নামকরণ করা হয়েছে নেতাজির আই. এন.এ(ইন্ডিয়া ন্যাশনাল আর্মি)-র নামে।গ্রাম ঘুরে চলে গেলাম কাছের শিব মন্দিরে।এখানে সন্ধ্যা পুজোটা উপভোগ করতে পারলাম না কারণ চলে এলাম নুরবং ট্রি ফ্যাক্টরিতে।ফ্যাক্টরি বন্ধ ছিল তাই চা বাগানকে আশ মিটিয়ে দেখলাম।অজানা পোকারা মহাআনন্দে তাদের গান গেয়ে চলেছে।সন্ধ্যা নামছে আর তার সঙ্গে টিপ টিপ করে বৃষ্টিও পড়ছে।টেন্টয়ে পৌঁছাতেই ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল।ওঃ--কি দারুণ!!নদীর কলধ্বনি আর বৃষ্টির উল্লাস মিলেমিশে এক হয়ে গেল। ..ও কি এল, ও কি এল না,বোঝা গেল না ও কি মায়া কি স্বপনছায়া,ও কি ছলনা.. অন্ধকার নেমে এলো।টেন্ট এর সামনে ঢাকা বারান্দায় বসে উপভোগ রাতের সৌন্দর্য।জোনাকি পোকা উড়ে চলেছি এদিন ওদিক আর আমরা চারজন-শুভজিৎ, বাবুলালদা, স্যামুয়েলদা আর আমি দেখে চলেছি রাতের সৌন্দর্য।এর মধ্যে চলেছে আমার মোবাইলে রবীন্দ্রসংগীত. "ভালোবাসি ভালোবাসি এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাঁশি "উফঃ!কি নিদারুন ভালোবাসায় পড়ে গেলাম এই অন্ধকারকে ঘিরে। "গহন ঘন ছাইল গগন ঘনাইয়া স্তিমিত দশ দিশি, স্তম্ভিত কানন সব চরাচর আকুল.." প্রসঙ্গত বলে রাখি দুই পোষ্য --একটি খয়েরিি আর একটি কালো কুকুর ভীষণ ভালোবাসল আমাকে।খয়েরিটা(সোনা-আমার দেওয়া নাম) তো মুখ দিয়ে কত কথা বললো আর কালোটা(বাবু-এটাও আমার দেওয়া নাম)-সে তো আমায় ছাড়বেই না। "ওলো সই ওলো সই আমার ইচছা করে তোদের মতন মনের কথা কই" টেন্টগুলো সব নদী মুখো আর মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ সংকটুয়ারীর ধারে।সেইজন্য পোকামারার ওষুধ ও মশার কয়েল অতি অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন--টর্চ ও সাথে থাকা প্রয়োজন।সকাল হতেই নদীর সাথে নিজেকে বিলিয়ে দিলাম আবার।ছোটবড় পাথরগুলোর মধ্যে ছোট পাথরগুলোকে বিশ্বাস করা ভালো।একটা ছোট্ট বাঁশের ব্রীজ সৌন্দর্যকে আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে।এখানে অনেক পাখিও দেখা যায়।ভাগ্য ভালো থাকলে বিরল রুফস নেকড হর্ন বিল দেখা যেতে পারে।এছাড়া আছে ইউহিনা, স্কেলি থ্রাস, উডপিকার,কালো বুলবুলি,ছাইরঙা স্রাইক,স্পটেড ঈগল, মাগপাই,মিনিভেট,মিনলা,ড্রনগো, কিংফিশার, রবিন..আরো কত কি!! আকাশের অবস্থা ভালো নয় কিন্তু এই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে মন চায় না তবু যেতে হবে।তবে বলবো এখানে ২দিন অন্ততঃ থাকুন।সকালে সৌন্দর্য উপভোগ করে টেন্ট ছাড়লাম।যাবো এবার অহলদাড়া তে।ড্রাইভারজিকে 300/-টাকার চুক্তিতে মালদিরাম সানরাইজ পয়েন্ট এ নিয়ে গেলেও আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল বলে দেখতে পেলেন না সূর্য।।ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হলো বলে তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে গেলাম।গাড়ি চললো আরেক সুন্দর জায়গায়..অহলদারাতে। "গগন সঘন অব,তিমির মগণ ভব তড়িত চকিত অতি,ঘোর মেঘরব. যাওয়া..থাকা: আমরা NGP থেকে ১৮০০/-টাকার চুক্তিতে শিভাখলা পৌছাই।ব্যাবস্থা করে দেন শিবখলার টেন্ট মালিক D. P. Prodhan(7076012314/8388842341)।এখানে টেন্ট এর ভাড়া 900/-per day per head থাকা খাওয়া সমেত।এখানে বাঁশের তৈরি 2টি double bed room cottage আছে, সঙ্গে attached toilet আর 3টি চার বেডেড laxury tent, সঙ্গে attached toilet। প্রকৃতিপ্রেমী হলে আমি নিশ্চিত এই শিবখলার সৌন্দর্যে আপনি পাগল হয়ে যাবেন।এ যে এক অপার্থিব সৌন্দর্যের হাতছানি।..বিদায় শিবখলা..তোমাকে ভুলবো না। ..তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে...
2020.. এই একটা বিদঘুটে বছর একটা, কিন্তু তাতে আমার ঘোরা থামে নি, এই বছরেও ঘুরবার নেশা একই রয়েছে, তা সে অফিসের কাজেই হোক বা নিজের ইচ্ছা তেই ঘোরা হোক, ভুটান দিয়ে শুরু, 2 বার মন্দারমণি, গ্রামের বাড়ি, ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোর, শান্তিনিকেতন, ডুয়ার্স, এবং অবশেষে পুরুলিয়া, অযোধ্যা... এটাই শেষ কিনা বলা যাচ্ছে না, কারণ এটা লিখতে লিখতে অফিসের ফোন, দেওঘর যেতে হবে, ফ্যাক্টরি ভিসিট এ, যাই হোক এর আগের লেখা ছিল আমার গ্রামের বাড়ি এবং বেলপাহাড়ি তে বাইকে..
এবার ও সেই বাইক নিয়েই গেলাম পুরুলিয়া, আমাদের একটা গ্রুপ আছে নাম তার THERIDERKOLKATA আমরা যেখানেই বাইক নিয়ে বেড়াই চেষ্টা করি সকাল সকাল যাত্রা শুরু করতে, সেই মতো এবারও সবাই রেডি হয়ে যাই কারণ আমাদের মিটিং পয়েন্ট ছিল ডানকুনি টোল প্লাজা তে ভোর 3:30 এ.. কিন্তু বাধ সাধলো হঠাৎ বৃষ্টি, তাই অপেক্ষা করতে হলো, কিন্তু বৃষ্টি কমবার নাম নেই, কিন্তু আমরাও rider একটু পাগল টাইপের হই, অপেক্ষা করতেই থাকলাম, অবশেষে বৃষ্টি কমলো, সাথে সাথে আমরাও শুরু করে দিলাম যাত্রা, যদিও অনেকটাই দেরি হয়ে গেছিলো পৌঁছাতে ডানকুনি, আমাদের নিয়ম অনুযায়ী 80-90 স্পিড এ পৌঁছে গেলাম শক্তিগড়, প্রাতরাশ টা সারলাম লুচি আর তরকারি সাথে লাংচা, অল্প জিরিয়ে আবার শুরু করলাম, এবার পৌঁছলাম দুর্গাপুর ব্যারেজ, কারণ বাইকে গুলো কেও একটু রেস্ট দিতে হবে সাথে আমাদের কোমর কে, তাই একটু চা পানের বিরতি, সেটা সেরেই আবার শুরু করলাম যাত্রা পুরুলিয়া র উদ্দেশ্যে, পুরুলিয়া টাউন এ এসে পৌঁছলাম যখন তখন প্রায় দুপুর 2:30 টা.. দুপুরের লাঞ্চ টা রাস্তার ধারেই একটা হোটেল এ সারলাম, ভাত, ডাল, আলুভাজা, কুন্ডলি ভাজা, ডিম এর অমলেট, রুটি এবং তড়কা, তারপর আবার শুরু হলো যাত্রা কারণ আমাদের এবার পৌঁছাতে হবে পাখি পাহাড়, রাস্তা এক কোথায় মাখন, কখনো কখনো 120-125 এ স্পিড উঠেছে, তবে পুরো টাই 80-90 স্পিড এ... পৌঁছে গেলাম পাখি পাহাড়, ইচ্ছা ছিল একটু off route ride traial তাই বাইকে নিয়ে জঙ্গল এ ঢুকে গেছিলাম, কিছু ক্ষণ সময় কাটাতেই নেমে এলো অন্ধকার, তাই আবার যাত্রা শুরু হলো অযোধ্যা পাহাড়ের উদ্দেশ্যে, লোয়ার ড্যাম, আপার ড্যাম অতিক্রম করে চলে এলাম অযোধ্যা পাহাড়ের উপরে, যত বার গ্রাম এ যাই ততবার অবাক হই এদের ব্যবহার দেখে, আলুর চপ আর ডিমের চপ খেলাম মুড়ি দিয়ে, পয়সা দেবার সময় দোকান দার কোনো হিসাব করলেন না, বলে দাদা বাবু আপনাদের যা ভালো মনে হয় দিন, প্রতি চপ 5 টাকা করে, আমাদের শহরে এরকম মানুষ খুঁজতে লণ্ঠন নিয়ে বেড়াতে হবে, ঠিক করলাম রাত এ দেশী মুরগি দিয়ে রুটি খাবো, কথামতো সেই চপ এর দোকান এর দাদা কেই দিলাম রান্না করতে, যথাযত রান্না হলো সুস্বাদু সাথে 50 টা রুটি 6 জন এর, খেয়ে দিয়ে শুয়ে পড়লাম কারণ পরদিন ভোর 4 টে উঠে তৈরী হয়ে বেড়াতে হবে, মুরুগামা র জন্য, এক কোথায় অপরূপ সুন্দর, যাবার রাস্তা ও খুব ভালো, পাহাড়ে রাস্তায় বাইকে যাবার অভিজ্ঞতা, সেখানে কিছু ক্ষণ সময় কাটিয়ে চলে গেলাম বামনী ফলস, মার্বেল লেক, ঘুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা, মাঝে একটা কথা তো বলাই হলো না, মাঝ পথে একটা টিলা তে বাইকে উঠে নিজেরা ম্যাগি বানিয়ে খেলাম, আমরা স্টোভ, কেরোসিন, প্লেট, চামচ নিয়েই গেছিলাম, প্রাতরাশ টা এভাবেই হলো, খুব বেশি লিখলাম না এবার, কিছু তথ্য দিয়ে দিলাম,
রঙচঙে কিছু ছবি থাকলেও এটা সেই অর্থে ঘুরতে যাওয়ার গল্প নয়। আবার হয়তো এটা আমার ঘুরতে যাওয়ার ই কথা। পাহাড় জঙ্গল সমুদ্র নয়, শুধুমাত্র শিকড়ের টানে।
অজয় নদীর তীরে ছোট্ট একটা অজানা গ্রাম আমাদের। বাবার জন্মভূমি। অনেক ছোটবেলায় যেতাম যখন তখন ব্রিজ বলে কিছু ছিলনা। পুরনো রাজদূত মোটরসাইকেল চড়ে নদী ঘাট, সেখান থেকে নদী পেরোতে ভরসা বুড়ো মাঝির লড়ঝরে নৌকা। নিদারুণ দারিদ্র্য তখন তো বুঝতাম না। এখনো হয়তো বুঝিনা। যে সয় সেই জানে। আমরা তো বেশিরভাগ ই আহা উহু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ফিলিং স্যাড পোস্ট দিয়েই খালাস। তথাকথিত শহর থেকে আসা আমরা তখন সবার ফিসফাস আর অবাক বিস্ময় চাহনির একচ্ছত্র মালিক। মোটরসাইকেলের ধুলো ধোঁয়ার পেছনে ছুটে চলা একগুচ্ছ ন্যাংটো বাচ্চা। শুনেছি দাদু নাকি পুরোহিত ছিলেন।তৎকালীন জমিদার বাবু কিছু জমি দান করেছিলেন। সেই সুবাদে আমরাও নাকি জমিদার। পুরনো প্রায় ক্ষয়ে যাওয়া মাটির বাড়িটার উঠোনে যখন গ্রাম বাংলা কেমন হয় দেখছি তখন একজন বেশ বয়স্ক ভদ্রলোক আমার কাছে এলেন। এই সময়টায় আমি একটু দ্বিধাগ্রস্ত থাকি। প্রণাম টোনাম আমার ছোটবেলা থেকেই আসেনা। আড়চোখে মার দিকে তাকাচ্ছি, টরে টক্কা তরঙ্গে কি নির্দেশ আসে। আমাকে অবাক করে ভদ্রলোক আমার পা এর দিকে ঝুঁকে পড়লেন। "ঠাকুর ভালো আছেন?" মনে হলো সপাট করে এক বেতের বাড়ি পড়লো যেনো পিঠে। একটু ভালো পোশাক, পা এ জুতো আর দুবেলা খাবার, আর একটু শহরের গন্ধ কি মানুষকে এতটা তফাৎ করে দেয়? যেখানে বয়সের ভেদ হার মেনে যায়? আমাদের গ্রাম এ তখনও বিদ্যুৎ আসেনি। স্কুল তো ছাড়, একটা প্রাথমিক চিকিৎসালয় অবধি নেই। এই নেই এর ফিরিস্তি বিশাল। রাস্তা নেই, চাষবাস ছাড়া উপার্জন নেই, মেয়েদের ন্যূনতম আবরণ কেনার সামর্থ নেই। রুগ্ন শরীরে প্রতি বছর সন্তান, হয়তো তাদের জন্য বুকে দুধ ও নেই। সন্ধ্যে নামলেই ঘুমোতে যাওয়ার তোড়জোড়। কারণ সূর্যের আলো ছাড়া দিনের অস্তিত্বই নেই । অবসর বিনোদনের একমাত্র আদিম নির্ভেজাল উপায় সম্ভোগ। ফলস্বরূপ প্রতি বছর সন্তান। কি খাবে না খাবে।বউটা সেই ধকল নিতে পারবে কিনা মারা যাবে সেসব ভাবারও সময় নেই। তবে ভাববেনা সবই নেই এর দিকে। কিছু কিছু জিনিষ আছে। প্রবল পরাক্রম এর সাথে আছে। অলিতে গলিতে দেশী মদ আর চোলাই মহুয়ার ঠেক আছে। নদীর ধারে জুয়া এর আসর আছে। জমি বাড়ি যেটুকু যা আছে সব বন্ধক দিতে হলেও পরোয়া নেই। আমি ভাবি তাহলে কেন একটা কোথাও যেন সূক্ষ্ম কিসের টান? বৃষ্টির পরে ওই সোঁদা মাটির গন্ধ? নাকি বুনো ফুলের ঝাঁঝালো গন্ধ? কোন টা আমায় টানে? নাকি সেই রাত্রে দুর থেকে ভেসে আসা বেসুরো কীর্তন? নাকি নদীর পাড়ের ওই স্মশান টা? গত বছর শীতকালে গেলাম যখন ঝটিতি সফরে, ফেরার সময় সান্তা কাকুর সাথে দেখা রাস্তায়। উনি ভাগ চাষী। নিজের জমি নেই।অন্যের জমিতে চাষ করে ভাগ দিতে হয় মালিক কে। এক ব্যাগ ভর্তি তাজা সবজি জোর করে গাড়িতে তুলে দিলেন।বলল "আমার নিজের বাগানের সবজি।একদম তাজা। ছেলে টা পড়াশোনা করে নিজের গ্যারেজ খুলেছে। বাড়িটা দোতলা করে নিচে একটা মিষ্টির দোকানও দিলাম। পরের বার আসো মিষ্টি খাওয়াবো প্রচুর। তখন কিন্তু থাকতে হবে কদিন।পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরবো।কেমন?" পান খাওয়া কালো ভাঙ্গা দাঁতের ফাঁকে অমলিন হাসিটা দেখলাম। একজন গর্বিত পিতা, একজন সফল খেটে খাওয়া মানুষ এর হাসি। হয়তো এটাই আসল "জমিদার" এর হাসি।
প্রায় বছর দশেক আগে একবার হঠাৎ করে ঝটিকা সফরে বকখালির বালুতটে পায়ের চিহ্ন এঁকে এসেছিলাম। সেই সময় দেখেছিলাম জনসমাগম আর আনন্দ জোয়ার। আজ যখন আবার ফিরে এলাম মহানগরের সব থেকে কাছের সমুদ্র তটে তখন কিন্তু কালো মাথার সংখ্যা অনেকটাই কম, অথচ আয়োজনের কোন খামতি নাই। এই দশ বছরে উন্নতি চোখে পড়ার মতো, তাই খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় ঘরের কাছে বকখালির নীল সমুদ্রে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আবার বকখালির খালি সমুদ্রতটে। কপাল ভালো থাকায় বকের সারি সাথে আরও অনেক নাম না জানা পাখির সারি। দুপুর বেলায় মাছভাত আর হ্যাঁ এবার আর সমুদ্র স্নানের সুযোগ হয় নি। তবে সূর্যমামা পাটে না যাওয়া অবধি আমরা বকখালিকে আপন করেই রেখেছিলাম।
পুন:- এখন আর নদী পারাপারের চিন্তা নাই কাজেই উঠল হুজুক তো বকখালি যাই। তেমন ভীড়ভাট্টা নাই তাই মহামারির ভয়টাও নাই।
আমাদের পশ্চিমবঙ্গের খুব কাছেই শান্ত নির্জন সমুদ্র সৈকত উড়িষ্যার বালাসোর এর চাঁদিপুর । ছোট্ট করে কোনও একটা শনি রবি বা সপ্তাহের মাঝেই টুক করে ঘুরে আসা যেতেই পারে চাঁদিপুর। চাঁদিপুর থেকে ঘণ্টাখানেকের দূরত্বেই বেশ কিছু ঘোরার জায়গা আছে। বালাসোর শহরকে এককথায় মন্দির আর প্রকৃতির যুগলবন্দির শহর বলা যায়৷ ওড়িশার ঐতিহ্য মেনেই এ শহরে আছে একের পর এক মন্দির৷ স্থাপত্যের প্রতি যাঁদের আকর্ষণ আছে, তাঁরা নিঃসন্দেহে এখানে দেখার প্রচুর উপকরণ পাবেন৷ বালাসোর স্টেশন থেকে(১৫কিমি ) খুব কাছেই অসাধারণ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ইমামি_জগন্নাথ_মন্দির । এই মন্দিরটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অবিকল প্রতিরুপ বলে দাবি করা হয়। এই মন্দিরটি ইমামি গ্রুপ দ্বারা নির্মিত ও পরিচালিত। ২০০৯ সালে এই মন্দিরের নির্মাণের কাজ শুরু হয়, ২০১৫ সালে নভেম্বর মাসের এই মন্দিটির উদ্বোধন হয়। এটির নির্মাণে খরচ হয়েছিল ১৭ কোটি ভারতীয় মুদ্রা।
১১.৭ মিটার উঁচু এই মন্দিরের ১৬ টি কোনারক চক্র আছে। এই মন্দিরটি খুব ভালো ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। মন্দিরটির ছাদে ও দেয়ালে শ্রী কৃষ্ণের বাল্য লীলা, বিষ্ণুর ১০ অবতার ও আরো অনেক কিছু নিয়ে পট্টাচিত্র আঁকা আছে। এখানে সকল ও সন্ধ্যায় আরতি আয়োজিত হয়। এই মন্দিরটি না দেখলে আপনার বালাসোর ভ্রমণ অসুম্পূর্ণ থেকে যাবে। খুব সুন্দর ভোগ খেয়েছিলাম আমরা সেই অভিজ্ঞতা ভোলার নয় । মন্দির প্রাঙ্গনে একটি বড় হল ঘর আছে, সেখানে উপনয়ন, বিয়ে, অন্নপ্রাশন এবং কিছু সামাজিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষ সেগুলি ব্যবস্থা করে দেন। মন্দির প্রশাসনের একটি স্টল আছে সেখানে খাজা, মালপোয়া সহ বিভিন্ন মিষ্টি বিক্রি করে। রাতের আলোয় মন্দিরটির আলোকসজ্জা আপনাকে মুগ্ধ করবে।
বালাসোর কে কেন্দ্র করে চাঁদিপুর ছাড়া যে সব জায়গাগুলো আপনারা দেখতে পারবেন
১পঞ্চলিঙ্গেশ্বর ২ কুলডিহা_জঙ্গল (আলাদা পারমিশন লাগবে) ৩ নীলগিরি_প্যালেস ৪ দেবকুন্ড ৫ ইমামি_জগন্নাথ_মন্দির(ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা আছে Rs৫০) ৬ ক্ষীর_চোরা_গোপীনাথ_মন্দির এছাড়া এখান থেকে সিমলিপাল ভ্রমণ করতে পারেন। তবে আমি বলবো সিমলিপাল টা এর সাথে না করার জন্য। ওটা সিমলিপাল থেকে অথবা বাংরিপোসি থেকেও করতে পারেন। পথনির্দেশ কলকাতা থেকে সড়ক ও রেলপথে আপনি আসতে পারবেন বালাসোর। রেলপথে আসতে গেলে আপনাকে আসতে হবে বালেশ্বর, বালেশ্বর থেকে ইমামি জগন্নাথ মন্দির দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার।(এখান থেকে মন্দির যাওয়ার জন্য রিজার্ভ গাড়ি ভাড়া করতে পারবেন) কলকাতা থেকে সড়ক পথে দূরত্ব ২৬৪ কিমি, চার থেকে সাড়ে চার ঘন্টা লাগবে। মন্দির দেখে চলে আসুন বালাসোরের সমুদ্র সৈকত চাঁদিপুরে । রাত্রিবাসের_ঠিকানা উড়িষ্যা পর্যটন বিভাগের পান্থ_নিবাস হচ্ছে আদর্শ জায়গা।( https://panthanivas.com/hotel_details.php?id=27) এছাড়া প্রচুর প্রাইভেট হোটেল আছে । তথমিত্র অর্পিতা_বিচ_রিসোর্ট ৮৫৯৪৯১৬৪৭৪/৭৫০৪৮৩৮৮৮৪ হোটেল_শুভম ৯৪৩৮২১৪৬৪৯/ ৯৪৩৭৫৮৬৩০৪ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে এখানে থেকেছিলাম দুদিন , হোটেল শুভম খুব ভালো অভিজ্ঞতা। অসাধারণ রান্না ওদের। চিলি ক্র্যাব এখনো আমার মুখে লেগে আছে । ব্যবহার ভালো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। মন্দির কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট http://emamijagannathmandir.com/index.php ছবি মার্চ ২০২০ তথ্য ঋণ Google
প্রায় তিন মাস পড়ে হালকা শীতের আবহে মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে দুই বন্ধু চলেছি এক অনেক দিনের জানা, অনেকেরই না জানা এক Off-Beat জায়গায়। আজকে জায়গাটার নাম প্রথমেই বলে দিচ্ছি, সেটি হল “সবুজ দ্বীপ”। সেই ছোট্টো বেলা থেকে শূনে এসেছি, যাইনি কখনো। আর সত্যি সবুজ, প্রাণবন্ত সবুজে ভরা। তবে এই সবুজ দ্বীপ কিন্তু সেই কাকাবাবূ বা শোণ্টূর সবুজ দ্বীপ নয়। আর আমাদের সঙ্গে ছিলেন না কোন কাকাবাবুও। ছিলাম শুধু আমরা দুজন ভাইপো। কাদের ভাইপো আবার, আপনাদেরই ভাইপো। এবার চলে আসি আমাদের ভ্রমণ কাহিনীতে...
২২শে নভেম্বড়,২০২০ আমি আর আমার বন্ধু সম্রাট প্রায় তিন মাস পরে চলেছি এই সংসার থেকে বেড়িয়ে এক্টূ মুক্ত খোলা আকাশের হাওয়া খেতে। সকাল ৭ঃ৩০ টায় বেরলাম আমাদের বাড়ী থেকে। বেড়িয়ে প্রথমে বন্ধুটিকে বাইকে তুললাম তার বাড়ী থেকে। উঠলাম কল্যাণী রোডে, তেল ভরিয়ে হাইরোড ধরে এগিয়ে চললাম বলাগড়ের উদ্দেশে। বাড়ী থেকেই গুগুলে দেখে নিয়েছি কি ভাবে যাব। ঈশ্বরগুপ্ত সেতু পেড়িয়ে, কিছুটা গিয়ে ডানদিকে বেকে উঠলাম SH-6এ । এই রাস্তাই সোজা চলে গিয়েছে বলাগড়ে। নৈহাটি থেকে দূরত্ব দেখলাম প্রায় ৪০ কিমি। কিছু ঘিঞ্জি এলাকা বাদ দিয়ে আমরা চলেছি একদম ফাঁকা রাস্তা ধরে। চারপাশের মাঠ সবুজে সবুজ, চাষ হচ্ছে। হাওয়া যা দিচ্ছিল, শীতও লাগছিল বেশ। এই পথে আসতে আপনাদের কিন্তু মন জুড়িয়ে যাবে। কিন্তু আস্তে গেলে আবার ফিরতে দেরী হয়ে যাবে, এই ভেবে স্পীড একই রেখে এগিয়ে চললাম। এই ভাবে প্রায় দেড় ঘণ্টা চলার পর, একজন স্থানীয় লোককে জিজ্ঞাসা করে নিলাম ডান দিকের মোড়, সামনেই রেলগেট। একদিকে বলাগড় অন্যদিকে সোমরা বাজার। এখানে কিছুক্ষণ থামলাম টিফিন করার জন্য। সদ্য ভাজা গরম গরম কচুরি ছোলার ডাল সহযোগে ৬ পিস সাঁটিয়ে দিলাম, সঙ্গে নিলাম ২ টো নলেন গুঁড়ের রসোগোল্লা।এরপর আরও ১৫ মিনিট মত এসে আমরা পৌছালাম জেটীঘাটে। সবুজ দ্বীপের কাছে জেটিঘাটে যখন আমরা পউছালাম তখন ঘড়িতে পৌনে ১০ টা বাজে। আপনাদেরকে একটা কথা বলি, এই সবুজ দ্বীপে সব লোকই আসে কিন্তু পিকনিক করতে, আবার অনেকে শান্ত পরিবেশে থাকতে। কিন্তু অনেক দিন না বেরোনোর জন্য মন ও ভালো ছিল না। তাই আমরা চলে এলাম সবুজ দ্বীপ ঘুরে দেখতে, একটু কাছ থেকে নিরবতা অনুভব করতে। পাশেই আছে দেখলাম থাকবার জন্য একটি ছোটো হোটেল, যদিও বন্ধ। স্থানীয় একটি বাড়ীতে বাইক রেখে এগিয়ে যেতেই একটি ছেলের সঙ্গে দেখা, বললাম সবুজ দ্বীপে যাব, নিয়ে গেল। কাঠের নৌকায় ইঞ্জিন লাগান, ভোটভোটী। কিছুটা এগোনোর পরই, তেল যাওয়ার লাইনে হাওয়া ঢুকে বন্ধ হয়ে গেল। কিছুটা টানল দাঁড় বেয়ে, বাকি কিছুটা হাতে টানা নৌকাতে। এখানে জেটী আছে, তবে আমরা নামলাম চড়ে। এখান থেকে হেঁটে দ্বীপে গেলাম। নৌকা থেকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, দ্বীপটা অনেকটা বড়। মাঝিকে জিজ্ঞাসা করাতে বলল জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে হেঁটে যেতে সময় লাগবে প্রায় ৪০ মিনিট মত। দ্বীপে নেমেই আমরা প্রথমেই উঠলাম সামনের ওয়াচ টাওয়ারে। আপনি যদি ভাবেন ভিতর দিকে অনেকটা দেখতে পাবেন তাহলে ভুল করছেন। একমাত্র নদীর দিক ও তার আশেপাশের দিকটাই একমাত্র দেখা যাচ্ছে। আর গাছ বড় থাকার জন্য ভিতরের দিকে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তবে একটা কথা প্রথমেই বলে রাখি, এখানে যা জঙ্গল, আর যা সবুজে সবুজ আপনার একটা বেলা নিশ্চিন্তে কেটে যাবে ঘুরে ঘুরে। এখানে নতুন করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে, এদিক ওদিক বালি, সিমেন্ট সব ছড়ান। তাই আমরা ওয়াচ টাওয়ার থেকে নেমে নদীর পাশ বরাবর দ্বীপেরই উঁচু জায়গা ধরে চলতে লাগলাম। যত এগচ্ছি জঙ্গল তত ঘন হচ্ছে। তবে মাঝে মাঝে কিছু জায়গা বেশ ফাঁকা দেখতে পেলাম। আমরা চলেছি বাঁ দিক ধরে, একটা জায়গায় গিয়ে দেখলাম লোহা দিয়ে বাড়ীর structure তৈরি করা আছে, কিন্তু তৈরি আর হয়নি ঐ অবস্থাতেই রয়ে গেছে। তবে একটা জিনিষ দেখলাম, এখানে প্রত্যেকটি গাছে শামুকখোলের বাসা। আর কোন একটা আওয়াজ করলেই ঝাঁক ধরে উড়ে যাচ্ছে, আবার কিছুক্ষণ পর এসে ডালে বসে পড়ছে। আমরা এবার ডানদিকে এগলাম। একটা ফাঁকা জায়গার মধ্যে দিয়ে গিয়ে মানুষ যেখান দিয়ে চলাচল করে সেই রাস্তায় গিয়ে পড়লাম। এই জায়গাটা থেকে আবার সোজা চলে গেলে আরও গভীর জঙ্গল। আমরা এগিয়ে চললাম আরও গভীরের দিকে। যতদূর মনে হয় তেলাকুচের ফুল হলুদ রঙের হয়, এই ফুল সারা পথ জুড়ে ফুটে থাকে দেখা গেল। আর এর যে ফল সেগুল বেশ লাল লাল এবং বড়। আমরা অনেকটা ভিতরে ঢুকে গিয়ে দেখলাম এখানে আর একটা ওয়াচ টাওয়ার আছে। কিন্তু পাশেই গাছে উঁচুতে মৌমাছির চাক, ভনভন করছে। ওয়াচ টাওয়ারে জং ধরে গেছে, লতায় পাতায় জড়িয়ে ধরেছে, তাও সিঁড়ি দিয়ে ওঠা যায়। আমরা দুই জন ছিলাম একসাথে উঠেছি, তবে আপনারা যদি যান দেখে শুনে উঠবেন। তবে বেশ শক্ত দেখলাম, ভেঙে যাওয়ার চান্স যদিও নেই। এখানেও এত জঙ্গল যে চারপাশে জংগল ছাড়া কিছু বেশি দেখা গেল না, পাশেই মৌমাছির চাকটা বেশ ভালো দেখা যাচ্ছিল, অনেকটা বড়। একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন এখানে কিন্তু বেশ মশা আছে, ছোট ছোট কামড়ালে দেখলাম ফুলে যাচ্ছে। তবে এইটুকু বোঝা গেল এখানে শেয়াল আর ভামও আছে। আবার সেই জঙ্গল পথ দিয়ে আমরা ফিরে চললাম আমরা যেখানে এসেছিলাম সেইখানে। মাঝ পথে কিছুক্ষণের বিশ্রাম একটি দালানে। মাঝি ভাই আমাদের বলে দিয়েছিল ফেরত যাওয়ার ২০ মিনিট আগে আমাদের ফোন করতে, তাই করে দিলাম। আমরা জঙ্গলে ঢুকেছিলাম বাঁ দিক দিয়ে তাই ডান পাশে কাত গুলো ভাঙ্গাচোরা কটেজ আছে সেগুলো দেখা হয়নি। চললাম সেদিকে। এখানে উম্পুনের সময় অনেক গাছ ভেঙে পড়েছে, আবার অনেক জঙ্গলও হয়ে গেছে, সেগুলি পরিস্কার করার জন্য লোক লাগান হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম এই কটেজ গুলোতে আগে খাট ছিল কিন্তু এখন সেগুলো চুরি হয়ে গেছে। এখানে সারিবদ্ধ ভাবে প্রায় ১০ টি মত কটেজ আছে, সব গুলোতে ওঠার পথ একদম ভেঙে গিয়েছে, আবার যেটাতে উঠা যাচ্ছে সেটাতে হয়ত বারান্দা ভাঙ্গা। এবার আমরা চললাম চড়ের দিকে। যেতে গিয়ে চোখে পড়ল হাতি আর জিরাফের statue। দোলনাও আছে। আর একটু এগোতেই দেখলাম মাঝি ভাই আমাদের নিতে এসেছে। আমরা যখন দ্বীপ ছাড়লাম তাখন বাজে প্রায় পৌনে ১২ টা। পাড়ে এসে মাঝির টাকা মিটিয়ে জানতে চাইলাম এখানে দেখার মত আর কিছু আছে কিনা। মাঝি ভাই বলল, কাছেই ২ মিনিট মত এগোলেই পড়বে সিদ্ধেশরি মন্দির। তার কথা মত বেশ কিছুটা এগিয়েই একটা পুকুরের পাড়ে পড়ল সেই মন্দির। এই মন্দিরের দুই পাশে ছোট ছোট ছটি করে মন্দির আছে। এই গুলির একটিতে আছেন গণেশ ঠাকুর, অন্য গুলিতে আছে শিব লিঙ্গ। এখানে কিছুক্ষণ কাটিয়েই পাশেই গেলাম একটি পুরানো রাজ বাড়িতে। যদিও কেও থাকে না এখন। দোতলা রাজবাড়িতে উপরের তলায় ঘাস, আগাছা জন্মে নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু একতলায় সদর দরজার মুখোমুখি কোন পূজার প্রস্তুতি চলছে দেখলাম। মাঝ খানে আবার এক সময় হাড়িকাঠে বলি হত দেখলাম। এখান থেকে আমরা ধরলাম বাড়ীর পথ। শেষে একটা কথা বলি, এটি পিকনিক স্পট হলেও একসময় এখানে লোকে ছুটি কাটাতেও আসত। তাই অন্তত একবেলা এখানে কাটিয়ে গেলে খারাপ লাগবে না। মনটাও ফ্রেশ হয়ে যাবে। বাংলায় লেখার সময় ভুল-ত্রুটি মার্জনীয়। |
Best Washing MachineCategories
All
Archives
November 2021
Best Autoclean Chimney |